নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বনির্ভর সরল পাঠ - গরিব মানুষ, মানুষ হতে চাই

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরলপাঠ

সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।

সরলপাঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্ডার গ্রাউন্ড ডন থেকে ক্লিন রাজনীতিবীদ

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:১৬

চট্টগ্রামের রাজনীতিতে কমবেশী অস্রের ব্যবহার হয়, এটা চট্টগ্রামের অবস্হানগত কারণে। কারণ এখানে সমুদ্রপথে বা মায়ানমার থেকে অস্র এনে পাহাড়ে লুকিয়ে রাখা যায়। যার কথা বলছি তিনি এক সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক জনাব আক্তারুজ্জামান বাবুর পালিত সন্ত্রাসী ছিলেন। মূলত চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রলীগের সাধরণ সম্পাদক থাকার সময় সে বাবুর ঘনিষ্ট জন হয় এবং বাবুর চোরাকারবারী ব্যবসার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত হয়।

বলা হয়ে থাকে আজম নাসির শিল্পপতি হুমায়ন জহিরের খুনের নেতৃত্ব দানকারী। এছাড়া চট্রগ্রামের সরাসরি গুলি করে তিন জনকে হত্যার মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন। তার বাহিনীর হাতে যত বেশী শিবির হত্যা হয়েছে তার থেকে বেশী নিহত হয়েছে দলীয় সম্ভাবনাময়ী ছাত্রলীগ নেতারা - আইয়ুব, কাদের এমন আরও অনেকের নাম বলা যায়। চট্রগ্রামের আন্ডারগ্রাউন্ড এবং অস্র নির্ভর রাজনীতিতে নিজের ডন পজিশনকে নিরংকুশ রাখতে সম্ভাবনাময়ী নিজের গ্রুপের অনেকেই তার হাতে নিহত হয়।

আমার বন্ধু যার বড় ভাই একসময় নাসিরের সাথে বাবুর সহযোগী ছিলেন তার থেকে শুনা কাহিনী। আজম নাসিরের এক কর্মী এসে একদিন বলল, নাছির ভাই, বাবুল (ছদ্মনাম) আপনার মাকে গালি দিয়েছে। নাছির হেসেই তাকে উড়িয়ে দিলনে। কিন্ত ৩ দিন পর দেখা গেল বাবুলের বাম পা গুলিবিদ্ধ, ফলে তার পা কেটে ফেলতে হয়। এই হচ্ছে নাছির। একজন ঠান্ডামাথার খুনি, ডন, এবং নিখুত পরিকল্পনাকারী।

সন্ত্রাসী হিসেবে যিনি পরিচিত, রাজনীতির প্রবেশ তার জন্য সহজ ছিলনা। ফলে তিনি চট্টগ্রামের কলেজ গুলোতে নিজস্ব বাহীনী গড়ে তুলেন। এবং সন্ত্রাস নির্ভর চট্রগ্রামের রাজনীতিতে নিজের পজিশন ধরে রাখেন। এরপর আস্তে আস্তে চট্রগ্রাম জিলা ক্রিড়া সংস্হা (সিজেকেপি) তে নিজের অবস্হান তৈরি করার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। সর্বশেষ জিলা আওয়ামীলিগের কমিটিতে সাধরণ সম্পাদক হয়ে সবাইকে অবাক করে দেন। মূলত: জনাব মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে রাজনীতিতে পেরে না উঠে প্রতিদ্বন্ধি নেতারা নাছিরকে সামনে নিয়ে আসেন। যেখানে মুলত মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে আক্তারুজ্জামান বাবুর দ্বন্ধ ছিল, সেখানে এখন বাবুর ডান হাত বলে পরিছিন আন্ডার গ্রাইন্ড ডনের কাছেই মহিউদ্দীন চৌধুরীর রাজনৈতিক পরাজয় হতে চলেছে। দেখা যাক ভবিষ্যতে আজম নাসির মাননীয় মেয়র বা বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানীর নগর পিতা হন কিনা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৩৮

মুজিব আলম বলেছেন: যেভাবে বর্ননা দিলেন তাতে উনি আবার কিভাবে ক্লীন রাজনীতিবিদ হলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.