নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্পকার

গ্রিন জোন

গল্পকার

গ্রিন জোন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেশ পত্রিকা: নেপথ্য কিছু কথা

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

বলছিলাম- আমার দেশ পত্রিকা ও এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের কথা। এ লোকটির পলিসি ছিল এমনভাবে প্রতিবাদ করা যার মাধ্যমে হয় থাকবো না হয় মরবো। আমার মতে এ ধরণের প্রতিবাদ এক ধরণের বোকামি। একটি প্রতিষ্ঠান টিকে থাকলে ধীরে ধীরে অনেক প্রতিবাদ করা যায়। একবারে মাংস না খেয়ে প্রাথমিকভাবে সবজি দিয়ে খেয়ে কিন্তু ভালোই চলা যায়। কিন্ত মাংস এমন খাওয়া খাইলাম --স্থান হলো হাসপাতালে..অতপর ডেড। এ ধরণের চিন্তা-ভাবনা আজকের জগতে চরম বোকামি।
মাহমুদুর হরমানের মূল টার্গেট ছিল জামায়াতি পন্থা অবলম্বন করে সরকারের পতন ঘটনানো। কিন্তু তার বাস্তবায়ন ছিল কল্পনা পসূত। হেফজাতকে তিনি নামিয়েছিলেন ঠিকই ...কিন্তু তার পকেট সর্বস্ব দল বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। যার ফলশ্রুতিতে মাহমুদুর রহমান অধৈর্য হয়ে উঠলেন। তিনি শাহবাগের গণজাগরণকে লিখলেন শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি...এর কোনো দরকার ছিল না। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর কথাও ভাবা তার উচিত ছিল। একটা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তারা কোথায় যাবে..তাদেরকে অন্য মিডিয়া গ্রহণ করবে কি না..এসব বিষয় তার চিন্তা থেকে হাজার মাইল দূরে ছিল। এজন্য তাকে বুর্জোয়া আখ্যা দিতে আমি কুণ্ঠাবোধ করি না। তবে মাহমুদুর রহমান এজন্য জনপ্রিয় ছিলেন---তিনি ছিলেন ১০০ ভাগ সরকারবিরোধী। সরকারের পক্ষে দুইএকটা কথা বলে তিনমাস টিকে থাকা দরকার ছিল..আবার লিখতো হতো। কিন্তু পত্রিকাটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে এটা তিনি একেবারেই ভাবেন নি।
আজ আমার দেশ নামে কোনো পত্রিকা কিংবা প্রতিষ্ঠান নেই বাংলাদশে। অথচ মাহমুদুর রহমান চাইলে এটা টিকিয়ে রাখতে পারতেন। এখনও লাখ লাখ কপি বিক্রি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল।
সাংবাদিকতার ইথিকস বলতে কিছু অবশ্যই আছে। এখানে নিরপেক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানে নিরপেক্ষতার কোনো বালাই ছিল না। যেকোনো ঘটনা ইনিয়ে বিনিয়ে সরকারবিরোধী হিসেবে বানানো হতো। এটা কেন? সরকারবিরোধী হোক- সেটা সমস্যা না - কিন্তু দেশবিরোধী কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে মাহমুদুর রহমানের চলা ঠিক হয়নি। তিনিও তো দেশের মেধাবী সন্তান , বুয়েট আইবিএর মতো প্রতিষ্ঠানের গ্রাজুয়েট..
যাই হোক মাহমুদুর রহমানের চারপাশে যেসব লোক ছিল তারাও তাকে ভুলপথে চালিত করতে সহায়তা করেছে নানাভাবে। সেইসব বড়বড় সাংবাদিকরা আজ বেকার......অথচ শুধু সরকারবিরোধী হলে কোনো সমস্যা ছিল না...আমার দেশে হয়ে গিয়েছিল অতি সরকারবিরোধী একটি পত্রিকা।
পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনেক দিন পর আমার দেশ পত্রিকার এক শিফট ইনচার্জ (নিউজ ডেস্ক) আমাকে বললেন. এখন নিরপেক্ষ সেজে কোথাও ঢুকে যাওয়া দরকার। তা না হলে এ পথে টিকে থাকাই টাফ হয়ে যাচ্ছে। তখন আমি মনে মনে বললাম ..আমার দেশ পত্রিকাটা যদি সামান্য পরিমাণ নিরপেক্ষ অবস্থানেও থাকতো তাহলে প্রতিষ্ঠানটা আজ বিলীন হয়ে যেত না। ওই সাংবাদিকের মনে অবশেষে উদয় হয়েছিল নিরপেক্ষতার কত প্রয়োজন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কথায় আছে- বাড়ে জঙ্গল পুড়ে জোরে....

