নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার জানালা

সামছুল আলম কচি

পড়তে আর লিখতে ভালবাসি

সামছুল আলম কচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাড়বকুন্ড-১

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৪

১৬ আগস্ট ২০১৬ সকাল ৮ টায় গ্রীনলাইনের বাসে চড়ে দুপুর ২.৩০ এ বাড়বকুন্ড স্কোয়ার, বাড়বকুন্ড, সীতাকুন্ডে পৌছলাম। খিদেয় পেট জ্বলছে। ভারী ব্যাগটা হাতে নিয়ে বেশ খোঁজাখুঁজি করে বসার মত একটা হোটেল পেলাম। ঠান্ডা পড়োটা আর বুটের ডাল ছাড়া আর কিছু নেই। মেসিয়ারকে জিজ্ঞেস করলাম, ডিম ভেজে দেয়া যাবে ? উত্তর এলো, দশ মিনিট দেরী হবে, তাওয়া ঠান্ডা। তা-ই সই।
খটমটে খাবার খেয়ে ভারী ব্যাগ নিয়ে বেশ খানিকটা হেটে, বাড়বকুন্ড বাজারে এসে রিক্সা পেলাম। কেমিক্যাল কমপ্লেক্স এ যাবেন ? ভাড়া কত ? কত সময় লাগবে ? বাইরের লোক, রিক্সাওয়ালা বুঝে গেলেও তাকে দরদাম ও হাঁ/না বলার সুযোগ না দিয়ে সীটে বসলাম। এরই মধ্যে সিসিসি’র নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বাড়বকুন্ডে আমার আসার কথা জানিয়েছি।
উঁচু-নীচু কাদাপানির রাস্তা। ৫ মিনিটে নতুন কর্মস্থলের গেটের সামনে হাজির। ২০ টাকা ভাড়া পেয়ে রিক্সাওয়ালা অবাক হয়ে আমাকে দেখছে ! যতদূর মনে পড়ে, নিরাপত্তা প্রহরী, মিঃ আবু তালেব ডিউটিতে ছিল। আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করে, কার কাছে যাবেন ? বল্লাম, আমি এখানে বদলী হয়ে এসেছি। গেস্ট হাউজে যাবো। মিঃ আবু তালেব আমাকে বল্ল, এইতো পাশেই স্যার, আসেন।
গেটের সামনে থোক্ থো্ক কাদা-পানি পেড়িয়ে তাকে নিয়ে মনোরম পরিবেশে দাড়িয়ে থাকা পুরোনো এক দোতলা ভবনের ভিতর ঢুকলাম। আসসালামু আলাইকুম, বলে দোতলা থেকে লম্বা ও সুদর্শন এক যুবক নীচে নেমে এলেন। মিঃ নুরুল আমিন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তার সাথে কুশলাদি বিনিময়ের পর তিনি আমাকে দোতলার এক রুমে নিয়ে এলেন।
বেশ গরম। ফ্রেস হলাম। শুনলাম অফিস চলছে। মিঃ নুরুল আমিন-কে নিয়ে অফিসের দিকে হাটছি। দু’পাশে প্রায় কাধ পরিমান উঁচু ঝোপ-ঝাড়, জঙ্গল। মাঝে পিচ করা রাস্তা। উৎস্যুক মনে দশ মিনিট হেটে প্রশাসন ভবনে এলাম। প্রথমেই পরিচিত হলাম চমৎকার মিষ্টভাষী ও দৃঢ় ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন শ্রদ্ধেয় অতিরিক্ত প্রধান ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও প্রশাসন বিভাগীয় প্রধান, আ. ন. ম. শরীফুল আলম স্যারের সাথে। তাঁর উষ্ন্ম আন্তরিকতায় মুগ্ধ হলাম। মনে পড়ে গেল এমনি এক সদা প্রাণময় ও অমায়িক প্রশাসক, বিআইএসএফ এর প্রশাসন বিভাগীয় প্রধান, মোঃ ফজলুল হক স্যারের কথা। পরিচয় হলো সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জনাব রতন কুমার মল্লিক এর সাথে। পরবর্তীতে তিনি এবং মিঃ নুরুল আমিন