নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তায় মুক্ত - ভাষায় প্রকাশে ভীত , কল্পনার সীমানা মহাকাশ ছাড়িয়ে - বাস্তবতায় পা বাড়াই না সীমানার বাহিরে

শান্তনু চৌধুরী শান্তু

কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি “জীবন”কে দেখাতে এসেছি - Lennart Nilsson

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৮



নোটটা হঠাৎই ঝোঁকের বসে লিখে ফেলা । এই জন্য Nefertiti Chowdhury নামের এই মানুষটার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ । তার লিখাতেই আমি ফোটোগ্রাফার Lennart Nilsson কে প্রথম খুঁজে পাই । তার ছবিগুলো দেখতে গিয়ে আমি পুরোই মুগ্ধ । মানুষটা কেবল ১২টা বছর, সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত এক শিশুর জন্মের সবকিছুই ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ছবি তুলে ফটোগ্রাফিকে আরেকটি উচ্চতায় তুলে নিয়ে যান । তাকে ও তার এই ছবিগুলো নিয়ে টাইম ও লাইফ ম্যাগাজিন একাধিকবার ফিচার করেছে ।


ছবিগুলো খুব মনযোগ দিয়ে দেখলাম । কোন বিভৎস কিছু নেই, এগুলো যেন আর্ট । নস্টালজিয়া হয়ে পড়লাম । বহুদিন আগে এবোরশন করতে চাওয়া এক রমনীর কথা মনে পড়লো । সে তার প্রেমিককে (আমার বন্ধুর বন্ধু ) বলেছিল -"আমাদের দুজনের কলমের আচঁরে এই শরীর গভীরে এক অসাধারণ ছবি আঁকা হচ্ছেআর আমরা তাকে উপচে পড়া কালির কালিমা মনে করে তাকে নিষ্ঠুর ভাবে ঘষে তুলে ফেলতে চলেছি" । আজ তার কথাটুকু হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি । যেন অনুভব করছি । (পরবতীতে তাদের বিয়ে ও ডিভোর্স হয়) ।

যে যাইহোক , এই Lennart Nilsson নামের মানুষটার জন্ম সুইডেনের strangnas তে ১৯২২ সালে , ২৪ শে আগস্ট। তার বাবা ও চাচা দুজনেই ফটোগ্রাফার । তাঁর বয়স যখন ১২ তখনই তিনি তাঁর প্রথম ক্যামেরা পান । সেই থেকে তার চলা শুরু । আজকালকার ফটোগ্রাফারদের মতো কেবল মেয়েদের ছবি না তুলে তিনি প্রথম থেকে আলাদা কিছু তোলার চেষ্টায় ছিলেন । তার ফল সরুপ তার সবচেয়ে সেরা কাজদ্বয় - The Saga Of Life & Miracle of life ।



Lennart Nilsson সম্পর্কে আরো বিস্তারিত - https://en.wikipedia.org/wiki/Lennart_Nilsson

এই অংশটুকু Nefertiti Chowdhury থেকে তুলে দিলাম - " মানুষের ক্ষেত্রে একজন পরিণত নারীর ডিম্বাশয়ে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বানু সৃষ্টি হয় তেমনিভাবে একজন পরিণত পুরুষের শুক্রাশয়ে প্রতি মিনিটে দুই হাজার শুক্রাণু সৃষ্টি হয়। যখন একটি ডিম্বানু হাজার হাজার শুক্রাণু থেকে একটি শুক্রাণুকে সূযোগ দেয়।সেই শুক্রাণু ঐ ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে নিষিক্তকরন ঘটে এবং জাইগোট সৃষ্টি হয়।সেই জাইগোট বার বার বিভাজিত হয়ে ভ্রুণ এর জন্ম হয়।সেই ভ্রুণ একসময় ফিটাস এ রুপ নেয়।সেই ফিটাস নানা পরিবর্তন এর দ্বারা একসময় শিশুতে পরিণত হয়। ।এই শিশু এই পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হবার পর তাকে দেখে বাবা মা আত্মীয় পরিজন আবেগে আপ্লুত হন। অথছ কত দীর্ঘ পথ পরিক্রমা শেষে একটি ডিম্বানু আর শুক্রানু যা খালি চোঁখে দেখা যায়না মিলিত হয়ে মায়ের জরায়ুতে অবস্থান করে শিশুতে পরিণত হচ্ছে। সত্যিই অদ্ভুত এই সৃষ্টি জগৎ। নিলসন ১২ বছর সময় নিয়ে মায়ের গর্ভে ডিম্বানুর সাথে শুক্রাণুর নিষেক, জাইগোট, ভ্রূণ এবং ফিটাস এর খুব সন্নিকটস্থ ফটো তুলেছেন।"

ভিডিও ফিচার https://www.youtube.com/watch?v=G3tKnhIJ3VI

কথা আর বাড়াবো না ।
জীবনকে দেখুন ।
মুগ্ধ হন ।
তাদের কালিমা মনে না করে বাঁচতে দিন ।
ছবি সমূহ-





জীবন কতই না সুন্দর ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩

সৈয়দ হাসানুজ্জামান (নয়ন) বলেছেন: কত র্দীঘ পথ পরিক্রমায় মহান মানব সৃষ্টি । সৃষ্টির পর কর্মের জন্য কেউ হয় উৎকৃষ্ট আবার কেউ নিকৃষ্ট । বিচিত্র এই মানব ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: বিচিত্র বলেই মানুষ সুন্দর :)

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারন ..

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ :)

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: দেখার জ্য আপনাকে ও ধন্যবাদ :)

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১২

দ্য হাফ ব্লাড প্রিন্স বলেছেন: বাকরুদ্ধ!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: এটলিষ্ট লিখতে তো পারছেন :)

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: +++++

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

উইশবার্ড বলেছেন: অনেক দারুন

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ :)

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

রাশেদ রাহাত বলেছেন: পটোগুলো দেখে বড়ই আবেগি হয়ে যাচ্ছি। এখন শুধু কিছু মাস অপেক্ষা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: মাথার উপর দিয়ে গেলো :(

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শাহরিয়ার বাপন বলেছেন: simply better than the best.

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ :) :)

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: অসাধারণ শেয়ার । খুব ভাল লাগলো ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৪

প্রামানিক বলেছেন: অসাধারন একটি পোষ্ট। ধন্যবাদ

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ :) :)

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: চমৎকার শেয়ার।

ছবিগুলি দেখলাম মুগ্ধ হয়ে।

১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২২

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: মানুষের মাঝে প্রকৃতিকে খোঁজার আরো একটা মিল পাওয়া গেল। শেয়ার করে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শান্তনু চৌধুরী শান্তু ,


-"আমাদের দুজনের কলমের আচঁরে এই শরীর গভীরে এক অসাধারণ ছবি আঁকা হচ্ছে আর আমরা তাকে উপচে পড়া কালির কালিমা মনে করে তাকে নিষ্ঠুর ভাবে ঘষে তুলে ফেলতে চলেছি" । এই অতুলনীয় বাক্যটি যার কন্ঠ নিঃসৃত তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার সাথেই কন্ঠ মিলিয়ে বলি , আসলেই মানুষ বিনির্মান এক অদ্ভুত আর জটিল চিত্রকলা । অসাধারন এই ছবির প্রতিটি তুলির টান ।

শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ । ছবির সাথে ছবির বর্ণনা থাকলে সবার বুঝতে সহজ হতো বোধহয়।

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৮

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: সত্য আমরা ভীষণ নির্মম ।

১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩২

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: পড়লাম বুঝলাম না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.