নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বপ্ন দেখি সত্যের, সুন্দরের। যেখানে সবাই আশা ছেড়ে দেয় আমি সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। অপেক্ষা করতে চাই শেষ পর্যন্ত। তাইতো আছি পরিশেষের অপেক্ষা্য...

পরিশেষের অপেক্ষায়

আমি একজন মুসলমান কিন্তু সবধর্মের মানুষকেই ভালবাসি কারণ আমরা সবাই এক আল্লাহর সৃষ্টিl আমি আমার দেশ ও দেশের মানুষকে খুব ভালোবাসি।

পরিশেষের অপেক্ষায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ, আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

বাংলাদেশ একটি স্বপ্নপতাকার নাম, একটি রক্তপতাকার নাম। এই একটি দেশ, একটি পতাকার জন্য আমাদের ত্রিশ লাখ বীরযোদ্ধা তাদের মহামূল্যবান প্রান বিলিয়ে দিয়েছেন। দুই লাখ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য। অসংখ্য মা তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানদের যুদ্ধ করতে পাঠিয়েছিলেন, দেশকে স্বাধীন করতে পাঠিয়েছিলেন। তারা মায়ের কথা রেখেছিল, শত্রুর বুলেটের সামনে দাড়িয়ে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে লিখেছিল একটি নাম, একটি দেশ, একটি বাংলাদেশ।

মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি শুকরিয়া জানাই আমাকে এমন একটি দেশে জন্ম নেওয়ার সৌভাগ্য দান করার জন্য।

পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত যে দেশগুলো প্রথম দেখাতেই আপনার মন কেড়ে নিতে সক্ষম তার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম সারিতেই থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি এই দেশের নাগরিক বলে নয়, বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমার দেশের সৌন্দর্য বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো সৌন্দর্য পিপাসুদের মনে স্নিগ্ধময় অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে। এই পর্যটন খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। আমি চাইবো যেন বাংলাদেশ তার রূপবৈচিত্রকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করে কিংবা বর্তমান পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে আরও সম্প্রসারিত করে সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে নিজেকে ভ্রমনের জন্য আদর্শ দেশ হিসেবে গড়ে তোলবে। কক্সবাজার, সুন্দরবন, রাঙ্গামাটি, নীলাচল, নীলগিরি, বগা লেক, পতেঙ্গা, হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ, কুয়াকাটা, ছেড়া দ্বীপ কাপ্তাই, সেন্টমার্টিন, ফয়'স লেক এইরকম আরও অনেক স্থান আছে বাংলাদেশে যা দেশের পর্যটনশিল্পকে অনায়াসেই নেতৃত্ব দিতে পারে।

অর্থনৈতিক মুক্তি না দিতে পারলে কোনো জাতিই তার স্বাধীনতার স্বাদ নিতে পারেনা। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এখনো দেশের অনেক সংখ্যাক লোক অর্থনৈতিক মুক্তি তো দূরে থাক, মৌলিক চাহিদাগুলোও ঠিকভাবে পূরন করতে পারেনা। আমি অর্থনীতির ছাত্র নই তাই অর্থনীতির মারপ্যাঁচ এতো বুঝিনা। তবে যেটুকু বুঝি বা জানি তা হলো ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ নামক অর্থনীতির এই উপাদানটি আমাদের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। আমাদের দেশের জনসংখ্যার একটা নির্দিষ্ট অংশ তাদের সর্বোচ্চ কর্মক্ষম অবস্থায় আছে। অর্থাৎ জনসংখ্যার সবচেয়ে বেশি শতাংশ এখন তরুণদের দখলে। আর এই অবস্থাটা কোনো একটি দেশ বা জাতির জীবনে একবারই আসে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম চাইলে দেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে দাড়াতে পারে আমি শুধু সেই স্বপ্ন্বেই বিভোর না থেকে তরুণদেরকে তাদের মেধা কাজে লাগানোর জন্য অনুরোধ করছি।

