নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার জানালা

সামছুল আলম কচি

পড়তে আর লিখতে ভালবাসি

সামছুল আলম কচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে দেখছে -কিভাবে দেখছে

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

একটিই মাত্র জীবনে মানুষের চাওয়া-পাওয়ার, আশা-আকাংখার শেষ নেই। সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে উঠেও কোন মানুষের আত্মতৃপ্তি বা আত্মার সন্তুষ্টি লাভ ঘটেছে এমন তুষ্ট মানুষ এ ভূবনে একটিও হয়তো খুজে পাওয়া যাবে না। মানুষের এ পরিনতির জন্য সে নিজেই দায়ী, এটি অবশ্য পরিপূর্ণভাবে সত্য নয়। কারন দেহ ও মনের আচরন সংশ্লিষ্ট অনেক কিছুই মানুষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে না। জন্ম থেকেই নিয়ন্ত্রনহীন কিছু ইন্দ্রিয় যা মানব দেহে জুড়ে দেয়া আছে, যেগুলো তাকে অন্তহীন চাওয়া-পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বক্ষন তাড়িত করে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত ও অদ্ভুত এ মানবেন্দ্রীয়গুলো অহর্নীশি যেমন মানুষের প্রভুত উপকারে লাগছে, তেমনি ক্ষনে ক্ষনেই উৎপত্তি ঘটাচ্ছে অন্তহীন সংঘাতের। মানুষের ইন্দ্রীয় তারিত এ আচরন তাই মানুষের কাছেই অনেক সময় বিষ্ময়রকর ও বৈসাদৃশ্যপূর্ণ মনে হয়। তবে এক্ষেত্রে মানুষের অন্যান্য সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বা ইন্দ্রীয়ের তুলনায় ‘চোখ’ এর গুনাগুন (!) বৈচিত্রতা এ ধরনীতে তুলনাহীন। মানুষের পঞ্চেন্দ্রীয়ের আর চারটির কার্যকারিতা চোখের তুলনায় একেবারেই কম গুরুত্বপূর্ণ। জীবদ্দশায় নাক, কান, জিহ্বা, ত্বক এর গুনাগুনে কম-বেশী, রকম ফের ঘটলেও স্বাভাবিক জীবন-যাপনে এর ভীষন কোন প্রভাব পড়ে না। কিন্তু ‘চোখ’! এটির যে কোন প্রকার ছোট-খাট হেরফের এ হয় বিপত্তি আর দিশেহারা অবস্থা। আর চোখ যদি একেবারে না-ই থাকে তবে “আধারেরও রূপ আছে” বলে যে কথাটি জানা আছে, সেটিও বোধগম্যতায় আনার ক্ষমতা দৃষ্টিহীন বা জন্মান্ধ কোন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব হয়না। কারন অন্ধকার কিংবা আলো কি বস্তু, সে তা জানে না। প্রাকৃতিক নৈসর্গিক দৃশ্য অবলোকন দূরে থাক পৃথিবীর কোন রঙের সাথেও সে পরিচিত নয়। সাদা ছড়ি এবং মনুষ্য নির্ভরতা ব্যতিত সে নিশ্চল। যদিওবা জ্ঞান দিতে গিয়ে উদ্ধৃতি হিসেবে প্রায়ই আমরা “দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা”র কথা বলি, কিন্তু একটিও দাঁত নেই এমন কোন স্বল্প দৃষ্টি, দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলা কোন ব্যক্তিকে যদি বলা হয় এক্ষনে তার দাঁতের প্রয়োজন না চোখের দৃষ্টির, সে ব্যক্তি কি চাইতে পারে, তা আর লিখে বোঝানোর প্রয়োজন নেই।

