নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বনির্ভর সরল পাঠ - গরিব মানুষ, মানুষ হতে চাই

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরলপাঠ

সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।

সরলপাঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েকটি প্রশ্ন - কে বড় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা না গাজী মুক্তিযুদ্ধা?

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৮

মুক্তিযোদ্ধাকোটা নিয়ে গত কয়েকবছর থেকেই বিতর্ক চলছে - বিশেষ করে ৩০% কোটা প্রকৃত বা ভূয়া মুক্তি যোদ্ধাদের সন্তান বা নাতী নাতনীদের জন্য বরাদ্ধ করার কারনে। এ প্রশংগে কয়েকটি প্রশ্ন:



১) মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ৩০ লাখ এবং ২ লাখ বীরংগনা রাষ্ট্রীয় সুযোগের বেশী দাবীদার না ২ লাখ গাজী মুক্তিযুদ্ধা বা তাদের পোষ্য বা তাদের পো পোষ্য (নাতী/নাতনী) রা এই সুবিধার বেশী দাবীদার? ৩০ লাখ শহীদের সন্তানরা কিন্তু এই সুবিধা থেকে বন্চিত।মুক্তি যোদ্ধাদের আশেপাশে ঘোরাপিরা করেও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা বা সনদী মুক্তিযুদ্ধা। কিন্তু যারা শহীদ হয়েছেন সম্মুখ যুদ্ধে তাদের কি অবস্হা? কেউ কি তাদের খবর রাখেন? নাকি ভোটের রাজনীতিতে তারা মূল্যহীন?



২) গাজী মুক্তিযোদ্ধাদের নাতী / নাতনীরাও সরকারী চাকুরীতে কোটা সুবিধা পাবেন। নাতী/নাতনীরা পেলে তাদের বাবা / মা কি দোষ করেছে। সুতরাং মুক্তিযোদ্ধাদের মেয়ের জামাই বা ছেলের বউকে কেন এই কোটারী সুবিধা দেয়া হবেনা?



৩) একজন মুক্তিযুদ্ধা নাতী / নাতনী যদি এ কোটারী সুবিধা পাবেন তাহলে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকেও এই সুবিধা দেয়ে হোক - যেমন একজন মুক্তিযোদ্ধা ৭০ বছর বয়সে ২০/২৫ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করলেন, তাকেও এই কোটারী সুবিধা কেন দেয়া হবেনা? তিনি তার যৌবন একজন বৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধার শেষ বয়সের মানুষিক আনন্দের জন্যে বিলিয়ে দেয়ার বিনিময়ে কি একটি সরকারী চাকুরী পোষ্য হিসাবে পেতে পারেন না?



৪) যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা আজীবন অবিবাহিত থাকেন বা বিপত্নিক হওয়ার কারনে নিয়মিত একজন সেবিকার সেবা গ্রহন করেন, তবে তাকেও এই কোটারী সুবিধার আওতায় আনা যেতে পারে, তাই নয় কি?



জিলা কোটা বা পার্বত্য কোটার ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন, কিন্তু কোন প্রশ্ন নেই ডিজেবল কোটা নিয়ে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২০

রাজনীতির ভাষা বলেছেন: এত প্রশ্নের জবাব কে দেবে?

আমাদের মনে শুধুই প্রশ্ন। উত্তর দেয়ার লোক কোথায়?

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৯

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ভাই, আমি এতো কিছু বুঝি না
আমার কথা কোটা বাতিল করতেই হবে.।
নইলে আমার মতো মেধাবিরা কি করবে?
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সম্মান অবশ্যই করতে হবে, তাই বলে আমাদের অবহেলা করে?
মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকায় একটা করে ফ্লাট দিক, মাস মাস ৫০০০ টাকা দিক, আমার আপত্তি নাই, কিন্তু তাই বলে দেশের মেধাবিদের মেধার অবমূল্যায়ন করে কেন তাদের এই সম্মান?????????????????????????????????????????

সরকার যা খুশি করুক, কিন্তু আমাদের মতো সাধারন ছাত্রদের মেধার উপরে কেন এই হস্তক্ষেপ?
তাদের যদি জজ্ঞতা থাকে তবে তারা কম্পিটিশন করুক না কেন আমাদের সাথে???????????????????????????????
এমনিতেও ভার্সিটি তে যখন ভর্তি হই তখনও কিন্তু এই কোটা এর জন্য তাদের কিছু সিট ছেড়ে দিছিলাম।
তাদের তো একবার করে চান্স দিছিলাম, তবে এখন আবার কেন???????????????????
সো, আমার কথা, কোটা বন্ধ করতেই হবে
এই লিঙ্ক দেখেন।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: কুমার সাহা নামে একজন অনলাইনে লিখেছেন, ‘অতি দুঃখ ভারাক্রান্ত হূদয়ে লিখছি। আমি সুনীতি কুমার সাহা। আমি ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় লিখিত (সাধারণ ও কারিগরি) ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার রেজি: নম্বর ০২২৫২৭। আমার প্রথম পছন্দ ছিল কৃষি ক্যাডার। কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে আমাকে পিএসসি কর্তৃক কোনো পদে সুপারিশ করা হয়নি (উল্লেখ্য, কোটা প্রার্থী না থাকায় পিএসসি ৭০টি পদ খালি রাখে)। গত ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কৃষি ক্যাডারে ২২০টি পদের বিপরীতে ১৩৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পিএসসি কর্তৃক ১৫০ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল। যে ১৪ জন বাদ পড়েছেন, হয়তো তাঁদের কেউ কেউ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি বা পুলিশ প্রত্যয়ন পাননি বা ৩১তম বিসিএসের আগে অন্য কোনো ভালো পদে কর্মরত আছেন। আমার দুঃখ, এই জায়গায় ৮৪ পদ খালি থাকা সত্ত্বেও আমার চাকরি পাইনি। আমার সমস্ত পরিশ্রমের ফলাফল কোটা সংরক্ষণজনিত নিয়মের কারণে শূন্য। যাঁরা এসব নিয়ম তৈরি করেন, তাঁরা কি একবারও ভেবে দেখেছেন আগামী ১০-২০ বছর পর আমাদের দেশের প্রসাশনের কী অবস্থা হবে?’

পার্থ নামে আরেকজন লিখেছেন: ‘আমি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গতকাল প্রকাশিত বিসিএস ৩৪তম প্রিলিমিনারির ফল বের হয়েছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ৭৫+ পেয়েও সাধারণ পরীক্ষার্থী চান্স পায়নি অথচ কোটার কারণে ৫৯+ পেয়েও অনেকে চান্স পেয়েছে। মেধার বিচারে ৫৯=৭৫ হতে পারে না। ফলে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হয়ে চরম হতাশ ও বিপথগামী হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ একসময় মেধাশূন্য হয়ে যেতে পারে।
সদ্য প্রকাশিত বিসিএস রেজাল্ট, ৩২তম স্পেশাল বিসিএস এবং সাম্প্রতিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে (সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, আইসিবি ইত্যাদি) শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের আবেদন করার যোগ্যতা কি সাধারণ প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক নয়? কোটা কি শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধির জন্য দায়ী নয়?’

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.