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

গ্রিন জোন বলেছেন: যৌক্তিকভাবে বাড়তে পারা যায়.......কিন্তু তিনি তা করেননি.ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার....

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
মাহামুদুর রহমান যেভাবে তার উত্থান
বহুল আলোচিত উত্তরা ষড়যন্ত্রের নায়ক। বিএনপি-জামাত জ়োট সরকারের সাবেক জালানি উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক।
আসলে সাংবাদিক তো দূরের কথা, কোন কালে কোন সংবাদপত্রে এক কলম লিখেছিলেন কি না সন্দেহ।
ছিলেন প্রকৌশলী, দুর্নিতীবাজ সরকারি আমলা। পরে এরশাদের চামচা।
জামাই সুত্রে ঢুকলেন মুন্নু পরিবারে, পরে বেক্সিমকো, ১৯৯৯ সালে আরটিসান সিরামিকস নামে নিজের একটি কোম্পানিও খোলেন। পরে বেক্সিমকোর শাইনপুকুর সিরামিক্স এর এমডি (মালিক) বনে যাওয়া। চাকুরি বিধিমালা অনুযায়ী একই সাথে দুই পদে থাকা অসম্ভব ও বেআইনি। মাহামুদুরের কাছে এসব কোন ব্যাপারই না! এরপর আর উত্থান আর ঠ্যাকায় কে। সংগবদ্ধ দুর্নিতীগ্রস্থ মাল্টিন্যাসনাল তেল কম্পানিগুলো বেক্সিমকোর ছায়ায় জালানি উপদেষ্টা করে ঢুকিয়ে দেয়া হল। জালানিমন্ত্রী বিহীন মন্ত্রনালয়, মাহামুদুর তখন রাজা।
জরুরি অবস্থার সময়ও ফক্রুদ্দিন তত্তাবধায়ক সরকার এর সাথে তার ব্যাপক উঠাবসা
দেখা যায়। একটি মামলায় হাজিরা দিতে, জামিন পেয়েও হাতপা ছুড়ে অজ্ঞাত কাউকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে আদালত থেকে বের হন। জরুরি অবস্থায় বাঘা বাঘা নেতারা তখন জেলে সে অবস্থায় ওনার দাম্ভিকতা। জরুরি অবস্থার শুরুতেই বিশ্বএস্তেমার মোনাজাত শেষে ধরা হয় ফালুকে, তত্তাবধায়ক সরকারের সাথে ঘনিষ্টতাকে অবলম্বন করে ফালু কে জেলে ঢুকিয়ে চাপে রাখে। এর কিছুদিন পর জামিনের লোভ দেয়া, ফালুর ভাইয়ের সাথে দরকষাকষি করে আমারদেশ পত্রিকা নামমাত্র মুল্যে কিনে নেয়। সম্পাদক আমানুল্লাকবিরকেও বরখাস্ত করে। এরপর নিজেই সম্পাদক বনে গেলেন। এরমাঝে এন্টিভি-আমারদেশ ভবনে অবস্থিত ফালুর অফিস ও তারেকের প্রাক্তন অফিসের কাগজ পত্র পোড়ানো হয়, এতে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পরেছিল
পরে জেল থেকে বের হয়ে ফালু ম্যাডামের কাছে এসব নিয়ে বিচার দিয়েছিলেন, বিচারে
কিছু একটা সমঝোতা হয়েছিল, কিন্তু আমার দেশ পত্রিকা ফিরে পাননি ফালু। (সংগ্রহিত)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

গ্রিন জোন বলেছেন: তবে মাহমুদুর রহমান এক সময় জনপ্রিয় ছিল .............

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

তিক্তভাষী বলেছেন: ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীও শেষ পর্যন্ত আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। মাহমুদুর রহমান সেটাও করেন নি। আপনার কাছে মাহমুদুর রহমানের কাজটি বোকামি মনে হতে পারে। কিন্তু অনেকে আছে ভাঙ্গে কিন্তু মচকায় না।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

গ্রিন জোন বলেছেন: সে ক্ষেত্রে মাহমুদুর রহমান নাম্বার ওয়ান ঠিক আছে কিন্তু প্রতিষ্ঠান বাঁচলো না লাভ কি?

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৩

সজিব্90 বলেছেন: খাঁটি দেশ প্রেমিক হচ্ছেন মাহমুদুর রহমান ।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

গ্রিন জোন বলেছেন: এ কথা বিশ্লেষণের দাবি রাখে @সজিব৯০ , ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.