নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহানবী (সা)-এর সঙ্গী সকলকেই \'সাহাবী\' ডেকে ভুল করবেন না, প্লিজ

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২২



কিছু মুসলমান দু'টি ভুল প্রায়শই করে থাকেন। একটি হচ্ছে- রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সঙ্গী সবাকেই 'সাহাবী'-এর মর্যাদা দিয়ে থাকেন। ২য় ভুলটি হচ্ছে- সবাইকেই সাহাবী হিসেবে গ্রহণ করার কারণে এইসব মানুষদের করা ভুলকেও তারা এড়িয়ে গিয়ে তাদেরকে মহান করে তুলেন। অথচ, এটা পাপ! রাসূল (সা)-এর সঙ্গী সবাইই সাহাবী ছিলেন না। আসুন তাই জেনে নিই 'সাহাবী' শব্দটার অর্থ কি?

আল্লামা ইবনে হাযার (র) তাঁর 'আল ইসবা ফী তাময়ীযিস সাহাবা' গ্রন্থে লিখেছেন-

''সাহাবা সেই ব্যক্তি, যে রসুলাল্লাহ (সা)-এর প্রতি ইমান সহকারে তাঁর সাহচর্য বা সাক্ষাৎ লাভ করেছেন এবং সেই ইমানের উপরই মৃত্যুবরণ করেছেন।''

আল্লামা সাখাবী (র) তাঁর 'ফথহুস মুগীস' গ্রন্থে লিখেছেন-

সাহাবা তিনিই যিনি দীর্ঘদিন নবিজি (সা)-এর আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। যিনি এর বিপরীত, তিনি কিছুতেই সাহাবা হতে পারেন না।

আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি তাঁর খাসায়েস-এ কুবরা (১ম খন্ড) কিতাবে বলেন-

সাহাবা শব্দটি তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যারা কুরানুল করিমে একবার সাবেকুন-এর মধ্যে গণ্য হয়েছেন।

'দরজাত এ মিরকাত' বইয়ে লেখা আছে-

''সাহাবা তাঁরাই যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ইমান এনেছেন।''


আর, পবিত্র কুরআন শরীফে লেখা আছে-

''মানুষ কি মনে করে যে, তারা এ কথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না?''
[সুরা আন কাবুত, আয়াত-২]

''আমি তাদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিলো। আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন যারা সত্যবাদী এবং নিশ্চয়ই জেনে নেবেন মিথ্যুকদেরকে।'' [সুরা আন কাবুত, আয়াত-৩]

আল্লাহ আরও বলেন-

''মুহম্মদ আল্লাহর রসুল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে সহানুভূতিশীল।'' [সুরা ফাতহ, আয়াত - ২৯]

''আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনছারদের মাঝে পুরাতন, এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সে সমস্ত লোকদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে।'' [সুরা তাওবা, আয়াত - ১০০]




উপরের আয়াত এবং সালফে সালেহীনদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সাহাবী তাঁরাই যাদের নিচের গুণাবলী আছে-

১) তাঁরা মক্কার সর্বপ্রথম হিজরতকারী এবং মদীনার পুরাতন আনসার হবেন,
২) যারা আল্লাহর পরীক্ষায় পাস করেছেন,
৩) যাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইমান ছিলো,
৪) যারা নবিজির আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন,
৫) যারা মক্কা বিজয়ে পূর্বে ইমান এনেছিলেন,
৬) যারা কুরানুল করিমে একবার সাবেকুন-এর মধ্যে গণ্য হয়েছেন।
৭) যারা নিজেদের মধ্যে সহানুভূতিশীল।


এই গুণ যেসব ব্যক্তিবর্গের মাঝে নেই, তারা কি করে সাহাবা'র পদমর্যাদার অধিকারী হতে পারেন! সবেশেষে, বুখারী ৪র্থ খন্ড এবং মুসলিমের ৭ম খণ্ডের একটি হাদিস দিয়ে শেষ করবো-

