নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষা আন্দোলনে সুফি-দরবেশ-ওলামাদের অবদান

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৮



হযরত নুহ (আ)-এর প্রপৌত্র বং-এর আবাদ করা বাংলার ভূমিতে 'বাংলা' ছাড়া অন্য কোন ভাষা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চিন্তাও করা যায় না। এখনকার প্রজন্ম যেমন চিন্তা করতে পারে না, তেমনি কয়েক দশক আগে, ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে যখন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন যে- পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু, তখন, ক্ষোভে ফেটে পরেন এদেশের সুফি-দরবেশ এবং আলেমগণ। তাঁদের সাথে যোগ দেন আপামর জনসাধারণ। আমি আজ শাকের হোসাইন শিবলি রচিত 'একুশের মাওলানারা' বই হতে তেমন কয়েকজনের নাম উল্লেখ করবো-

১) ড. মৌলভী আল্লামা মুহম্মদ শহীদুল্লাহঃ

তিনি ছিলেন ফুরফুরা'র পিরসাহেবের সুযোগ্য খলিফা। আলীগড়ের উপাচার্য যখন উর্দুকে রাষ্ট্রীয় ভাষা করার ব্যাপারে মত প্রকাশ করেন, তখন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা ভাষার পক্ষে যুক্তি প্রদান করে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার ব্যাপারে যুক্তি প্রদান করেন। তিনি একবার বলেছিলেন-

''আমরা হিন্দু মুসলমান যেমন সত্য, তাঁর চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি। এটি কোন আদর্শের কথা নয়, এটি একটি বাস্তব কথা। যা প্রকৃতি নিজের হাতে আমাদের চেহারায় ও ভাষায় বাঙ্গালিত্বের এমন ছাপ মেরে দিয়েছেন যে, মালা-তিলক-টিকিতে কিংবা টুপি-লুঙ্গি-দাড়িতে ঢাকবার জো-টি নেই।''

২) মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশঃ

তিনিই প্রথম পাকিস্তান পার্লামেন্টে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন। ফুরফুরার পির সাহেবের খলিফা মাওলানা তকর্বাগীশ যখন পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলায় বক্তৃতা শুরু করেন, তখন গণপরিষদের অনেক সদস্য উপহাস করতে থাকেন। কিন্তু তিনি তাঁর বক্তৃতা থামাননি।

৩) এডভোকেট মৌলোভী ফরিদ আহমেদঃ

তিনি ছিলেন নেযামে ইসলাম পার্টির শীর্ষ নেতা। ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক। সরকারী চাকরী করেও ভাষা আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে তাঁকে পাকিস্তানী প্রশাসন জবাবদিহিতার সম্মুখীন করে।

৪) মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগীঃ

যুক্ত ও মুক্ত বাংলার প্রথম স্বাধীনতাকামী রাজবন্দী শামসুল হূদা ছিলেন শেরেবাংলা একে, ফজলুল হক এবং মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সহযোদ্ধা। তিনি ছিলেন জিন্নাহ, আইয়ুব ও জমিদারবিরোধী আন্দোলনের সময় হওয়া ১০২১টি মামলার বিজয়ী আইনজ্ঞ। তাঁর ইমারত পার্টির সক্রিয় কর্মী ছিলেন ভাষাশহিদ আব্দুল জব্বার।

৫) মওলানা আকরাম খাঁঃ

মওলানা আকরাম খাঁ প্রতিষ্ঠিত 'দৈনিক আজাদ' তখন ছিলো মুসলিমবাংলার একমাত্র মুখপত্র। ১৯৪৭ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মফস্বলে যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছিলো, সেগুলোকে নিয়ে ২৫টির অধিক খবর দৈনিক আজাদে প্রকাশিত হয়।

৬) মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীঃ

তিনি ছিলেন গরিব ও কৃষকদের বন্ধু আর রক্তচোষা মহাজন ও জমিদারদের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রামকারী। করাচি'র দৈনিক 'ডন'-সহ আরও কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলনকে আঞ্চলিক বলে তুলে ধরে, তখন মওলানা ভাসানী এর তীব্র নিন্দা করেন এভাবে-

