নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I'll Sleep When I'm Dead

আমি একদিন মারা যাবো, এই সত্য মেনে নিতে আমার কোন আক্ষেপ নেই!আক্ষেপ শুধু একটি বিষয়তেই, আমি মারা যাওয়ার পর অনেক অসাধারণ চলচ্চিত্র,বই,গান এর সৃষ্টি হবে- যার স্বাদ আমি নিতে পারব না...

শাহরুখ সাকিব

জীবন খাতার শেষের পাতায়, এঁকে দিলাম আলপনা, আমার স্মৃতি পড়বে মনে, যখন আমি থাকব না...! মানসিক ভাবে অসুস্থ একজন মানুষ নিজে ; অথচ বাকি সব অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করার দায়িত্ব নিয়েছি! তাদেরকে হাসি খুশি রাখার মাধ্যমে! বুঝেন অবস্থা! একবারেই বদ্ধ উন্মাদ, আবেগপ্রবন,ভীতু এক মানুষ...!চিন্তাভাবনা করে সাধারণত কিছু বলা বা করা হয় না, এজন্য ঝামেলাতেও বেশি পড়তে হয়! তারপরও - always try to listen to my heart !Simplicity জিনিসটা খুব ভাল্লাগে, নিজেও তাই!'হাসিমুখ','দেশ','দেশের মানুষ','বৃষ্টি','জোছনা','প্রিয় মানুষগুলোকে বিরক্ত করা','শিশির ভেজা ঘাসের উপরে হাঁটা','জীবন','নিঃশ্বাস নেয়া','বইপড়া'(অবশ্যই পাঠ্যবই নয়!),'বন্ধু','বন্ধুত্ব','আড্ডা দেয়া','পাহাড়','সমুদ্র','সিনেমা দেখা','শাহরুখ খান' প্রভৃতির প্রতি অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে! আমি নিম্নোক্ত জীবন দর্শনে বিশ্বাসী - "Live, Laugh and Love!" (বাঁচো , হাসও আর ভালোবাসো! ) :-D আর হ্যাঁ, নিজের প্রথম ও সবচেয়ে বড় পরিচয় "মানুষ" বলতে পছন্দ করি, আগে মানুষ, তারপর বাকি সব... :-) আমার রক্তের গ্রুপ- B (Be Positive!) আমার রাশি- কুম্ভ (কিন্তু আমি মোটেই কুম্ভকর্ণ নই!) নিজেকে একটি শব্দে প্রকাশ করতে বললে আমি সেই পুরনো অসাধারণ শব্দটি বলব--- "পাগল" :-P :-P আমার ফেসবুক ঠিকানা- fb.com/syed.n.sakib.3

শাহরুখ সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ জন্মদিন আল পাচিনো :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

যে বয়সে একজন মানুষের প্রিয় খাবার থাকে চকলেট, আইসক্রিম, ফাস্টফুড, মিল্কশেক বা মিল্ক- সেই বয়সে তিনি খেতেন সিগারেট। শুধু লুকিয়ে মাঝে মাঝে সিগারেট- এটা হলেও একটা কথা ছিল। কিন্তু শুধু এতেই তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না, সাথে যুক্ত হয়েছিল- মদ পানের অভ্যাস। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে তখন তার বয়স মাত্র নয়! মানুষ আস্তে আস্তে দুইটা দিকে যায়- হয় ক্রমেই উপরের দিকে নাহয় ক্রমেই নিচের দিকে- তার ক্ষেত্রে হয়েছিল দ্বিতীয়টা, নয় বছরে যেই অভ্যাসের শুরু, সেই অভ্যাস পরে আরও বদভ্যাসের দিকে গেল। ১২ বছরে গিয়ে তিনি প্রথম "পাইপ" খাওয়া শুরু করলেন, ১৩ বছরে প্রথম খাওয়া হল "মারিজুয়ানা" নামের ড্রাগ। তার চেয়েও অবাক ব্যাপার হল, এই মাদক তাকে দিয়েছিলেন একজন পুলিশ! :P

বাবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যুদ্ধ শেষ হলে ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে জয়েন করেন। তার ছোটবেলাতেই বাবা-মার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার মা তাকে তার নানা নানির কাছে পাঠিয়ে দেন যাদের আদিনিবাস ছিল ইতালির বিখ্যাত সিসিলি শহরে, করলিওনি পরিবারে। কে জানত যে তাদের এই নাতি একদিন এই সিসিলি শহরের এক কুখ্যাত মাফিয়া ডনের চরিত্রে অভিনয় করবেন? ;)

স্কুলে ভর্তি হলেন, কিন্তু স্কুলের বাঁধাধরা নিয়ম ভালো লাগত না। স্কুলে প্রায়ই ঝামেলা করতেন, মারামারি করতেন। স্কুলে নাম হয়ে গিয়েছিল "ট্রাবলমেকার"। কোন কিছুই তাকে টানত না, একটা জিনিস বাদে- সেটা হল সিনেমা। হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করলেন তিনি বিখ্যাত সব সিনেমার সংলাপ মুখস্ত বলতে পারছেন আর বিখ্যাত সব অভিনেতাদের নকল করতে পারছেন। পড়াশুনা শিকেয় তুলে থিয়েটারে যোগ দিলেন আর থিয়েটার করতে লাগলেন, "অভিনয় অনেক মজার জিনিস" এই ভেবে। কিন্তু স্কুলের থিয়েটার খুব বেশিদিন ভালো লাগলো না, "সিনেমাতে তো অনেক মজা লাগে দেখতে, এরা এরকম বোরিংভাবে শিখায় কেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা?!" তারপরেও লেগে ছিলেন থিয়েটারের পিছনে, কারণ এই একটা জিনিসই তাকে একটু আধটু টানত। কিন্তু বেশিদিন টিকলেন না, স্কুলে ঝামেলা করার কারণে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়।

Lee Strasberg নামের এক ব্যক্তি, যাকে "মেথড অভিনয়" এর জনক বলা হয়, তার কাছে অভিনয় শিখতে লাগলেন। বেশি কিছু নাটকে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করলেন, এরপরে আস্তে আস্তে মূল চরিত্রে, এরপরে সিনেমাতে সুযোগ পেলেন, কিছুটা পরিচিতিও আসলো, পুরস্কার ও পেল তার সিনেমা। কিন্তু তারপরেও কি যেন পাচ্ছিলেন না, অডিশন দিতেন আর বাদ পড়তেন। ভয়াবহ দারিদ্র্যে কাটিয়েছেন সময়, এমনও হয়েছে, অডিশন দিতে যাবার জন্য বাসভাড়া পর্যন্ত নেই, সেটাও ধার করতে হচ্ছে। এই ধারের জীবন তার আর সহ্য হচ্ছিল না, তখনই জীবন তাকে ভয়াবহ এক সারপ্রাইজ দিল। মারিয়ো পুজোর বিখ্যাত উপন্যাস "গডফাদার" থেকে সিনেমা তৈরি হবে, মাইকেল করলিওনি ক্যারেক্টারের জন্য তিনি অডিশন দিলেন- এবারও সেম কেস- বাদ পড়লেন! কিন্তু ডিরেক্টর কাপোলা তাকে পছন্দ করলেন। প্রোডাকশন হাউজ থেকে শুরু করে অন্যান্য অভিনেতারাও তাকে নিতে রাজি হচ্ছিল না, বারবার এই সিনেমার জন্য অডিশন দিয়েও বাদ পড়ছিলেন তিনি বারবার, তার সাথে আরেকজন ছিলেন সিনেমাতে, বিখ্যাত অভিনেতা মারলান ডি ব্র্যান্ডো- মজার ব্যাপার হল তাকেও সিনেমাতে নেয়া হচ্ছিল না! অবশেষে অনেক ঝামেলার পর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ডো কে নিতে রাজি হল, কিন্তু সেই পুঁচকে ছেলের বেলায় তাদের ভ্রু এখনও কুঁচকে ছিল। সাফ বলে দিল- "this boy? no way!" ডিরেক্টর কাপোলা বেঁকে বসলেন, এই ছেলে ছাড়া অন্য কাওকে দিয়ে তিনি মাইকেলের চরিত্র করাবেন না। অবশেষে সিদ্ধান্ত হল এই ছেলেই করবে মাইকেলের চরিত্র।