''মাওলা মুহাম্মদ (সা) বলেন- আমি তোমাদের সবার আগে হাউজে কাউসারে তোমাদের সাথে থাকবো। যে আমার নিকট যাবে তাকে আমি তৃপ্তি সহকারে পানি পান করাবো। কিছু লোক আমার কাছে আসবে-তাদের আমি চিনি এবং তারাও আমাকে ভালো ভাবে চেনে, অতঃপর আমার এবং তাদের মাঝে দেওয়াল সৃষ্টি হবে। আমি বলবো এরা তো আমার সাহাবা। তখন উত্তর আসবে এরা আপনার উপর পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে ফিরে গিয়েছিলো।

তখন আমি বলবো- আফসোস তাদের জন্য যারা আমার পর দ্বীনের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করেছে।''


মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বেদাত মুক্ত ইসলাম হোক। ধর্মান্ধরা বিফল হোক।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


সহমত প্রকাশ করছি। আমাদের ইসলামকে ভালো ভাবে বুঝতে হবে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি যেই পেশায় আছেন, এগুলো নতুন সভ্যতার অবদান, নতুন ভাবনার বিষয়; আপনি কেন রাজতন্ত্রের যুগের কাহিনী নিয়ে পড়ে আছেন? আজকের জীবনের কথা বলেন, আপনার পেশার কথা বলেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


চাঁদগাজী ভাই বলতেন- ব্লগারদের সব বিষয়ে জ্ঞান থাকাটা জরুরী।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৪

জাদিদ বলেছেন: আমি মনে করি, আপনি এই বিষয়ে নতুন কোন পোস্ট না লিখে অতীতে আপনার পোস্টের কারনে যে সকল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং যে সকল তথ্য প্রমান দেয়া হয়েছে সেটা সম্পর্কে কিছু বলুন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আমার আগের লেখাগুলোর ধারাবাহিকতায় আজকের লেখা।

লক্ষ্য করলে দেখবেন, যারা মার লেখার বিরোধিতা করেছেন, তারা বলছেন যে, সাহাবীদের বিরুদ্ধে কিছু বলা উচিৎ হবে না।

কথাটা কিন্তু সত্যি।

তাই, আমি 'সাহাবী' কাকে বলে সেই সংজ্ঞাটা ক্লিয়ার করলাম।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

ভাই আপনি কি মিষ্টি পছন্দ করেন? পছন্দ না করলেও মিষ্টি খান। মিষ্টি খেয়ে মজাদার কিছু লেখা পোস্ট দিন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আমার অসম্ভব প্রিয় একটি খাবার মিষ্টি। :)

আমাকে দেওয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:১৭

ঈশ্বরকণা বলেছেন: আপনার লেখায় অনেক ইসলামিক স্কলারদের নাম দেখলাম । এদের মধ্যে যাদের লেখার সাথে আমি খুবই পরিচিত মানে যাদের লেখা আমি পড়েছি তারা হলেন আল্লামা ইবনে হাযার (র), আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি । এদের ইসলামিক স্কলারশিপ সম্পর্কে আমি কিছুটা জানি ইনশা আল্লাহ । আর মুসলিম বিশ্বের সবাই এদের দুজনকেই ইসলামের সেরা স্কলারদের মধ্যেই গণ্য করেন । এখন আমার প্রশ্নটা হলো ইসলামের এই দুজন প্রসিদ্ধ স্কলার তাদের অসংখ্য বইয়ে এমন কি কিছু লিখেছেন যাতে হজরত আবুবকর (রাঃ), এবং হজরত ওমর (রাঃ) কে প্রকৃত সাহাবী না বলে লানত করা যায় ? বা তারা প্রকৃত সাহাবীর মর্যাদা পেতে পারেন না এমন কি কিছু আছে তাদের লেখায় ? 'আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনছারদের মাঝে পুরাতন, এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সে সমস্ত লোকদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে।'' [সুরা তাওবা, আয়াত - ১০০] আপনার উলেলখ করা কুরআনের এই আয়াতের ঘোষণা অনুযায়ী রাসূলের (সাঃ) দুই জন ঘনিষ্ঠ সাহাবী যারা হিজরতকারীও তাদের কি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার কথা না ? না কি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকারি রাসূলের (সাঃ) এই সাহাবীদেরও লানত করা যাবে ? কি বলেন ? আপনার "মওলা আলী ও হযরত ফাতেমা (আ) বনাম আবুবকর ও উমর - কে আপনার কাছে প্রিয় হবেন?" শিরোনামের লেখায় আপনি মন্তব্য করেছেন "যে লোক হযরত ফাতেমা (আ)-এর বাড়িতে আগুন দিতে যায়, তার উপর আল্লাহর লানত পড়ুক। সাহাবী আবু বকরের নির্দেশে, সাহাবী উমর এই কাজ করেছিলেন " আপনি ইসলামের দ্বিতিয় খলিফা কে পরিষ্কার লানত করলেন !!! এখন আমাকে বলুন প্রকৃত সাহাবীদের মধ্যে যাদের মর্যাদা সর্বোচ্চ (কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণে)তাদের লানত করে আপনি কোন মুসলমানি হাসিল করতে চাইলেন ? আপনার লেখাগুলোর অসামঞ্জস্য কি আপনি বুঝতে পারছেন ? আপনাকেতো একজন ফেতনাবাজ মনে করা সহজ করে ফেলেছেন আপনার অসামঞ্জস্যকর লেখা আর কথাবার্তায় ! দাড়াও পথিকবর ! আমার একটা হাম্বল সাজেশন এটাই যে আপনি ইসলাম নিয়ে লেখা বন্ধ করুন । ইসলাম নিয়ে লেখার কোনো যোগ্যতাই আপনার আছে সেটা মনে করা খুবই কঠিন করে ফেলেছেন আপনি আপনার পরস্পর বিরোধী সিরিজ লেখাগুলোতে ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আলোচনার মাইন্ডে কমেন্ট করার জন্যে ধন্যবাদ। কটাক্ষ না করে, এটা বজায় রাখুন।

