নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের জানালা

শামীমুল বারী

শামীমুল বারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে সামাজিক সম্প্রীতি

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

মানুষ সামাজিক জীব। একাকী জীবনযাপন করা মানবজাতির পক্ষে সম্ভব নয়। একজন মানুষ যতই সমৃদ্ধ হোক না কেন, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে তাকে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবার কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে হয়। তাই সমাজে বসবাসরত প্রত্যেকের উচিত ঐক্য, সংহত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ জীবনযাপন করা। সমাজে এমন সম্প্রীতিপূর্ণ পরিবেশই ইসলাম কামনা করে।

মানুষের সামাজিক পরিচয় ও দায়িত্ব :
সৃষ্টিগতভাবে মানুষের কী দায়িত্ব সে সম্পর্কে আল কুরআনে বলা হয়েছে, “হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের একটি মাত্র আত্মা থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট অধিকার চেয়ে থাকো। আর ভয় করো রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়স্বজনের অধিকারের ব্যাপারে। আর ইয়াতিমদেরকে তাদের ধনসম্পদ দিয়ে দাও এবং ভালোর সাথে মন্দের সংমিশ্রণ করো না। তাদের ধনসম্পদকে তোমাদের ধনসম্পদের সাথে মিলিয়ে আত্মসাৎ করো না। এটা বড় পাপ।” (সূরা নিসা : ১, ২)। অনুরূপভাবে আল কুরআনের অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে, “হে মানুষ! আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ ও একজন নারী হতে, পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার। আর তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক আল্লাহভীরু।” (সূরা হুজরাত : ১৩)।

কল্যাণকর কাজ :
সামাজিক সম্প্রীতি সৃষ্টিতে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সমাজে মানুষ তার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও গ্রাম-মহল্লার লোকজনের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করে। তাই সমাজজীবনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে হলে সমাজের সব ব্যক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। কল্যাণকর কাজ সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখে। ইসলাম সব সময় সৎকাজকে উৎসাহিত করেছে এবং অসৎ কাজকে নিরুৎসাহিত করেছে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, “তোমরা সৎকাজ ও তাকওয়ায় পরস্পর সাহায্য কর এবং পাপ ও অন্যায় কাজে একে অন্যের সাহায্য কর না।” (সূরা আল-মাদিয়াহ : ২)।

ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি :
সামাজিক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে ইসলামের বড় অবদান হলো পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা। ছোট বড়, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-গরিব প্রভৃতি সমাজের সকল শ্রেণীর লোকের মধ্যে ঐক্য থাকবে, তারা সকলে একতাবদ্ধভাবে সমাজে বসবাস করবে, সকলে মিলেমিশে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হবে। সকলের মধ্যে মায়ামমতা, স্নেহ-ভালোবাসা, শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রভৃতি বিরাজমান থাকবে। ইসলাম ঝগড়া-বিবাদ মিমাংসা করে অতি দ্রুত সামাজিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জোরালো তাগিদ দিয়েছে, যাতে সাধারণভাবে সমাজে শান্তি বজায় থাকে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই মুমিনগণ পরস্পর ভাই, অতএব তোমরা তোমাদের দু’ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা কর এবং আল্লাহকে ভয় কর; যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ লাভ করতে পার।’’ (সূরা হুজরাত : ১০)।

আল্লাহতায়ালা আরো বলেন, “মুমিনদের দুই দল দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবে। অতঃপর তাদের একদল অপর দলকে অন্যায় আক্রমণ করলে তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নির্দেশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। যদি তারা আত্মসমর্পণ করে, তাহলে তাদের মধ্যে ন্যায়ের সঙ্গে মীমাংসা করবে এবং সুবিচার করবে। যারা ন্যায়বিচার করে তাদের আল্লাহ ভালোবাসেন।” (সূরা আল-হুজরাত : ৯) ।