আইনের শাসন একটি রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সামগ্রিক আইনগত অবস্থা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সামর্থ্য, তাদের সার্ভিস, বিচার প্রক্রিয়া ও তার স্বচ্ছতা ইত্যাদি নিয়েই গড়ে উঠে আইনের শাসন। দেশের যতই উন্নতি হোক না কেন, যদি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকে তাহলে সেটা হবে যেন মৃত লাশের উপর আইশ্যাডো দিয়ে সাজানোর মত বৃথা চেষ্টা। বৈশ্বিক সন্ত্রাস, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, ধর্মীয় সন্ত্রাস ইত্যাদি নিয়ে আমাদের দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন মোটেও ভালোনা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, রাজন হত্যার দ্রুত বিচার এই ক্ষেত্রে আশার কথা হলেও স্বপ্ন দেখাতে যথেষ্ট নয়। আদালতে ঝুলে থাকা লক্ষ লক্ষ অপ্রয়োজনীয় বা কম প্রয়োজনীয় মামলা গুলোকে অতি দ্রুত বিনাশ বা নিষ্পত্তির আওতায় আনতে হবে। মোবাইল কোর্ট স্থাপনের মাধ্যমে ছোট ছোট অপরাধের দ্রুত বিচার করতে হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, লোকবল বাড়াতে হবে, বিশেষ কাজের জন্য বিশেষ বাহিনী বা দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে সম্পূর্নরূপে ঢেলে সাজাতে হবে, মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। পুলিশের মধ্যে দুর্নীতিকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। সাহসীদের পাশাপাশি সুশিক্ষিত ও যোগ্য লোকদের কাছে দায়িত্ব দিতে হবে।

যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে আছে এবং এই খাতে প্রচুর কাজ করার প্রয়োজন আছে। দেশের রাজধানী শহরে ঢাকার বাসিন্দাদের কাছে ‘ট্রাফিক জ্যাম’ বা ‘যানজট’ রীতিমতো আতংকের নাম। আশার কথা হচ্ছে বেশকিছু ফ্লাইওভার নির্মাণসহ আরও বেশকিছু উদ্যোগের কারনে সমস্যা অনেক কমে এসেছে। তবে তিনরাস্তা বা চৌরাস্তায় যদি ২৪/৭ ঘন্টা ‘ননস্টপ ট্রান্সমিশন সিস্টেম’ তৈরি না করা যায় তাহলে এই সমস্যা সমাধান করা খুবই দুষ্কর হয়ে যাবে। অন্যদিকে দেশের বেশকিছু মহাসড়ক ইতোমধ্যেই নতুন করে ওয়ান ওয়ে মুভমেন্ট সিস্টেমে তৈরি করা শুরু হয়েছে। আশা করছি পুরো দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতির মাধ্যমে আমাদের মূল্যবান সময়ের অপচয় রোধ হবে।

শিক্ষাকে বলা হয় জাতির মেরুদণ্ড, কেন বলা হয় তার বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন নেই। কারন আমরা এখন তা টের পাচ্ছি খুব ভালোভাবেই। তবে আমি সুস্পষ্টভাবেই শিক্ষার স্থলে জোর দিয়ে সুশিক্ষা বলতে চাই। কারন যদি শিক্ষিত লোক যদি দুর্নীতিবাজ হয় তাহলে এমন শিক্ষার দরকার নেই। প্রতি বছরই আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আসছে। আমিও বিশ্বাস করি পরিবর্তন দরকার, কেননা আমরা এখনো শিক্ষার একটা স্ট্যান্ডার্ড লেভেল তৈরি করতে পারিনি। তবে পরিবর্তন এভাবে না করে নীতি নির্ধারকরা একটু ধীরস্থির ভাবে চিন্তা ভাবনা করে একটা রোল মডেল দাড় করাক, তারপরে সেটা বাস্তবায়ন করুক। তাতে যদি ২-৩ বছর সময়ও লাগে তবুও সেটাই করা উচিত। আমি ৫ম শ্রেণির সমাপনীর ঘোর বিরোধি। কেননা এই সময়ে তাদের মানসিক বিকাশের সর্বোচ্চ সময়। তাদের থিংকিং এবেইলিটি এই সময়েই গড়ে উঠে। তাদের হেসেখেলে কাটানোর সময় এটি। পড়াশোনা নয়, নৈতিকতা শেখার সময় এটি। এই সময়ে যদি তাদের উপর একগাদা বইয়ের পাশাপাশি একটি পাবলিক পরীক্ষা ঢুকিয়ে দেই তাহলে তাদের উপর প্রচন্ড চাপ পড়ে।