''আমি দেখিয়া মর্মাহত হইলাম যে, পশ্চিম পাকিস্তানের কতিপয় সংবাদপত্র আমাদের বাংলা ভাষা আন্দোলনের কদর্য্য ও ভুল ব্যাখ্যা করিবার প্রয়াস পাইয়াছে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের ভাইদের মনে বিদ্বেষ সৃষ্টির দুরভিসন্ধিতে মাতিয়া উঠিয়াছে। ইহা দ্বারা পত্রিকাগুলি কায়েমি সার্থের দালালদের ভেদনীতিকেই চাঙ্গা করিয়া রাখিয়া দেশের দুষমনী করিতেছে।''

৭) মাওলানা সৈয়দ মুছলেহ উদ্দীনঃ

রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার আন্দোলনে জমিয়োতে উলামায়ে ইসলাম ও নেযামে ইসলাম পার্টিকে সক্রিয় করে তোলার পেছনে সিলেটের সন্তান মাওলানা সৈয়দ মুছলেহ উদ্দীনের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:১৫

আল আমিন হাসান সাদেক বলেছেন: বরফের মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। অ্যান্টার্কটিকায় কেনো বসবাস সম্ভব নয়। Antarctica। DURBEEN BANGLA

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৫২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ভালো বানিয়েছেন। শেয়ারের জন্যে ধন্যবাদ।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪১

সাসুম বলেছেন: শায়ান, বাংগালি ভাষা আন্দোলন হোক আর মুক্তিযুদ্ধ হোক সব শ্রেণি সব পেশার মানুষ টুকটাক বানী দিয়েছেন আর সমর্থন করেছেন আর যারা আরো বেশি ক্র্যাক তারা ঘরে বসে বানী প্রসব করার চেয়ে রাস্তায় গিয়ে নিজের জীবন দিয়ে দাবি আদায় করাকে বেটার মনে করেছেন। সো আজকের ২১ এ ফেব্রুয়ারি তে এসে আপনার এক্টা স্পেসিফিক ধর্মের বা কালচারের বা স্পেসিফিক মানুষ দের বড় করার জন্য তাদের অবদান ফুটিয়ে তোলার দরকার নেই। উনারা উনাদের কাজ করেছেন, যারা রাস্তায় নেমে যুদ্ধ করেছেন তারা তাদের কাজ করেছেন। এখানে সবার অবদান আছে, হোক যে ধর্মের লোক।

আপনাকে ভুলে গেলে চল্বেনা, আমাদের এই ভাষা আন্দোলন কিন্তু লিনিয়ার ছিলনা, আমরা শুধুমাত্র রাস্ট্রভাষা বাংলা করার জন্য যুদ্ধ করিনাই বা প্রাণ দেইনাই। আমাদের দাবি ছিল বাংলাকে অন্যতম রাস্ট্রভাষা করতে হবে। আমরা এই যে ভাষা আন্দোলন করেছিলাম সেটা শুধুমাত্র বাংলাকে রাস্ট্রভাষা বা গুরুত্ব দেয়ার জন্য না, বরং এটা আরো অনেক অনেক বেশি ডিপ।

কেন এত এত ভাষা থাকতে কিংবা আমাদের বাংলা বাদ দিয়ে উর্দু কে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার দিকে জিন্নাহ মনোযোগ দিলেন যেখানে সেই বেটাই উর্দু তে কথা বলত না??

এর কারন ছিল অনেক গভীরে, আমরা যখন আলাদা হলাম ৪৭ এ তখনো আমাদের কে পাকি এলিটরা সহীহ মোসলমান মেনে নিতে পারত না। আমাদের পরিচয় ছিল হিন্দু থেকে আসা মোসলমান ক্কিংবা নাপাকি ভাষা সংস্কৃতি থেকে আসা বাংলায় কথা বলা মানুষ। এখন পাকিস্তানের একত্রীকরণের সার্থেই দরকার ছিল বাংগালির মোসল্মানি করানো এবং সেটার জন্যই এই উর্দুকে আমাদের বাংলার স্টেট ল্যাংগুয়েজ করার দাবি তোলে এলিট শাসক রা। কারন মোসলমান মোসলমান ভাই ভাই, এই এক ভাইয়ের ভাষা কেন হিন্দুয়ানী বাংলা হবে?

