নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বনির্ভর সরল পাঠ - গরিব মানুষ, মানুষ হতে চাই

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরলপাঠ

সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।

সরলপাঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসিনা খালেদার টেলিফোন আলাপ ৭১ এ প্রচারঃ কিছু প্রশ্ন

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩০

এই মাত্র রাত দুটায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত চ্যানেল ৭১ এ প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রীর টেলিফোন আলোচনা পুরাটাই প্রচারিত হল। আমি পুরোটাই শুনলাম। ভাবতে অবাক লাগে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২ জনের মধ্যকার পারস্পরিক আলোচনা এভাবে রেকর্ডেড সম্প্রচার করা হল সরকার সমর্থিত চ্যানেলে। এটা শুধু রাজনৈতিক পরিবেশকেই নোংরা করল না বরং নেত্রীদের পারস্পরিক অবিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দিল। বিশেষ করে বিরোধীদলীয় নেত্রী স্বাভাবিক ভাবেই এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খুজে পাবেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমি অন্তত এতে অসৎ রাজনীতি দেখছি। শেখ হাসিনার খুচিয়ে কথা বলার ধরনটিই আমার এই সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই সংগত কারণে কয়েকটি প্রশ্নঃ



১) কেন প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলের আলটিমেটামের শেষ মিনিটে টেলিফোন করলেন? যদি আলোচনার ইচ্ছাই থাকত তাহলে কি সকালে বা অন্তত দিনের বেলায় টেলিফোন করা যেতনা?



২) টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী অন্তত একবার বলেছেন আপনি সত্য বলছেন না ( টেলিফোন ডেড থাকা প্রসংগে)। প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে শেখ হাসিনা টেলিফোনে কথা শুরুই করেছেন খুছিয়ে । এই ধরনের খুছিয়ে কথা বলে কি আলোচনার আশা করা যায়?



৩) টেলিফোনের পুরো বিষয়টিই আমার কাছে মনে হচ্ছে সরকারের নোংরা রাজনৈতিক গ্যাম। শেষ মুহুর্তে টেলিফোন করা যাতে হরতাল প্রত্যাহার করা না যায়। আবার টেলিফোনে খোচানো, এবং তা রেকর্ড করা, পরে কিন্চিত প্রত্রিকায় প্রচার করে পরিবেশ তৈরি করা, এবং সর্বশেষে প্রচার করে দেয়া নিজস্ব চ্যানেলে। সরকার কি এর জন্যে দায়ী নন?



৪) স্কাইফ ক্যালংকারীর জন্যে যদি বিচারপতি পদত্যাগ করেন, মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে যেতে হয়, তবে এই স্ক্যান্ডালের জন্যে প্রধানমন্ত্রী কি পদত্যাগ করবেন? বা তার স্নেহধন্য

চ্যানেল ৭১ এর মালিক মোজাম্মেল বাবুকে কি গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনবেন?



আরও অনেক প্রশ্নই করা যায়, শুধু এটুকুই বলি শেখ হাসিনা সম্ভবত রাজনীতির খেলায় ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সবচেয়ে নোংরা কাজ করলেন, এবং রাজনৈতিক সমাঝোতাকে শেষ করে দিলেন। আমি জানিনা বিএনপি কিভাবে রিএক্ট করেবে, তবে বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে বাজে কিছু কলংকের মধ্যে মনে হয় এটিও একটি হিসাবে স্হান পাবে। এই টেলিফোনালাপ রেকর্ড করে গভীর রাতে প্রচার করার মাধ্যমে দেশকে আরও কয়েক বছর পিছিয়ে দেয়া হল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৬

কালজয়ী একাত্তর বলেছেন: Ami apnar proti somman rekhe bolte cai
1. PM bolece tini sokale phone diyechilo, kintu receive koreni, dhori PM mittha bolece tahole BTCL ke keno phone Check korte deoya holona?1 no ar ans o asa kori peye gechen je dine phone diyechilo....
sotto bolle ta kivabe khuchiye bola holo bujlam na

2.ha procar korar jonno sorkar dayi kintu khaleda zia ki amon bollo je procar kora nished hoye geche ta kalke sunle bolte parbo..jonogoner ki oder kotha janar odhikar nei?71 channel obossoi awamilig ar kotha bole, digonto tv jemon BNP ar hoye bolto

3.kelengkari konti aktu venge bolben? r ata procar koray hasinar somossa holona kintu ki amon bollo je khaledar somossa holo r apni kelengkari bole fellen?
shotti hassokor!!!

3.