অন্যদিকে ভার্সিটি লেভেল হলো ক্রিটিক্যাল মাইন্ড তৈরি করার কারখানা। আমার মাঝে আফসোস লাগে এমন দেখে যে, যে ছেলেটা ম্যানেজমেন্ট এর প্রতি প্রবলভাবে আগ্রহী ভর্তি পরীক্ষার মারপ্যাচে পড়ে তাকে হয়ত ফিন্যান্সের মত জটিল সাবজেক্ট পড়তে হচ্ছে। আবার যে ছেলেটা ফিন্যান্সে দক্ষ তাকে হয়ত ম্যানেজমেন্ট বিষয়ের বই গিলতে হচ্ছে। আমি কোনোভাবেই ভর্তি পরীক্ষার বিরুদ্ধে বলছিনা, ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া যোগ্যদের যোগ্য স্থানে নিয়ে আসা সম্ভব না। আমি বলছি শুধু সাবজেক্ট চয়েজ এর কথা। ভার্সিটি নিশ্চিত হওয়ার পরে সাবজেক্ট চয়েজ মেধানুসারে চাপিয়ে না দিয়ে কিছুটা সময় নিয়ে হলেও সমন্বিত ভাবে কোনো ব্যবস্থা করা গেলে সেটা অবশ্যই ভালো হবে বলে বিশ্বাস আছে।

আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে ভাববার জন্য, নিজেদের আপন সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। আমরা এখন এক প্রকার সাংস্কৃতিক দোটানায় আছি। নিজেদের সংস্কৃতিকে হাসিমুখে বরণ করেও নিচ্ছিনা আবার ছুড়ে ফেলে দিতেও পারছিনা। ভারতীয় কিংবা পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে নিজেদের ঠিকভাবে মানিয়ে নিতেও পারছিনা আবার সেটা ছাড়া চিন্তাও করতে পারছিনা। বিজাতীয় সংস্কৃতির কালোছায়া পড়েছে কিন্তু এখনও আমরা তা গ্রহন করিনি। এখনই যদি আমরা বর্জন না করি তাহলে সেটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে যাবে যা থেকে চাইলেও আমরা বেরিয়ে আসতে পারবোনা। তবে এর জন্য সবার আগে নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে। সবার জন্য গ্রহনযোগ্য করে রিপ্রেজেন্ট করতে হবে। তাহলেই সম্ভব হবে ভারতীয় ও পাশ্চাত্যের অশ্লীলতায় ভরা সংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে মুক্ত হওয়া।

আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ থাকবে সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশীদের জন্য নিরাপদে। সকল প্রকার ধর্মীয় গোঁড়ামি, বিদ্বেষীতা, উগ্রতা, উস্কানি, সন্ত্রাস ও রাজনীতি মুক্ত। যেখানে সকল ধর্মের, সকল বর্ণের, সকল গোত্রের মানুষ একই ছাতার তলে নিরাপদে বসবাস করে নিজের ধর্ম পালন করবে। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কেউ কারো ধর্ম পালনে বাধা দিবেনা, বরং সকল প্রকার ধর্মীয় কুসংস্কারমুক্ত হয়ে একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি ‘মানুষ’ হিসেবে বেচে থাকবে। একজনের ধর্মচর্চা অন্যজনের ধর্ম পালনে ব্যাঘাত ঘটাবে না বরং পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতামূলক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলবে অন্তত আমি এমন স্বপ্নই দেখি।

