নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বপ্ন দেখি সত্যের, সুন্দরের। যেখানে সবাই আশা ছেড়ে দেয় আমি সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। অপেক্ষা করতে চাই শেষ পর্যন্ত। তাইতো আছি পরিশেষের অপেক্ষা্য...

পরিশেষের অপেক্ষায়

আমি একজন মুসলমান কিন্তু সবধর্মের মানুষকেই ভালবাসি কারণ আমরা সবাই এক আল্লাহর সৃষ্টিl আমি আমার দেশ ও দেশের মানুষকে খুব ভালোবাসি।

পরিশেষের অপেক্ষায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুক বন্ধ, জীবন নয়। আস্থা রাখুন, বিশ্বাস রাখুন, আলো আসবেই...

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

দুপুর থেকে ফেসবুক বন্ধ, আমি ফেসবুকের নিয়মিত ইউজার তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে কিন্তু মানিয়ে নিচ্ছি। অনেকেই আছেন যারা ফেসবুকে বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক কাজে জড়িত আছেন তাদের সমস্যা হচ্ছে অস্বীকার করছিনা। যারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর সাথে জড়িত তাদের আরও সমস্যা হচ্ছে মানছি।

কিন্তু সামুতে অনেককেই দেখলাম শুধুমাত্র মতপ্রকাশ এর দোহাই দিয়েই রীতিমতো ধুয়ে ফেলছেন। এক্ষেত্রে আমার কিছুটা দ্বিমত আছে। এটা চিরস্থায়ী ভাবে বন্ধ করা হয়নি, সাময়িক ভাবে হয়েছে। হয়ত দেখা যাবে কাল সূর্য ডোবার আগেই আবার শুরু হয়ে গেছে।

ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করায় লেখালিখি যারা করেন তাদের সমস্যা হচ্ছে কিন্তু এর জন্য আপনি যদি মতপ্রকাশ করতে বাধা বা কন্ঠস্বর রোধ করা হচ্ছে টাইপের কিছু ভাবেনন তাহলে আমার কাছে ব্যাপারটা অতিমাত্রায় বিপ্লবী টাইপের কিছু মনে হয়ে যায়

আমাদের দেশের সমস্যা প্রচুর, পৃথিবীর আর কোনো দেশে এতো ‘বিবিধ সমস্যা’ দেখা যায় কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আবারো বলছি, আমি শুধু সমস্যার কথা বলছিনা ‘বিবিধ সমস্যার কথা বলছি’।

আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ যেটা আমাদের ৭১ এর স্বাধীনতা আমরা পেলেও তারই কিছু কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

যুদ্ধাপরাধ বিষয়টা তারই একটা অংশ। সরকার বা রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা নিয়োজিত আছেন এই ব্যাপারে আমি তাদের পক্ষে নিয়েই বলতে চাই যে, অন্তত এই একটা বিষয় নিয়েই সরকারকে কম চাপ সামলাতে হচ্ছে না। দেশি - বিদেশী কিছু সুপার পাওয়ারকে সামলাতে হচ্ছে, একদিকে দেশের জামাত সহ আরও কিছু শক্তি এর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর বিরোধিতা করছে।

সীমান্ত নিয়েও সমস্যার কথাও সবার অজানা না। তিনদিকে ভারতের ভারত আর একদিকে বঙ্গোপসাগর হওয়ায় ‘পালানোর পথ নাই‘ টাইপের না চাইলেও পড়তে হবে এমন সমস্যার মাঝে আছি। ভারতীয় আধিপত্য দিন দিন বেড়েই চলছে, সীমান্ত হত্যা আর সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কথা আর স্মরণ করিয়ে দিতে চাইনা।

তার উপর আবার নাস্তিক - আস্তিক, ধর্মান্ধ ধর্মহীনতার মত নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় কিছু বিষয় নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি শেষ পর্যন্ত হত্যায় গিয়ে ঠেকে। এই বিষয়গুলো আমার কাছে স্রেফ অপ্রয়োজনীয় মনে হয় কারন আপনি যদি আপনার নিজের ধর্ম পালন করেন, অন্যের ধর্ম নিয়ে খোচা না দেন তাহলেই এইগুলা ৯৫% ভাগ বন্ধ হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।

দেশের শিক্ষার কি অবস্থা মনেহয় আপনি আমার চেয়ে অনেক ভালো জানেন। শিক্ষার হার কত, তার মধ্যে আবার সাক্ষরজ্ঞান ছাড়া শিক্ষার হার কিংবা শিক্ষিত লোক তারচেয়েও বড় কথা স্বশিক্ষিত লোকের সংখ্যা বলতে গেলে তাই লজ্জাটাও আপনাকেই পেতে হবে।

ট্রাফিক জ্যামের ব্যাপারটাও মাথায় রাখেন ডুই মিনিটের জন্য। আপনি চাইলেই মুহূর্তের মধ্যে তো দূরে থাক বছরের মধ্যেও ঢাকার ট্রাফিক সিস্টেম কন্ট্রোলে আনতে পারবেন না। কারন যতই রুল-রেগুলেশনের কথা বলেন না কেন কন্ট্রোলে আনতে হলে সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট যেটা সেটা হচ্ছে প্রশস্ত রাস্তা। আর ঢাকাতে প্রতিটি রাস্তার পাশেই ১০-২০ তালার বহুতল বিল্ডিং দাড়িয়ে গেছে। সো আপনি ইচ্ছে করলেও এগুলো ভেঙ্গে রাস্তা মোটা করার কাজে হাত দিতে পারবেন না।

