নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন এক সময় লেখালেখি শুরু করবো। এখন যা লিখছি তা সেই সময়ের জন্যে প্রস্তুতি আসলে। আর লেখার জন্যে নতুন নতুন তথ্য যোগাড় করছি আপাতত।

ফায়েজুর রহমান সৈকত

মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।

ফায়েজুর রহমান সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাচ্চুর মরনের খবর শুনে

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

বাচ্চুর মরনের খবর শুনে এক মুহুর্তেই সকল স্মৃতি নিয়ে ছোটকালে ফিরে যাই। কিছু গান দেখবেন আপনি জানেনও না কিভাবে যেন গুনগুন করে গাইতে থাকেন। "আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেবো আকাশে" এই গান আমি এইভাবে গাইতাম। শিবলু ভাইদের বাড়ির পেছনে আর আদর্শ স্কুলের মাঠে দাড়িয়াবান্ধা খেলার সময় এই গান জোরে জোরে গেয়ে প্রতিপক্ষরে কটাক্ষ করতাম তখন। সবুজবাগে জুয়েল ভাই এর তখন সাউন্ড বক্স ছিল। তার বাসার সামনে দিয়ে গেলে শুনতাম এক চালা টিনের ঘর, এক আকাশের তারা তুই, মেয়ে তুমি কি দুঃখ চেনো চেনো না গান বাজাতেন। তার কাছে শুনে শুনে এই গান গুলি এত প্রিয় হয়ে গিয়েছিল তখন! এই গানগুলি ত আমি ছোটকালের স্মৃতি হিসেবেই মনের কোণে জমা করে রেখেছিলাম।

তারপরে ফিরে যাই কলেজে পড়াকালীন স্মৃতির কাছে। কিশোর আমি তখন সারারাত জেগে থাকতাম আর "সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে" গান শুনতাম। কেউ হয়তো বুঝবেও না এই গান কতটা তীব্রভাবে প্রিয় গান হয়ে উঠেছিল।

২০১০ সালের দিকে আমি যখন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যে কোচিং করতে গিয়েছিলাম তখন সেই তারা ভরা রাতে, হাসতে দেখো গাইতে দেখো, এই রুপালি গিটার ছেড়ে, আমি তো প্রেমে পড়িনি প্রেম আমার উপরে পড়েছে, কবিতা তুমি এখনও রাত হলে কি তারাদের গোনো, আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি এই গানগুলি রাতের পরে রাত এক নাগাড়ে বেজে চলতো।

"আম্মাজান আম্মাজান আপনি বড় মেহেরবান
জন্ম দিছেন আমায় আপনার দুগ্ধ করছি পান।"
আম্মাজান গানের কথা মনে পড়ে। পাড়ার দোকানে কিংবা কারোর বাসা কোথাও এই গানটি শুনলে রাহিম হাত পা ছুড়ে তার তালে তালে নাচতে শুরু করতো। দুই বছর বয়েসী শিশু রাহিমের এমন উচ্ছ্বাস দেখে আমরা হাসতাম। গানটি চলার সময় একদিন দেখি আম্মা আড়ালে চোখ মুছতেছে। আমার তখন সাত অথবা আট বছর হবে। মনে আছে, আমিও এত মনযোগ দিয়ে গানটি শুনতাম। একটা অদ্ভুত মোহ ছড়িয়ে গেছিল আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া আম্মাজান গানটি বের হবার পরে।

বাচ্চু বেঁচে থাকলেও কী আর মরে গেলেও কী, আমি তো জানতামও না তার শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল। কিন্তু এখন তার মরনের খবর শুনে ওই বুড়ো গানগুলো, ছোটবেলায় ফেলে আসা স্মৃতিগুলো আবার ফিরে এসেছে। কেউ সারাজীবন বেঁচে থাকেনা জেনেও কারোর মৃত্যুর খবর আমাদেরকে এতটা অসহায় করে দেয়।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি কি আয়ুব বাচ্চুর গানের ভক্ত? লেখার শিরোনাম আর বিষয়বস্তু বিবরণ আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করলে ভাল হত। প্রিয় শিল্পীর মৃত্যুতে আরো সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা প্রত্যাশিত। (ধন্যবাদ)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: কাওসার চৌধুরী, আপনি কি শিক্ষক মানুষ? যেখানে সেখানে পরামর্শ দিতে শুরু করবেন না তো। (ধন্যবাদ আপনাকেও)