ফলাফল হল অবিশ্বাস্য! গডফাদার সিনেমাতে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স এর কারণে তিনি রাতারাতি তারকা বনে গেলেন। অনেক দারিদ্র্য দেখার পরে একজন মানুষ টাকার স্বাদ পেলে মানুষটি একটু হলেও অন্যরকম হয়ে যায়- তিনিও হলেন। গডফাদার পার্ট থ্রি সিনেমার সময় তিনি পরিচালকের কাছে অনেক বেশি টাকা চাইলেন রোলটি করার জন্য- ৭ মিলিয়ন ডলার! পরিচালক বললেন- "যদি তোমার টাকার পরিমাণ না কমাও তাহলে আমি সিনেমার শুরুর দৃশ্য এটা রাখব যে- তুমি মারা গেছ আর সবাই তোমার কফিনের চারপাশে দাঁড়িয়ে ফুল দিচ্ছে!" ভয় পেয়ে গেলেন, বাস্তব জীবনে মানুষকে মরতেই হবে, কিন্তু পর্দায় এত দ্রুত মরার কোন ইচ্ছাই তার ছিল না। তাই শেষমেশ ৫ মিলিয়ন দলারে রাজি হয়ে গেলেন। এবারেও বাজিমাত করল তার পারফর্মেন্স। এই সিরিজের সিনেমার জন্যই তিনি একই সাথে বেস্ট এক্টর এবং বেস্ট সাপোর্টিং এক্টর এর অস্কারের মনোনয়ন পেলেন। অথচ একসময় বাসে যাওয়ার ভাড়া পেতেন না মানুষের কাছে। গডফাদার সিনেমাতে দারুণ অভিনয় করলেও এই সিনেমা নিয়ে তৈরি ভিডিও গেমে অভিনয়ের অফার আসলে তিনি "না" করে দেন। এই সিরিজ সম্পর্কে তাকে এক লাইনে বলতে বলা হলে তিনি বলেন- "A long, awful, tiring story"

জীবন একটা "ট্র্যাক" এ চলে আসলো। একের পর এক দারুণ সিনেমাতে নিজের দারুণ প্রতিভা দেখাতে থাকলেন। Serpico, Dog Day Afternoon, ...And Justice for All- অদ্ভুত সব পারফর্মেন্স। Serpico তে ক্ষ্যাপাটে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করার সময় চরিত্রে এতটাই ডুবে দিয়েছিলেন যে একদিন তিনি এক সত্যিকারের ট্যাক্সি ড্রাইভারকে হুমকি দিয়েছিলেন। ড্রাইভারের অপরাধ ছিল যে তার ট্যাক্সি থেকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ধোঁয়া বের হচ্ছিল যেটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। Dog Day Afternoon সিনেমাতে সহ অভিনেতার সাথে টেলিফোনের একটা দৃশ্যে তিনি তাৎক্ষণিক ইম্প্রোভাইজেশন করেন যেটা স্ক্রিপ্টে ছিল না। এত সব অসাধারণ সিনেমার মাঝে তিনি Cruising, Author! Author! এরমত "বাজে" সিনেমাও করলেন। কিন্তু এগুলোর পরে তিনি এমন এক সিনেমা করলেন, যা মনে হয়না তার চেয়ে আর কেও এত ভালো করতে পারত।

১৯৮৩ সালে মুক্তি পাওয়া সেই সিনেমার নাম Scarface। এই সিনেমাতে টনি মন্টানা নামক মাফিয়া ডনের চরিত্রে "মাথা নষ্ট" অভিনয় করে যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন। মানুষ এতটাই প্রভাবিত হয়েছিল তার অভিনয় দ্বারা যে বেশিরভাগ দর্শক মনে করতে লাগলো এই মানুষটা আসলেই মনে হয় এরকম খারাপ বা এরকম বদরাগী! সহ অভিনেতারাও তার সাথে ভয়ে ভয়ে কথা বলত। অথচ নজার ব্যাপার হল, এই সিনেমাতে অভিনয় করার সময় তিনি প্রেমে পড়েন, পর্দার বাইরে ভালোবাসা আর পর্দায় "সে হ্যালো টু লাই লিটল ফ্রেন্ড" বলে তিনি আতঙ্ক- দুটোই বেশ ভালোভাবেই ছড়াচ্ছিলেন।

