নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্পকার

গ্রিন জোন

গল্পকার

গ্রিন জোন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম দরদি ওবামা

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৩

আগামী ৮ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে এবারের হিসাব-কিতাব অনেকটা জটিল। এবারের নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। সারা বিশ্বেও ক্লিনটনের পক্ষে জনমত গঠিত হচ্ছে। এজন্য এ কথা ভাবা সহজ হয়ে যাচ্ছে মার্কিন মুল্লুক এবার হয়তো একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিভিন্ন দিক দিয়ে গরুত্ব বহন করে। বিশেষ করে মুসলিমদের নিয়ে একটা ব্যাপক ইসুু্য তৈরি হয়েছে। কান্টেকির সিনেটর ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান করে দেশটিতে মুসলিম অভিবাসী প্রবেশের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এ সময় চলছিল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০ তম অধিবেশন। ট্রাম্পের এ বক্তব্য ও অবস্থান সারা দুনিয়ায় হৈচৈ ফেলে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে অবস্থা পাল্টে যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করেছে বিশ্ববাসী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বার বার বলেছেন, জঙ্গিবাদের জন্য মুসলিমদের কিছু লোক দায়ী, ইসলাম ধর্মকে এরজন্য দায়ী করা যাবে না।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই অবস্থান সেদেশের শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদেরও বিরক্ত করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল পত্রিকা ন্যাশনাল রিভিউতে সেদেশের ২২ জন নামকরা বুদ্ধিজীবী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা বলেছে, ট্রাম্প মুসলিম ও হিস্পানিক অভিবাসীদের খেপিয়ে তুলেছেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগজনক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
বিশ্ববাসী আশা করছে মার্কিন নির্বাচনে মুসলিমরা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাজ ও বক্তব্যের মধ্যে তা অত্যন্ত স্পষ্ট। সম্প্রতি তিনি বাল্টিমোর কাউন্টির ইসলামিক সেন্টারে বলেছেন, ট্রাম্পের মতো লোকেরা মার্কিনিদের বিভক্ত করতে চাই। তাদের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করা উচিত। এরসঙ্গে ওবামা এও বলেছেন, মুসলিমরা অন্য অভিবাসীদের মতোই মার্কিন পরিবারের সদস্য।
আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে মুসলিমদের ব্যাপারে কোন প্রার্থী কোন দৃষ্টিভঙ্গী ধারণ করেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বহু প্রত্যাশিত প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনও বাংলাদেশের ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত করেছেন। সেখানকার বাংলাদেশি মুসলমিদের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ থেকে স্পস্ট হচ্ছে- এ নির্বাচনে মুসলিমদের বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী লালনকারীরাই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা।
তবে ভারমন্টের সিনেটর বার্ন স্যান্ডার্স হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে শক্ত অবস্থান নিতে পেরেছেন। অনেকেই তাকে আগামী মার্কিনদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনে করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত হিলারিকেই জয়ী হিসেবে দেখা যেতে পারে। কারণ রিপাবলিকানদের টেড ক্রুজও মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত। তিনি তার দলের পক্ষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিমরা একটি ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ওবামার মতো মুসলিম দরদি প্রেসিডেন্ট মার্কিন ইতিহাসে আর আসবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২১

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: ওবামার প্রতি ভালবাসা রইলো।।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২১

গ্রিন জোন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রশাসনিকভাবে ওবামা মুসলিমদের পক্ষে না হলেও বিভিন্ন সময় বক্তব্যে মুসলিমদের পক্ষে কথা বলেছেন ওবামা্। এরপর আর এ রকম প্রেসিডেন্ট আসবে কিনা সন্দেহ।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমেরিকার প্রসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়া অনেক কঠিন তাই আমি এই দায়িত্ব নেই না। :`>

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০২

গ্রিন জোন বলেছেন: দারুন বললেন ভাই........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.