নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বপ্ন দেখি সত্যের, সুন্দরের। যেখানে সবাই আশা ছেড়ে দেয় আমি সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। অপেক্ষা করতে চাই শেষ পর্যন্ত। তাইতো আছি পরিশেষের অপেক্ষা্য...

পরিশেষের অপেক্ষায়

আমি একজন মুসলমান কিন্তু সবধর্মের মানুষকেই ভালবাসি কারণ আমরা সবাই এক আল্লাহর সৃষ্টিl আমি আমার দেশ ও দেশের মানুষকে খুব ভালোবাসি।

পরিশেষের অপেক্ষায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেস্পারেটলি সিকিং সবার মতামত!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

দেশের শিক্ষা রিলেটেড কোনো কিছু নিয়ে কথা উঠলেই আমরা সবাই যে কথা বলি সেটা হচ্ছে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রুটি আছে। আমাদের স্কুল কলেজ গুলোতে ভুল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের স্টুডেন্টদের প্রতিভাকে নষ্ট করে দিচ্ছি। তাদের মেধা নষ্ট করে দিচ্ছি। আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার সিস্টেম ভুল, ভার্সিটির এডমিশন সিস্টেম ভুল। উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন। ওরা ছাত্রদের সেরাটা বের করে আনে। সেখানে আমরা সব গোল্লায় ঢেলে দিচ্ছি।

আমি জানতে চাই যে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কি ত্রুটি আছে? নাকি সবাই বলে দেখে আমি আপনিও হুজুগের মতোই চিন্তা ভাবনা ছাড়া বলি। আর সত্যিই থাকলে সেই ত্রুটিগুলো কি কি বলে আপনি মনে করেন? আর আমাদের শিক্ষা কাঠামো কিরকম হওয়া উচিত? শিক্ষা ব্যবস্থার একটা রোলমডেল দাড় করিয়ে দেখিয়ে দিন যে এই এই জায়গাতে গলদ আছে, এই জায়গাতে এইভাবে করলে হবে না। এইভাবে না করে বরঞ্চ এইভাবে করা উচিত।

আমি এর আগে অনেককেই বলতে শুনেছি শিক্ষা ব্যবস্থা, পরীক্ষা সিস্টেম পরিবর্তন করার কথা বলতে। কিন্তু কেউই বলেনি যে পরিবর্তনটা আসলে কোন জায়গায় করা উচিত। কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নতি করা যায় আর টোটাল শিক্ষা প্ল্যানের একটা রোলমডেল দাড় করিয়ে দিতে। আমি এইখানে সবার সাহায্য চাচ্ছি শিক্ষার একটা মডেল জানতে চাচ্ছি। আমি শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন করে দিবো এমনটা কখনোই বলছি না, কিন্তু আমাদের মধ্যেই হয়তো কেউ কেউ পরবর্তিতে এই পলিসি মেকারের চেয়ারে বসে পড়বে। কে জানে হয়তো তাদের হাত ধরেই আসবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক সব পরিবর্তন...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

ফজলুভাই বলেছেন: আমাদের যে বই পড়ানো হয়, বইগুলা বিশ্বমানের না!!
একটা ছোট্ট কথা, আমাদের ইন্টার লেভেলের বায়োলজি বই এ ম্যাথ বলতে কিছু আছে? নাই, ম্যাথ ছাড়া আবার সাইন্স হয় কেমনে? সব মুখস্ত। এই জায়গায় ই আমরা অনেক পিছিয়ে বাইরের দেশ থেকে।এটা জাস্ট একটা ছোট্ট উদাহরন মাত্র যে আমাদের বইগুলার ক্ষেত্রে আমরা কতটা পিছিয়ে আছি।

এবার আসেন পরীক্ষার সিস্টেমে।
পিইসি/জেএসসি/এসএসসি/এইচএসসি - এগুলো দিয়াই তো হিসাব করা হয় কার মেধা কত, তাইনা? এগুলা পরীক্ষায় কি হয় না হয় আপনেও জানেন আমিও জানি! সবাই জানে।
ক্লাস সিক্স থেকে চলে সৃজনশীল, নামে খালি সৃজনশীল। ম্যাথ সৃজনশীল কিরকম হওয়া উচিৎ? আমি বেসিক জিনিষ টা বুঝবো, এর উপরে এক্সামে আসলে আমি ম্যাথ করবো, তাইনা? কিন্তু কোচিং এ তো এতগুলা সাজেশন দিয়ে দেয়, এর উপর পরিক্ষা হয়। সব সাবজেক্ট এ এক অবস্থা। সৃজনশীল টা হইল কই??