সবই ঠিক ছিল- কিন্তু নিজের ধূমপানের অভ্যাস বাদে। '৮০ এর সময়টা প্রতিদিন চার প্যাকেট করে সিগারেট খেতেন, নব্বই এর সময়টা অনেক কষ্টে সেটাকে কমিয়ে দুই প্যাকেটে আনলেন। "অনেক কষ্টে" কথাটা একটু ব্যাখ্যা করা দরকার- এই কষ্ট এসেছিল তার দুই প্রাণের চেয়ে প্রিয় বন্ধুর কাছ থেকে- যারা সিগারেট আর মাদক খেয়ে মারা গেছিল। নিজের দুই কাছের বন্ধুকে হারিয়ে তিনি অনেকটাই স্তব্ধ হয়ে গেছিলেন। এছাড়া ডাক্তার তাকে বলেছিলেন- এত সিগারেট আপনার কণ্ঠকে শেষ করে দিবে, একসময় বোবাও হয়ে যেতে পারেন! "তাই নাকি? এখন তো আর নির্বাক সিনেমার যুগ নেই যে কথা না বলে সিনেমা করতে পারব, তাহলে তো সমস্যা! আচ্ছা, আমি কমিয়ে দিব"। কথা রেখেছেন, কিন্তু তারপরেও এখনও খুবই মাঝে মাঝে তিনি হারবাল সিগারেট খান। এত সিগারেট তার কণ্ঠস্বরে কিছু হলেও ছাপ রেখেছে বলে চলচ্চিত্র সমালোচকদের ধারণা, এই কারণেই তারা তার ভয়েসকে "smoke-burnished voice" বলেন।

আর একটা জিনিস ঠিক ছিল না, সব পেলেও অস্কার নামক মূর্তিটাকে কিছুতেই হাতের নাগালে পাচ্ছিলেন না, বারবার এসেও ফসকে যাচ্ছিল। অবশেষে ১৯৯২ সালে, নিজের প্রথম অস্কারে মনোনয়ন পাওয়ার ২১ বছর পর তিনি অস্কার পেলেন, সিনেমার নাম Scent of a Woman। অস্কার পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন- এটা আসলে বলে বুঝানো যাবে, এটা শুধুই অনুভুতির বিষয়। আমি এখন আমার সেই অস্কারটাকে আর দেখিনা তেমন, কিন্তু প্রথম যখন পেলাম, তখন আমি কিছুক্ষন পর পর এটাকে ছুঁয়ে দেখতাম। খোঁজ নিতাম, কেও আবার যাতে চুরি না করে ফেলে! :P

কিছু জিনিসের প্রতি এই মানুষটার পাগলের মত ভালোবাসা আছে, তার মাঝে একটা হল অপেরা। আরেকটা অদ্ভুত জিনিস আছে তার মাঝে, সিনেমাতে অভিনয় করে বেশিরভাগ মানুষ যেখানে মঞ্চকে ভুলে যায়, তিনি ঠিক উল্টো- পারলে এখনই মঞ্চে দৌড় দেন! শেক্সিপিয়ারের অন্ধ, বোবা, ল্যাংড়া- টাইপের ভক্ত তিনি, ক্ষমতা থাকলে নাকি সারাজীবন তিনি "হ্যামলেট" নাটকে অভিনয় করে কাটিয়ে দিতেন। এই মঞ্চের জন্য ১৯৮৫- ১৯৮৯ পর্যন্ত তিনি সিনেমার পর্দায় আসেন নি। রাতে ঘুম না আসা বা ইনসোমনিয়া নামক রোগ আছে তার, অদ্ভুত ব্যাপার হল ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত "ইনসোমনিয়া" নামক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি এরকম একজন রোগীর চরিত্রে।