সাহায্য-সহযোগিতা ও সম্প্রীতি স্থাপন :
মানবজীবনে নানারকম সুযোগ-সুবিধা প্রকাশ করা ও অসুবিধা দূর করার জন্য পারস্পরিক সাহায্য প্রয়োজন। মহানবী (স.) বলেছেন, “তোমরা ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করবে, পীড়িত লোকের খোঁজ খবর নেবে এবং ঋণের দায়ে আবদ্ধ ব্যক্তিকে ঋণমুক্ত করে দেবে।” (বুখারি)। রাসুল (স.) বলেছেন, “মুসলমানদের জন্য এটা সঙ্গত নয় যে, সে তার ভাইয়ের সঙ্গে তিনদিনের বেশি দূরত্ব বজায় রাখবে। যদি তিনদিন অতিক্রান্ত হয়, সে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এবং তাকে সালাম দেবে, যদি সে তা জবাব দেয় তারা উভয়ে এর প্রতিদান পাবে।” (আবু দাউদ)।

প্রতিবেশীর অধিকার আদায় :
সমাজ জীবনে প্রতিবেশী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসলামে প্রতিবেশীর অনেক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। নবী করিম (সা) কসম খেয়ে তিনবার বললেন, ‘‘সেই লোক প্রকৃত ঈমানদার নয় যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।’’ (বুখারি, মুসলিম)। অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘‘যে ব্যক্তি পেট ভরে আহার করল অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকল সে মুমিন নয়।’’ (বুখারি, মুসলিম)। আরেক হাদিসে এসেছে, ‘‘যখন তুমি খাবার রান্না করবে তখন তাতে তুমি অতিরিক্ত পানি দিয়ে ঝোল বাড়াবে, যাতে তুমি তোমার প্রতিবেশীর খবর নিতে পারো।’’ (মুসলিম)। একবার নবী করিম (সা) মুসলিম নারীদের সম্বোধন করে বললেন, ‘‘তোমরা তোমাদের প্রতিবেশীর বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য পাঠানোকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তা বকরির পায়ের সামান্য অংশও হয়ে থাকে।’’ (বুখারি, মুসলিম)। একবার নবী করিম (সা) সাহাবিদের এক প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘‘তোমাদের নিকটতম প্রতিবেশীকে হাদিয়া দেয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেবে।’’ (বুখারি)। বর্ণিত হাদিসগুলোতে প্রতিবেশী বলতে যে কোনো ধর্ম, বর্ণ, গোত্রীয় সম্প্রদায়ের প্রতিবেশীকে বোঝানো হয়েছে। আমাদের সমাজের বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া সম্পর্কও প্রতিবেশী সম্পর্কের সাথে গণ্য হতে পারে। ইসলামের দাবী অনুযায়ী এ সম্পর্ক পারস্পারিক সৌহার্দপূর্ণ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা তার উল্টো অবস্থা লক্ষ্য করি। এখানে যেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি অথবা তাদের সম্পর্ক শত্রুতাপূর্ণ। কিন্তু দায়িত্বশীলতার সাথে একে অপরের অধিকার আদায় করলে, হিতাকাঙ্খি হলে পারস্পারিক সম্পর্ক সত্যি সুন্দর ও সৌহার্দপূর্ণ হতো, যা ইসলাম কামনা করে।