চোখ অনেক নামে পরিচিত। বাংলা ভাষায় সচরাচর ব্যবহৃত চোখের অন্যান্য নামগুলো হচ্ছে দর্শনেন্দ্রীয়, চক্ষু, আখি, নেত্র, লোচন, নয়না, অক্ষি ইত্যাদি। এছাড়াও চোখ বিভিন্ন ভাষায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। যার মধ্যে বিশ্বের প্রধান ভাষাগুলোয় চোখকে বলা হয় ইংরেজীতে- আই, হিন্দিতে- আখো, ন্যায়না, উর্দূতে- আখও, আরবীতে আইনাক, ফ্রেঞ্জ ভাষায়- ইয়ো, ডাপ/জার্মান ভাষায়- আউগে, চীনা ভাষায়- ইয়াং চিং, জাপানী ভাষায়- মে, কোরীয় ভাষায়- নুন, ইটালীয় ভাষায়- ওককিও, স্পেনিশ ভাষায়- ওখো।

মানব দেহের “চোখ” বিধাতার এক অনন্য সৃষ্টি! জগৎখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন তার ‘থিওরী-অব-কোয়ান্টা’র মূল ব্যাখ্যায় বলেছেন “কোন একটি বস্তু কি, তা নির্ভর করে দর্শকের দেখার ওপর। অর্থাৎ বস্তুটি কে দেখছে, কিভাবে দেখছে তার ওপর”। যদিও মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইন এ দেখাকে অতটা সাদামাটাভাবে চোখ দিয়ে দেখাকে বোঝাননি। অবশ্যই এক্ষেত্রে তিনি বাহ্যিক দেখার সাথে সাথে অন্তর্দৃষ্টি তথা মনেরও যে চোখ আছে তার পর্যবেক্ষনকেও বুঝিয়েছেন। তবে বাহ্যিক দেখার বিষয়টি একমাত্র ‘চোখ’ ছাড়া কিছুতেই সম্ভব নয়। প্রশ্ন হচ্ছে চোখের এ দেখা কত রকম ? নিঃসন্দেহে এটি একটি মাথা খারাপ করার বিষয়! কারণ মানুষ হিসেবে আমরা চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি দিয়ে সবকিছু অবলোকন করলেও হয়তো কদাচিৎ দৃষ্টিপাতের প্রকারভেদ নিয়ে চিন্তুা করি। কারও কারও কাছে হয়তো, এ নিয়ে ভাববার কি আছে ? কিংবা এ দিকে মাথা ঘামানো সময়ের অপচয় বই অন্য কিছু নয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সৃজীত সকল জীবের মধ্যে বিবেক সম্পন্ন মানুষের চোখের দৃষ্টির যে আলাদা গবধহরহম ও মহাত্ম আছে তা সত্যিই বিশাল ভাবনার বিষয়।

