নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত ইউশা ইবনে নুন (আ) - যিনি ভৃত্য থেকে রাজা হয়েছিলেন

২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১০:১০



আমাদের বাসাগুলোর কাজের মানুষদের কি অবস্থা? আমরা যখন খাটে শুয়ে রাত কাঁটাই, শক্ত মাটিতে তখন তাদের অবস্থান। আমরা যখন মুরগীর রান আর বুকের মাংস পেটে চালান দেই, তখন হাড়ির সবচেয়ে শুকনো হাড্ডিটা ভাগ্যে জুটে বাসার কাজের লোকদের। অথচ, আমরা যারা মুসলিম বলে পরিচয় দেই, তাদের পবিত্র কালাম কোরআন শরীফে একজন কাজের লোককে নবীর সম্মান দেওয়া হয়েছে।

হযরত ইউশা ইবনে নুন (আ)-এর কথাই বলছিলাম। তিনি ছিলেন হযরত মুসা (আ)-এর কাজের লোক। মুসা নবী যখন হযরত খিযির (আ)-এর সাথে দেখা করতে যান, তখন তাঁর সাথে ছিলেন একজন পরিচর্যাকারী বা খাদিম, অন্য অর্থে ভৃত্য। এই খাদিম ব্যক্তিটিই ছিলেন ইউশা- যাকে ইসলামে নবী'র সম্মান দেওয়া হয়েছে।

হযরত মুসা'র পরে ইউশা ইবনে নুনই বনী ইসরাইলীদের রাজা হোন। তিনি ইসরাইলী গোত্রকে নেতৃত্ব দিয়ে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস জয় করেন। হযরত ইউশা'র কাছেই ছিলো মুসা নবী'র কাপড় এবং ট্যাবলেট।

আজ আমরা বাড়ির ভৃত্যদের সাথে কি সব ব্যবহার করি। অথচ, কোরআন আমাদের অন্য কিছু শিক্ষা দেয় যা আমরা ভুলে গিয়েছি।



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১০:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হযরত মুসা'র পরে ইউশা ইবনে নুনই বনী ইসরাইলীদের রাজা হোন। তিনি ইসরাইলী গোত্রকে নেতৃত্ব দিয়ে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস জয় করেন। - বায়তুল মুকাদ্দাস নিয়ে দেন দরবার কিয়ামত পর্যন্ত চলবে।

২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৩১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


রাজ্য নিয়ে রাজাদের ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১০:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে যদি সঠিক ইসলাম না থাকে, উহা কোথায় আছে?

২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৩৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ব্যক্তিগত ভাবে আছে। পরিবারগত ভাবেও আছে।

আপনি যে রাজ্যগুলোর কথা বলছেন, সেগুলোর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আছে।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের বাসায় যে মেয়েটা কাজ করে তার নাম আইরিন। আইরিন আর আমি পাশাপাশি বসে খাই। আইরিনের বিয়ে ঠিক হয়েছে। সে খুব শ্রীঘই চলে যাবে।

৪| ২৮ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজরত মুসা (আঃ) নিজেও বলতে গেলে ভৃত্য ছিলেন এক সময়। হজরত শোয়াইব (আঃ) তাঁর মেষগুলি চরানোর জন্য হজরত মুসাকে কর্মচারী হিসাবে ৮ বছরের জন্য নিযুক্ত করেন। এই চাকরীর জন্য সুপারিশ করেছিলেন হজরত শোয়াইবের (আঃ) দুই কন্যা। হজরত মুসা (আঃ) এই কন্যা দ্বয়কে কুয়ার পানি উঠাতে সাহায্য করেছিলেন। তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তাঁরা সুপারিশ করেছিলেন। উনি অত্যধিক শক্তিশালী ছিলেন। যার ফলে অন্যরা না পারলেও তিনি কুয়ার জল তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। ওনার এক ঘুষিতে একজন বিধর্মী মারা গিয়েছিল (হত্যার উদ্দেশ্যে উনি ঘুষি মারেননি অবশ্য)। হজরত শোয়াইব (আঃ) তাঁকে শর্ত দেন যে যদি তুমি ৮ বছর আমার মেষ চরাও তাহলে আমি আমার এক কন্যাকে তোমার সাথে বিয়ে দেব। তবে ১০ বছর কাজ করলে আরও ভালো। হজরত মুসা (আঃ) ১০ বছরই কাজ করেছিলেন এবং হজরত শোয়াইবের (আঃ) এক কন্যাকে বিয়েও করেছিলেন। তাঁর এই শ্রমের মূল্য ছিল তাঁর বিয়ের দেনমোহর।

৫| ০৩ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা নিজেরা যা খাই, আমাদের গৃহভৃত্যদেরকেও সেটাই খাওয়ানোর কথা আমাদের ধর্মে বলা হয়েছে। অথচ, আমরা ১% ও সেটা করি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.