নারী-পুরুষের সম্পর্ক :
নারী-পুরুষের সম্পর্ক সামজিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নারী মা, স্ত্রী, বোন, কণ্যা হিসেবে সমাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আল্লাহ তায়ালা প্রকৃতিগত কারণে পুরুষ ও নারীকে একে অপরের পরিপূরক হিসাবে গঠন করেছেন। একজন পুরুষ যেমনি নারী ছাড়া তার জীবনের পূর্ণতা খুঁজে পায় না, তেমনি একজন নারীও জীবনসঙ্গী হিসাবে একজন পুরুষ ছাড়া জীবনের পরিপূর্ণতা কল্পনা করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষের এ সুন্দর বন্ধন সম্পর্কে বলেন- ‘‘তিনি আল্লাহ, যিনি তোমাদেরকে একই প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং একই সত্ত্বা থেকে তোমাদের জুড়ি বানিয়েছেন যেন তোমরা (পুরুষরা) তাদের (নারীদের) থেকে শান্তি ও স্থিতি লাভ করতে পার।’’ (সূরা আরাফ : ১৮৯)। আল কুরআনের অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ এ সম্পর্কের কথা আরো সুন্দর করে বর্ণনা করে বলেন, ‘‘তারা (নারীরা) হচ্ছে তোমাদের (পুরুষদের) পরিচ্ছদ আর তোমরা (পুরুষরা) তাদের (নারীদের) পরিচ্ছদ।’’ (সূরা বাকারা : ১৮৭)। এ আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ পাক নারী-পুরুষ যে একে অপরের পরিপুরক তা সুস্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা আরো ইরশাদ করেন, ‘‘নারীর ওপর পুরুষের যেমন অধিকার রয়েছে, সেরকম তাদের ওপরও নারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে।’’ (সূরা বাকারা : ২২৮)। এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারী ও পুরুষের সমান অধিকারকে নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক বন্ধনে সম্প্রীতি :
সামাজিক সম্প্রীতির অন্যতম কেন্দ্র হলো পরিবার। পারিবারিক বন্ধনে সস্প্রীতি থাকলে সমাজেও সে সম্প্রীতি প্রসারিত হয়। ইসলামী সমাজে পরিবার গঠনে স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব, তাদের পারস্পরিক আচার-আচরণ, শিশু জন্ম হলে তার প্রতি পিতা-মাতার করণীয়, সন্তানের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সব কিছু অত্যন্ত সুন্দর ও নিখুঁতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কারো দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সন্তান লালনপালনে কষ্টের কারণে ইসলামে তাদের মর্যাদা এত বেশি দেয়া হয়েছে যে, ইসলামে আল্লাহতায়ালার ইবাদতের পরে পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য পালনকে আবশ্যক করে দিয়েছে। মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত ঘোষণা করা হয়েছে। পিতা-মাতার প্রতি সুন্দর আচরণ করা, তাদের কোনো ধরনের কষ্ট না দেয়া, তাদের সামনে নিজেকে তুচ্ছ করার চাদর বিছিয়ে দেয়া, কোনো কারণে তারা উহ-আহ্ করতে পারে এ ধরনের আচরণকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এমন কি তারা যখন বৃদ্ধ হয় তখন তাদের সেবার মাধ্যমে জান্নাত লাভ করতে না পারাকে চরম ব্যর্থতা বলা হয়েছে। রাসূল (সা) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি পিতা-মাতার যে কোনো একজনকে অথবা উভয়কে বৃদ্ধ অবস্থায় পেল, অথচ সে জান্নাত লাভ করতে পারল না তাদের নাক ধুলিময় হোক।’’ সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার হক সম্পর্কে রাসূল (সা) যে আদর্শ শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন তার কোনো তুলনা হয় না।

আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক :
ইসলাম পরিবারের অন্তর্ভূক্ত ও বহির্ভূত, নিকটবর্তী ও দূরবর্তী সকল শ্রেণীর আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সামাজিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছে। সকলের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার জন্য পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘‘আর তোমরা পিতা-মাতা, নিকট আত্মীয়স্বজন, ইয়াতিম, মিসকীন, নিকটতম প্রতিবেশী, দূরবর্তী প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথিক এবং যারা তোমাদের অধিকারে এসেছে তাদের সকলের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে।’’ (সূরা নিসা : ৩৬)।

হজরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রিযিকের প্রসন্নতা কামনা করে এবং দীর্ঘায়ু ও প্রাচুর্য কামনা করে সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’’ রাসূল (সা) বলেন, “সেই ব্যক্তি প্রকৃত আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী নয় যে ভালো ব্যবহারকারী আত্মীয়ের খোঁজ-খবর নেয়, বরং প্রকৃত আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী ওই ব্যক্তি যে সম্পর্ক ছিন্নকারী আত্মীয়ের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে।’’ ইসলাম আত্মীয়ের হক আদায়ের ব্যাপারে যে নির্দেশনা দেয় তা সত্যিই অতুলনীয়। সুতরাং সবার সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

ছোট-বড়ের মধ্যকার সম্প্রীতিপূর্ণ সম্পর্ক :
আমরা পরিবারে ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে একত্রে বসবাস করি। আমাদের পরিবার বা সমাজে মুরব্বিরাই নেতৃস্থানীয়। পিতা-মাতা, বয়োজ্যেষ্ঠ ভ্রাতা-ভগ্নি, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরাই মুরব্বিশ্রেণীর পর্যায়ভুক্ত। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে মুরব্বিদের আদেশ-নিষেধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কিংবা তাদের নির্দেশ মোতাবেক চলার পথকে অনুসরণ করা সৎ আচরণেরই নামান্তর। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান প্রদর্শনের কারণেই পরিবার, সমাজ ও জীবনের সব ক্ষেত্রে হয় কল্যাণময়। তাই সমাজ-সংসারের আদব রক্ষার জন্য মুরব্বিদের প্রতি ভদ্রতা, নম্রতা ও নমনীয়তা দেখাতে হবে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মজিদে বলা হয়েছে, ‘‘মানুষের সঙ্গে ভদ্রচিত আলাপ করো। অন্য শ্রেণীর লোকের প্রতি অবজ্ঞাভরে বিদ্রুপ করো না।’’ আমাদের প্রিয় নবী (সা) বলেছেন, “যে বড়দের শ্রদ্ধা এবং ছোটদের স্নেহ করে না, সে আমার উম্মত নয়।” (মুসনাদে আহমদ)। তিনি আরো বলেছেন, ‘‘যে যুবক কোনো বৃদ্ধের প্রতি তার বার্ধক্যের কারণে সম্মান প্রদর্শন করবে, আল্লাহতায়ালা সেই যুবকের শেষ বয়সে তার প্রতি সম্মানকারী লোক পয়দা করবেন।’’ একটি সুন্দর সমাজে এ গুণটি সকলের মেনে চলা উচিত। যুগ যুগ ধরে আমাদের সমাজে এটি একটি সামাজিক মূল্যবোধ হিসেবে চালু আছে। এ গুণটি অর্জনের জন্য মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান নির্বিশেষে সকল নাগরিক চেষ্টা করতে পারে।

অমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক :
বস্তুত মানবজীবনের দু’টি ক্ষেত্র রয়েছে। একটি হচ্ছে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে নৈতিক জীবন গঠন, অপরটি হচ্ছে এরই আলোকে তার বৈষয়িক ও পার্থিব জীবন সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে সুন্দর আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। ইসলাম যথেষ্ট উদারতার সাথে মানবজীবনের এ দু’টি ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আর ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের আচার অনুষ্ঠানগুলো অন্য কোনো অমুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর চাপিয়ে দেয় না ইসলাম। এ বিষয়ে আল কুরআনে বলা হয়েছে, ‘দ্বীন তথা জীবনবিধান গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই; কেননা সত্য পথ হতে ভ্রান্ত পথ সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ (সূরা বাকারা : ২৫৬)। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘‘তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন আর আমাদের জন্য আমাদের দ্বীন।” (সূরা কাফিরূন : ৬)। বস্তুত ইসলামের মূল কথা হচ্ছে এক দিকে মুসলিম সম্প্রদায় পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান ইসলামের ধর্মীয় ও বৈষয়িক অনুশাসন জীবনের সব ক্ষেত্রে পুরোপুরি মেনে চলে একটি আদর্শ সমাজ ও পৃথিবী গড়ে তুলবে যার সুফল অন্য সব সম্প্রদায়ের লোকেরা ভোগ করবে এবং এর প্রতি আকৃষ্ট হবে। অপর দিকে অন্য সম্প্রদায়ের লোকদের স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করার সুযোগ দেবে এবং তাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না। আল কুরআনে বলা হয়েছে, ‘‘আল্লাহ ছাড়া যাদের তারা ডাকে তোমরা তাদের গালমন্দ করো না, তা হলে তারা শত্রুতা পোষণ করে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালমন্দ করবে।’’ (সূরা আল-আনআম : ১০৮)। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘‘নর হত্যা এবং দুনিয়াতে ফিতনা ফাসাদ সৃষ্টি করার অপরাধ ব্যতীত যে ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করল সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল যেন সব মানুষকেই বাঁচাল।’’ (সূরা আল-মাদিয়াহ : ৩২)। সমাজের ধর্মান্ধতা এবং উগ্র সাম্প্রদায়িকতা রোধে এই আয়াতগুলোর কার্যকারিতা প্রণিধানযোগ্য।

