নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধে ইরান ও অ্যামেরিকার ভূমিকার মধ্যে পার্থক্য!!!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

আইএস বিরোধী যুদ্ধে সিরিয়া ও ইরাকের সরকারকে প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতা করছে ইরান।অন্যদিকে অ্যামেরিকা ইরাকের সরকার ও কুর্দিদের সহায়তা করলেও সিরিয়ায় কুর্দি ও সরকারের বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করছে। কিন্তু অ্যামেরিকা আসলেই কি আইএসের বিরুদ্ধে লড়ছে নাকি তাদের ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেশ দুটিতে অবস্থান করছে সেটিই প্রশ্নের বিষয়!!

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল সোলায়মানি বলেছেন, প্রতিবেশী ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের জন্য কোনো বস্তুগত স্বার্থ নেই। তিনি বলেন, “আমরা যখন ইরাকে ঢুকি তখন ইরাক ও আমাদের নিজেদের স্বার্থকে আলাদা করে দেখি নি। পাশাপাশি ইরাকের তেলক্ষেত্রগুলো কিংবা মসুল ও কিরকুকের মতো কোনো শহর নিয়ন্ত্রণেরও চেষ্টা করি নি। আমরা কখনো অর্থের দাবি করি নি এবং করব না।”

দায়েশ ও জয়শুল ইসলামের মতো উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি করার পরও সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছে ইরান। দায়েশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে ইরানের এ সেনা কমান্ডার বলেন, “এটা এমন এক গোষ্ঠী যারা প্রতিদিন যুদ্ধক্ষেত্রে শত শত আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী পাঠাচ্ছে। আমরা আসলে সেখানে কোনো সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছি না, আমরা সেখানে তাদের ভ্রান্ত চেতনার বিরুদ্ধে লড়াই করছি।”

অন্যদিকে ইরাক ও সিরিয়ায় ২০১৪ থেকেই মার্কিন সেনাবাহিনী আইএস বিরোধী যুদ্ধ করছে বলে দাবী করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের এই দাবী মিথ্যা বুলি ছাড়া আর কিছুই বলে প্রমানিত হয় নাই। ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনী মূলত কুর্দি মিলিশিয়াদের অস্ত্রে সজ্জিত করছে। ইতিমধ্যে কুর্দিরা সিরিয়া ও ইরাকের অনেক অঞ্চল দখল করেছে যেখানে আমেরিকা একাধিক সেনাঘাটি স্থাপন করেছে। এক কথায় বলা যেতে পারে আমেরিকা ইরাক ও সিরিয়া ভেঙ্গে কুর্দি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত করছে যেখানে সরাসরি ইসরাইলি সমর্থন রয়েছে। এমনকি কুর্দিদের ইসরাইলি পতাকা বহন করতে দেখা গিয়েছে।

ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসদের সাথে প্রায় মার্কিন বাহিনীর ঘনিষ্ঠতা চোখে পড়েছে। আইএসের মসুল দখলের লড়াইয়ের সময় আইএসের কনভয়কে নিরাপত্তা দিতে নিয়োজিত ছিল মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টার। এমনকি সম্প্রতি সিরিয়া থেকে আইএস সন্ত্রাসীদের নিরাপদে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আইএস নামের কিটপতংগ আমেরিকার সৃষ্টি। হাতের পুতুল

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.