এখানে আসলে যুদ্ধ টা ভাষার জন্য ছিল না, এখানে যুদ্ধ টা ছিল বাংলা এবং বাংগালির আলাদা যে একটা সত্ত্বা আছে সেটাকে টিকিয়ে রাখার জন্যই , এখানে যুদ্ধ টা ছিল বাংগালিকে জোর করে মোসল্মানি করানোর বিপক্ষে। সেই যুদ্ধে অনেক মোসলমান যেমন অংশ নিয়েছিল অনেক নন মোসলমান ও অংশ নিয়েছিল। এটা যতটা না স্পেসিফিক ধর্মের যুদ্ধ ছিল তার চেয়ে বেশি ছিল নিজের বাংগালি সত্ত্বা টীকিয়ে রাখার যুদ্ধ।

আমাদের পাকি দের শাসন থেকে মুক্ত হয়ে আসার অন্যতম বীজ বপন হয়েছিল এই ভাষা আন্দোলনেই।

যার কারনে, এই যে আপনি আপনার ধর্মের একটা স্পেসিফিক কয়েকজন মানুষ কে আলাদা করে ভাষা আন্দোলনের দিকপাল কিংবা আলাদা করে তুলে ধরতে চান এটা হাস্যকর হয়ে উঠে, সব কিছুকে ধর্মের আলোকে দেখার তো দরকার নাই।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে, আমাদের ভাষা আন্দোলনে কোন নেতৃত্ব ছিলো না? কেউ কি সেই সময় নেতৃত্ব দেন নাই?

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৫

সোবুজ বলেছেন: আপনি যাদের নাম করলেন তাদের বেশির ভাগের দাবি ছিল বাংলা আরবি হরফে লিখতে হবে।সব কিছু প্রায় ঠিক ঠাক কিন্তু আইয়ুব খানের পতনে সব উলট পালট হয়ে যায়।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


সেই বেশির ভাগের মধ্যে কে কে ছিলেন?

ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে, আমাদের ভাষা আন্দোলনে কোন নেতৃত্ব ছিলো না? কেউ কি সেই সময় নেতৃত্ব দেন নাই?


জি আমি এটাই বলতে চাচ্ছি- এটা একটা সবতস্ফূর্ত আন্দোলন ছিল। ছাত্র দের থেকেই শুরু হয়, এই আন্দোলনে কেউ লিড দেয়া লাগেনাই, দেয় ও নাই এবং এটার দাবীদার ও কেউ করে নাই। সবচে বড় কথা, যদি কেউ লিড ও দিয়ে থাকে, আপনার উল্লেখিত ধর্ম নেতাদের কেউ সেখানের লীডে ছিলনা এটা কনফার্ম করেই বলা যায়

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





ছিঃ, এভাবে বলতে হয় না, ভাই! আপনি যদি এভাবে বলেন তাহলে ইতিহাসকে অস্বীকার করা হয়ে গেলো যে!

যার যা কৃতিত্ব তা তাঁকে দিবেন না কেন!

ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৪

নতুন বলেছেন: হযরত নুহ (আ)-এর প্রপৌত্র বং-এর আবাদ করা বাংলার ভূমিতে 'বাংলা' ছাড়া অন্য কোন ভাষা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চিন্তাও করা যায় না।

এই বং থেকে বাংলা এইটা তো প্রথম শুনলাম।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


জী, তেমনই বলেছেন মাওলানা আবদুস সাত্তার কিশোরগঞ্জী তাঁর 'ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব' নামক বইতে। এই ব্যাপারে আরও উল্লেখ আছে ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আনওয়ারীর 'মাতৃভাষা আন্দোলন ও ইসলাম' নামক বইতে।

এই সম্পর্কে প্রথম লিখেন, বাংলাদেশের ইতিহাস রচনার পথিকৃৎ গোলাম হোসায়ন জইদপুরি বাংলার ইতিহাস নিয়ে ১৭৬৬-১৭৮৮ সালে রচনা করেন ফারসি গ্রন্থ রিয়াজ উস সালাতিন। এ পুস্তকে তিনি হযরত নুহ আ. এর সাথে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা সম্পর্কের বিষয় উত্থাপন করেছেন। (সূত্র : ড. মোহাম্মদ হাননান : বাঙালির ইতিহাস (প্রাচীন যুগ থেকে ১৯৭৪), আগামী প্রকাশনী, ৩৬, বাংলাবাজার ঢাকা-১১০০, প্রথম বর্ধিত সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, পৃ ২৮)। তিনি লিখেছেন, হযরত নুহ আ. এর পুত্র হামের জ্যেষ্ঠ সন্তান হিন্দ হিন্দুস্তানে আসার দরুণ এই অঞ্চলের নাম তাঁর নামানুসারে রাখা হয়। সিন্ধু জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সাথে এসে সিন্ধ দেশে বসতি স্থাপন করায় এই অঞ্চলের নাম তাঁরই নামানুসারে সিন্ধু রাখা হয়। হিন্দের দ্বিতীয় পুত্র বং (বঙ্গ)-এর সন্তানেরা বাংলায় উপনিবেশ স্থাপন করেন। আদিতে বাংলার নাম ছিল বঙ। (সূত্র : গোলাম হোসায়ন সলীম : বাংলার ইতিহাস (রিয়াজ-উস-সালাতীনের বঙ্গানুবাদ), আকবরউদ্দীন অনূদিত, অবসর প্রকাশন, ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃষ্ঠা ২৪)।