আমাদের দেশে এখন প্রচুর সমস্যা তারপরেও আমি প্রচন্ডভাবে আশাবাদী। আমি স্বপ্ন দেখি এই কারনে না যে, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। বরং আমি দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি কারন এই দেশের স্বপ্ন ছিল বলেই একদিন বিশ্বের অন্যতম প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীকে আমাদের দেশের কৃষক-শ্রমিকেরা তাদের লাঠিসোঁটা দিয়েই পরাজিত করেছিল। আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের দেশে একদিন এতো সমস্যা থাকবেনা। সেদিন হয়ত আমাদের কিবোর্ডে স্বপ্নের বাংলাদেশ থাকবে না। কেননা সেদিন আমাদের চোখের সামনেই ভাসবে সোনার বাংলাদেশ, আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০

প্রবালরক বলেছেন: পাকিস্তান সেনাবাহীনির বর্বর আক্রমনের হাত থেকে বাঁচতে প্রানভয়ে বাংলাদেশ থেকে এক কোটি শরনার্থীদেরকে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়। ভারত তাদেরে ভাত দেয় মাথা উপরে আচ্ছাদন দেয়, প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করে। ভারত তাদেরে ট্রেনিং ও অস্ত্র দেয়, বিশ্বব্যাপী কুটনৈতিক সহযোগীতা দেয়। প্রবাসে সরকার গঠনে সহায়তা দেয়। আবার সেই সরকার বিরোধী মুজিব বাহীনি তৈরী করে দেয়। এবং দেশ স্বাধীন হবার পর আরো কিছু দেবার জন্য মুখিয়ে থাকে। সুতরাং সমাজের বিভিন্ন স্তরে ভারত-দরদী ঢুকিয়ে দেবার এবং বাংলাদেশে একটা অনুগত সরকার বসিয়ে দেবার সুবর্ন সুযোগ পেয়ে ভারত তা হাতছাড়া করেনি।

পুরো নয় মাস ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অফিসারের ছাড়পত্র ছাড়া প্রবাসী সরকারের একটা বিবৃতি প্রকাশেরও স্বাধীনতা ছিলনা। প্রবাসী সরকার এবং মুক্তিবাহীনি/যৌথবাহীনির অজ্ঞাতে তিব্বতী গেরিলাদেরকে ব্যাবহার করে বহু কভার্ট অভিযান চালানো হয়। তারা জলযান, সেতু, যোগাযোগ ব্যাবস্থা, চা বাগান, পাটকল অকেজো করার মিশন বাস্তবায়ন করে। ভবিষ্যৎ স্বাধীন বাংলাদেশ যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে তার স্থায়ী ব্যাবস্থা তখনই সেরে রাখা হয়।

বাংলাদেশের নেতৃত্ব জনগনকে সবসময় অবাস্তব স্বপ্ন দেখিয়ে এসেছে। তাদের দেখানো স্বপ্নের পথ ধরে
বাংলাদেশের জনগন স্বপ্নচারীর মত অবাস্তব স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অনুভুতি নিয়ে গর্ববোধ করে! ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে বলে জোর প্রচারনা চলে। এটা সত্য নয়। সত্য হল পাকিস্তানের দখল থেকে ভারত বাংলাদেশকে নিজেদের দখলে নিয়েছে। তেমন জানাজানি হয়নি যে ব্যাপারটা - স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক আগে থেকে ভারত পুর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক প্রভাব তৈরী প্রক্রিয়ায় জড়িত থেকে পুর্ব বাংলার অসন্তোষকে সফলতার সাথে স্বাধীনতার দিকে প্রবাহিত করে দেয়। ভারতের তৈরী করে দেয়া অনবরত উস্কানির মুখে গোবর-মস্তিস্ক সম্পন্ন পাকিস্তানী সেনাবাহীনি পাতা ফাঁদে পা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করে তারপর হেরে পূর্ব পাকিস্তানকে ভারতের অধীনতায় ছেড়ে দিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সংক্ষেপে - যুদ্ধ শুরু করে পাকিস্তান শেষ করে ভারত। যুদ্ধে ভারতের জয় হয়। আর বাংলাদেশ দাবার ঘুঁটির মত ব্যাবহৃত হয় মাত্র।

