নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Doctor, Photo-enthusiast, Movie-buff, Music-addict, Pluviophile, Poetry-lover, Cat-Person, Nyctophile, Traveloholic
একটি দৃশ্য কল্পনা করুন। ধরুন, আপনার ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বরে আক্রান্ত। কিংবা ধরুন, আপনার ফুড পয়জনিং হয়েছে। আপনি মুড়ি-মুরকির মত অ্যাজিথ্রোমাইসিন বা সিপ্রফ্লক্সাসিন খেয়েই চলছেন। কিন্তু, কোন কিছুতেই জ্বর কমছে না, কিংবা পায়খানা বা বমি কোনটাই বন্ধ হচ্ছে না। ধীরে ধীরে এই সামান্য জ্বর কিংবা ডায়রিয়াতেই আপনি মারা যাচ্ছেন।
কী, বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়?
কিন্তু, এখন সচেতন না হলে অচিরে এ ঘটনাই ঘটবে বিশ্বে। কারণ, “অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স”।
কেন এই রেজিস্ট্যান্সঃ
* কোন যুক্তিযুক্ত কারণ বা রোগ ব্যাতীত এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতীত যখন ইচ্ছে যেভাবে ইচ্ছে মনের মাধূরী মিশিয়ে মুড়ির মত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন।
* রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রাইবকৃত অ্যান্টিবায়োটিকের ফুল কোর্স ওষুধ শেষ না করা। উদাহরণস্বরূপ, ৭ দিনের কোর্স দিলে ২-৩ দিন পর একটু সুস্থ অনুভব করলে ওই ওষুধ আর কন্টিনিউ না করা।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালে প্রতি ৩ সেকেন্ডে ১ জন মানুষ মারা যাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে WHO আগামী ১৪-২০ নভেম্বর পৃথিবীব্যাপী Antibiotic Awareness Week পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ‘এন্টিবায়োটিক সচেতনতা আন্দোলন’ নামে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে BSMMU এর ফার্মাকোলজি বিভাগের বৈজ্ঞানিক সহায়তা ও তত্বাবধানে। উদ্যোগ ও সমন্বয়ে প্ল্যাটফর্ম এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে সাথে আছি।
আসুন আজ থেকেই সচেতন হই। পরিবারকে সচেতন করি।
* অনুগ্রহ করে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতীত অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।
* পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে সুস্থ হয়ে গেলেও ফুল কোর্স শেষ করবেন।
#আমি_এন্টিবায়োটিক_সচেতন
আপনি সচেতন তো?
#World_Antibiotic_Awareness_Week
#platform #প্ল্যাটফর্ম
#I_am_antibiotic_aware
১৪ ১১ ১৬
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি এমন একজন মহিলার কথা জানি, যিনি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তিরিশটি এজিথ্রোমাইসিন খেয়েছেন। কিন্তু তার ইনফেকশন ভালো হয় নাই। পরে স্বামীর সাথে ভারতে গেছেন চিকিৎসা করতে।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখা। ধন্যবাদ
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
আশরাফ ও নীল বলেছেন: আপনি যে সচেতনতার গরুর কথা বললেন, সেই গরুর অস্তিত্ব তো গোয়ালে দেখলাম না। ওষুধ কোম্পানিগুলো কোন অবস্থাতেই এ ধরণের সচেতনতা তৈরি হতে দেবেনা - তাহলে তাদের ব্যবসায় লালবাত্তি জ্বলবে।
ওষুধ কোম্পানি গুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছে এই এন্টিবায়টিক। এগুলোর উতপাদন খরচ অষুধপ্রতি ২৫/৫০ পয়সার বেশি না হলেও কোন এন্টিবায়োটিকই বর্তমান বাজারে ৩০টাকার কমে পাওয়া যায়না। এই লাভের টাকা দিয়ে এরা ডাক্তারকে গাড়ি ফ্ল্যাট গিফট করে নয়ত সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া ঘুরিয়ে আনে।
আর ডাক্তার সর্দির প্রেসক্রিপশনে লিখলে আপনি নাদানের কি সাধ্য সেই ওষুধ না কিনে ভিজিটের টাকা জলাঞ্জলি দেওয়া?
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫
আনিসা নাসরীন বলেছেন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ পাওয়া যায় দেখে এখন কিছু হলেই এন্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলে সবাই।