উপরে দেওয়া সাহাবীর সংজ্ঞা অনুযায়ী, সাহাবীদের দুটি গুণ হচ্ছে-

১) আল্লাহর পরীক্ষায় পাশ করতে হবে,
২) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইমান বজায় রাখতে হবে।


আমার আগের লেখায় একটি হাদিস উল্লেখ করেছি যেখানে রসুল (সা) বলেছেন যে, বিবি ফাতেমা (আ) যার উপর রাগান্বিত হবেন, রসুল (সা) তার উপর রাগান্বিত হবেন। আরেকটি হাদিসে বলা আছে- মহানবী (সা) যার মাওলা, আলী (আ) তার মাওলা।

এখন, যে ব্যক্তির উপর রসুল (সা) রাগান্বিত হবেন, সেই ব্যক্তি কি তাঁর (সা)-এর শাফায়াৎ পাবে বলে আপনার ধারণা? যদি শাফায়াৎ না পায়, তাহলে কি আল্লাহর ক্ষমা পাবে?

আশা করি উত্তর দিবেন।

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

বিটপি বলেছেন: কোন ইসলামিক স্কলারের দেওয়া ক্রাইটেরিয়ায় যদি আবু বকর (রা) এবং উমর (রা) সাহাবীর তালিকা থেকে বাদ যায়, আমি সেই মূর্খকে স্কলার স্বীকার করতেই রাজী নয়।

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৮

সাসুম বলেছেন:

নবীর সাথী সকলেই সাহাবী যাহারা ঈমান আনিয়াছিল, যাহারা কোন কাফের না মুনাফিকি করেন নাই নবী বাইচা থাকা অবস্থায়।


ব্যাস, আর কোন কথা নেই এর উপর।

এখন কথা উঠতে পারে, তাদের সমালোচনা করা যাইবে কিনা। দুনিয়ার আল্লাহ খোদা সবার সমালোচনা করা যাবে, মানুষের মাথায় জ্ঞান বুদ্ধি আল্লাহ এই কারনেই দিছেন। চিন্তা কইরা আলোচনা কইরা এরপর যারে তারে গ্রহন করো বা বর্জন করো।

আপ্নে সাহাবী দের সমালোচনা করা যাইবে বা যাইবে না এই আলোচনার জন্য সাহাবী দের সংগা চেঞ্জ করে ফেলবেন বা নতুন সংজ্ঞা দিবেন এমন হইতে পারেনা।

আপনে আর আপনার যারা ফাসি চাইতাছে তাদের মধ্যে কোন তফাত নাই। দুই দলই সেইম টু সেইম মেন্টালিটির দিক থেকে, আপনাদের মনের মত ইতিহাস রচনা করতে ওস্তাদ

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনি বলেছেন- ''নবীর সাথী সকলেই সাহাবী যাহারা ঈমান আনিয়াছিল, যাহারা কোন কাফের না মুনাফিকি করেন নাই নবী বাইচা থাকা অবস্থায়।''


এটা কি আপনার নিজের ধারণা? এটা কি কোরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণ করতে পারবেন?