চৌরাস্তার মোড়গুলোতে যদি ২৪/৭ ঘন্টা কন্টিনিউয়াস ট্রান্সমিশন সিস্টেম উদ্ভাবন না করেন তাহলে অফিস, স্কুল কলেজ টাইমে জ্যাম কোনোভাবেই সড়ানো যাবেনা। অথবা বাইরের শহরগুলোতে উন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থা তৈরি করে ঢাকার গাড়িগুলোকে ‘বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া’ টাইপের কিছু যদি করা যায় তাইলে হয়

আবার বিএনপি আওয়ামীলীগ দন্দ্ব অন্যদিকে এন্টি পাকিস্তান নাকি এন্টি ভারত কোনটা বেশি হওয়া উচিত এই নিয়েও দ্বন্দ্ব। যেখানে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এখনো মেলেনি সেখানে তীব্র (আমি উগ্র বলছি না কিন্তু) জাতীয়তাবাদ দেখানোর সময় এখনো আসেনি মনেহয়। মজলুম জননেতা সম্ভবত বলেছিলেন ভোটের আগে ভাতের নিশ্চয়তার প্রয়োজন বেশি। আমরা সেই পর্যায়েই তো আছি নাকি?

মনেহয় একটু বেশিই বলে ফেলতেছি। যা বলার কথা ছিল তা থেকে সরে এসেছি। বলছিলাম হোয়াটসাপ ফেসবুকের অফ করার কথা।
যখন বলা হয়েছিল টিভিতে হরতালের পিকেটিং না দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল আমরা বলেছিলাম গোপন করা হচ্ছে কিন্তু পরবর্তীতে কিন্তু ঠিকই পিকেটিং বন্ধ হয়েছিল।

এরপর যখন এইবারের এইচ এস সির সময় হরতালেও পরীক্ষা চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তখন দ্বিমত থাকলেও এখন কিন্তু হরতালের গ্রহনযোগ্যতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে বা আসতে বাধ্য হয়েছে।
এরপর পেট্রোল বোমা বন্ধে ভাইবার অফ করায় যাদের ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল এরপরে কিন্তু পেট্রোল বোমার নিউজে খুব কমই ঘুম ভেঙ্গেছে বা ভাঙ্গেনি বললেই চলে...

এইবারের ব্যাপারটাও তেমন। মনে রাখতে হবে আমাদের ৪৪ বছরের প্রতিক্ষার অবসান ঘটেছে, এবার শুধু অপেক্ষার পালা। এতো বড় একটা অর্জনে তৃপ্তির ঢেকুর না তোলে ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার নিজের সাময়িক অসুবিধার জন্য আফসোস করাটা মে বি বোকামি...

এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পতিত দেশের মাঝে সবচেয়ে বড় আতংক আইএস এর ব্যাপারটা ভুলে গিয়েছিলাম। একটা কথা কি আইএসের মতো সংগঠনগুলোর যোগাযোগ নিয়েও কিন্তু খানিকটা ভাবতে হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা নতুন কোনো সহিংসতা ভিত্তিক ইস্যু তৈরির মাধ্যমে এন্টি-যুদ্ধপরাধ বিচারীদের মোটিভ চেঞ্জ না করে জাস্ট ফেসবুক, হোয়াটসএপ বন্ধ করে তাদের দৃষ্টি কিছুটা সেই প্রসঙ্গ থেকে সরিয়ে আনা যায় তাহলে কিন্তু খুব একটা মন্দ কাজ নয়...

তাই বলছি শান্ত থাকুন, দুইদিন নাহয় ফেসবুক অফ রাখলেন, অসুবিধা হবে কিন্তু মরে তো যাবেন না নাকি। আস্থা রাখুন, বিশ্বাস রাখুন, এগিয়ে যাচ্ছি এগিয়ে যাবো। আলো আসবেই কেননা আলো আসতে যে হবেই...

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ফেসবুক যার দরকার সে প্রক্সি চেঞ্জ করে চালাচ্ছে। আমার তো মনে হয় ৯৯% অলরেডি টেকনিক জেনে গেছে..

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০

বিষাক্ত মনির বলেছেন: একদিনের জন্য হাজতবাস কি হাজতবাস নয়?

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

মুক্তমনা মানব বলেছেন: হুম, রাজাকারদের বিচারের জন্য এক বছর ফেবু বন্ধ থাকলেও আমার আফসোস নেই।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

কলাবাগান১ বলেছেন: দুইদিন নাহয় ফেসবুক অফ রাখলেন, অসুবিধা হবে কিন্তু মরে তো যাবেন না নাকি। আস্থা রাখুন, বিশ্বাস রাখুন, এগিয়ে যাচ্ছি এগিয়ে যাবো। আলো আসবেই কেননা আলো আসতে যে হবেই...

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: যাদের জন্য এসব বন্ধ রাখা তারা হয়তো আরেকটা পথ ঠিকই খুজেঁ নিবে ।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দুর্দান্ত বলেছেন । অামি বুঝিনা বাঙালি ফেসবুকে কী মধু পেয়েছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.