মানুষের প্রাচীনতম ভাষা হচ্ছে চোখের দৃষ্টি। চোখ শুধু দেখেই না, স্মৃতি করে রাখে জীবনে দৃশ্যমান সব ঘটনাকে। আর স্মৃতি! সেতো মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, যা থেকে রচিত হয় ব্যক্তির ভবিষ্যৎ। “চোখ” দিয়ে দেখার রকমভেদ এর কোন শেষ বা সীমা নেই। মস্তিষ্কের ব্যাখ্যা ও মনের মিলিয়ন-বিলিয়ন ভাবনা ও অনুভুতির প্রবেশদ্বার এবং যোগানদাতা-ই হচ্ছে চোখ। নানা প্রতিকুলতা ও আপন-বিপদ থেকে চোখ প্রিয় বন্ধুর মত সঙ্গী হয়ে সর্বক্ষন দেহকে সুরক্ষা করে। চোখ দৃষ্টি দিয়ে দেখার সাথে সাথেই মস্তিষ্কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুরু হয় পছন্দ-অপছন্দ, চাওয়া-পাওয়া আর চিন্তুা-চেতনার বিক্ষিপ্ত ছোটাছুটি। মনের অভ্যন্তরে চলে সভা-সমাবেশ, শলা-পরামর্শ আর সিদ্ধান্ত নেয়ার পালা। ধরনীতে যত প্রকার মানুষ, তত প্রকার চোখ আর তাদের তত শত রকমের দৃষ্টিভঙ্গী। প্রেমময় লোভাতুর, ক্ষুরধার, বুদ্ধিদীপ্ত, চঞ্চলা, লক্ষীটেরা, হরিনী, মায়াবী, পটল চেরা, সিক্ত, রক্তিম, নিস্পাপ, প্রানবন্ত, ভাবলেশহীন, তৃষিত, ক্ষুধিত, অভ্রভেদী ইত্যাদি দৃষ্টি সম্পন্ন চোখের মনির রঙের অবশ্য বিভিন্নতা রয়েছে। সাদা-কালো, ধুসর (নারকেলী বা বিড়াল চোখ), বাদামী, নীল, হলুদ, সবুজ, পিঙ্গল ইত্যাদি নানা বর্ণের চোখ রয়েছে। আশ্চর্য যে, মানুষের মনের যে ভাষা চোখে ফুটে ওঠে তা মানুষকে তো বটেই, জীব-জন্তু ও পশু-পাখিদেরও মুখ থেকে কিছু বলার পূর্বেই মনের অনেক অব্যক্ত কথা বুঝিয়ে দেয়। মানুষের স্বভাবটাই বুঝিয়ে যেন চোখের তারায় ঝিলিক দিয়ে যায়। রাগ, হিংসা, দয়ামায়া, প্রেম-ভালোবাসা, লালসা, চাতুর্য, ছলনা, ঘৃনা, লজ্জা, করুনা এবং কৃত সত্য বা মিথ্যা কোন বিষয় চোখের আচরনে ধরা পড়া সহ মানুষের এহেন কি বিষয় নেই যার প্রতিবিম্ব চোখে ফুটে ওঠেনা! চোখ মনের কথা বলে, বলে-প্রকাশ করতে না পারা মনের অনেক অব্যক্ত কথাও। ব্যার্থতা, দুঃখ, হতাশার প্রতিক্রিয়ার চোখ উগড়ে দেয় তপ্ত জলে ফোটা, ধ্বংস দেখেও কখনও বা সে উল্লাসে মত্ত হয়, আবার আনন্দেও চোখ উপচিয়ে জল আসে। তবে চোখের দৃষ্টির ভিন্নতা অবশ্যই একেক বয়সে একেক রকম হয়। শিশু, কিশোর, যুবক, পৌঢ় ও বৃদ্ধের চোখের দেখায় পার্থক্য রয়েছে। শিশুদের চোখ অবারিত। যে কোন কিছু দেখাতে তার বাধা নেই। শিশুর দৃষ্টির সামনেও সাধারনতঃ কারও কোন কাজে জবাবদিহীতা থাকে না। কিন্তু কিশোর, যুবক, পৌড় আর বৃদ্ধের চোখ সর্বাবস্থায়ই থাকে সহস্র প্রকারের নিয়ন্ত্রণে বাধা। যদিও আড়চোখে চেয়ে এ বয়সের কম-বেশি সকলেই অনেক বাধা ডিঙিয়ে অনেক নিষিদ্ধ বস্তুকে দৃষ্টি চুম্বন করে থাকে।