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২৬

সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্যে। পিএম সকালে চেষ্টা করেছেন আর সন্ধায় কানেকশন পেয়েছেন, এর থেকে এসেছে ডেড টেলিফোনের ইস্যু, আমার হিসাবে যা নিয়ে তারা অন্তত ৮-১০ মিনিট সময় বিতর্ক করেছে। এ বিষয়টি অবশ্যই হাস্যকর যে পিএম সকাল বেলা ফোন করতে চেয়ে সন্ধা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

এখানে আমি খালেদা কি বলেছে সেটা বলতে আসিনি - পুরো আলোচনাটাই আমার কাছে খুবই নীচু মানের মনে হয়েছে, এবং এর মাধ্যমে দেশের রাজনীতির অবিশ্বাসই জয়ী হয়েছে। হাঁ টিভি চ্যানেলের মালিকানা একটি বিষয়।

কেলেংকারির বিষয় হচ্ছে ব্যাক্তিগত আলাপচারিতা বিনা অনুমতিতে প্রচার করে দেয়া। এটা অবশ্যই রাষ্ট্রিয় গোপনীয়তার লংঘন এবং বর্তমান আইসিটি আইনে দন্ডনীয় অপরাধ।

বিএনপির সমর্থকেরা হয়তো আনন্দিত হবেন এই করাণে যে এতে পুরো আলোচনায় খালেদা জিয়া খুবই বলিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু আমি হতাশ তাদের আলোচনার ধরনে।


আপনার কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে, কিন্তু আমার কাছে এটা উদ্বেগের। কারণ আমি বাংলাদেশের কোন দলেরই অন্ধ সমর্থক নই, এবং আমি বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তনের পক্ষে।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৫

তিক্তভাষী বলেছেন: আপনার পোস্ট এবং ১ নম্বর কমেন্টের বক্তব্যের সাথে একমত।

এই টেলিফোন সংলাপ কোন সমঝোতার দ্বার উম্মোচন করেনি, তিক্ততা আরো বাড়িয়েছে।

টেলিফোন সংলাপ প্রকাশ করে সরকার তাদের নোংরা চরিত্র সম্পর্কে জনমানসের ধারণা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

সরলপাঠ বলেছেন: যে বিষয়টি নিয়ে পুরোজাতি আশায় ছিলাম - এতে হতাশা আরও বাড়ল।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

তিক্তভাষী বলেছেন: *বক্তব্যের = উত্তরের

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৪৪

সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:২৩

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: খালেদা ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দেন ২৬শে অক্টোবর বিকাল সাড়ে ছটার দিকে। হাসিনা ফোন করেন ২৭শে অক্টোবর দুপুর দুইটায়। পরে ঠিক সাড়ে ছটায়। কি কারনে পুরো পোস্ট এ লিখেছেন একেবারে শেষ মুহুর্তে হাসিনা ফোন করেছে, সদুত্তর চাই। এই কথা একবার না দুইদুই বার লিখে হরতাল প্রত্যাহার কেন করা যাবে না বলে সাফাই গেয়েছেন। রানা প্লাজার সময় ৪ ঘন্টার নোটিশে হরতাল প্রত্যাহার কিভাবে করেছিল সেইটার সদুত্তর চাই।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২২

সরলপাঠ বলেছেন: @ ভাই সবখানে সবাই আছে - আপনার কমেন্টের উত্তরে বলছি - আপনি শুরুতেই সদুত্তর চাচ্ছেন - আমি আমার মত করে উত্তর দিচ্ছি - আপনি যে সদুত্তর চাচ্ছেন আপনার মত করে তা হবে কিনা বলতে পারছিনা।

আমার কাছে মনে হয়েছে পুরো বিষয়টিই পিএম এর একটা গেইম। বিএনপির কঠোর কর্মসূচির বিষয়টি এক সপ্তাহ আগেই প্রচারিত - অফিসিয়ালি ঘোষনা হয় ২৫ তারিখের সমাবেশে। পিএম বিরোধী দলীয় নেতাকে ফোন দিবেন তাও এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রচারিত (পত্রিকার পাতা খুজলেই পাবেন)।

মাননীয় পিএম শেখ হাসিনা যদি সন্ধায় ফোন দেন তবে তাতো শেষ সময়েই হয়। আমরা যদি ধরেও নিই দুপুরে তিনি ফোন দিয়েছেন - তাহলে বলতে হয় যে পদ্ধতিতে তিনি সন্ধায় কথা বললেন একই তরিকায় কেন দুপুরে ট্রাই করলেন না - বিশেষ করে জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনা করে।

রানা প্লাজার ঘটনা আর সরকারের শেষ মুহুর্ত দুটির রাজনৈতিক গুরুত্ব বুঝার মত মিনিমাম বোধ আশা করি আপনার আছে। একই ভাবে সেই সময় সরকারের দমন/নিপিড়ন আর এখনকার নিপিড়ন দুটোও ভিন্ন মাত্রায়।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: হরতাল প্রত্যাহার কোন ব্যপার না। ম্যাডাম এটা করতেই পারতেন। আলটিমেটামের মধ্যেই তো কল করা হয়েছে। কথা না রাখাটা একটা ট্রেডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর হাসিনা খুঁচিয়ে কথা বলেছে এটা সত্য। একটা দেশের রাজনৈতিক নেতার মানসিকতা যদি এমন হয় তা আমাদের জন্যেই লজ্জার।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

সরলপাঠ বলেছেন: সে সময়ে বিএনপির জন্যে হরতাল প্রত্যাহার অবশ্যই একটি ব্যপার ছিল - কারণ সরকারের শেষ সময় যে দিন থেকে নির্বাচনের দিন গনণা সে দিন শুধু রাতের খাবারের দাওয়াতেই বিএনপি এত বড় ঝুকি নিতে পারত না। উপরের আমার উত্তরটি পড়লেই আশকরি আমার এই ধারণার কারণ বুঝবেন। ধন্যবাদ

