নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্পকার

গ্রিন জোন

গল্পকার

গ্রিন জোন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়েরা নীল অভিমানে (পর্ব এক)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০২

আগের মতো গ্রাম-গঞ্জ এখন শান্তির জায়গা নেই।
এখন আর গ্রামে যেতে বেশিদিন থাকতে ভাল লাগে না। গ্রামের চিরচেনা সবুজ আর মানুষের ভালবাসাগুলো যেন উধাও হয়ে গেছে বিলুপ্ত প্রাণির মতো। নাদী দাদী আর দাদার আদর আর পাওয়া যায় না।
নানা-নানীকে মামা-খালারা তেমন ভালবাসে না আর। সবাই কৃত্রিমতা নিয়ে ব্যস্ত।
এখন ভালবাসার রং নীল। সময়ের রংও নীল্। কোথাও অনাবিল আনন্দ আর নেই। রিতু, মহিন, সমিন অার হালিরা আর এক সাথে বেড়ায় না। ওরা ছোট মানুষ, তবুও যেন একা একা বেড়াতে পছন্দ করে।
মিল মহব্বত যেন বাচ্চাদের মধ্য থেকেও উঠে যাচ্ছে। ওরা একসাথে খেলা করে না। মাঠে ধানের ক্ষেতের ফুটবল খেলে না। খেঁজুর গাছে তরতর করে কোনো কিশোরকে আর সবাই মিলে খেঁজুর খেতে দিতে দেখা যায় না।
গ্রামের সবুজ গাছ-পালা আর সবুজ মনে হয় না। সবুজ গাছেরা যেন উত্তরপাড়ার বখাটে আলতাফের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছে। রমেনাকে ওই আলতাফ পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছিল। রমেনা কোনো দোষ ছিল না। তার অপরাধ আলতাফের কথা মতো গড়ের খালে নৌকায় ওঠেনি। তার সাথে একাকি নদীর ধারে বসেনি। আলতাফ একজন সিগারেটখোর যুবক।
রাজারহাটের মোড় ঘুরলেই সাত আট কিলো একটানা চলে আসা যায়। পথে কানাইতলার মাঠ পড়ে। ওই মাঠটা ডাকাতির মাঠ হিসেবে পরিচিত। রাত এগারটার পর আর রাজারহাট থেকে কানাইতলার মাঠ পার হওয়ার মতো কোনো সাহসি ড্রাইভার আছে বলে মনে হয় না। কত ডাকাত ওই মাঠে কত মানুষকে মেরেছে তারা ইয়ত্তা নেই।
আজ খুব ভয় ভয় করছে শীশের। রাজারহাটে গাড়িটা থেমে পড়েছে। বহুদিন পর বাড়ি যাচ্ছে ও। পাশেই থেমে রয়েছে বড় বড় কয়েকটা পরিবহন। কারও কানাইতলার মাঠ পেরিয়ে এই রাত দুপুরে যাওয়ার সাহস নেই।
ব্যাগটা নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে শীশ সালমান। আজ সে কানাইতলা মাঠ পার হবেই। ........চলবে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.