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

ঈশ্বরকণা বলেছেন: আপনার বিষয়ে কিন্তু আমার এই ধারণাটাই ধীরে ধীরে হচ্ছে যে আপনি ইসলামের বিষয়গুলো ভালো জানেন না বা বুঝেনও না মনে হয় ।

আপনি একটা হাদিসের কথা বলছেন বারবার আর তাই হজরত ফাতিমার (রাঃ)রাগান্বিত হবার কথা বলে রাসুলকে (সা) টেনে আনছেন হজরত ওমরের (রাঃ) ওপর রাগান্বিত হবেন বলে আর তার সূত্র ধরে তাকে লানত করার কথাও বললেন । আপনি মাত্র একটি হাদিসের কথা বলছেন ! আমি সহীহ বুখারীর অন্তত দশটা হাদিস মনে হয় বলতে পারবো যেখানে হজরত ওমরের (রাঃ) বেহেস্ত পাবার কথা পরিষ্কার করেই বলা আছে।আশরায়ে মুবাশ্বিরার দশ জন সাহাবীর প্রসিদ্ধ হাদিসটার কথাতো আপনি নিশ্চই জানেন। কিন্তু সেগুলোর কথাও বলছি না।আপনার বলা তথ্য দিয়েই আপনার প্রশ্নের উত্তর দেই। আপনি যে হাদিস দিয়ে প্রশ্ন করলেন সেটা বলতে গিয়ে আপনার নিজের উলেলখ করা সূরা তাওবার আয়াতটার কথা একবারও ভাবছেন না সেটাই আশ্চর্য ! কুরআনের যেই আয়াতের ঘোষণা অনুযায়ী রাসূলের (সাঃ) দুই জন ঘনিষ্ঠ সাহাবী,যারা প্রথম দিকের হিজরতকারীও যাদের আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকারীদের মধ্যে নিশ্চিত ভাবেই অন্তর্ভুক্ত হবার কথা তাছাড়া যারা বদরের যুদ্ধ আর বাইয়াতে রেজোয়ানে অংশগগ্রহণকারী আর যেই দুই ঘটনার সাহাবীদের উচ্চ মর্যাদা আর সুসংবাদের কথা কুরআনেই আল্লাহ বলে দিয়েছেন সেগুলো উপেক্ষা করে তাদের আপনি হজরত ফাতিমার (রাঃ)রাগান্বিত হবার কথা বলে তারা রাসূলের (সাঃ) শাফায়াত পাবেন না বলার মতো উদ্ভট কথা বলছেন কেন সেটাইতো আমি বুঝতে পারছি না ? আল্লাহর সন্তুষ্টির ঘোষণার চেয়েও হজরত ফাতিমার (রাঃ) মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেলো না দুই সাহাবী সম্পর্কে আপনার কথা অনুযায়ী !!! হজরত আবু বকর (রাঃ) আর হজরত ওমর (রাঃ) সম্পর্কে আপনার হাদিস যে কুরআনের ভার্সের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক সেটা কি বুঝতে পারছেন? আপনি কি এটা জানেন না ইসলামের সব সময়ের সব স্কলারদের মধ্যে এই ঐক্য আছে যে কোনো হাদিস কুরআনের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক হলে সেটা বাতিল হয়ে যাবে ? এখন আপনারা হাদিস বলবেন কিন্তু কুরআনের আয়াতের ঘোষণা মানবেন না তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য বক্তব্য হবে কেমন করে ? সেজন্যই বলছি এই হাদিসগুলো (হজরত ফাতিমার আহত হবার ঘটনা তার থেকে মৃত্যু হবার ব্যাপারগুলো বিষয়ে ) অতিরঞ্জিত এবং অসামঞ্জস্যকর ।বুঝতে পারলেন কি, কেন আপনার লেখাটা গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিতে উৎরাতে পারলো না ? ইসলাম ছাড়া যেকোনো বিষয়ে লিখুন দেখি সে সব লেখাকে ওয়েলকাম বলা যায় কি না ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আপনি বলছেন- আমার একটি হাদিস যথেষ্ট নয়। আপনি দশটি হাদিস দিতে পারবেন উমরের পক্ষে।

আমি চল্লিশটি আয়াত এবং 'নির্ভরযোগ্য' হাদিস দিতে পারবো যেখানে হযরত আলী (আ), এবং হযরত ফাতেমা (আ)-এর পক্ষে যেগুলো প্রমাণ করবে তাঁদের সম্মাণ উমর ও আবুবকরের উপরে।


রসুলুল্লাহ (সা)-এর শাফায়াৎ কেন পাবেন না?