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: বেগম খালেদা জিয়ার শেষ কথা যদি শুনে থাকেন তিনি তত্ত্বাবধায়ক মেনে নিলে সঙ্গে-সঙ্গে হরতাল প্রত্যাহার করে নেবেন । আর শেখ হাসিনা ধন্যবাদ দিয়ে কথা শেষ করে দিলেন । শেখ হাসিনা শেষ মুহুর্তে ফোন দিয়ে নাটক করতেই চেয়েছেন । আর বেগম খালেদা জিয়া তার দাবিতে অটল থাকলেন । আর একটি পলিটিকাল পার্টির প্রধান হিসাবে কোন ফল আদায় না করে আন্দোলন প্রত্যাহার তার ক্রেডিবিলিটির প্রশ্ন তুলত ।

শেষে যা হল তাতে মনে হল শেখ হাসিনা আর আলোচনায় বসবেন না । আসলে বসলেও লাভ হবে না । কাউ কেই সরার মন-মানসিকতার দেখলাম না ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

সরলপাঠ বলেছেন: পুরো বিষয়টি আমার কাছে রাজনৈতিক নাটক মনে হয়েছে। এর মাধ্যমে বিএনপি / আওয়ামীলীগ লাভবান হওয়ার চেষ্টা করলেও আমরা যারা একটি সুস্হ রাজনৈতিক পরিবেশের আকাংখা করি তারা হোচট খেয়েছি।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২৬

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: খালেদা স্পষ্ট করে বলেছে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আলোচনা শুরু না হলে লাগাতার তিন দিনের হরতাল। হাসিনা নিজেও এটা বলেছে আপনি নিজের ভিডিও দেখুন এরপরে কথা বলুন। এখন শুরু হয়ে গেসে দলকানার তেল মারা। সাধারন মানুষ যা বোঝার বুঝে নিয়েছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

সরলপাঠ বলেছেন: আপনার পুরো কমেন্টের উত্তর দেয়ার রুচি আমার নেই - বিশেষ করে শেষ লাইনের। আমি আওয়ামীলীগ কানা, কিন্তু শেখ হাসিনা কানা নই। আশা করি আমার ব্লগ ভাল ভাবে পড়লে বুঝতে পারবেন।

আমি যতটুকু পেপারে পড়েছি বা টিভির খবরে শুনেছি বিরোধী দলের নেতা বলেছেন আগামীকালের মধ্যে - কোন ঘন্টার উল্লেখ করেন নি।

তর্কের খাতিরে বলছি - পিএম তো আলোচনা শুরুই করেননি বরং আলোচনার দাওয়াত দিয়েই তিনি হরতাল তুলে নেয়ার কথা বলেছেন - আর তিনি তারা দুজনেই তাদের প্রস্তাবে অটল ছিলেন টেলিআলাপে।

যারা একটু রাজনৈতিক সচেতন তারা খুব ভাল করে বুঝে সে সময়ে বিরোধী দলীয় নেতা তখনই হরতাল প্রত্যাহারেস সুঝোগ পেত যদি বলা হত আপনাদের দাবী নিয়ে আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিবেচনা করব। কিন্তু পিএমতো বলেই দিলেন তিনি তার প্রস্তাব থেকে সরবেন না।

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: ভাইয়া বি.টি.সি.এল কে কেন ফোন চেক করতে দেয়া হয়নি একটু বলবেন কি ???? বি.টি.সি.এল তো একচেন্জ ও ক্যবিনেটে লাইন চালু পেয়েছিলো , সমস্যা ছিলো বেজির ফোন কানেকশনে যেটা খুব সম্ভব বেজি খুলে রেখেছিলো তাই তো ফোন ডেড ছিলো , আর এই জন্যই বেজি বি.টি.সি.এল এর লোক দের ঢুকতে দেয়নি ......

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০২

সরলপাঠ বলেছেন: ভাই প্রভাষ আমাদের এই সমাজ যে আমাদেরকে কুশিক্ষা দিচ্ছে তা আপনার কমেন্ট পড়লেই বুঝা যায়। কাউকে অপছন্দ করলেই যে তাকে বিকৃত নামে ডাকতে হবে, তা কি ঠিক? বিশেষ করে তিনি যদি এমন কেউ হন যার সমকক্ষ হবার যোগ্যতা আমার এখনও হয়নি, বা যার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। কাউকে বিকৃত নামে ডাকা এক ধরণের বিকৃত মনে পরিচয়।

আমি আমার শত্রুকেও সম্মান করতে না পারি কিন্তু অসম্মান করব না, এটাই একটি সমাজের বৈশিষ্ট হওয়া উচিত।

ডেড টেলিফোনের বিষয় - বাংলাদেশের প্রেক্ষফটে এ বিষয়ে কোন পক্ষকেই চুড়ান্ত ভাবে বিশ্বাস করা আমার পক্ষে কঠিন। বিশেষ করে বিটিসিএল তো সরকারের চাকুরী করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.