অনেকে মনে করেন, হামের পুত্র হিন্দের নাম অনুসারেই ভারতের নাম হয়েছে হিন্দুস্তান।

হিন্দের দ্বিতীয় পুত্রের নাম ছিল ‘বঙ্গ’। এই ‘বঙ্গ’- এর সন্তানরাই বাঙালি বলে পরিচিতি লাভ করে। এই গল্প সত্যি হলে বলতে হবে বাঙালির আদি পুরুষ হচ্ছেন ‘বঙ্গ’। (সূত্র : ড. মোহাম্মদ হান্নান : দেশের নামটি বাংলাদেশ কে রেখেছে এই নাম, অনুপম প্রকাশনী, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯, পৃষ্ঠা ১৫-১৬)।

বঙ ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলের যে স্থানে এসে বসতি স্থাপন করে সেই স্থানের নাম তাঁরই নামানুসারে হয় বঙ্গদেশ অথবা বঙের সন্তানরাই বঙ্গাল বা বাঙ্গাল অথবা পরবর্তীকালে বাঙ্গালী, আরও পরে বাঙালি বলে খ্যাতি লাভ করে। (সূত্র : ড. মোহাম্মদ হাননান : বাঙালির ইতিহাস (প্রাচীন যুগ থেকে ১৯৭৪), আগামী প্রকাশনী, ৩৬, বাংলাবাজার ঢাকা-১১০০, প্রথম বর্ধিত সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, পৃ ২৯)।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৮

সাসুম বলেছেন: নতুন বলেছেন: হযরত নুহ (আ)-এর প্রপৌত্র বং-এর আবাদ করা বাংলার ভূমিতে 'বাংলা' ছাড়া অন্য কোন ভাষা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চিন্তাও করা যায় না।

এই বং থেকে বাংলা এইটা তো প্রথম শুনলাম।


@নতুন ভাই এই সায়ান ভদ্রলোক কে আমার খুব আরাম লাগে। উনার নিত্য নতুন কাহিনীর বয়ানে আমি খুজে পাই, কি করে ইস্লামিস্ট লেখক ও ইতিহাস বিদরা তাদের মনের মত করে হাদিস, ইতিহাস ও সত্য বিনির্মান করতেন

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



হা, হা, হা! ভালো বলেছেন।

আমি 'নতুন' ভাইকে কিছু সূত্র উল্লেখ করেছি, পড়ে দেখতে পারেন।

শুভেচ্ছা।

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০১

নতুন বলেছেন: এ পুস্তকে তিনি হযরত নুহ আ. এর সাথে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা সম্পর্কের বিষয় উত্থাপন করেছেন। (সূত্র : ড. মোহাম্মদ হাননান : বাঙালির ইতিহাস (প্রাচীন যুগ থেকে ১৯৭৪), আগামী প্রকাশনী, ৩৬, বাংলাবাজার ঢাকা-১১০০, প্রথম বর্ধিত সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, পৃ ২৮)। তিনি লিখেছেন, হযরত নুহ আ. এর পুত্র হামের জ্যেষ্ঠ সন্তান হিন্দ হিন্দুস্তানে আসার দরুণ এই অঞ্চলের নাম তাঁর নামানুসারে রাখা হয়। সিন্ধু জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সাথে এসে সিন্ধ দেশে বসতি স্থাপন করায় এই অঞ্চলের নাম তাঁরই নামানুসারে সিন্ধু রাখা হয়। হিন্দের দ্বিতীয় পুত্র বং (বঙ্গ)-এর সন্তানেরা বাংলায় উপনিবেশ স্থাপন করেন। আদিতে বাংলার নাম ছিল বঙ। (সূত্র : গোলাম হোসায়ন সলীম : বাংলার ইতিহাস (রিয়াজ-উস-সালাতীনের বঙ্গানুবাদ), আকবরউদ্দীন অনূদিত, অবসর প্রকাশন, ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃষ্ঠা ২৪)।

অনেকে মনে করেন, হামের পুত্র হিন্দের নাম অনুসারেই ভারতের নাম হয়েছে হিন্দুস্তান।


:(( এই গুলা বইতে লিখেছে?

