নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বনির্ভর সরল পাঠ - গরিব মানুষ, মানুষ হতে চাই

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরলপাঠ

সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।

সরলপাঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমিত শাহের ফোনঃ আসলে কি ঘটেছিল???

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৬

ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি অমিত শাহ বিএনপির চেয়ারপারসনকে ফোন করেছিল কিনা, এ বিষয়টি এখন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠা যতটুকু না রাজনৈতিক, তারচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ আমাদের রাজনৈতিক দৈন্যতার কারণে।



৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন যখন দেশের জনগণের স্বিকৃতি পেলনা, তখন সরকার ব্যাস্ত হয়ে পড়েন বিদেশের স্বিকৃতির জন্যে। তারই ধারাবাহিকতায় ভারত দায়িত্ব নেয় বিভিন্ন দেশে এ সরকারের স্বিকৃতি অর্জনের। দূর্ভাগ্যের বিষয় প্রথমদিকে এতে খুব বেশী সফলতা আসেনি। তদুপরি, ডেভিড ক্যামারুনের সাথে ফটো সেশনকে দ্বিপাক্ষিক মিটিং বলে সরাকরের পক্ষ থেকে প্রচারের পর বৃটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে 'সঠিক তথ্য' প্রচার করা হয়, যা ছিল সরকারের জন্যে অনেকটাই বিব্রতকর। একই ঘটনা ঘটেছিল হোয়াইট হাউজে ফটো সেশনের ক্ষেত্রে। দুর্ভাগ্য আমাদের। সরকার আমাদের থেকে বিদেশী সরকারের সাথে তার ছবি তোলার সুযোগকেই বেশী গুরুত্বপূর্ন মনে করে। বিষয়টি অনেকটাই স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের স্বিকৃতির মতো।



আওয়ামীলীগের পদাংক অনুসরণ করে বিএনপিও একই রাজনৈতিক দৈন্যতার পরিচয় দিয়েছে। বিদেশের কে কাকে ফোন করেছে, এ বিষয়টি কখনই মূখ্য বিষয় নয়, যতটা না গুরুত্বপূর্ন বাংলাদেশের মানুষের বিএনপির আন্দোলনে সম্পৃক্ততা। বিএনপি এই টেলিফোন কলের প্রচারের সাথে সাথে আওয়ামীলীগের জন্যে গুরুত্বপূর্ন হয়ে দাড়ায় এ কথা প্রমাণে যে ভারত থেকে এমন কোন ফোন কল আসেনি। এবং তারা তাই করল। এখন দেখার বিষয় আসলে কি ঘটেছিল। আওয়ামী মিডিয়া সেলের সহযোগী টিভি চ্যানেল - চ্যানেল ৭১ এবং চ্যানেল ২৪ এই নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে। কিন্ত এ রিপোর্ট গুলোও বিতর্কের উঠতে পারেনি। প্রধানতঃ কন্ঠস্বরের ভিন্নতার কারণে। সহযোগি একটি ব্লগে এই নিয়ে একটি রিপোরর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে প্রথম আলোর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন, যা এবিষয়ে সন্দেহ দূরিভূত না করে আরও বাড়িয়েছে। মূলত সরকারের উদ্দেশ্য ছিল প্রমাণ করা ভারত বিএনপিকে নয় আওয়ামীলীগকেই অনুমোদন করে। সরকার এ ক্ষেত্রে সফল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলেই ফোন এসেছিল কিনা?



আগে যেমন উল্লেখ করেছিলাম, এই সৌজন্যতার ফোনের যদিও মুল্য নেই, কিন্ত মানুষিক ভাবে পরাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ এবং একশ্রেনীর মানুষের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম, যা উপরেই উল্লেখ করেছি। কারণ বাংলাদেশ এখন আর গণপ্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ নয়, বরং এই দেশ এখন ভারতেরদয়াতন্ত্র বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশ এখন একধরনের অলিখিতভাবে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের শাষণ চলছে। হায়রে স্বাধীনতা!! স্বাধীনতার নাম ভাংগিয়ে দেশে রাজনীতি চলেছে এত দিন - মুক্তিযুদ্ধা আর রাজাকার, দেশকে এই দুভাগে ভাগ করে ফেলেছে রাজনীতিকেরা। আর এখন স্বাধীনতাকেই বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে।



যাক যা বলছিলাম, অমিত শাহের ফোন এর বিষয়টি সেই পর্যন্ত মিমাংসা হবেনা, যেই পর্যন্ত না বিজেপির ওয়েব সাইটে এ বিষয়ে কোন বিবৃতি প্রকাশিত হবেনা, যেমন ঘটেছিল শেখ হাসিনার সাথে ডেভিড ক্যামেরুনের বৈঠক নিয়ে, যা পরে ডাউনিং স্টৃট বা ডেভিড ক্যামেরুনের অফিস তাদের ওয়েব সাইটে বিবৃতি দিয়ে অস্বীকার করে। এ পরস্হিতি জাতী হিসাবে বাংলাদেশের জন্যে লজ্জ্বাজনক।



ফোন আসার বিষয়ে অন্য একটি বিকল্প কারণ হতে পারে, বিএনপিকে বোকা বানানো। হয়ত ভারত থেকে একটি কল এসেছিল অমিত শাহ এর নাম করে যা বাস্তবে অমিত শাহের ছিলনা। হয়ত এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার জন্য। এতে আমরা ধরেই নিচ্ছি খালেদার নিকট ফোন এসেছিল। আর ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনীতির কুটচালের অংশ হিসাবেই হয়ত করা হয়েছে। এ বিষয়টি লিখতে সত্যিকার অর্থেই অপমানে মাথা নীচু হয়ে আসে। বাংলাদেশের তথাকথিত রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী বা সুশীলদের আত্নহত্যা করা উচিত। একটি টেলিফোন এতই গুরুত্বপূর্ণ?????



ভারত বা বিশ্ব রাজনীতিবিদরা আমাদের এই উলংগপনা, নোংরামি দেখে নিশ্চই হাসছেন।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.