নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তায় মুক্ত - ভাষায় প্রকাশে ভীত , কল্পনার সীমানা মহাকাশ ছাড়িয়ে - বাস্তবতায় পা বাড়াই না সীমানার বাহিরে

শান্তনু চৌধুরী শান্তু

কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তু\'স মুভি রিভিউ- মুভি রিভিউ "দ্যা রেলওয়ে ম্যান" (স্পয়লার এলার্ট)

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

"দ্যা রেলওয়ে ম্যান" ২০১৪ এ মুক্তি পাওয়া ১ ঘন্টা ৫৬ মিনিটের একটি ছোট্ট ছোট মুভি । Jonathan Teplitzky পরিচালনায় ও Collin Firth, Nicole Kidman এর অভিনীত সত্য ঘটনার অবলম্বনে একটি অসাধারণ মনমুগ্ধকর মুভি ।
.
এরিক লুমেক্স এই কাহিনীর নায়ক । ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জাপানীজদের হাতে ধরা পরা বৃটিশ রেডিও ম্যান এরিক লুমেক্স। বৃটিশ মালায়া তথা বর্তমান মালয়েশিয়া - সিঙ্গাপুর থেকে আটকৃত আরো হাজারো সৈন্যের সাথে ট্রেনে করে এরিক লুমেক্সকেও পাঠানো হয়েছিল বার্মা-থাইল্যান্ড সীমান্তে রেল স্থাপনের কাজে।
.
সেখানে গোপনে কয়েকজনের সাথে রেডিও বানিয়ে বৃটিশ সরকারের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করে এরিক লুমেক্স । ঘটনাটি ধরা পরে যায় জাপানিদের কাছে। আর সেই অপরাধে এরিককে পশুর খাচায় ঢুকানো সহ বিভিন্ন কায়দায় টর্চার করা হয় তাকে। আর সেই টর্চার সেলের তদারকির দায়িত্বে ছিল জাপানি অফিসার নাগাসী।
.
যুদ্ধ শেষ হয় । জিতে মিত্র বাহিনী । কিন্তু এরিকের মনের ভিতরের যুদ্ধ শেষ হয় না । মাঝেই মাঝেই সেই স্মৃতি বাস্তবের মত জীবন্ত হয়ে উঠে নিজেকে আটকাতে পারে না । যুদ্ধের সেই দিনের মত চিৎকার কাঁদতে থাকে । নিজেকে নিজেই শাস্তি দিতে থাকে ।
.
এরিক এর কষ্ট তার স্ত্রী সহ্য পারে না । নিজে থেকে তার এই রোগ নিরাময়ের জন্য চেষ্টা করতে থাকতে এবং একদিন অবাক হয়ে জানতে পারে অফিসার নাগাসী এখনো জীবিত ! ! অফিসার নাগাসী যুদ্ধ অপরাধীর বিচার এড়িয়ে থাইল্যান্ডে ২য় বিশ্ব যুদ্ধ নিয়ে নির্মিত একটি যুদ্ধ যাদুঘর পরিচালনা করছে ।
.
এরিকের স্ত্রী নাগাসীর ঠিকানা যোগাড় করে এরিকের হাতে দেয় , সাথে দেয় একটি ছুরি । যেন এরিক নিজ হাতে নাগাসীকে হত্যা করে তার দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটায় ।
.
চল্লিশ বছর পরও নাগাসী ঠিক ঠিকই চিনতে পারে এরিককে। যখন সকল জাপানি সৈনিকদের বন্দি করা হচ্ছিল, তখন নাগাসী মিত্র বাহিনীকে বলেছিল সে দোভাষীর কাজ করে আর কিছু না । এরিক তাতে রেগে গিয়ে নাগাসী ওকে যেভাবে টর্চার করেছিল নাগাসীকেও সেই ভাবে টর্চার করতে চাইলো
.
মুভির সবচেয়ে ইন্টারেষ্টিং পার্ট হলো এরিক তাকে ক্ষমা করে দিলো ! ! সারাটা জীবন যার মৃত্যু কামনা করে আসছে সেই নাগাসীকে সে হত্যা করতে পারলো না।
.
নাগাসীকে সে কেন মারলো না ? একটি গাঢ় মনস্তাত্ত্বিক প্রশ্ন তাই উত্তরটি আপেক্ষিক । আমার কাছে তার উত্তর হলো - নাগাসীকে সে হাতে পেয়েছে এটাই যথেষ্ট । যুদ্ধে দুজনেই যে যার দায়িত্ব পালন করছিল মাত্র । তাছাড়া এই যুদ্ধের আঘাত কেবল এরিক একা পায়নি , নাগাসীও পেয়েছে । নাগাসী বিবেক তাকে বারে বারে ভেতর হতে হত্যা করেছে ।
.
সিনেমার শেষ পযার্যে দুজনেই যে যার পথে বেড়িয়ে পড়লো । এরিকের মুখে ছিল যুদ্ধ জয়ী এক সৈনিকের হাসি আর নাগাসীর মুখে ছিল এক পরাজিত জাতির প্রতিচ্ছবি ।
.
.
.
মুভিটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত । পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিক্রিত অটো বায়োগ্রাফী দ্যা রেলওয়ে ম্যান হতে এই মুভিটির সৃষ্টি । নাগাসীকে ছেড়ে দেওয়ার পর নাগাসী এরিককে একটি চিঠি লিখেন । সেখানে উনি উনার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন । পরবর্তী জীবনে এরিক ও নাগাসী খুব ভালো বন্ধু হন । নাগাসী ২০১১ তে মারা যান এবং এরিক অক্টোবর ২০১২ সালে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

এহসান সাবির বলেছেন: দারুন একটু মুভি।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫৩

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.