নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বপ্ন দেখি সত্যের, সুন্দরের। যেখানে সবাই আশা ছেড়ে দেয় আমি সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। অপেক্ষা করতে চাই শেষ পর্যন্ত। তাইতো আছি পরিশেষের অপেক্ষা্য...

পরিশেষের অপেক্ষায়

আমি একজন মুসলমান কিন্তু সবধর্মের মানুষকেই ভালবাসি কারণ আমরা সবাই এক আল্লাহর সৃষ্টিl আমি আমার দেশ ও দেশের মানুষকে খুব ভালোবাসি।

পরিশেষের অপেক্ষায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসি সাকিব, ভালোবাসি ৭৫

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৬

কেন জানি হঠাৎ করেই সাকিবের কথা মনে হয়ে গেল। ভাবলাম এই ছেলেটা কিভাবে পারে? ওয়ানডে, টেস্ট আর টুয়েন্টির অলরাউন্ডার আলাদা রেংকিংয়ের শীর্ষস্থানে যেতেই যেখানে বিশ্বের তাবৎ অলরাউন্ডারদের দম ফুরিয়ে যায়, সেখানে সাকিব ব্যাপারটাকে পানিভাত বানিয়ে ফেলেছেন।
.
ওয়ানডেতে আর টেস্টে তো জায়গাটা রীতিমতো অলিখিত ভাবে নিজের নামে পেটেন্ট করে নিয়েছেন। একমাত্র বাদ থাকা টুয়েন্টিতেও চলতি বছর রেংকিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন। আর গড়েছেন একসাথে তিন ফরম্যাটে রেংকিংয়ের নাম্বার ওয়ান হওয়ার বিশ্বরেকর্ডস!
.
হ্যা এটা একমাত্র সাকিব বলেই সম্ভব হয়েছে এবং শুধুমাত্র সাকিব বলেই সম্ভব।
.
একমাত্র সাকিব আছে বলেই আমরা স্বাদ নিতে পেরেছি নাম্বার ওয়ান হবার। মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতের বাংলাদেশ আজ এই পর্যন্ত এসেছে দলীয় প্রচেষ্টায় তবে টাইগারদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র যে সাকিব আল হাসানই সেটা বলাই যায়
.
এই সাকিব আল হাসান আছেন বলেই অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারতের ধারাভাষ্যকাররা একজন টাইগারের প্রশংসায় গলার রগ ফুলায়, ক্রিকেট বিশ্বের যেকোনো প্রান্তেই আমরা সাকিব সাকিব বলে গর্জন আর চিৎকার শুনতে পাই,
.
এই সাকিবটা আছে বলেই বিদেশীদের কণ্ঠে “ইট'স অ্যা গুড মুভ। দ্যা নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার ইজ হেয়ার, নাথিং টু ফিয়ার” এর মত বাক্য শুনতে পাই
.
ওয়াটসন-ধোনিদের সামনে গিয়ে আগের বলের জবাবে যখন রিঅ্যাক্ট করে কিংবা পাকি মারখোর রিয়াজের কথার বিপরীতে সাকিব যখন ওর টুটি চেপে ধরতে যায় তখন মনে হয় রাস্তায় আমার সামনে দাড়িয়ে ঐ ছেলেটা যখন অপরাধ করে তখন আমি চুপ করে থাকি কেন ?
.
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি এই বাংলাদেশে লাল-সবুজের বিজয় নিশান উড়ানোর জন্য সাকিবদের মত কিছু পাগলা এখনো আছে বা থাকবে বলেই হয়ত সুকান্ত ভট্টাচার্যরা লিখে গিয়েছিলেন-
.
“শাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী
অবাক তাকিয়ে রয়
জ্বলে-পুড়ে-মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।”
.
হ্যা.. সাকিব নামটাতেই আলাদা একটা শক্তি আছে, আছে খানিকটা অনুপ্রেরণা, আছে কিছুটা উদ্দীপনা দেওয়ার ক্ষমতা, আছে মানুষকে তাতিয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা, আর আছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার একটা প্রবণতা
.
“সবচেয়ে বড় কথা সাকিব মানে যুদ্ধে যাওয়া কিংবা যুদ্ধ করা নয়, বরং সাকিব মানে যুদ্ধ জয় করার আনন্দ”
.
সাকিব মানে হচ্ছে একজন ভালোবাসার মানুষ, যাকে ইচ্ছামত ভালোবাসা যায় কিন্তু সেই ভালোবাসার অনুভূতিকে কোনো ভাষায়ই লিখে প্রকাশ করা যায়না
.
এখন থেকে ঘড়ির ঘন্টার কাটাকে ৭৮৮৮৮ বার পিছনে নিলে অথবা হাতঘড়িতে থাকা মিনিটের কাটাকে বামদিকে ৪৭৩৩২৯৩ মিনিট ঘুরালে কিংবা সেকেন্ডের কাটার ২৮৩৯৯৭৬০২ বার টিকটিক শব্দ কেটে দিলে যেই মুহূর্তটা পাওয়া যাবে তা হলো সাকিবের আল হাসানের অভিষেক!
.
আজ থেকে দিনের হিসেবে ৩২৮৭ দিন, মাসের হিসেবে ১০৮ মাস কিংবা ক্যালেন্ডারের ৪৬৯ বৃহস্পতির আগের ৬ই আগস্টে জিম্বাবুর হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে মাঠেই বিশ্ব ক্রিকেটের এই তারার উদয়বাণী শোনা গিয়েছিল!
.
এরপরের গল্পটা যেন একটা ইতিহাস! হারতে হারতে জমে যাওয়া টাইগারয়ানদের জন্য প্রশান্তির বাতাস হয়ে আবির্ভূত হলেন সাকিব। একের পর এক দুর্দান্ত পারফর্ম করে একে একে ওডিআই, টেস্ট আর টুয়েন্টির বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ক্যাপ মাথায় নিলেন
.
এই নয় বছরে একে একে সব পরাশক্তিকে মাটিতে নামিয়ে এনে হারিয়েছে বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্তান আফ্রিকার মত ক্রিকেটীয় আভিজাত্য সমৃদ্ধ দেশগুলোকে বাঘের ডেরায় বাঘের তীব্র হুঙ্কার, ভয়ঙ্কর গর্জন আর ভয়াল থাবা বসিয়েছে
.
২০০৬'এর সেদিনের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এর মধ্যে পার্থক্যটা খালি চোখে দেখলেই আকাশ-পাতাল। সেদিনের মাঠে নামার আগে হেরে যাওয়া টাইগাররা আজ বলে কয়ে প্রতিপক্ষকে বাংলাওয়াশ করে। আর এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের নিউক্লিয়াস হিসেবেই আছেন মাগুরায় জন্ম নেওয়া মাশরুর রেজার সন্তান ২০০৬ এর সেই ছোট্ট ফয়সাল!
.
দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে ৯টি বছর, এতদিনে হিমালয়ের অনেক বরফ নদীতে মিশেছে, পদ্মা- মেঘনা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বহু জল, বাংলাদেশ দলে অনেক নতুন মুখ এসেও হারিয়ে গেছে, কিন্তু সাকিব আল হাসান ঠিকই টিকে রয়েছেন অমিয় চক্রবর্তীর অনন্ত অক্ষত মূর্তির মত “এক টুকরো বাংলাদেশ” হয়ে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.