নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাস্ট ক্লিক : http://unibangladesh.blogspot.com/

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া

দেশপ্রেমিক নিধিরাম সর্দার। স্বপ্নময় জীবন, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি।

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাণ-আরএফএল’-এর প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল (অব:) আমজাদ খান চৌধুরীর ইন্তিকাল

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের পথিকৃৎ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী ইন্তিকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ...রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিক্যাল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য এক মাস যাবৎ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আমজাদ খান চৌধুরীর ছোট ছেলে ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী তার বাবার মৃত্যুতে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তার বাবার মৃতদেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আনার পর সামরিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, আমজাদ খান চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৯ সালের ১০ই নভেম্বর নাটোর জেলার সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে। তার পিতা মরহুম আলী কাশেম খান চৌধুরী, মাতা মরহুমা আমাতুর রহমান। ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়। ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বহুগুণে গুণান্বিত আমজাদ খান চৌধুরী বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যিক সংগঠন যেমন- মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিইসি), ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইডিসিওএল), বাংলাদেশ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি, পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, তিনি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা), আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেন্স এডুকেশন প্রোগ্রাম (ইউসেপ) প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। দেশের অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি দেশের বেসরকারি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার এবং এ শিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে তিনি অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সমধিক পরিচিত। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার অবদান অনুকরণীয়।
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.