আমি এই পোস্টের শেষে একটি হাদিস উল্লেখ করেছি। সেটা পড়ূন।


আমার বক্তব্য কুরআনের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক কি?

আমার বক্তব্য আর আহলে বায়াতের বক্তব্যের সাথে কোন পার্থক্য নেই। তাই, পবিত্র কুরআনের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কুরআনে আহলে বায়াতের পক্ষে অনেক আয়াত আছে।


এবারে বুঝতে পারছেন কি আপনি ভুল পথে আছেন?

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৪

নতুন বলেছেন: বির্তকটা রাসুল সা: মারা যাবার পরে সময়ের ঘটনা নিয়ে।

তাই হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে কি এই ঘটনা বোঝা যাবে?

নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক ভাবে এই ঘটনা প্রমান করা যাবে না। তাই এটা নিয়ে এতো ক্যাচালের দরকার নাই।

ঘটনায় বোঝা যায় কিছু সমস্যা ছিলো কারন রাসুলের কন্যার অকাল মৃত্যু, ঘরোয়া জানাজা, খলিফার তাতে না উপস্থিত হওয়া, রাতের আধারে কবর দেওয়া সেটাই বোঝা যায়।

এই সব সমস্যা নিয়ে ক্যাচাল না করে কিভাবে মানুষ ভালো থাকা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করুন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



নতুন ভাই,

আমি ক্যাচালে নেই।

যারা 'ইসলাম ইসলাম' বলে মুখে ফেনা তুলেন, এই ফ্যানাটিকদের জানিয়ে দিলাম যে তারা ভুল পথে আছেন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪০

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: যে ব্যক্তি রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) কে ঈমানী দৃষ্টিতে দেখেছেন, তার উপর ঈমান এনেছেন এবং ঈমানের সহিত মৃত্যুবরণ করেছে তিনি সাহাবী।
দীর্ঘ সময় রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে একসাথে চলেছেন বা চলেননি সেটা মুখ্য নয়।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ইমানের উপরে মৃত্যুবরণ করাটা খুব জরুরী।

ধন্যবাদ।

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যে পান্ডিত্য করতে চেষ্টা করছেন তা আপনার জ্ঞানের সাথে যায়না মনে হয়।
কি সব বিতর্ক বাড়াচ্ছেন প্রিয় ব্লগার। এখানে আসার জন্য আরো পড়ার ধরকার আরো এলম অর্জণ চাই।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



জী, চেষ্টা করছি জ্ঞান উন্নত করতে। :)

ধন্যবাদ নিরন্তর।

১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এসব ক্যাচাল কখনোই নিরসন হবে না। সারা দিনরাত তর্ক বিতর্ক করে দেখবেন দুই পক্ষই যেখান থেকে শুরু করেছেন সেখানেই দাঁড়িয়ে আছেন। অযথা শরীরের ক্যালরি পোড়াচ্ছেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





আপনি কমেন্ট করেছেন দেখতে পাইনি।

চৌধুরী সাহেব খেপে গিয়ে বড় বড় কমেন্ট করছেন। সেগুলোর ফাঁকে আপনারটা হারিয়ে গিয়েছিলো।

আমি উনাকে বুঝাতে চেষ্টা করছি। তাই, কিছু ক্যালরি ক্ষয় হচ্ছে ঠিক।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫২

