নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসদ তুমি কোন অহংকারে চল তোমার ক্ষমতা কি আদালত থেকে বড়!!!!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

আদালত নাকি সংসদ কে বেশি ক্ষমতাবান?? ক্ষমতার লড়াইয়ে প্রায় দেখা যায় আদালতের সাথে সংসদ জড়িয়ে পড়ে। কখনো কখনো সংসদের তৈরি করা অনেক আইন আদালত বাতিল করে দেয়। সম্প্রতি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায় নিয়ে নানা মহলে আলোচনা হচ্ছে।

কিছুদিন পূর্বে আদালতের রায়ে আমরা দেখেছি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করতে হয়েছে। অনেক দেশেই সংবিধানিক আদালত রয়েছে যাদের ক্ষমতা রয়েছে যারা সরাসরি সংসদ ভেঙ্গে দিতে পারে। আমরা দেখেছি থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত তাদের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে এবং তাদের সংসদও ভেঙ্গে দিয়েছিল। কিছুদিন পূর্বে অভিবাসী নিয়ে আমেরিকার মত দেশেও ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টের আদেশ পর্যন্ত আদালত স্থগিত করে দেয়।

সংখ্যার বিচারে যদি আপনি আসেন তবে দেখা যায় আমাদের দেশে সংসদের ৩০০ জন সদস্য তাদের নিজ নিজ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। এক্ষেত্রে সরকারে থাকা দলের কমপক্ষে ১৫১ টি আসন পেতে হয়। আবার সংবিধানের কোন আইন পরিবর্তন করতে অন্তত ২০০ জন সংসদের সমর্থন পাবার প্রয়োজন হয়।

তবে বিচার বিভাগ বা আদালত একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে দেশের সব নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচারের বাবস্থা করা হয়। এমনকি সংসদ ও সরকারের কোন সংস্থা দ্বারা ক্ষতির স্বীকার হলেও আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু প্রায় শোনা যায় সরকার নিজেদের পছন্দের লোককে বিচার বিভাগে নিয়োগদেয় এবং আদালতের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। বাতিল হওয়া ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদ বিচারপতিদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। অর্থাৎ বিচারপতির রায় পছন্দ না হলেই যখন তখন বিচারপতিকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে চেয়েছিল তারা।

তবে আইনজীবী মনজিল মোর্সেদ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন করেছিলেন। রিট আবেদনে বলা হয়েছিল, ষোড়শ সংশোধনী বিচার বিভাগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

আদালতের রায় নিয়ে রাজনীতি করা বা নিজ নিজ যুক্তি উপস্থাপন করা আমাদের দেশের রাজনীতির একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। যেমন সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করার রায়কে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানিয়েছিল। আর এখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিলকে বিএনপি অভিনন্দিত করছে। যখন যে রায় যাঁদের পক্ষে যায়, তাঁরা উল্লাস প্রকাশ করেন আর বিপক্ষে গেলে ক্ষুব্ধ হন।

বিচার বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল। তাঁদের কাছেও ইতিবাচক পদক্ষেপ প্রত্যাশিত। আমাদের মনে রাখতে হবে, সর্বোচ্চ আদালত হচ্ছে সংবিধানের অভিভাবক। আদালতকে চ্যালেঞ্জ মানে সংবিধানকেই চ্যালেঞ্জ করা।


মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একটি প্রশ্নের উত্তর এখানে প্রাসঙ্গিক সেটি হলো আদালতের বিচারপতিগন কোন আইন বলে বিচার কাজ পরিচালনা করবেন ।
সে আইন কারা প্রনয়ন ও পাশ করেন । সংসদ আইন প্রনয়ন ও পাশ করেন আর সে আইনের বলেই দেশের সকল কিছু পরিচালিত হয় । কেও আইনের উর্ধে নয় সে যেই হোক । বিচারকরকগন দেশের আইন মেনেই বিচার কাজ পরিচালনা করেন এটাই নিয়ম । আইনের শাসন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেটা বিচারবিভাগ স্বতপ্রনোদিত হয়ে দেখতে পারেন , সে ক্ষমতা আইন করেই বিচার পতিদের দেয়া হয়েছে । তাঁরা সেটা পালন করতে পারেন , এটা সংসদ প্রণীত আইনের মধ্যেই পড়ে ।

কোন আইন দেশের স্বার্থের সাথে সাংঘর্ঘিক বিবেচিত হলে বিচার বিভাগ তা সংশোধনের জন্য সংসদকে নির্দেশনা দিতে পারেন ।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিচার বিভাগ ততটুকুই ক্ষমতা প্রয়োগ করে যতটুকু তাকে আইনে দেয়া হয়েছে । বিচার পতিগন যেভাবে বা প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হন তা সংসদ প্রনীত আইনের আলোকেই হয়ে থাকে । বিচার বিভাগের কোন ক্ষমতা নেই কোন সংসদ সদস্য নিয়োগ করার , সাংসদগন জনগনের প্রতিনিধি, তবে তাদেরকে যা খুশী তাই করার জন্য জনগন নির্বাচিত করেননা , তাঁরা প্রচলিত সংবিধান বহির্ভুত কোন কিছু করতে পারেননা সে ক্ষমতা তাদের নেই ।

অপরদিকে বিচারপতিগন সাংসদ প্রনীত আইনের অবকাঠামোয় সরকার কতৃক নিয়োজিত । বিচারপতিদের ক্ষমতা সংসদ প্রণিত আইনদ্ধারা নিয়ন্ত্রিত, তাঁদের ক্ষমতাও অসীম কিছু নয় । তাদের নিজস্খ বিচার বিবেচনাকেও আইনের কোন না কোন বিধানের আলোকে ফেলেই তার পরে রায় দিতে হয় , তাই বিচারপতিদের দেয়া রায়কে সন্মান দেখানো ও তা মেনে চলতে সকলেই বাধ্য । সাংসদগনও দেশের সংবিধানের আওতায় শৃংখলিত ( যা আবার সংসদ কতৃক প্রনীত ) । তাই সাংসদদের অহংকার করার মত কিছুই নাই । সকল অহংকারের মালিক দেশের জনগন যারা তাদেরকে নির্বাচিত করেন ।

এখন প্রশ্ন হলো স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে । এটা কারো কাছেই কাম্য নয় । সাংসদগন শুধুমাত্র সংখ্যাধিক্যের জোরে স্বেচ্ছাচার করবেন তা কাম্য নয় । তাদের স্বেচ্চাচারিতা বন্দের জন্য বিচারবিভাগকে আইনের যে বিধান দেয়া হয়েছে সে আলোকে বিচার বিভাগ সাংসদ প্রনীত সংবিধানের অভিভাবক হিসাবে ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে প্রয়োজনে কোন আইন বাতিল , নতুন আইন প্রনয়ন বা প্রচলিত আইনের সংসোধনের জন্য নির্দেশনা দিতে পারেন বলেই সকলে মনে করেন।

ধন্যবাদ মুল্যবান পোষ্টের জন্য ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

বিজন রয় বলেছেন: সরকার সবচেয়ে বড়।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: আদালত চাইলে সংসদের পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারে।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব কম বুঝি। তবে আদালতের এতই ক্ষমতা থাকলে শেখ হাসিনার মামলা চালায় না ক্যারে?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা চালানোর ক্ষমতা আমাদের দেশের বিচারকদের নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.