নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন এক সময় লেখালেখি শুরু করবো। এখন যা লিখছি তা সেই সময়ের জন্যে প্রস্তুতি আসলে। আর লেখার জন্যে নতুন নতুন তথ্য যোগাড় করছি আপাতত।

ফায়েজুর রহমান সৈকত

মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।

ফায়েজুর রহমান সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমেন্দ্র মিত্রের "পুন্নাম" গল্পের পুনরালোচনা

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩০


নিম্নবিত্তের অসুখ বিসুখের ব্যাপারে ভাবনা নিয়া গল্প আমরা খুব একটা পাই না। এর কারণ অসুখের চিকিৎসা বাবদ যে খরচ হয়, নিম্নবিত্তের সেইটা ভরণ করার অক্ষমতা আর অসুখ নিয়া নিম্নবিত্তের অনাগ্রহতা। ফলে অসুখ হইবার আগে থেকেই তারা কষ্টকে মেনে নেবার একপ্রকার সংকল্প করে রাখে।

প্রেমেন্দ্র মিত্রের "পুন্নাম" গল্পে নিম্নবিত্ত ললিত আর তার বধূ ছবি তাদের একমাত্র সন্তান খোকার অসুখকে এড়িয়ে যাবার কোন সুযোগ পায় না। এক বিরক্তিকর অসুখে পায় চার বছরের খোকাকে। সারাদিন সে শুধু কাঁদতে থাকে আর অহেতুক সব বায়না ধরে। এমনকি সারাদিনের খাটুনি শেষে রাতের বেলা একটু শুতে গেলেও খোকার কান্না থামে না। সেই সারাক্ষণ কান্না, অহেতুক বায়না আর গোয়ার্তমি এক সময় প্রচণ্ড বিরক্তিকর হয়ে উঠে। ললিত আর ছবি সন্তানকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার বলে দেয় পরিবেশ চ্যাঞ্জ করতে, তাহলে খোকা সুস্থ হবে। কিন্তু পরিবেশ চ্যাঞ্জ করার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা ললিতের কাছে নেই।

গল্পের পরের অংশে দেখা যায় খোকা ধীরেধীরে সুস্থ হয়ে উঠে। ললিত দূর থেকে খোকার দিকে তাকিয়ে থাকে আর আনমনা হয়ে কী যেন ভাবে। কিন্তু তবুও ললিত শান্তি পায় না। নিজের ভেতরে এক প্রচণ্ড অপরাধ বোধ তাকে কুড়ে কুড়ে খেতে থাকে। ললিত আত্মহীনতায় ভুগে। এরকম আত্মহীনতায় ভোগা আরেকটি চরিত্রে সন্ধান পেয়েছিলাম মতি নন্দীর "সাদা খাম" গল্পে। সাদা খামকে ঘিরে প্রিয়ব্রত যেভাবে প্রচণ্ড মানসিক অশান্তিতে ভুগতো পুন্নামের ললিতও সেরকম অশান্তিতে ভোগে। এমনি একদিন খোকার দিকে তাকিয়ে সে ছবিকে বলে, "টুনু মরে গেল আর আমাদের ছেলে বেঁচে উঠলো।"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর আলোচনা

২| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই আপনি কোন বইয়ের রেফারেন্সে লিখেছেন বললে, সংগ্রহ করতে সুবিধা হয়।
ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আলোচোনা ফলপ্রসূ হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.