পরাজিত পাকিস্তানী সেনাবাহীনি ভারতীয় সেনাবাহীনির কাছে আত্মসমর্পন করে। সে আত্মসমর্পনের দলিলের এক কোনায় "যৌথবাহীনি" "বাংলাদেশ" শব্দ গুলি শোভাবর্ধন করেছিল। কিন্তু তা তামাশা ছাড়া আর কিছু ছিলনা। কারন কার্যত তা কোন গুরুত্ব বহন করেনা।

ঘুরিয়ে বলা যায়, ভারত পুর্ব পাকিস্তান দখল করে নেয় এবং বাংলাদেশে আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা দরদীদেরকে ব্যাবহার করে চাতুর্যের সাথে বাংলাদেশ নামকরন করে। তাই খালি চোখে ধরা পড়েনা যে প্রচারের জোরে বাংলাদেশীদের মনে এমন একটা স্বপ্নের মত ভাব জাগানো হয় যে বাংলাদেশ স্বাধীন এবং সার্বভৌম, বাস্তবে যে তা নয় তা সারা পৃথীবি জানে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের আকাঙ্খা নিয়ে লক্ষ লক্ষ শহীদ জীবন উৎসর্গ করে। পরিশেষে দেখা গেল বাংলাদেশ আসলে বিজিত জাতির দেশ। বিজয়ী দেশটি এদের উপর যা-খুশী শর্ত চাপিয়ে দেয়। ন্যায্য হিস্যা প্রদানে ভ্রুক্ষেপও করেনা।

স্তরে স্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ভারত-দরদীরা সফলতার সাথে ৫০ বছরেও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে দেয়নি॥ নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, সংসদীয় বিভাগ, প্রতিরক্ষা, প্রচার মাধ্যম প্রতিটি ক্ষেত্র এখনো সভ্যতা বিবর্জিত ও আশ্চর্য রকমের দুর্বল ও ভঙ্গুর।

বাংলাদেশ এখন বন্ধু সেজে থাকা অদৃশ্য এক দখলদার বাহীনির দখলে। জাতীয় নীতি কি হবে, নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কি হবে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন ক্ষেত্রের নানারকমের বিধিমালা ভারতীয় স্বার্থের অনুকুল করে গড়ে তোলার 'মহান' প্রয়াস দৃশ্যমান। মানবাধিকার, জাতীয় উন্নতি, গন উন্নয়নের কোন স্থান রাষ্ট্রীয় চিন্তাধারায় নেই। দুর্নীতি এবং অপরাধের প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যাবহার করে দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ ও অপরাধীর পক্ষ নেয়। নিজের দেশের উপর নিজের দেশের জনগনের উপর এমন নির্মম হত্যাকান্ড আর নির্যাতন চালিয়ে যেতে পারে কোন ধরনের কোন মানসিকতা? লুটেরা দখলদারীর সন্ত্রাসী মানসিকতা। পাকিস্তানী জান্তার মত পশ্চাৎপদ সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা যা ব্রিটিশরা চালায় ভারতীয়দের উপর। পশ্চিম পাকিস্তানীরা চালিয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের উপর। চেঙ্গিস খান চালাত জয় করা রাজ্যে। আর এখন বাংলাদেশের অবৈধ আত্মমর্যাদাজ্ঞানহীন সরকার জবরদখলদারদের দালাল হয়ে বাংলাদেশে চালায় ক্ষমতার লোভে।

সত্য খুব তিক্ত।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৯

পরিশেষের অপেক্ষায় বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত পোষন করে লিখলাম-

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান আছে। শুধু এক কোটি বাংলাদেশীকে আশ্রয় ও খাওয়া-পরার ব্যবস্থাই না, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আর বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছেন শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। এমনকি মার্কিনীদের বিপরীতেও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালান তিনি।

বাঙ্গালী অকৃতজ্ঞ জাতি না, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন ভারতের এই অবদান শ্রদ্ধাভরেই স্মরণ করবে...