অমুসলিমদের সাথে নবী করিম (সা)-এর ব্যক্তিগত আচরণ ছিল খুবই অমায়িক। সাহাবি আবু বছরা বর্ণনা করেন, ‘‘ইসলাম গ্রহণের পূর্বে আমি এক রাতে নবী করিম (সা)-এর মেহমান হই। তাঁর ঘরে যে ক’টি বকরি ছিল, সব ক’টির দুধ আমি একাই পান করে ফেলি। ফলে সে রাতে নবী করিম (সা) সহ পরিবারের সবাই অভুক্ত অবস্থায় রাত যাপন করেন। তবুও তিনি আমার প্রতি বিন্দুমাত্রও বিরক্ত হন নি।’’ (মুসনাদে আহমদ)। এ বিষয়ে হজরত আসমা (রা) বর্ণনা করেন, “হুদায়বিদায় সন্ধির পর তিনি তাঁর অমুসলিম মায়ের সাথে আচরণ সম্পর্কে নবী করিম (সা)-কে জিজ্ঞেস করলে জবাবে তিনি বললেন, ‘‘মা যেই হোন না কেন তার সাথে সদাচরণ করতেই হবে।’’ (বুখারি)।

মানুষের মর্যাদাকে সম্মান ও জীবনের নিরাপত্তা সুরক্ষা :
মানবাধিকারের ব্যাপারে ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলাম মানুষের মর্যাদাকে পবিত্র বলে ঘোষণা করেছে। ইসলামী বিধান অনুযায়ী কারো অধিকার ও মর্যাদা বিনষ্ট করা যাবে না। বিদায় হজ্বের ভাষণে রাসূল (সা) বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, “তোমার জীবন, তোমার সম্মান, তোমার সম্পদ যেমন তোমার কাছে পবিত্র, তেমনি পবিত্র এই দিবস (আরাফাতের দিন), এই মাস (জিলহজ্ব) এবং এই নগরী (মক্কা)।” (মুসলিম)।

শুধু তাই নয় ইসলাম সমাজে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই মর্মে আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করবে তার শাস্তি জাহান্নাম। সেখানেই সে চিরকাল থাকবে।’’ হত্যা সম্পর্কে মহানবী (সা) বলেছেন, “হত্যাকারীর ফরয-নফল কোন ইবাদতই আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না।” (তিরমিযী)। রাসুল (সা) আরো বলেন, “কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম মানুষের মধ্যে হত্যা সম্বন্ধে বিচার করা হবে।” (বুখারি-মুসলিম)। প্রিয় নবীজি আরো বলেন, “একজন বিশ্বাসী তার ধর্মের বিধি বিধানের অনুশাসন মেনে কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে না।” (বুখারি)।