যেখানে নুহ আ: কাহিনি ঐতিহাসিক ভাবে কতটুকু সত্য সেটাই এখনো ঠিক হয় নাই। সেখানে বাংলাদেশের নাম নুহ আ: এর পুত্রের নাম বং ছিলো সেটা তিনি জানেন???

এরা কি খাইয়া বই লিখে আর আপনিও সেই সব বই পড়ে তাদের কে রেফারেন্স হিসেবে ব্লগে লিখেন। আপনার লেখা কেন মানুষ সিরিয়াসলি নেবে? এই সব নিয়ে লিখলে মানুষ আপনার লেখা বিনেদন হিসেবে নেবে , সিরিয়াসলি নেবে না।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনি তো উইকিপিডিয়া থেকে রেফারেন্স দেন। হযরত নুহ (আ) সম্পর্কে উইকিপিডিয়া কি বলে? ;)

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

নতুন বলেছেন: উইকিতে বাজারে কি কি কাহিনি আছে সেটা সম্পর্কে তথ্য আছে, বিভিন্ন ধর্ম বড় বন্যার কাহিনি আছে।

কিন্তু অতটুকু একটা নৌকাতে এতো প্রানি নিয়ে ৪০ দিন পালা সম্ভবনা। সকল প্রানী ঐ নৌকাতে থাকলে, অস্ট্রেলিয়াতে ক্যাঙ্গারু কিভাবে আরারাত পর্বত থেকে গেলো? মেরুতে ভাল্লুক, পেঙ্গুইন কিভাবে গেলো. কয়েক জন মানুষ এবং প্রানী থেকে নুহু আ: সময় হতে বর্তমান পযন্ত ৭ বিলিওন মানুষ এবং এতো প্রানি সম্ভব না।

এই রকমের অনেক কিছুই আছে যা নুহু আ: এর সময় সারা বিশ্ব প্লাবিত হওয়া এবং একটা নৌকাতে ১ জোড়া করে প্রানী নিয়ে পৃথিবি রিসেট করা অতিরন্জিত কাহিনি ছাড়া কিছুই না।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





কথায় আছে- যাহা কিছু রটে, তার কিছু তো বটে।

আমি উইকিতে পড়া তথ্যগুলোর সূত্র দেখলাম। সেগুলো একবার পরোখ করে দেখবেন কি?

বাই দ্যা ওয়ে, ড. মোহাম্মদ হাননান কিন্তু অনেক বড় ইতিহাসবিদ। তিনিও হযরত বং-এর ঘটনা উল্লেখ করেছেন।

ড. হাননানের বইগুলো এখানে পাবেন- Click This Link

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৩

সাসুম বলেছেন: ভাই, দুনিয়ার কোন সভ্য সমাজেই আপনি যদি বলেন যে একটা নৌকায় দুনিয়ার সব প্রজাতির সকল প্রাণি ও মানুষ নিয়ে কোন এক নবী ভাইসা ছিল সমুদ্রে - এটা হাইসা উড়াই দিবে কারন এই সব আজগুবি আলাপ বিশ্বাস করতে মানুষের বয়েই গেছে।

ক্রিশ্চিয়ান এবং ইসলামে অনেকে আজো এই সব আজগুবি আলাপ বিলিভ করতেই পারে, কিন্তু মানুষের কাছে সেসব আজগুবি আলাপের ভেলিডিটি থাকতে হবেতো। এখন দুনিয়ায় হাজার হাজার সুপার কম্পুটার এর সিমুলেশান পাওয়া যায়, হিসাব করে দেখেন কেউ আজতক এটা প্রমান করতে পারছে কিনা এই ধরনের নৌকায় মানুষ আর প্রাণি নিয়া ভাইসা থাইকা আবার এই ভুবনে এত বিশাল প্রাণবৈচিত্র স্টাব্লিশ করা যায় কিনা।