চোখ যেন মহাবিশ্বের চেয়েও বিশালায়তনের এক দর্পন। আর তার দৃষ্টি দ্রুত পিছু ধাবমান সময়ের সামিয়ানায় প্রতিকৃতি রেখে যায় জীবনের লক্ষ-কোটি দেখা-অদেখা, চেনা-অচেনা এবং কল্পনা ও ভাবনার বিমূর্ত বিষয়ের। চোখ যেন অকারনেই নিরন্তন খুজে ফেরে তার জন্ম-জন্মান্তরের চাওয়া-পাওয়াকে। কিসে যে তার তৃষা, তা মেটেনা, মেটেই না। নতুন থেকে নতুনত্বের দিকে চোখের দৃষ্টি দিবা-নীশি যেন কি এক অজানা অনুসন্ধানে ব্যস্ত থাকে। চোখ দিয়ে দেখা বিষয় থেকে অন্তর কি যে শুষে নেয় তা ব্যক্তি নিজেও হয়তো জানে না। চোখের ভালো লাগা কিংবা না লাগায় অন্তরে অন্তরে কত শত প্রাসাদ মিনার গড়ে ওঠে তা আবার ভেঙ্গে যায়।

এ ধরনীতে চোখের দৃষ্টি “শিক্ষা ও গবেষনা” এবং “ভালোবাসা” এ দুটি সর্বোত্তম বিষয়কে ঘিরেই যেন সর্বক্ষন আবর্তিত হচ্ছে। চোখ প্রতিনিয়তই তার দৃষ্টির আলো ফেলে মানুষকে শেখাচ্ছে। পরিবার, বিদ্যালয, প্রকৃতির ও পরিবেশের রন্দ্রে রন্দ্রে নিবিষ্ট থেকে চোখ নিজুত-কোটি মানুষের আত্মাকে আলোকিত করে তুলছে নানামুখী শিক্ষায় ব্যাপৃত রাখছে নানামুখী পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষন, গবেষনা ও উদ্ভাবনী কাজে। যদিও বাস্তবে শেখার শেষ হয় না, হয় না শেষ ভবিষ্যৎ নিয়ে রঙিন স্বপ্ন দেখারও। শুধু ঘুমেই স্বপ্নকে কাছে পাওয়া গেলেও বিদ্যা লাভ করে অনেক কিছু ঘটানো বা হওয়ার নেশায় বুদ মানুষের দু-চোখে হাজারও স্বপ্নের ভীড়।

চোখ বিনে প্রেম-ভালোবাসা! সে তো এক কথায় অলীক বিষয়। শুনে শুনে বা সেলফোনে সুমিষ্ট শব্দে হয়তো প্রেম-ভালোবাসা, অপরিমেয় আবেগ জন্মাতেও পারে কিন্তু পরে চোখে দেখে ভালো না লাগলে তা মুহুর্তেই উবে যেতেও সময় নেয় না। জগতের কোন প্রেম ভালোবাসাই জন্মে না চোখের দৃষ্টি ছাড়া। প্রধানতঃ চোখের দেখা দিয়েই মানুষের সর্বমূখী ভালোবাসা ও প্রেমের সূত্রপাত ঘটে। ঘটে বিধাতার সৃষ্টির প্রতি মানব প্রেম, মানুষে মানুষে প্রেম, মানুষ্য উদ্ভুত বস্তুর প্রতি মানুষের প্রেম, মানব-মানবীর প্রেম। প্রতিটির সম্পর্কের ভিত্তি হল চোখ। তবে “চোখ” দৃষ্টি দিয়ে যে প্রেম বা ভালোবাসার সৃষ্টি করে তার খুব কমই মানুষের অন্তরে চিরকালের জন্য বাচিয়ে রাখে। আশ্চর্য হলেও সত্য, ভালোবাসার চিরস্থায়ী কোন ভিত্তি এর পিচ্ছিল মনিকোঠায় স্থান পাওয়া যেন ছলনা মাত্র। ভালোলাগার চোখ যেন ক্ষুধার্ত পাকস্থলী! আমৃত্যু যার ক্ষুন্নিবৃত্তি ঘটে না। অপরিজ্ঞাত আস্বাদনে নিরন্তর সে খুজে ফিরে কী যেন, কোন্ না পাওয়াকে, স্মৃতি করে রাখা কোন্ অতীতের হারিয়ে যাওয়া কোন ঘটনাকে। তার তৃপ্তি মেটে না-মেটেইনা। মানব-মানবীর কত শত প্রেমলিপ্সু চোখ প্রতিনিয়ত একে অন্যের চোখে চোখ রেখে মনের কোন্ সে গভীর কত কি যে কাহিনী সৃষ্টি করে তা নিয়ে লুকোচুরি খেলা করে। পাশাপশি বাসকরেও সে অজানাকে কেউ উদঘাটন করতে পারে না। এ চোখ কখনও হেসে, কখনও কেঁদে, কখনও বা চোখে কল্পনার রঙিন চশমা পড়ে দিগ¦দিক ভাবনার অতলে খেই হারিয়ে হৃদয়ে সংগোপনে আকে বিমূর্ত সব চিত্র, চিত্তকে মুচড়িয়ে আছড়িয়ে করে খন্ড-বিখন্ড। চোখ প্রেমÑভালোবাসার আধার! জগতে রুপে, গুনে, যৌবনে ভালোর চেয়েও যে ভালো, সুন্দরের চেয়েও যে সুন্দর তাকেই যেন সে সতত খুজে ফেরে। এখানে নয় অন্য কোন খানে, অন্য আরও কোথাও সে দ্রুত পরিভ্রমন করতে থাকে, কোন এক মায়া-মরিচীকার সন্ধানে। দ্বন্দ ও বিপত্তির উৎপত্তি ঘটিয়ে চোখ মনকে কখনও পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দেয়, আবার কখনও সে মহামায়ার জ্বাল দিয়ে সৃষ্টি করে সীমাহীন সুখ আর আনন্দের।