মানুষটাকে এতক্ষণে না চিনলে আপনি দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন। তার নাম পাচিনো, আল পাচিনো। পুরো নাম Alfredo James Pacino। তার ভক্তরা তাকে ডাকে দ্যা গ্রেট আল "ফাকিং" পাচিনো বলে। এটা নিয়েও একটা কথা আছে, পাচিনোর সিনেমা হবে আর গালাগালি থাকবে না এটা যেন একদম অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। FUCK শব্দটা এতবার তিনি ব্যবহার করেছেন, ততবার ফাক শব্দটা নিজেও মনে হয়না নিজেকে ব্যবহার করেছে :P তার ভক্তদের মতে ফাক শব্দটাকে তিনি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন (আমিও সেই "পাজি" ভক্তদের মাঝে একজন) তার সিনেমার চলার সময় আমরা যেন তাকিয়ে থাকি তার মুখের দিকে এই আশায় কে কখন তিনি "ফাক" বলে তার সংলাপ শুরু করবেন, আমাদের জন্য তখনই যেন সিনেমার শুরু হয় :P

এতটা প্রশংসা যিনি পেয়েছেন, তাকে নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে টুকটাক। তার কট্টর সমালোচকেরা তাকে মাঝে মাঝেই বলেন যে তিনি নাকি মাঝে মাঝে অতি অভিনয়(!) করেন। আর প্রতি সিনেমাতে তার প্রায় একই লুক, সেই ঘোলাটে চোখ, সেই চিৎকার করা- একই জিনিস তিনি নাকি রিপিট করেন। অনেকে তো "এইসব 'ফাক' শব্দ ব্যবহার করেই তিনি অস্কার পেয়েছেন!" - এরকম নিষ্ঠুরভাবে তার সম্পর্কে বলেছেন। নিজের আত্মজীবনীমূলক বইতে তিনি এদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন- তারা আগে অভিনয়টা শিখে আসুক, তারপরে না হয় আমার অতিঅভিনয় নিয়ে কথা বলা যাবে?- ইশ! সমালোচকদের কি সুন্দর "বাঁশ" দিলেন পাচিনো! :P

নিজের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন " এমন না যে আমি অভিনয়কে অনেক ভালোবাসি, আমি অভিনয় করি কারণ আমি মনে করি এটা আমাকে করতে হবে, I have to act- এর উপরে আর কথা নাই। তবে আমি সবসময়ই অভিনেতা হতে চেয়েছি, লোকে আমাকে সুপারস্টার বলে আমাকে ভালোবেসে, কিন্তু আমি নিজেকে কখনোই স্টার ভাবিনি, হতেও চাইনি। শুধু একটা জিনিসই নিজের ভেতর রেখেছি- নতুন চরিত্রের জন্য ক্ষুধা। অভিনয় অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। শুটিং শেষ করে দেরি করে রাতে বাড়ি ফিরে আবার এই শুটিং এর জন্য ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, নিজের পরিবার, নিজের তিন ছেলেমেয়ের মুখ না দেখেই বেরিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টের কাজ- এটা সবাই পারে না। যখন কিছু মানুষকে দেখি আমার কাজের সমালোচনার নামে আমাকে যা ইচ্ছা তাই গালি দিয়ে যাচ্ছে সমালোচনার আড়ালে- তখন মনে মনে শুধু একটা কথাই বলি- তুমি জানবে না কখনো যে আল পাচিনো নামের মানুষটাকে কীসের ভেতর দিয়ে যেতে হয়।" বাই দ্যা ওয়ে, তিনি হলিউড এর সেই হাতেগোনা ব্যক্তিদের মাঝে একজন যিনি এখনও বিয়ে করেন নি। (ছোট বাচ্চারা দয়া করে আবার জিজ্ঞেস করো না, সাকিব ভাই, বিয়া না করলে ছেলেমেয়ে আসে ক্যামনে তার?) :P