আপনি বিশ্বাস করতেই পারেন, আপনার সে স্বাধীনতা আছে। কিন্তু তাই বলে আজগুবি কাহিনী কে সত্য বলে স্টাব্লিশ করে সেটার সাথে আরো আজগুবি কাহিনীর প্রলাপ দিতে গেলে সেটা আসলে হাস্যকর হয়ে উঠে।

এই ধরনের হাস্যকর আলাপ আসলে নেয়া কস্ট, কেমন কস্ট সেটা আপনি বুঝতে পারবেন উদাহরণ দিলে। যেমন গত কয়দিন ধরে সুন্নী হানাফি মাহজাব দের বিরুদ্ধে যে বিশাল ফাইট করছেন, সেখানে যখন তারা কাউকে বিশাল জান্নাতি পাখি বানিয়ে হাজির করে অথচ আপনি মানেন সেটা সত্য নয় তখন আপনার কস্ট লাগে।

এই কারনে, বিলিভ করেন ঠিক আছে, সমস্যা নাই, বাট দয়া করে এক নৌকায় দুনিয়ার সব আইনা জড়ো কইরা ভাইসা ছিল এই আলাপ জুইড়েন না। এই আধুনিক যুগে এসে এইসব রুপকথায় তো ভাত নাই রে ভাই

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





সাসুম বলেছেন: ভাই, দুনিয়ার কোন সভ্য সমাজেই আপনি যদি বলেন যে একটা নৌকায় দুনিয়ার সব প্রজাতির সকল প্রাণি ও মানুষ নিয়ে কোন এক নবী ভাইসা ছিল সমুদ্রে - এটা হাইসা উড়াই দিবে কারন এই সব আজগুবি আলাপ বিশ্বাস করতে মানুষের বয়েই গেছে।
================

পৃথিবীর সব মানুষই ধর্মের ঘটনাগুলো বিশ্বাস করবে, তা তো আমি বলি নাই। আমি কাউকে জোরও করছি না।

আমি স্রেফ আমি যা জানি এবং বিশ্বাস করি তা জানাতে চেয়েছি।

আপনি যদি মনে করেন, এগুলো গাঁজাখুরি কাহিনী, আপনার কাছে সেটা তাইই! আপনি তো নিজের এই বিশ্বাসকে মনে নিয়ে বসে নেই। অকপটে জানিয়ে দিয়েছেন। আপনাকে কেউ বাধাও দিচ্ছে না।

তাহলে, আমাকে বাধা দিচ্ছেন কোন আক্কেলে???!!!

শুভেচ্ছা।

১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৮

নতুন বলেছেন: @সাসুম ভাই আপনি যদি হাতে একটা চম্পা কলা নিয়ে কানের কাছে ধরে আমাকে সাথে কথা বলছেন বলে কথোপকথন চালিয়ে জান তারা বিশ্বাস করবে না। যে চম্পা কলা দিয়ে মোবাইলের মতন কথা বলা যায়।

কিন্তু হক মাওলা বলে কে কোন পীরের কেরামত বিশ্বাস করে নেবে। =p~

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমাদের মধ্যে কেউ অতি ক্ষুদ্র, সাগরের লোনা পানির বুদবুঁদের মতো। আবার কেউবা পর্বতের মতোই বিশাল। কিন্তু, বিশ্বাস করুন, এই দুইয়ের পিছনেই অসীম শক্তি বিরাজমান।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪১

নতুন বলেছেন: মানুষ ক্ষ্রদ্র কিছু না। সব মানুষই সমান এবং বিশাল, আমি না থাকলে এই পৃথিবির কোন দাম আমার কাছে নাই। তাই প্রতিটি মানুষই এই মুহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামী জিনিস।

কিন্তু আপনি যেই সব আজগুবি কাহিনি নিয়ে আসেন সেটা পড়ে আক্কেলগুড়ুম হয়ে যায়। /:) :-0

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



যেই হোক না কেন, মৃত্যু নিশ্চয়ই আসবে, যদিও সে উচ্চ দূর্গে অবস্থিত থাকে। [সূরা নেছাঃ ৭৮]

ধন্যবাদ নিরন্তর।

১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের সাথে ছবিটা সুন্দর।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ধন্যবাদ। আমার তোলা ছবি। টাংগুয়ার হাওর থেকে।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.