ভালোবাসার চোখের দৃষ্টি পাপ-পূণ্য, সত্য-মিথ্যা, নগ্নতাকে ফৎকায়ে উড়িয়ে চলে চঞ্চলা প্রজাপতির মতো। চোখে ভালোলাগার পরিনামে সংসার, সমাজের চিরাচরিত প্রথা, সংস্কার, বাধা-বিপত্তি, সমস্ত পিছুটান পায়ে দলে সে পরবাসী হয় প্রিয়জনের হাত ধরে, ভবিষ্যৎ পরিনতি না ভেবেই। তার চিরচেনা গৃহ, সংগী-সাথী, মাতা-পিতা হয়ে যায় চির অচেনা। দৃষ্টিশক্তি তার হয়ে যায় মোহাবিষ্ট। আর চোখে ভালো লেগেছে এমন কোন কিছু পেতে, তার মূল্য যাই হোক না কেন, তা পরিশোধে মানুষের জীবনবাজী কিংবা সর্বস্ব হারানোর নজিরও এ পৃথিবীতে কম নেই। কেও কেও আবার মানবাত্মার কল্যানে দান করে নিজ চোখকে অমর করে রাখারও প্রয়াস পাচ্ছেন।

চোখ ও এর দৃষ্টির গুনগানের সার্বক পরিস্ফুটন ঘটেছে গীতিকার আর সাহিত্যিকদের সংগীত ও ছন্দ রচনার মধ্য দিয়ে। বিশ্বের প্রতিটি ভাষায় চোখ উপলক্ষে লেখা গান কবিতা রচনার কোন শেষ নেই।

চোখ নিয়ে এত লেখালেখি আর ভাবনার পরও এ ইন্দিয়টি যুগে যুগে তার নানাবিধ চরিত্র নিয়েই মানুষের দেহে শোভা পারে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রেম ভালোবাসা, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না আর আনন্দ বেদনায় সংমিশ্রীত মানুষের এ জীবনও এমনি বহমান থাকবে এও নিশ্চিতভাবে জানা। অতএব জীবন যে ভাবে চলছে, চলুক।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মানুষের প্রাচীনতম ভাষা হচ্ছে চোখের দৃষ্টি।
চোখ যে মনের কথা বলে
এটা সত্য তবে বুঝার ভাষা জানতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.