নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বনির্ভর সরল পাঠ - গরিব মানুষ, মানুষ হতে চাই

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরলপাঠ

সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।

সরলপাঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগঃ রাজনীতির চোরাবালীতে বিজয়ের আয়োজন (পর্ব-২)

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:২৫

পর্ব -১ Click This Link

গত পর্বে উল্লেখ করেছিলাম বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির সংস্কৃতির পরিবর্তনের চেষ্টার কথা। কেন আওয়ামীলীগ নতুন মুক্তিযুদ্ধ নামের এই হঠকারী সিদ্ধান্ত জাতির উপর চাপিয়ে দিয়েছে? আমি একে হঠকারী বলছি এই কারনেই যে এর মূল লক্ষ্য হল একদলীয় শাষণ কায়েম। মূলত বিগত মেয়াদে বংগবন্ধু হত্যার বিচারের পরেই শেখ হাসিনার মাথায় এই ভূত চাপে। বংগবন্ধুর ঐতিহাসিক ভুল বাকশালকে নতুন রুপে জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত তিনি তখনই নিয়ে নেন। আর এই সিদ্ধান্তটি আরও যৌক্তিকতা পায় ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলার পর। আজকের লিখায় এই বিষয়টিই আলোকপাত করবো।



মূলত বংগবন্ধু হত্যার বিচারের পর আওয়ামীলীগ ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কথা বলে। এর মাধ্যমে আওয়ামীলীগের বর্তমান নেতৃত্ব বাংলাদেশকে ১৯৮০ এর দশকে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এর উদ্দ্যেশ্য মূলত ২টি। ১)বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ইতিহাসে বাকশাল গঠন এক কালো ইতিহাস। কৌশলে বাকশাল কায়েম করে বাকশাল গঠনের যুক্তিকতা তুলে ধরা। ২) এর মাধ্যমে বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করা। যেহেতু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি বংগবন্ধুর বাকশাল গঠনের চেষ্টা ছিল একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভূল তাই আমি শেখ হাসিনার এই প্রচেষ্টার বিরোধী। মূলত এর মাধ্যমে গত ২ দশকে গড়ে উঠা বহুদলীয় রাজনীতির সংস্কৃতিকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে।



বিগত টার্মে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামীলীগকে স্হুল রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতি থেকে তাড়াতে চেয়েছিল। কিন্ত বর্তমান আওয়ামীলীগ বিএনপিকে কৌশলী কিন্তু রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে যাবতীয় চক অংকন করে ফেলেছে। আওয়ামীলিগের এই পরিকল্পনা মোকাবিলার করার মত কিছুই বিএনপির হাতে নেই - নেই কোন ডেডিকেটেড কর্মী বাহিনী, শুশীল সমাজ, পুলিশ, বিচার বিভাগ, মিডিয়া - কিছুই তাদের পক্ষে নেই। বরং সবকিছুই এখন সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সহযোগী।



