নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্পকার

গ্রিন জোন

গল্পকার

গ্রিন জোন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রজন্মের বিভক্তি ও আমাদের মানসিকতা

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

নতুন প্রজন্ম নিয়ে এদেশের মানুষের মধ্যে কয়েকটি ধারা বর্তমান রয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনের আগ থেকে এ বিভক্তির ধারা স্পষ্ট। নতুন প্রজন্মের এ বিভক্তি শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। সুতরাং নতুন প্রজন্মের মানসিকতা কখনও যে এক হবে না তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যে ধারাটি এ দেশে সবচেয়ে শক্তিশালী তা হলো ইসলাম ধর্মকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ধারা। বলা হয়ে থাকে এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। মনে রাখতে হবে এদের সবাই কিন্তু ইসলামপন্থি নয়। তারপরও এদেশের মুসলিম তরুণদের একটা বিরাট অংশ ধ্যান-ধারনায় ইসলামকে লালন করে। এজন্য দেখা যায় প্রবল সেকুলারপন্থি হয়েও তা তাদের মধ্যে কোনো না কোনোভাবে বিরাজমান। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই ধর্মীয় মানসিকতার মূল উপড়ে ফেলা কখনও সম্ভব নয়।
একথা অবাক হওয়ার কিছু নেই, এদেশে তরুণ প্রজন্মের একটা বিরাট অংশ মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত অথবা তাদের শিক্ষার গোড়াপত্তন মাদ্রাসার মাধ্যমে হয়েছে। এজন্য দেশের বৃহৎ ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ সেকুলারপন্থি (৬০ ভাগ) হলেও এ সংগঠনটির অনেক নেতাকে মাদ্রাসাপড়ুয়ার গালি শুনতে হয়। কিন্তু এটা কিন্তু তার দোষ নয়। এটা আমাদের মানসিকতার দোষ।
আমরা জাতি হিসেবে সাংবিধানিক ভাবে যতই সেকুলার বলি না কেন, আমাদের মানসিকতার বীজ কিন্তু ধর্মের খোলসে মোড়া (সুরক্ষিত)। এ কারণেই ইনু বা মেননের মতো বামপন্থিদেরও ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে দেখা যায়। এটা তাদের দোষ দেয়ার কিছু নেই। স্থান ও কালিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ এটা। এজন্য তাদের গালি দেয়ার কিছু নেই। অথচ অনেকেই তাদের দু'জনকে ঘৃণার চোখে দেখে থাকেন। আমি মনে করি তারা যে মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে তা আনএভায়ডেবল রিয়েলিটি। এটা আমাদের ভাল করে বুঝতে হবে।
আমাদের নতুন প্রজন্মের একটি ধারা এদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আজও কাজ করে। বলা হয়- এ ধারাটি মূলত বিভ্রান্ত। এ ধারাটির সঙ্গে একাত্তরের জামায়াতের (রাজনৈতিক ইসলাম) মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এদেরকে উদার ইসলামিক ধারা বলা যেতে পারে যা আগামী প্রজন্মের বিরাট অংশের জন্য হুমকি। তবে এ ধারাটির বিলুপ্তি সহজে সম্ভব নয়। কারণ এ মানসিকতার নতুন প্রজন্ম ধর্মকেই কমপ্লিট কোড অভ লাইফ মনে করে। এদের সংস্কৃতিও বাঙালি সংস্কৃতি নয়। এ প্রজন্মটি বেড়ে ওঠার শুরু থেকেই বাঙালি সংস্কৃতিকে ঘৃণা করতে শেখে ভারতের গোলামী না করার দোহাই দিয়ে। এদের দ্বারা তরুণরা প্রভাবিত হচ্ছে তার একটি কারণ উদার ইসলামিক মানসিকতা।
এদেশে রেডিক্যাল ইসলাম নামে আরেকটি প্রজন্মের ধারা হিসেবে গড়ে উঠছে। এরা একবারে সেকেলে আমার মনে হয়। এরা ইসলামকে দাড়ি টুপি আর পোশাকের মধ্যেই সীমাবন্ধ রেখেছে। এদের অবস্থান একবারেই নেই বললেই চলে। তবে এদের প্রবহমান গতি একবারে স্লোথ। সমাজ পরিবর্তনে এদের কোনো ভূমিকা নেই বললেই চলে।
নতুন প্রজন্মের গুরুত্বপূর্ণ গতিশীল ধারা সেকুলারপন্থি। এ ধারাটি চর্যা না করলে এদেশের মাটিতে বেড়ে উঠতে পারবে না বলে মনে হয়। তবে স্বার্থ হাসিলে এদের ব্যবহার করা হচ্ছে। যা তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে না। এদের নিয়ে মিশ্রপন্থিরা খেলা করছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আগাছার ভালো দিক হলো, কৃষক এদের পরিচর্যা করে না, কিন্তু এরা বেড়েই চলে।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৯

গ্রিন জোন বলেছেন: আপনার আগাছার বৈশিষ্ট্য ঠিকই আছে চাঁদগাজী..........ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.