অধিনস্তদের অধিকার :
অধিনস্তদের অধিকার রক্ষায় ইসলাম অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। আমাদের সমাজে কর্মচারী, পিয়ন, ড্রাইভার, দারোয়ান, বাসার কাজের লোক এমন অনেক ধরনের অধিনস্ত ব্যক্তি রয়েছে, যাদের সাথে আমরা অনেকেই ভাল ব্যবহার করতে পারি না, তাদের সাথে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ব্যবহার করি। বিদায় হজ্বের ভাষণে আল্লাহর রাসূল (সা) এ ব্যাপারে সতর্ক করে বলেন, ‘হে মানববৃন্দ! কোন দূর্বল মানুষের উপর অত্যাচার করো না, গরীবের উপর অত্যাচার করো না। সাবধান! কারো অসম্মতিতে কোন জিনিস গ্রহণ করো না। সাবধান! মজুরের শরীরের ঘাম শুকাবার পূর্বেই তার মজুরী মিটিয়ে দিও। দাসদাসীর প্রতি সবসময় সদয় ব্যবহার করো। তোমরা যা খাবে ও পরবে তা তোমাদের দাস-দাসীদের খেতে ও পরতে দিও। যে মানুষ দাস-দাসীদের ক্ষমা করে ও ভালবাসে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন ও ভালবাসেন।’

পারস্পরিক লেনদেন :
সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পারস্পরিক লেনদেনে নীতি মেনে চলতে হয়। ধন লাভের অভিপ্রায়ে কাজ করা উচিৎ তবে অবৈধ পদ্ধতিতে নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “হে ঈমানদারগণ। তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ।” (সূরা নিসা : ২৯)।

সামাজিক সম্প্রীতি নষ্টের কারণসমূহ পরিহার :
ইসলাম সামাজিক সুসম্পর্ক বজায় রাখা ও অশুভ তৎপরতা বা অসামাজিক কার্যকলাপ পরিহার করে চলার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। সামাজিক সম্প্রতি নষ্টের অন্যতম কারণ হলো একে অন্যের প্রতি উপহাস করা। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “হে ঈমানদারগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা, যাকে উপহাস করা হয়, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। আর কোনো নারীও যেন অপর কোনো নারীকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয়, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; কারও ঈমান আনার পর তাকে মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। যারা এ ধরনের আচরণ হতে নিবৃত্ত না হয় তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী।” (সূরা আল-হুজরাত : ১১)

রাসূলুল্লাহ (সা) ঘোষণা করেছেন, ‘‘তোমরা একে অপরের দোষত্রুটি অন্বেষণ করবে না, গুপ্তচরবৃত্তি অবলম্বন করবে না। পরস্পর কলহ করবে না। পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ করবে না, একে অপরকে ঘৃণা করবে না। একে অপরের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে পেছনে লাগবে না: আর তোমরা সকলে আল্লাহর বান্দা হিসেবে পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও।’’ (বুখারী-মুসলিম) ।

সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় ও মজবুত করার জন্য ইসলাম গুজব ছড়ানো ও মিথ্যা অপবাদ রটানো নিষিদ্ধ করেছে। আল্লাহ বলেন, “তুমি তার আনুগত্য করবে না : যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, যে পশ্চাতে নিন্দা করে, একে অপরের কথা লাগিয়ে বেড়ায়।” (সূরা কালাম : ১০-১১)। রাসূল (সা) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যে গুজব ছড়িয়ে বেড়ায় সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (বুখারি ও মুসলিম)।