এক ম্যাট্রিক পরিক্ষার আগে সময় ২৬ মাসের মত, ইন্টার পরিক্ষার আগে ১৮/১৯ মাস!! কিন্তু ইন্টারের বই ম্যাট্রিকের ৫/৬ গুন, এর পরেই আবার ভর্তি পরিক্ষা!!
তো এটা ত্রূটিযুক্ত না তো কি??

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫২

রাজীব বলেছেন: সমস্যা স্কুল থেকে এবং তারও আগে পরিবার থেকে।
স্কুলে কোন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে (এখন থেকে শুধু ছাত্র লিখব) নিজের মত করে কিছু শিখতে দেয়া হয় না। একটি প্রশ্ন যদি কোন ছাত্র নিজের মত করে উত্তর দেয় তাহলে সেটিতে নাম্বার দেয়া হয় না, এবং শিক্ষক সেটি করতে নিষেধ করেন ও শিক্ষকের মত করে উত্তর লিখতে বলা হয়। ফলে সবাই হয় বাজারের গাইড বই ফলো করে অথবা কোন শিক্ষকের লেখা শীট ফলো করে। কিন্তু নিজে কিছু লেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এটি হয় প্রাইমারী স্কুল থেকেই।
আর পরিবার থেকে যা হয় সেটি আরো ভয়ানক। তারা নিজের সন্তানদেরকে হেনতেন কোচিং-এ ভর্তি করান, ভালো স্কুলের নামে কিছু তোতা পখীর ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি করান। এবং সন্তানের উপর পাহাড় সমান আশা ও লক্ষ্য চাপিয়ে দেন। এবং সব মুখস্ত করে হুবহু লিখার জন্য চাপ দেন।
আমাদের চার পাশে অনেক অনেক স্কুল কিন্তু মানুষ গড়ার কারখানা একটিও নয়।
আমার খুব শখ হয় শুধু মাত্র মেন্টর হিসেবে কোন কলেজে কাজ করতে।
কারন আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের থেকে স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছি। এখানে সবাই চায় ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার হতে কিন্তু কেউ লেখক, বিজ্ঞানী ইত্যদি হতে চায় না। নতুন কোন ঔষধ আবিস্কার করবে মেডিকেল নিয়ে গবেষনা করবে, কোন সফটওয়্যার বানাবে এসব কেউ ভাবে না। সবাই চায় বেশী বেশী টাকা কামিয়ে গাড়ি চড়তে। কিন্তু গাড়ির প্রযুক্তি উন্নত করবে বা গাড়ির বদলে নতুন কোন বাহন বানাবে এটি কেউ চায় না।
মোট কথা সবাই চিরাচরিত প্রথায় আটকে আছে, কেউ নতুন কোন স্বপ্ন দেখে না। আসলে আমরা আমাদের ক্ষমতা সম্পর্কে জানিই না। সেই সার্কাসের হাতির মত যাকে চিকন রশি দিয়ে ছাগল বাধার খুটির সাথে বেধে রাখা হয়েছে কিন্তু সে কখনো সেই খুটি ভেংগে রশি ছিরে চলে যাবার চেস্টা করেনা। কারন সে ভাবে তার সেই ক্ষমতা নেই। কারন ছোট বেলায়র তাকে শক্ত খুটির সাথে ছিকল দিয়ে বেধে রাখা হয়েছিল, সে সেটি ভাংগার চেস্টা করে বারবার পা রক্তাক্ত করেছে এবং পরিশেষে ভেবে নিয়েছে এই খুটির সাথে বাধা থাকাই তার নিয়তি। দিনে দিনে তার শরীর বড় হয়েছে। সে বিশাল শক্তিশলাী হাতি হয়েছে। কিন্তু মনের সেই ধারনা আর পরিবর্তন হয় নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.