নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বপ্ন দেখি সত্যের, সুন্দরের। যেখানে সবাই আশা ছেড়ে দেয় আমি সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। অপেক্ষা করতে চাই শেষ পর্যন্ত। তাইতো আছি পরিশেষের অপেক্ষা্য...

পরিশেষের অপেক্ষায়

আমি একজন মুসলমান কিন্তু সবধর্মের মানুষকেই ভালবাসি কারণ আমরা সবাই এক আল্লাহর সৃষ্টিl আমি আমার দেশ ও দেশের মানুষকে খুব ভালোবাসি।

পরিশেষের অপেক্ষায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌম্য-সাব্বির এবং বদলে যাওয়া টাইগাররা

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

বিশ্বকাপের বিশ্বমঞ্চই নাকি বিশ্বতারকাদের উথানের মঞ্চ হয়ে থাকে। সেই আশায়ই হয়ত বিশ্বকাপের আগের সিরিজেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল সৌম্য সরকার আর সাব্বির রহমানকে। ফলাফলটা যেন হাতেনাতেই পাচ্ছে টাইগাররা।

প্রথমেই সৌম্যের কথায় আসা যাক। বিশ্বকাপে অনেকটা সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবেই সুযোগ পেয়েছিলেন। সুযোগ ছিল সুযোগটাকে কাজে লাগানোর। মাত্র একটিই ফিফটি করতে পেরেছিলেন, কিন্তু তার পচিশোর্ধ্ব ইনিংগুলোর প্রত্যেকটা যেন তারুন্যের শক্তিরই প্রতিচ্ছবি ছিল।

ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের সাথে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসলেও বড় ইনিংস খেলা হয়নি। হলো তৃতীয় ম্যাচে, শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং করা সৌম্য ক্রমেই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন। প্রতিপক্ষ কাপ্তান আজহার আলীকে বিশাল ছক্কা মেরে মাত্র ৯৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আবির্ভাবের গর্জনটা জানিয়ে রাখলেন সবাইকে।

সাব্বিরের গল্পটাও প্রায় একই রকম। অনেক দিন ধরেই নাম্বার ৭-৮ এর জন্য একজন মারুকটে ব্যাটসম্যানের অভাবটা বোধ করছিল বাংলাদেশ। ঘরোয়া লিগের এই নিয়মিত হার্ড-হিটার পারফর্মারকেই তাই বেছে নেওয়া হয়েছিল শেষের ওভারগুলোতে ঝড় উঠানোর জন্য।

বিশ্বকাপেই জানা গিয়েছিল এই পিঞ্চ হিটারের উথান। তারপর প্রস্তুতি বিসিবি একাদশের হয়ে সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানকে প্রায় একাই হারিয়ে দেন তিনি। পাকিস্তান সিরিজে অন্যদের পারফর্মেন্সে ব্যাটিং করার সুযোগ মিলল না বললেই চলে। সুযোগ পেলেন টি-টুয়েন্টিতে। করলেন বাজিমাত। দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে সাকিবের সাথে ১০৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন। আর পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধোনা করে মাত্র ৩১ বলে ফিফটি করে জানিয়ে দিলেন ব্যাট হাতে ওই ২২ গজে তার রাজত্বই চলবে।

বলছিলাম সৌম্য আর সাব্বিরের গল্প। দলে আসার পরে বাংলাদেশের গল্পটাও যেন অনেকটাই পাল্টে গেছে। টাইগারদের বডি ল্যাংগুয়েজ দেখেই বোঝা যায় জয়ের জন্য কতটা মরিয়া হয়ে খেলে তারা। প্রতিপক্ষ কে সেটা নিয়ে টাইগারদের ভাবনা এখন অনেক কম থাকে। আর ক্রিকেটে এই শারীরিক ভাষার মানসিকতাই বদলে দেয় ম্যাচের দৃশ্যপট।

ক্রিকেটে একটি দলের ধারাবাহিক সাফল্যের পিছনে ফিল্ডিংয়ের কথা বলতেই হয়। ফিল্ডার হিসেবে বলতে গেলে সাব্বির বর্তমানে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে সেরা ফিল্ডার। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের অসামান্য দক্ষতা আর দুর্দান্ত থ্রোয়িং ব্যাটসম্যানদের রান নিতে দুবার ভাবায়। কম যাননা সৌম্যও, সীমানায় বা ত্রিশ গজ যেখানেই হোক তার হাত থেকে বল ফাকি দেওয়াটা অত সহজ নয়।

যা বলছিলাম, বিশ্বমঞ্চে বিশ্বতারকাদের উথান হয়। তাহলে কি সৌম্য আর সাব্বির আমাদের ভবিষ্যতের বড় তারকা হতে যাচ্ছেন?
হয়ত উত্তরটা দেওয়ার জন্য এখনো উপযুক্ত সময় আসেনি। সময়ের কাছেই নাহয় তোলা রইল উত্তরটা। আপাতত আমরা নাহয় বাংলাদেশকে নিয়েই মেতে উঠি...বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.