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যরি, ভাই আপনার মত গুণীজনের পোস্টে কমেন্ট করা ঠিক হয়নি।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: সেটা আপনার ইচ্ছা। কিন্তু বদ অভ্যাসটা ত্যাগ করে আলাপ করতে আসবেন।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: হঠাৎ করে প্রিয় মানুষদের শোক সংবাদ শুনতে বড়ই শোক লাগে । এই শোক খুব বেদনার । মনে হয় গানগুলো বার বার স্মৃতিতে বাজছে খুব করুন ভাবে ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: মনে হয় গানগুলো বার বার স্মৃতিতে বাজছে খুব করুণ ভাবে :)

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: একজন শিল্পীল সৃষ্টিটাই অাসল, যা বেঁচে থাকতে পারে যুগ যুগ...

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: তিনি বাংলা ভাষীদের মনে যুগযুগ বেঁচে থাকবেন আমার ধারণা।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

তারেক সিফাত বলেছেন: বাচ্চু ভাইয়ের গানের স্মৃতি নিয়ে লিখছেন, লিখাটা বেশ খাম-খেয়ালি করে লিখছেন পড়ে মনে হল। শিরোনামটাও ভালো লাগেনি।পড়ার পর যে অনুভূতি হল তাতে মনে হল: বাচ্চু ভাইয়া মারা গেসেন তো কী হইসে? কেমন যেন এক ধরনের উপেক্ষা টের পেলাম।

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

সনেট কবি বলেছেন: তার জন্য সবাই শোকাহত।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

ফায়েজুর রহমান সৈকত বলেছেন: তিনি এমনি মহৎ কিছু গান আমাদের দিয়ে গেছেন। :)

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন গুণী শিল্পী তার গানের মাধ্যমে তার শ্রোতাদের মনের কতটা গভীরে আসন গড়ে নিতে পারেন, আইউব বাচ্চু তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আপনি হয়তো অনবধানতা বশতঃ শিরোনামে এবং টেক্সটে "মরনের" কথাটা ব্যবহার করেছেন, যা শুনতে খারাপ লাগছে। একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি সম্পর্কে এরকম একটা শব্দ শিরোনামে বসে আপনার পোস্টের মান অনেকটা হ্রাস করেছে। এছাড়া "বাচ্চুর" আগে তার প্রথম নাম "আইয়ুব" যোগ করে দিলেও ভাল শোনাবে। আমার আগেও দু'জন মন্তব্যকারী পাঠক হয়তো এ কথাটিই বুঝাতে চেয়েছেন। আশাকরি আপনি শিরোনামে এবং টেক্সটে "মরনের" কথাটির বদলে মৃত্যুর বা প্রয়াণের কথাটি বসিয়ে এবং নামাংশের আগে "আইয়ুব" বসিয়ে পোস্টটি সম্পাদনা করে নেবেন।
একজন গুণী শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সঠিক ভাষা ব্যবহার না করা হলে তাকে অশ্রদ্ধাই করা হয়। এতে তার গুণগ্রাহী পাঠকগণ আহত বোধ করতেই পারেন। সে জন্যই সম্পাদনা করা প্রয়োজন।

৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: যদি কেউ সত্যি সত্যি কিছু চায়-
পুরো বিশ্বব্রহ্মান্ড তাকে সেটা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ফিসফাস শুরু করে দেয়।

৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

হাফ হাতা শার্ট বলেছেন: তার বিদেহি আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.