নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তায় মুক্ত - ভাষায় প্রকাশে ভীত , কল্পনার সীমানা মহাকাশ ছাড়িয়ে - বাস্তবতায় পা বাড়াই না সীমানার বাহিরে

শান্তনু চৌধুরী শান্তু

কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোষ্টমার্টম অফ ‘ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সেভেন’

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

আমি কোন কালেই ‘ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস ’ মুভি সিরিজের ফ্যান ছিলাম না । তবে সবই দেখা আছে । আজ এইচ ডি প্রিন্টের ‘ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সেভেন’ দেখলাম । আগ্রহ নিয়েই দেখলাম । তার কারণ মুলত দুটি । এক এর ট্রেইলরটি আমার দেখা অন্যতম সেরা একটি ট্রেইলর । দুই এটি প্রয়াত পল ওয়াকার এর সর্বশেষ ছবি ।
.
যথারীতি তুমুল অ্যাকশনে ভর্তি । আর ষ্টান্টগুলো রীতিমত চোখ ধাঁধানো । তবে আমার ভালো লেগেছে এর ষ্টাটিং টি । একদম চমক দিয়েছে । ৭টির মধ্যে সবার সেরা ষ্টাটিং । এছাড়াও গাড়ি নিয়ে ১০ হাজার ফুট উপর আকাশ থেকে জাম্প করা , আবুধাবির সুউচ্চ বিল্ডিং থেকে গাড়ি নিয়ে জাম্প করে এক বিল্ডি থেকে আরে বিল্ডি থেকে আরে ফুঁড়ে বেরিয়ে আসার মত এত চিত্তাকর্ষক ও আনকমন অ্যাকশন আমি আগে দেখিনি ।
.
কেউ অ্যাকশন মুভির বিগ ফ্যান তাকে এই মুভি পরামার্শ রইলো । মূলত এত আনকমন অ্যাকশন দৃশ্যের কারণে এই মুভি মাত্র ১৭ দিনে ১০০ কোটি ডলার ঘরে তুলেছে ।
.
ভালো খারাপ মিলিয়ে বলতে গেলে গড়ে হিসেবে আমি বলবো - মুভিটি আমার ভালো লাগেনি । প্রথম কারণ হল মুভিটি দীর্ঘ ২ ঘন্টা ১৮ মিনিটের । দুই , সেই পুরানো কাহিনী বন্ধু মৃত্যুর প্রতিশোধ । তিন ,এর আগের ৬টিতে এত অ্যাকশনের মাঝে বাস্তবতার অস্তিত্ব ছিল কিন্তু ৭ নাম্বারটি যেন আগের ৬টির সব বাস্তবতাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে ।
.
২৫০ কিঃমিঃ গতি একে অন্যের দিকে তেড়ে আসে ইচ্ছাকৃত সংঘষ করে অথচ কেউ বিন্দুমাত্র আহত হয় না । তাদের কেবল মাথা ঘুরে এই যা । পাহাড় থেকে ইচ্ছাকৃত লাফ দেয় । পুরো গাড়ি চুরমাচুর হয়ে যায় কিন্তু বিন্দুমাত্র কিছু হয় , কেবলই মাথা ঘুরে । অথচ পরিচালক যেন ভুলেই গিয়েছিলেন পল ওয়াকার তার ফেরারীতে ২৫০ গতিতেই এক্সিডেন্ট করে মারা যান ।
.
সে যাইহোক । পুরো মুভির সেরা পার্ট কোনটি ? প্রশ্নে আমার উত্তর হবে শেষ ১০টা মিনিট । টেরোটো বিদায় না নিয়েই চলে যাচ্ছিল । পল ওয়াকার এসে তাকে থামালো । বলল - আমার থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাবে বন্ধু ? পল এর চোখে এক পলকের জন্য পানি চিকচিক করে উঠলো । চেহারায় দুঃখিত ভঙ্গিমায় হাস্যজ্বল অন্য কারো হাসি ।
.
পল ওয়াকার এই দৃশ্যটি চিত্রায়নের আগেই মারা গিয়েছিলেন । এই অংশটি চিত্রায়িত হয় পল ওয়াকারের ছোট ভাইকে দিয়ে । পার্থক্য বুঝার উপায় নেই । পার্থক্য কেবল হাসির প্রাণ নিয়ে ।
.
রেষ্ট ইন পিস পল ওয়াকার

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ফার্স্ট এন্ড ফিউরিয়াস এইটের সুটিং শুরু হয়ে গেছে| আগামী বৎসর রিলিজ করবে| আপনাদের দোয়ায় আমিই পরিচালনা করছি| দেখবেন কিন্তু

২৮ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: আমাকে একটা রোল দিয়েন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.