নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী জোটের সমর্থনে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইজরাইলের গণহত্যা, ওআইসির লোক দেখানো নিন্দা!

১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

মক্কা মদিনার পর মুসলিমদের সব থেকে পবিত্র নগরী ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের দিনে নিরস্ত্র প্রতিবাদকারী ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদি ইসরাইলি সেনারা ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।
ইজরাইলী সেনাদের স্নাইপারের গুলি ও টিয়ারশেলের আঘাতে ৫২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ২,৪০০ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের জায়গা অবৈধ ভাবে শুধুমাত্র অস্ত্রের জোরে দখল করে ফিলিস্তিনিদের ভূমিহীন করছে ইজরাইল। ইজরাইল কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত জেরুজালেমে গতকাল দূতাবাস খুলেছে ট্রাম্পের অ্যামেরিকা। ইজরাইলের সমস্ত অবৈধকাজের পক্ষে অবস্থানকারী দেশ হল অ্যামেরিকা। ইজরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে যেকোন পোস্তাব এলে নিজেদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে ইজরাইলকে সুরক্ষা দিয়ে চলেছে এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে রয়েছে ইরান,ইরাক, সিরিয়া, হিজবুল্লাহ জোট। এই জোট দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে ইজরাইলের সম্প্রসারণ নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছে। ইরানের সমর্থনে আসাদের সিরিয়া এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ বেশ কয়েকবার ইজরাইলী তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। এক সময় দক্ষিণ লেবানন দখল করে নিয়েছিল ইহুদিবাদি ইজরাইল, তবে ইজরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে লেবানন থেকে তাদের বিতাড়িত করেছে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহকে এক্ষেত্রে সব ধরনের সহয়তা করেছে ইরান এবং সিরিয়া। সিরিয়া হল গ্রেটার ইজরাইল নামক চক্রান্তের বিরুদ্ধে সব থেকে বড় বাধা। ফিলিস্তিনের জায়গায় অবৈধ ভাবে প্রতিষ্ঠিত ইজরাইল তাদের দেশের আয়তন বাড়িয়ে লেবানন,সিরিয়া, ইরাক, জর্ডান এবং মিসরের একটি অংশ নিয়ে গ্রেটার ইজরাইল নামে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর। দায়েস বা আইএস প্রতিষ্ঠার পিছনে তাদের সব থেকে বড় কারন ছিল এই গ্রেটার ইজরাইলী প্রোজেক্ট। কিন্তু ইরান-ইরাক-সিরিয়া-হিজবুল্লাহ জোট ইজরাইলের এই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে। ইরাকের ভেতরে অ্যামেরিকার সমর্থনে ইজরাইলপন্থী কুর্দিদের নিয়ে দেশ গঠনের চক্রান্তও ভেস্তে গিয়েছে ইরানের জোরালো ভুমিকার কারনে। এখনও কুর্দিদের একটি অংশ নিয়ে সিরিয়াতে মার্কিন-ইজরাইলী চক্রান্ত চলছে যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রয়েছে ইরানের জোট।

সুতরাং ইজরাইলের পক্ষে মার্কিন সমর্থনে সৌদি নেতৃত্তে কথিত ইসলামী জোট গঠন করা হয়েছে। কথিত এই ইসলামী মিলিটারি এলায়েন্স কোন মুসলিম দেশের পক্ষে কাজ না করলেও তারা ইজরাইল বিরোধী জোট অর্থাৎ ইরান-হিজবুল্লাহ এবং সিরিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে যা ইজরাইলের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। ইসলামী জোটের নামে সৌদি প্রতিষ্ঠিত এই সংঘঠন সিরিয়া যুদ্ধে ইজরাইল ও অ্যামেরিকার পক্ষ নিয়ে সিরিয়ার ইজরাইল বিরোধী সরকারকে উৎখাত করবার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন দেশ থেকে সেনা ভাড়া করে ইয়েমেনে ইজরাইল বিরোধী জনগণনের ওপর ৩ বছর যাবত গণহত্যা পরিচালনা করছে। ইরানেরও ইজরাইল বিরোধী বিপ্লবী ইসলামী সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। এক কথায় ইজরাইলের পক্ষ হয়ে এই জোট কাজ করছে যেন ইজরাইলের বিপক্ষ শক্তিকে সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব হয়।

ইজরাইলের সবরকমের অন্যায় আগ্রাসনের সময় এই জোট চুপ করে থাকছে বরং ফিলিস্তিনিদের ধমক দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে আহব্বান জানিয়েছে জোটের প্রধান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান। ফিলিস্তিনীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে ইজারাইল অস্ত্র ব্যাবহার করলে এবং কোনো রকম হামলা ব্যাতীত সিরিয়ায় মিসাইল মারলেও, এলায়েন্স এর নেতা সৌদি ঘোষণা দিচ্ছে- "ইজরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে"! যেখানে ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ বাসভূমি থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে সেখানে ফিলিস্তিনিদের ভূমির অধিকারের বিষয়ে না বলে বরং ইসরাইলের ভূমি পাবার অধিকার রয়েছে বলে ইজরাইলী দখলদারিত্বকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে ইজরাইলকে এই জোটের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে কথিত এই ইসলামী জোট ইজরাইলের সকল অন্যায়কে সমর্থন করবে। সুতরাং ইজরাইল নির্দ্বিধায় ফিলিস্তিনিদের ওপর উৎসাহের সহিত গণহত্যা চালাচ্ছে।

অন্যদিকে ইসলামী আরেক সংস্থা ওআইসি ইজরাইলী গণহত্যা ও এর গণহত্যার অন্ধ সমর্থক অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে কথিত নিন্দা প্রকাশ করেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করে ফেলছে! অথচ এই জোট চাইলে ইজরাইল এবং অ্যামেরিকাকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ দিয়ে ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা পালন করতে পারত।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: OIC একটা ফালতু সংগঠন যার মেরুদন্ড নেই সৌদির কথায় ওঠে বসে।

১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: আসলে এরা মার্কিন ইশারায় দালালী করে।

২| ১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিম বিশ্বের নখদন্তহীন এ সংস্থাটির ভূমিকা যেন ওহ্‌ আই সি (Oh I see) তেই সীমাবদ্ধ।

১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: OIC একটি তাঁবেদার সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: এটাই দুঃখের। ৫৭ টি ইসলামী দেশ এক হলে মার্কিন-ইজরাইলী সব ষড়যন্ত্র বৃথা হয়ে যেত।

৪| ১৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ওআইসি কোন কাজের না। এভাবে অসম যুদ্ধে জয়ী হওয়া যাবে না...

১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

হাঙ্গামা বলেছেন: কিছুদিন আগে ওআইসির প্রতিনিধিরা যখন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলো ইচ্ছা করছিলো ধইরা সবগুলারে থাপড়াই। মেরুদন্ডহীন ষ্টুপিডের দল।

২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত। এদের থাপড়ানো উচিৎ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.