নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্পকার

গ্রিন জোন

গল্পকার

গ্রিন জোন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হয়রানি আর হয়রানি

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪

৩৬ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়ে গেল শুক্রবার। প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। যারা বেশি দাগিয়ে আত্মতৃপ্তি বোধ করছেন তাদের জন্য অশনি সংকেত। তবে নজিরবিহীন কড়াকড়িতে পরীক্ষা হয়েছে। কাউকেই মোবাইল ও ঘড়ি অ্যালাও করা হয়নি। অনেকে দূর থেকে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের পড়তে হয়েছে বিপাকে।
পরীক্ষা শুরুর আগে মোবাইল টেবিলে রাখতে গেলে বাধা দেয়া হয়েছে। বলা হয়ে দুই ঘণ্টা মিটিং করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনো ছাত্র মোবাইল আনলে তার দায়িত্ব নিতে পরীক্ষকদের নিষেধ করা হয়েছে। অনেকে বিপদে পড়েছেন মোবাইল নিয়ে।
কেউ রিস্ক নিয়ে চায়ের দোকানে, কেউ কেন্দ্রের অফিস কক্ষে তাৎক্ষণিক মোবাইল রেখে আসতে হয়েছে। এটা কি হয়রানি নয়? আমাদের পরীক্ষা ব্যবস্থা যতই কঠিন করা হচ্ছে, রাঘব বোয়ালরা ততই দুর্নীতিকে বেশি করে কাজে লাগাচ্ছেন। মাঝখানে আমরা মধ্যবিত্ত যাদের টাকা নেই তারাই পড়েছি বিপাকে।
নিয়োগ পরীক্ষা আর মেধাবিদের জন্য নেই- এমন বলাবলি শুনলাম পরীক্ষা দিতে গিয়ে। অনেকে অনেক মাধ্যমে চাকরি জোগাড় করে নিচ্ছে এও জানা গেল কয়েকজনের মুখে। জানা গেল- প্রিলিতে পাস না করেও রিটেনে অনেকের রোল পাওয়া গেছে, আবার রিটেন না দিয়েও অনেকে ভাইভা দিয়ে চাকরি বাগিয়েছে..ইত্যাদি ইত্যাদি।
মোটামুটি শিক্ষিত যুবকদের বড় অংশ হতাশ। এদের যাদের মোটামুটি চলার মতো ব্যবস্থা পরিবারের অাছে তারা প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এক জনের সঙ্গে কথা হলো- তিনি গত পাঁচ বছরে কয়েকটি সাবজেক্টে নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। যেখানেই যেতে চান ওরা শুধু টাকা চায়। বাধ্য হয়ে দিন চুক্তিতে একটি প্রাইভেট কলেজে পড়াচ্ছেন তিনি। শুনলাম...পাঁচ সাত লাখ টাকা জোগাড় করে এবার গরুর খামার করবেন গ্রামে গিয়ে। তবুও মনে ভাল লাগলো। কিন্তু যার মোটে টাকা নেই..কিংবা যোগাড় করার অবস্থাও নেই তারা কোথায় যাবে? বেকার যুবকদের দায়িত্ব রাষ্টের নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
যারা একবার চাকরি নামের সোনার হরিণটা পেয়েছেন- তা যেভাবেই হোক তারা সত্যি আকাশে উঠে গেছেন। কথা হলো অনেকের সঙ্গে....। তারা বললেন- কৃষি ব্যাংকের রিটেন পরীক্ষার ফলাফল আটকে গেছে। তলে তলে নাকি ম্যাকানিজম হচ্ছে। কিরকম সে ম্যাকানিজম? টাকা আর টাকার খেলা? আচ্ছা অত টাকা দিয়ে ওরা কি করে?
শুনলাম- বাংলাদেশে ব্যাংকের একজন বড় চাকুরের পিয়ন আর ড্রাইভাররা নাকি টাকার কুমির হয়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে চাকরিও দিচ্ছে? এক উপ সচিবের সঙ্গে পরিচয় আছে। এক রকম আত্মীয়ও বলা যায়। চাকরির কথা বললে তিনি বলেন, ভাই নিজের ভাইটারে চাকরি দিতে পারিনি। শুনি টাকা দিয়ে চাকরি হয়, কে টাকা দেয়- কে চাকরি দেয়- এসব শুধুই শুনি। কোনো দিন তো দেখলাম না।
ওই উপসচিবের কথা শুনে মনে হলো লোকটা হয় নেহাত ভদ্রলোক, না হয় নিজেই চুরিতে লিপ্ত। হয়তো চাকরি দেয়ার নামে নিজেই টাকা খেয়েছে অনেক। এখন হয়তো অনেক টাকার মালিক......অথবা তার ঠিক উল্টো ....কে জানে কোনটা সঠিক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

সুমন কর বলেছেন: কঠিন সত্য !!

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

আজমান আন্দালিব বলেছেন: বুঝি না খালি শুনি আর দিন গুণি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.