এভাবে সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার জন্য ইসলাম মানুষের সঙ্গে অবজ্ঞাসূচক কৌতুক বা ব্যঙ্গ করা, হেয় প্রতিপন্ন করা, মিথ্যা কলঙ্ক দেয়া, অন্যের স্বকীয়তা লংঘন করা, নিয়ম ভঙ্গ করা, পরচর্চা ও পরনিন্দা করা, অপরকে বিদ্রুপাত্মক মন্দ নামে ডাকা প্রভৃতি অপ্রীতিকর কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সুতরাং ক্রোধ, হিংসা, ভীতি এবং শোক এইসব চিরপ্রতিকূল উত্তেজনার বশীভূত না হয়ে সর্বদা আশাবাদী থেকে ইসলামের আলোকে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মূল নীতিমালায় সমাজ ব্যবস্থায় পারস্পরিক ধৈর্য, সহনশীলতা, ঐক্য, ভ্রাতৃত্ববোধ, প্রতিশ্রুতি পালন, শ্রদ্ধাশীলতা, প্রেম, আনুগত্য, ক্ষমা, বন্ধুত্ব, দান-সাদাকা, দায়িত্ব-কর্তব্য ইত্যাদি মানবিক গুণাবলী একান্ত প্রয়োজন। পক্ষান্তরে চুরি, ডাকাতি, ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ছিনতাই, হত্যা, নিষ্ঠুরতা, অশ্লীলতা, মিথ্যাচার, ঘৃণা, প্রতারণা, অমঙ্গল কাজ, বিশ্বাসঘাতকতা, শোষণ, নিপীড়ন, দাঙ্গা-হাঙ্গামা প্রভৃতি অসংখ্য সামাজিক অনাচার ও অপরাধ থেকে বিরত থাকা অত্যাবশ্যক। এসব কার্যকলাপের ফলে সমাজে নানা রকম বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই ইসলামের আদর্শ শিক্ষা অনুযায়ী আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালনা করে ইহকালীন শান্তি ও সম্প্রীতি এবং পারলৌকিক কল্যাণ ও মুক্তিলাভের ক্ষেত্রে সামাজিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা ও তা অুক্ষুণ্ন রাখা আমাদের সকলের জন্য অবশ্য করণীয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++++++++

শুভেচ্ছা :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

শামীমুল বারী বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ণ রায়হান।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লাহ বলেন, “তুমি তার আনুগত্য করবে না : যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, যে পশ্চাতে নিন্দা করে, একে অপরের কথা লাগিয়ে বেড়ায়।” (সূরা কালাম : ১০-১১)।

আর এখনকার জাতীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বিশ্ব নেতৃত্ব সবখানে দেখূন এদেরই জয়জয়কার!!!!

সারা বিশ্বে যত যদ্ধ অশান্তি আর সংঘাত সবকিছুর মূলে দেখূন এদেরই মিথ্য, মোনাফেকি, চক্রান্ত ছলনা আর কারসাজি...

দু:খজনক হলেও সত্য- আমাদের কথিত আলেম সমাজ, মুসলিম নেতৃত্ব সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ একে মোকাবেলায় যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, সামাজিক কার্যক্রম, সাংস্কৃতিতক কার্যক্রম, অর্থনৈতিক কার্যক্রম, জ্ঞান-বিজ্ঞানের কার্যক্রম.. তথা সকল প্রকার উপযোগী কাজের সফল রুপায়নে!!!!!

আল্লাহ আমাদের সেই সঠিক পথের সন্ধান দিন।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

শামীমুল বারী বলেছেন: দু:খজনক হলেও সত্য- আমাদের কথিত আলেম সমাজ, মুসলিম নেতৃত্ব সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ একে মোকাবেলায় যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, সামাজিক কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, অর্থনৈতিক কার্যক্রম, জ্ঞান-বিজ্ঞানের কার্যক্রম.. তথা সকল প্রকার উপযোগী কাজের সফল রূপায়নে!!!!!

সহমত।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম, বারী।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

শামীমুল বারী বলেছেন: ওয়ালাইকুমুস সালাম- আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক।
ভাল খাকুন সবসময়।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার সাংঘর্সিক বর্ননা । অনেক ভাল লাগলো ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

শামীমুল বারী বলেছেন: কিভাবে সাংঘর্ষিক বর্ণনা হলো? আপনি কি ইতিবাচক আর নেতিবাচক দিকগুলোর উপস্থাপনকে বুঝাতে চেয়েছেন?

তারপরও অনেক ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.