এভো বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন--- কমেন্ট ৩৪ এ -- এই আয়াতটা দিয়েছেন --
সূরাঃ ২ বাকারা, ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
আর যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই সিজদা করেছিল; সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়েগেল।
----একই বিষয়ে সুরা কাহফ (১৮-৫০ ) এ বলা হয়েছে ইবলিস ছিল জিনদের একজন
সুরা কাহফ আয়াত ৫০
যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললামঃ আদমকে সেজদা কর, তখন সবাই সেজদা করল ইবলীস ব্যতীত। সে ছিল জিনদের একজন। সে তার পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল। অতএব তোমরা কি আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার বংশধরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করছ? অথচ তারা তোমাদের শত্রু। এটা জালেমদের জন্যে খুবই নিকৃষ্ট বদল।
-----------------------------------------------------------
এখন বলুন আদমকে সেজদা না করে ইবলিস কি অন্যায় কোরলো । আল্লাহ তো ফেরেশতাদের সেজদা করতে বলেছে - ইবলিস তো ফেরেশতা নহে , সে তো জিন । আল্লাহ তালা তো জিনদের সেজদা করতে বলে নি , তাই জিন ইবলিস সেজদা করে নি ।
মনে করুন একটা ঘরে ৪৯ জন ডাক্তার এবং ৫ জন ইন্জিনিয়ার বসে আছে । তখন বলা হোল ডাক্তার সব হল রুমে আসেন , তখন কি ইন্জিনিয়াররাও কি ডাক্তাদের পিছু পিছু হল রুমের দিকে যাবে ?
তাহোলে আল্লাহ যখন বল্লো ফেরেশতারা সবাই আদমকে সেজদা কর তখন জিনরাও কি ফেরেশতাদের সাথে সাথে আদমকে সেজদা করবে ?
তাহোলে জিন আজাজিল অরফে ইবলিস কি অন্যায় কোরলো ? সে তো ফেরেশতা না । জিনদের কে তো বলা হয় নি সেজদা করতে ।

১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার পথে আপনি থাকুন। আপনার আবেদনে সাড়া দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনি নজরুল নন, নজরুলের ঝাঁকড়া চুল ছিলো।

ধন্যবাদ।

১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনাদের কথা আপনারা বলতে থাকুন। আমাদের কথা আমরা বলতে থাকি। তারপর জনগণ ঠিক করবে তারা কোন দিকে যাবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


তবে, তা-ই হোক।

ধন্যবাদ।

১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দেড় হাজার বছরেও আপনার মুসলিমদেরকে আবু বকর (রা) ও ওমর বিরোধী করতে পারেননি। কেয়ামত পর্যন্ত পারবেন না -ইনশাআল্লাহ। কারণ মুসলিম জনগণ আসলে আপনাদের কথা বুঝেই না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ঠিক আছে। যারা আসার এমনিতেই আসবে।

আপনারা মুসলিমদের জড় বস্তুতে পরিণত করতে থাকুন। আমরা তাঁদের ইমানের পথে ডাকতে থাকবো।

আল্লাহ্‌ যাকে কবুল করবেন, সে হেদায়েত প্রাপ্ত।

১৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

এভো বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা কমেন্ট ৪১
প্রথম পয়েণ্ট,,, ইবলিস হচ্ছে জিন এবং জিনদেরকে সেজদা করতে বলা হয় নি। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করা হোল শিরক করা, তাই আদমকে সেজদা করা শিরক করা, তাই ইবলিস শিরক করতে চায় নি।

১৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা আপনার পোষ্ট কে ছেড়েবেড়া করে দিয়েছেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


হা, হা, হা! উনার কমেন্টের ভিড়ে অন্য কারো কমেন্ট যে আসছে বুঝতেই পারিনি!

করতে দিন। উনি ভুল হলে তার মাগফেরাতের জন্যে আমাদের দোয়া করা উচিৎ।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

১৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত উমর (রা.), হজরত উসমান (রা.) ও আলী ইবনে আবু তালিব (রা.) জান্নাতের সুসংবাদ পেয়ে গেছেন। আপনার এই পোস্টে পড়ে মহান আল্লাহ নিশ্চয় তাঁর মত বদলাবেন না। কি বলেন ?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আমার পোস্টের একদম শেষে যে হাদিসটি উল্লেখ করেছি, সেটা পড়েও এই কথা বলা উচিৎ কি?

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত উমর (রা.), হজরত উসমান (রা.) ও হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রা.) জান্নাতের সুসংবাদ পেয়ে গেছেন। আপনার এই পোস্টে পড়ে মহান আল্লাহ নিশ্চয় তাঁর মত বদলাবেন না। কি বলেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.