কিন্তু ইদানীং তাদের মিডিয়া, আর কিছু ভারতের এদেশীয় দালাল মুক্তিযুদ্ধ ভারতের দেয়া, ভারতের কারনেই বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে বলে ফলাও করে প্রচার করছে...

কিন্তু সম্মুখ যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা খুব বেশি বলা যাবেনা ..

৭১-এর ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের বিভিন্ন বিমান ঘাঁটিতেও বিচ্ছিন্ন আক্রমণ করে। তখন মন্ত্রিসভার ভাষণে ইন্ধিরা গান্ধী বলেন, “কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তান আমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছে। পাকিস্তানি বাহিনী আমাদের এয়ার ফিল্ড, অমৃতসার, পাঠান কোর্ট, শ্রীনগর, অবন্তীপুর, উতরলেট এবং আগ্রায় আঘাত হেনেছে। এতদিন ধরে বাংলাদেশে যে যুদ্ধ চলে আসছিল, তা ভারতের বিরুদ্ধে পরিণত হয়েছে।”

অর্থাত যতদিন ভারতকে এটাক করা হয়নি ততদিন তারা আমাদের সমর্থনের সহায়তা দিছে, সরাসরি যুদ্ধ করেনাই। কিন্তু তাদের এটাক করার পর মুক্তিযোদ্ধা দের সাথে যোগ দিয়ে পাক বাহিনীর পরাজয় তরান্বিত করে।

ভারত শুধু যুদ্ধের শেষদিকে অংশ নেয়, ভারত অংশ না নিলে হয়তবা তারিখটা ১৬ ই ডিসেম্বর হত না, কিন্তু বিজয়টা ঠিকই আসত...

হয়ত, একমাস, তিনমাস দেরী হত, কিন্তু আমরা যেহেতু হাসতে হাসতে প্রান দিতে শিখেছিলাম আমাদের বিজয় সুনিশ্চিতই ছিল..

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

পরিশেষের অপেক্ষায় বলেছেন: নিচের কথাগুলো আপনার কথার বিপক্ষে। আসলে বাংলাদেশের তখন কোনো সেনাবাহিনী ছিলনা যার কাছে জেনেভা কনভেনশন এর আন্ডারে পাকিরা আত্মসমার্পন করতে পারতো। আশা করি আর বিভ্রান্ত হবেন না। মিথ্যা না জেনে সত্যটা জানার চেষ্টা করবেন। ভালো থাকবেন আর মনে রাখবেন

একটা মিথ্যাকে ১০০ বার বললে, তা বড়জোড় সত্যের মত মনে হতে পারে। কিন্তু কখনোই সত্য হয় না। সত্য ধ্রুব। ১০০ হাত মাটির নীচে পুঁতে ফেললেও, তা বের হয়ে আসবেই

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

পরিশেষের অপেক্ষায় বলেছেন: ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযুদ্ধ ভারতের ষড়যন্ত্র!!

শিরোনাম দেখে আপনি বিভ্রান্ত হলেও, ঠিক এরকমটাই বিশ্বাস করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। আর এতে উত্তাপ দিচ্ছে একাত্তরের ঘাতক-দালাল আর রাজাকারি চেতনাধারী। স্বাধীনতার পর থেকেই এরা প্রচার করে আসছে –পাকিস্তান ভারতের কাছে সারেন্ডার করেছে। আর ভারতই নাকি ষড়যন্ত্র করে করিয়েছে এটা। ইচ্ছে করেই নাকি সেদিন মুক্তিবাহিনীর সিএনসি ওসমানীকে সারেন্ডার অনুষ্ঠানে থাকতে দেয়া হয়নি ...

কিন্তু আসলেই কি তাই? চলুন তাহলে দেখা যাক, কেন ওসমানি সেদিন অনুপস্থিত ছিলেন? আর কেনই বা পাকিরা মিত্রবাহিনীর অরোরার কাছে সেরান্ডার করলেন?