তিনি আরও বলেন "অনেকেই মনে করেন আমার সাথে নাকি রবার্ট ডি নিরো আর ডাস্টিন হফম্যান এর ঝামেলা আছে! আজিব কথা! বুঝলাম আমি স্কারফেস করেছি, তারমানে এই না যে আমি সবার সাথে ঝামেলা করি। আমরা তিনজন নিজেদের জায়গায় অনেক ভালো আছি, এমনকি নিরোর সাথে আমার এমনই ভালো সম্পর্ক যে আমার এমন অনেক গোপন তথ্য আছে যেটা শুধু নিরো জানে- আর কেও না। সবাই বলে- '৭০ এর সময়টা নাকি সুন্দর ছেলেদের সময় ছিল, আর তখনই পাচিনো নামক এক গুন্ডা চেহারার ছেলের আবির্ভাব হল- হা...হা...! বিশ্বাস করুন, আমি এতটা খারাপ না। আমাকে বুঝতে হলে আপনাকে আমার সাথে থাকতে হবে, সেই থাকার সময়টা অনেক বেশি হতে হবে, এমনও হতে পারে ৫০ বছর পার করার পরেও আপনি আমাকে বুঝতে পারছেন না, আমি আসলে এমনই!"

জীবনে সাফল্য ব্যর্থতা, অভাব- টাকা পয়সা সব দেখেছেন তিনি। তিনিই একমাত্র অভিনেতা যার সিনেমা একইসাথে IMDB এর বেস্ট সিনেমার লিস্টে এক নাম্বারে আর IMDB এর সবচেয়ে বাজে সিনেমার লিস্টে এক নাম্বারে ছিল- সিনেমা দুটির নাম যথাক্রমে- The Godfather (1972) এবং Gigli (2003)। অস্কারের পাশাপাশি Jack and Jill সিনেমার জন্য সবচেয়ে বাজে অভিনেতার রেজ্জি অ্যাওয়ার্ড ও পেয়েছেন তিনি। অনেক অসাধারণ সিনেমা বাদ দিয়েছেন তিনি, তালিকার নামগুলো শুনলে যে কেও চমকে যাবেন- Kramer vs. Kramer, Born on the Fourth of July, Apocalypse Now, Star Wars: Episode IV - A New Hope, Pretty Woman, Die Hard... থাক আর না বলি! স্টার ওয়ারস কেন কলেন না এর উত্তরে তিনি বলেন- আমি আসলে এই সিনেমার স্ক্রিপ্ট বুঝি নাই! আর Die Hard কেন করলেন না- এর উত্তরে তিনি বলেন- আমি ব্রুস উইলসকে তার ক্যারিয়ার দিয়েছিলাম, এই কারণে। ( I gave that boy [Bruce Willis] a career)।

এমনই অদ্ভুত মানুষ তিনি, মুখে যা আসে বলে ফেলেন, কাওকে তওাক্কা করেন না। আজকে আমার এই প্রিয় অভিনেতার জন্মদিন, শুভ জন্মদিন সনি (ডাকনাম)! বয়স হয়েছে অনেক, আগের মত ভালো সিনেমা হয়ত আর করতে পারছেন না স্বাভাবিকভাবেই- তারপরেও আপনি আমার কাছে এখনও নমস্য এই স্কারফেসের টনি মন্টানার কারণে, কান পাতলে আমি এখনই শুনি সেই লোকটার কথা যে মিথ্যা বললেও সত্য বলে এইভাবে- i always tell the truth, even when i lie! :D বেঁচে থাকুন শত বছর!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট। প্রিয় অভিনেতার প্রতি শুভকামনা থাকলো ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৪৪

শাহরুখ সাকিব বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আহা সেই ডায়ালগ- সে হ্যাললো টু মাই লিটল ফ্রেন্ড!

চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। উপভোগ করলাম।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৪৫

শাহরুখ সাকিব বলেছেন: থ্যাংকস :)

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। তাঁর প্রায় সব ছবিই দেখে ফেলেছে। নেশার মতো দেখে শেষ করেছি। বাকিগুলো অনলাইনে ভাল প্রিন্ট নাই। শেষ দেখলাম ৮৮ মিনিটস।

অনেক কিছু জানতে পারলাম।

পোস্টে ৩য় লাইক।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

শাহরুখ সাকিব বলেছেন: থ্যাংকস :)

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রিয় অভিনেতাকে নিয়ে চমৎকার সুলিখিত একটা পোস্ট।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

শাহরুখ সাকিব বলেছেন: থ্যাংকস হামা ভাই :)

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

রাশিদ.আলম বলেছেন: One of my favorite actor.

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

শাহরুখ সাকিব বলেছেন: সেম হেয়ার :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.