নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্পকার

গ্রিন জোন

গল্পকার

গ্রিন জোন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ: দ্য ইসলামিক থ্রেট: মিথ অর রিয়েলিটি

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

গত এক মাস ধরে খ্রিস্টান লেখন জন এল এসপোসিতো'র লেখা দ্যা ইসলামিক থ্রেট: মিথ অর রিয়েলিটি' বইটি পড়ে শেষ করলাম। বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন শওকত হোসেন। অনুবাদের কাজ খুব বেশি ভাল না লাগলেও বিষয়বস্ত জানতে ইচ্ছা করছিল। অনেক দিন আগে কেনা বইটি । কিন্তু নানা কারণে পড়া হয়ে ওঠেনি।
বইটি পড়ে যা আমি বুঝলাম, খ্রিস্টান ওই লেখক উপলব্ধি করেছেন-

১. বিশ্বব্যাপী ইসলামের স্বতস্ফূর্ত উত্থান বরাবরই উপক্ষো করা হচ্ছে। দেশের ক্ষমতাসীনরা ইসলামিস্টদের বৈধ উত্থানকেও বিতর্কিত করে দেয়।
২. বেশি মডারেট ইসলামকেও দোষ দেয়া হয়। কিন্তু বিজয় পরবর্তী তাদেরকে জঙ্গি সাজানোর চেষ্টা করা হয়। আর রেডিক্যাল (গোড়াপন্থী) ইসলামিস্টদের জঙ্গি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মিশর, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান সব দেশেই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
৩. লেখক বলছেন- ইসলাম মূলত একটা সর্বজনীন ধর্ম। এতে বিদ্বেষপূর্ণ কিছুই নেই। ন্যার্য অধিকার না পেয়ে ধৈর্যহারা হয়ে চরমপন্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে একদল লোক। এরাই ইসলামের বেশি ক্ষতি করছে।
৪. যখন যে দেশে ইসলামিস্টরা ক্ষমতায় এসেছে, সেদেশে বিপুল সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু পরবর্তীতে নানা অজুহাতে তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার বেশিরভাগ করেছে সামরিক লোকেরা।
৫. ই্ন্দোনেশিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত অধিকাংশ দেশে ইসলামের উত্থান অপেক্ষা করছে। ১৯৭৯ সালের ইরানের ইসলামি বিপ্লব এই উত্থানের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।
৬. ইসলামিস্টদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় হিসেবে পাকিস্তানের মওদুদী ও মিশরের হাসান আল বান্নার নাম সারা মুসলিম জাহানে বিস্তৃত লাভ করেছে। তাদের কর্ম, লেখা বই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার বিষয় হয়েছে।
৭. তবে ইসলামিস্টরা গণতন্ত্র বা সমাজতন্ত্রকে সরসরি স্বীকার না করায় তারা শেষ পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্ত অর্থাৎ ধর্মীয় আইন বা সিদ্ধান্তকে চূড়ান্তভাবে গণ্য করেছে। স্থান সময় কাল উপেক্ষ করে ধর্মীয় আইনকেই সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেয়ায় অনেক সময় সাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাদেরকে যেকোনো ভাবেই হোক- ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
৮. বইটিতে পৃথিবীর দেশে দেশে ইসলামপন্থীদের কর্ম নিয়ে মোটামুটি নিরপেক্ষ আলোচনা করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। সমাপ্ত

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

জীবনতরী চলছে বলেছেন: বইটি কোথায় পাওয়া যাবে? কোন প্রকাশনী ? এড্রেস প্লিজ।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

গ্রিন জোন বলেছেন: বইটি রোদেলা প্রকাশনীর। ফার্স্ট এডিশন ২০০৯ সালের। দেখতে পারেন @জীবন তরি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.