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে) আত্মসমর্পন করেছিল যৌথকমান্ডের অন্যতম অধিনায়ক জেনারেল অরোরার কাছে। আত্মসমর্পণের দলিলে জগজিত সিং আরোরা স্বাক্ষর করেন মিত্রবাহিনীর পক্ষে। দলিলের নীচে স্বাক্ষরের নীচে ইংরেজিতে আরোরার পদবি ছিল- General Officer Commanding in Chief, India and BANGLA DESH Forces in the Eastern Theatre. শিক্ষিত কোন ব্যক্তির এ শব্দটুকুর না বুঝার কোন কারণ নেই। আর বাংলাদেশের পক্ষে এই অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করেন মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (এয়ার ভাইস মার্শাল) একে খন্দকার। আরো উপস্থিত ছিলেন ২ নং সেক্টর (ঢাকা) কমান্ডার এ টি এম হায়দার।

যাইহোক, দেখা যাক কেন জেনারেল ওসমানী এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি-

১) ড. এ আর মল্লিক এর স্মৃতিচারণ, "তাজউদ্দিন আহমদ এর সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিলো। তাজউদ্দিন আহমদ আমাকে বললেন, দেখুন তো পাকিস্তান আর্মী সেরান্ডার করবে, প্লেন যাবে অথচ ওসমানি সাহেবকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি মনে হয় খুব রিলাকটেন্ট। এর কারণ কি তা বুঝা গেলনা। তিনি আমাকে বললেন, একটু খুজে দেখতে হবে। খোজাখুজি আমিও করলাম। কিন্তু পেলাম না। পরে শুনলাম যে তিনি এয়ারপোর্টে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে সিলেট চলে গেছেন কাউকে না জানিয়ে।" [১]
বস্তুত, ওসমানী ১১ ডিসেম্বর থেকে রণাঙ্গন সফরে বেরিয়েছিলেন। [২]

২) ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের তদানীন্তন চিফ অব স্টাফ লে. জেনারেল জে. এফ. আর. জ্যাকব এর বক্তব্য - Why was the Commander in Chief of the Bangladesh Army, General MAG Osmani, absent at the ceremony?

Jacob: There is a lot of propaganda about it. The fact is, he was in Sylhet. He was in a helicopter that was shot at by the Pakistan army. I had ordered everyone on the Bangladesh side to stay in Kolkata. But he rode the chopper, got shot and couldn’t attend the ceremony. It’s not our fault. He should have been there. We wanted him there. Khondkar attended in his absence. [৩]

৩) "জেনারেল ইয়াহিয়া জেনারেল মানেকশ’র নিকট একটি আবেদনে জানালেন যে, পাকবাহিনী আত্মসমর্পনে প্রস্তুত তবে তাদের শুধু একটি প্রার্থনা যে আত্মসমর্পন গ্রহন করবে ভারতীয় সেনানায়কেরা । কারণ ভারত জেনেভা কনভেনশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু জেনেভা কনভেনশনে সই করেনি তাই বাংলাদেশের জেনেরেলের নিকট আত্মসমর্পন করা সম্ভব নয় ।কারণ মুক্তিবাহিনী যদি প্রতিশোধমূলক হত্যা চালায় তবে আন্তর্জাতিক আইন বা জেনেভা কনভেনশন তাদের রক্ষা করতে পারবে না ।" [৪]

৪) ১৮ ডিসেম্বর ওসমানী সিলেট থেকে সদর দপ্তরে ফিরে আসেন। তাকে নিয়ে নানা গুজব শুনে ভীষণ ক্ষুব্ধ হন তিনি। তিনি নিজেই বলেন, “দেখুন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখ হলো স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে কোনো চেতনা এখনও জন্ম হয়নি। আমাকে নিয়ে রিউমার ছড়ানোর সুযোগটা কোথায়? কোনো সুযোগ নেই। তার অনেক কারণ রয়েছে। নাম্বার ওয়ান- পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কবে আত্মসমর্পণ করবে আমি জানতাম না। আমি কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাদের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব এসেছে।