এর সাথে কাজ করে বুঝেছি, এরা প্রকৃতই প্রশাসনিক কাজে রত্ন বিশেষ! দক্ষতা-বিচক্ষনতা-সততায় অতুলনীয় এক সম্পদ। সার্বিক প্রশাসনে আরও পেলাম, প্রিয় জামান, জসিম, বিমল, তাহের, মোহন, অনিক, মন্টুকে। পরে প্রমান পেয়েছি, তারা প্রত্যেকেই অসাধারন দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং সৎ ও ভালো মানুষ। নিরাপত্তা শাখা ও সেখানে কর্মরতদের সাথে পরিচিত হয়েছি পরদিন।
এদিন বিকেলেই ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়, মোঃ লুৎফর রহমান স্যারের কাছে যোগদানপত্র পেশ করলাম। প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে সিসিসি-তে আমার ঠাঁই হলো।
প্রায় ৫৫ বছর পূর্বের গেস্ট হাউজে বড় একটি ভিআইপি সহ 6 টি রুম। দুই সীট বিশিষ্ট 6 নং কক্ষের একটি সীটে অতিরিক্ত প্রধান চিকিৎসক, ডাঃ স্বদেশ বর্মন থাকেন। তাঁর পাশেরটিতে আমার ব্যবস্থা হলো ।
জুলাই মাস। প্রচন্ড গরম। রুমের ছাদের অবস্থা জরাজীর্ণ। সারাক্ষন বালু-সুরকি, এটা-সেটা মশারীর উপর পড়ছে।
রাত ৮ টার দিকে মিঃ নুরুল আমিন আমাকে ডরমেটরীতে নিয়ে এলেন। চলাচলের রাস্তায় কোথাও ২ ফুট, কোথাও বা ৪ ফুট দেখা যায়। কোমর সমান উঁচু জঙ্গল। জিঙ্গেস করায় আমিন সাহেব বল্লেন, জঙ্গলের সাথে কিছুতেই পেরে উঠা যায় না। প্রতিনিয়ত কাটা হয়। কাটা’র কয়েকদিনের মধ্যেই আবার যা, তা-ই। এরপর সাপ-জোঁকের অভাব নেই! তার প্রমান অবশ্য পরে পেয়েছি। সাপ-জোঁকের কথায় ভয়ে-শঙ্কায় আতকে উঠলাম!
যাক্ ডরমেটরীর খাতায় নাম লেখালাম ৩৪ তম কর্মকর্তা হিসেবে। ৭ জন কর্মকর্তা এর দোতলায় থাকেন। অন্যেরা বিভিন্ন আবাসিক ভবনে বসবাস করেন। ১৬/১৭ জন এখানে নিয়মিত খান। দোতলার কোনার একটি রুমকে ডাইনিং হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাবুর্চি রয়েছে একজন। আজ রাতের মেনু ডাল, ফার্মের মুরগী। আমি একটা ডিম পোজ চাইলাম। ডাল-ডিমপোজ দিয়ে রাতের খাবার সেরে 9 টার দিকে গেস্ট হেউজে এলাম।
রাত ১১ টার আগে কখনও ঘুমানো হয়না। নতুন ও অপরিচিত পরিবেশ। ঢাকা’র ছেড়ে দূরে এলেও তেমন সমস্যা বোধ করছিনা। আর ছেলেরা এখনতো অনেক বড়! গেস্ট হাউজের এ রুম থেকে বাইরের কিছুই দেখা যায়না। না আকাশ, না মাটি! ফ্যানের গতি মোটমুটি, কিন্তু গরমের সাথে কুলিয়ে উঠার মত নয়।
শরীরে ক্লান্তি ভর করছে। মোবাইল বের করে অন-লাইনে এলাম।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ওখানে এখনো আছেন?

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম ঝরনা দেখতে গেছেন। গিয়েছিলাম একবার ঝরনা দেখতে। ওখানে রয়েল সিমেন্টে জব করতাম, যদি হ্যাড অপিসে ছিলাম, ওখানে ফেক্টরী।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ভ্রমন।

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: পড়লাম- ভাল লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.