আওয়ামীলীগের জন্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মূল প্রতিদ্বন্ধি হচ্ছে বিএনপি। কিন্ত বাংলাদেশের অমোঘ রাজনীতিতে বিএনপির কিছু কৌশলগত বন্ধু রয়েছে। এরা আওয়ামী বিরোধিতার কারনেই বিএনপির বন্ধু। এর প্রথম হল সেনাবাহিনী। আর ২য় হল জামাত সহ কট্টর ডান দল গুলো। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রথমেই এই দুই শক্তিকে নিয়ন্ত্রন বা দূর্বল করার দরকার ছিল। ক্ষমতায় আসার পরপরই সেনাবাহিনীকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে যে আগামী ৩০ বছরেও চাইলে বিএনপি বা ডানপন্থিরা সেনাবাহিনীকে কাছে পাবেনা। সেনা বাহিনী এবং বিজিবির চেইন অব কমান্ড এমনভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে যে , তা থেকে সরকারের অদূরভবিষ্যতে কোন হুমকি নেই। ক্ষমতায় আসার পরেই এই কাজটি খুব নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রথম এসাইনম্যন্টটি সফলভাবে শেষ করার পরই সরকার ২য় এসাইনম্যান্টে হাত দেয়। আর তা হল জামাতকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। এর জন্য যা করা প্রয়োজন ছিল তা হল স্বাধীনতার পক্ষ বা বিপক্ষ এর ব্যাপারে তীব্র জনমত তৈরি করা। জামাতের বর্তমান অবস্হায় একটাই উপায় আছে তাদের জন্যে - হয় সরকারের সাথে সহযোগিতা করবে নতুবা রাজনীতির মাঠ থেকে চিরতরে বিদায় নিবে। আগেই বলেছি জামাত সরকারের টার্গেট নয়। টার্গেট হচ্ছে বিএনপি। কিন্তু এই সুক্ষ রাজনীতি বুঝতে বিএনপি অনেক দেরী করে ফেলেছে। বিগত ৫ বছর সরকার বিএনপিকে বিভিন্ন ইস্যু দিয়ে ব্যস্ত রেখেছিল - তত্ত্বাবাধায়ক বাতিল বা খালেদার বাড়ি ছিল তেমনি ইস্যু যা দিয়ে সরকার এক ডিলে অনকে পাখিই মেরেছিল। সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিএনপির প্রথম বোধদয় হয় গত ডিসেম্বরে। আর চুড়ান্ত ঘুম ভাংগে উপজেলা ইলেকশনে। এরপরই বিএনপির মধ্যে এক ধরনের হতাশা দেখা দেয়। যার ফল হচ্ছে উল্টাপাল্টা বক্তব্য।



আমার ছোট ভাই তুল্য আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির এক সম্পাদককে গত সপ্তাহে বলছিলাম জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সম্পর্কে। তার উত্তর ছিল সোনার ডিমপাড়া এই হাঁস এত সহজে শেষ করে ফেললে মানুষের সামনে যাওয়ার জন্যে রাজনীতির সহজ ইস্যুইতো আর আওয়ামীলীগের হাতে অবশিষ্ট থাকবেনা।



অন্ধভাবে আওয়ামীলীগে বিশ্বাসী কেউ যদি আমার এই লিখায় বিরক্ত হন তবে আমি দুঃখিত।আগামী একবছর বাংলাদেশের রাজনীতির জন্যে অনেক দূঃসময়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:২৩

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: সঠিক কথাগুলো তুলে ধরবার জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:১৯

সরলপাঠ বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। একটি সহনশীল উদার বাংলাদেশের প্রত্যাশায়....।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২২

কামের কথা কন!! বলেছেন: আপনার সঙ্গে এক মত আমি অনেক আগেই এই নিয়ে হালকা একটা পোস্ট দিয়ে ছিলাম। যাই হোক আওয়ামীলীগ "র" এবং "মোসাদ" এর প্লানিং ভাল ভাবে ফলো করতেছে । কিন্তু আওয়ামীলীগ হয়ত একটা জিনিস ভুলে গেছে পাপ বাপ কেও ছাড়ে না। এটলাস্ট মানুষের রক্তের মুল্য ওদের দিতে হবে সিওর নো ডাউট।

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩

সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ সহমতের জন্য। তবে এতে হয়ত 'র' এর ভূমিকা থাকতে পারে, কিন্তু মোসাদ এত নীচে নামবে কিনা আমার সন্দেহ। মোসাদ মূলতঃ মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপ নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। আমার জানামতে বাংলাদেশে আই এস আই এবং র সক্রিয় ভাবে কাজ করে। এদের এজেন্টরা সবাই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, আমলা, শিক্ষক, সাংবাদিক সহ অনেক গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত।

রক্তেরমূল্য দিবে বা ভবিষ্যত কি হবে তা নিয়ে ৫ম পর্বে লিখব আশাকরি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.