নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিট কয়েনে বিনিয়োগ মুহূর্তেই ধনী হবার স্বপ্ন! গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

সম্প্রতি বিটকয়েন নামটি আলোচনায় আসার কারণ মুদ্রাটির মূল্যে মানের রেকর্ড পরিমাণ পরিবর্তন। বিটকয়েন হল একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভারচুয়াল মুদ্রা। যদিও বাস্তবে এর অস্তিত্ব নেই। ইন্টারনেট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং করা আছে যেটি চাইলে কেনা যায়।

অনেক সময় শোনা যায় আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা বিভিন্ন কম্পিউটার হ্যাক করে মুক্তিপণ দাবি করছে আর সে মুক্তিপণ পরিশোধ করতে বলা হয় বিটকয়েনে। খুব কম সময়ের জন্য বিনিয়োগ করেই অস্বাভাবিক লাভ করা যায় বলে অনেকেই এই বিটকয়েন কেনার দিকে ঝুঁকছেন।

বিবিসিকে অর্থনীতিবিদ মনসুর বিট কয়েন সম্পর্কে বলেন, "এটা এমন একটি কয়েন যেটি কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কোনো দেশের জারি করা নয়। ইন্টারনেট সিস্টেমকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি এই সিস্টেমকে ডেভেলপ করেছে। এটাকে বলা যেতে পারে একধরনের জুয়াখেলা। যেটার ভিত্তিতে হয়তো আমার টাকা খাটিয়ে লাভজনক কিছু করে ফেলতে পারি। যার জন্য বেশিরভাগ লোক এটার পিছনে এখন ছুটছে"।

এই মুহূর্তে বিটকয়েনের মূল্য এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে। শুক্রবার মুদ্রাটির দাম ছিল ১১ হাজার ডলারের সামান্য কম। কিন্তু গত সপ্তাহের শুরুতে এর মূল্য ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর থেকে মুদ্রাটির দাম ৪০ শতাংশ কমে যায়। এ বছরের শুরুর দিকে এই মুদ্রার দাম ছিলো এক হাজার ডলারের মতো। তারপর থেকে এর মূল্য দ্রুতই বাড়তে থাকে। বিশেষ করে গত নভেম্বর থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত এর দাম বাড়ছিল রকেটের গতিতে। বিশ্লেষকরা সম্প্রতি এই মুদ্রায় বিনিয়োগের ব্যাপারে লোকজনকে সতর্ক করে দিচ্ছিলেন। এর মধ্যেই গত কয়েক দিন ধরে এর দাম পড়তে শুরু করেছে। এবং এখনও সেই পতন অব্যাহত রয়েছে।
এই মুদ্রার উৎস সম্পর্কে খুব কমই বোঝা যায় এবং ব্যবহারও খুব সীমিত। ডেনমার্কের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এই বিটকয়েনকে ভয়াবহ এক জুয়া বলেও সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের প্রধান এন্ড্রু বেইলি বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন 'সব অর্থ হারানোর জন্যে' প্রস্তুত থাকতে। তিনি বলেন, কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিংবা কোন সরকারই এই মুদ্রাকে সমর্থন করছে না। ফলে এই বিটকয়েনের পেছনে বিনিয়োগ মোটেই নিরাপদ নয়।

এদিকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, বিটকয়েনে বিনিয়োগ না করতে। এটা কোনও অনুমোদিত কারেন্সি না। এটাতে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না। বিট কয়েনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে এটির কোনো কর্তৃপক্ষ নেই, এবং বিট কয়েনের সাথে কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত নেই যাদের কাছে এটার বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা করা সম্ভব।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: কেউ ফাদে পড়ুক বা না পড়ুক বাংগালি ঠিকই ফাদে পড়বে। কারন অতি লোভ

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: কথায় আছে লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.