নাম্বার টু- ঢাকায় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আমার যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এই সশস্ত্র যুদ্ধ ভারত-বাংলাদেশের যৌথ কমান্ডের অধীনে হলেও যুদ্ধের অপারেটিং পার্টের পুরো কমান্ডে ছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল স্যাম মানেকশ। সত্যি কথা হচ্ছে আমি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো নিয়মিত সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধানও নই। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুযায়ী পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমার কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারে না। কারণ বাংলাদেশ জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী কোনো দেশ নয়।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে জেনারেল মানেকশকে রিপ্রেজেন্ট করবেন লে.জে অরোরা। জেনারেল মানেকশ গেলে তার সঙ্গে যাওয়ার প্রশ্ন উঠতো। সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে আমার অবস্থান জেনারেল মানেকশর সমান। সেখানে তার অধীনস্থ আঞ্চলিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল অরোরার সফরসঙ্গী আমি হতে পারি না। এটা দেমাগের কথা নয়। এটা প্রটোকলের ব্যাপার। আমি দুঃখিত, আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধের বড় অভাব

ঢাকায় ভারতীয় বাহিনী আমার কমান্ডে নয়। জেনারেল মানেকশর পক্ষে জেনারেল অরোরার কমান্ডের অধীন। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করবে যৌথ কমান্ডের ভারতীয় বাহিনীর কাছে। আমি সেখানে (ঢাকায়) যাবো কি জেনারেল অরোরার পাশে দাড়িয়ে তামাশা দেখার জন্য? হাও ক্যান আই!

আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করবেন জেনারেল মানেকশর পক্ষে জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা আর পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে জেনারেল নিয়াজী। এখানে আমার ভূমিকা কি? খামোখা আমাকে নিয়ে টানা হ্যাচড়া করা হচ্ছে।

পাশাপাশি কেনো মুক্তিবাহিনীর কাছে পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পণ করেনি এটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ওসমানী সংক্ষেপে ব্যাপারটা এমন যে যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক নীতিমালা আছে যার অন্যনাম জেনেভা কনভেনশন। বাংলাদেশ এই কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয় বলেই সেই নীতিমালা মানতে মুক্তিবাহিনী বাধ্য ছিলো না। তাই তাদের হত্যা করলে বা তাদের উপর অত্যাচার করলে বলার থাকতো না কিছু। পাকিস্তানীরা জেনেশুনে সে ঝুকি নেয়নি। তাছাড়া ৯০ হাজার যুদ্ধবন্দীকে খাওয়ানো পড়ানো তদারক করার ক্ষমতাও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের ছিলো না। তখনও নিজের খাওয়াটাই যে জোটে না!” [৫]

কি বুঝলেন? গোয়েবলসের ‘বিগ লাই থিওরি’র মত স্বাধীনতা-বিরোধীদের এ প্রপাগান্ডার শিকার অনেকেই। একটা মিথ্যাকে ১০০ বার বললে, তা বড়জোড় সত্যের মত মনে হতে পারে। কিন্তু কখনোই সত্য হয় না। সত্য ধ্রুব। ১০০ হাত মাটির নীচে পুঁতে ফেললেও, তা বের হয়ে আসবেই।


এই কথাগুলো আপনার কথার বিপক্ষে। আসলে বাংলাদেশের তখন কোনো সেনাবাহিনী ছিলনা যার কাছে জেনেভা কনভেনশন এর আন্ডারে পাকিরা আত্মসমার্পন করতে পারতো। আশা করি আর বিভ্রান্ত হবেন না। মিথ্যা না জেনে সত্যটা জানার চেষ্টা করবেন। ভালো থাকবেন আর মনে রাখবেন

একটা মিথ্যাকে ১০০ বার বললে, তা বড়জোড় সত্যের মত মনে হতে পারে। কিন্তু কখনোই সত্য হয় না। সত্য ধ্রুব। ১০০ হাত মাটির নীচে পুঁতে ফেললেও, তা বের হয়ে আসবেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.