নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

এর পরের গল্প টুকু আমার জানা নেই ।...... অণু গল্প

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮



হালিমা গ্রামের মেয়ে দেখতে খুব সুন্দর না হলেও তাঁর একটা মিষ্টি মুখ আর মিষ্টি হাসি দেখলে প্রান জুরিয়ে যায় । হালিমার বাবা এক সারের ডিলারের দোকানে লেবারের কাজ করে উপজেলা বাজারে । হালিমা মায়ের সাথে রাইস মিলে কাজ করে । খুব হাসে বলে প্রায় মায়ের বকনি খেতে হয় । গ্রামের মেয়ে একটু বড় হলেই বিয়ের ঘর আসতে থাকে । বিয়ে না দিলেও সমস্যা । গ্রামের ধনীদের ছেলে মানেই আলাদা কিছু একটা । এদিকে রাইচ মিলে প্রায় গফুরের বখাটে ছেলে চেনু আসা যাওয়া করে । হালিমার দিকে জানি কেমন কেমন করে তাকায় । চেনুর মিয়ার চাচা আবার চেয়ার ম্যান । হালিমার মা বুঝতে পারে মেয়ের দিকে কি কি ভাবে চায় । খালি বাড়িতে মেয়ে কে রেখে যাওয়া যায় না । গ্রামের বাড়ি বলে কথা ।
হালিমা দুপুরে পুকুরে নেমেছে গোসল করতে । পানিতে ডুব দিয়ে উঠে শরীরের কাপর ঠিক করে একটু আড় চোখে চেয়ে দেখে চেনু মিয়ার সাথে যে ছেলেটা থাকে - ঐ ছেলেটা ওর দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হাসি দিল । হালিমা নিজেকে সামলে চুপ চাপ বাড়িতে চলে আসতে লাগলো । কিন্তু পথে ঠিক দেখে চেনু মিয়া দারিয়ে বলছে-
আহা রে কি সুন্দর মেয়েটা গোসল করার পরে মনে হয় আরো সুন্দর লাগছে । লাজুক হালিমা ভয়ে ভয়ে চলে আসে বাড়িতে । রাতে হালিমা মাকে বলে চিনু মিয়ার কথা । হালিমাকে একা একা পুকুরে যেতে নিষেধ করে । সকালে রাইচ মিলের মালিক কে হালিমার মা ঘটনাটা বলে । মহাজন বলে আমার পক্ষে তো বোন তাকে কিছু বলা যাবে না। একটা বললে অন্য একটা ভাববে । তুমি বরং একটা ভাল ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দাও । ঢাকা টঙ্গি তে পাশের গ্রামের এক ছেলে কাজ করে যাই ছেলের বোন মেয়েকে পছন্দ করেছে । নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিলে তারা হালিমাকে বউ করে নিবে । হালিমার বাবা আর সব আত্মীয় সজন আর সারের ডিলার ও রাইস মিলের মালিক মিলে হালিমার বাবা কে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়েছে । ৭ দিন পরে হালিমার বিয়ে । হালিমা এখন আর রাইছ মেইলে যায় না দিনের বেলায় সে তাঁর পাশের বাড়ির এক চাচির সাথেই থাকে । হালিমা চাচির ঘরে বসে তরকারি কাটছিল এমন সময় ঠিক চেনু মিয়া এসে হাজির । হালিমা কে দেখে বলে - কি রে হালিমা তোর নাকি বিয়ে তা আমাদের কে জানালি না।
হালিমা কোন কথা বলে না। হালিমার চাচি এসে হাসি দিয়ে বলে বাবা চেনু গড়িবের মেয়ে । তোমাদের মত মানুষ কি দাওয়াত দিলে আইবা । বাবা মেয়েটার জন্য দোয়া করিও ও একটু লাজুক । চেনু মিয়া বলে চাচি নিজের পুকুরে মাছ অন্য পুকুরে যাবে । আচ্ছা দেখি বলে চেনু মিয়া চলে যায় । পরের দিন দুপুরে হালিমার মা গফুর মিয়ার নিকট যেয়ে বলে- ভাই জান আমারা গরীব মানুষ মেয়েটার আর তিন দিন পরে বিয়ে চেনু মিয়া আমার মেয়েটার বিয়ে দিতে দিবে না বলেছে । গফুর মিয়া বলে - আমার ছেলে কি মনে কর তোমার মেয়েকে বিয়ে করবে? উঠতি বয়সের ছেলে হয়ত একটা রঙ তামসা করার জন্য তোমার মেয়ের দিকে তাকাই ছে । যাও চিন্তা করিও না। আমি ওর চাচারে দিয়ে নিষেধ করিয়ে দেব ।গফুর মিয়া তাঁর বউ কে ডাক দিয়ে বলে - কই গো পোলা ডারে একটু সামলাও ! গফুর মিয়া বউ গফুর মিয়া কে একটা ঝারিমেরে বলে - পাপ কা বেটা ! নিজেই এখন মেয়ে মানুষ দেখলে হুস থাকে না আর পোলার কথা কি কমু । পেটে একটা কাল সাপ পুষেছি । তোমার পোলারে তুমিই বল ।
রাত ৪ টা। হালিমার মা বাবা হালিমা গভীর ঘুমে কিন্তু চেনু মিয়া হালিমাদের উঠানে দারিয়ে তাঁর লোক জন নিয়ে । গ্রামের বিখ্যাত চোর রনি মেম্বার এসে যোগ দিল চেনা মিয়ার সাথে । খুব আস্তে আস্তে করে ঘরের বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে হালিমার মুখে মেডিসিন মাখা কাপড় নাকের কাছে ধরে ঘর থেকে কুলে করে বের করে নিয়ে গেল হালিমাকে রিকসা করে অন্য গ্রামে । হালিমার যখন চোখ খলে তাকালো তখন সে সকাল ৬ টা । হালিমার শরীরে কোন কাপড় নাই । হাত বাঁধা ও মুখ বাঁধা । হালিমা সামনে একটা চাকু ধরে দারিয়ে চেনু মিয়া । হালিমার চোখে শুধু পানি ঝরছিল । হালিমা কে চেনু মিয়া বলল তুই এখন বিলের মাঝে চিৎকার করলে ও কেউ আসবে না। মুখের বাধ খুলে দিয়ে বলল - আমি চেনু মিয়ার চোখ পরেছে । আমার পরে তুই হালিমা অন্য কারো ।
হালিমা মা ঘুম থেকে উঠে আর বুঝতে বাকি নাই যে কি হয়েছে । হায় আল্লাহ্‌রে বলে একটা চিৎকার দেয় । হালিমা বাবা মুখ চেপে ধরে হালিমার মায়ের । বলে চুপ আগে চল রাইস মিলের মহা জনের কাজে ।হালিমার বাবা মামা মহা জনের কাছে আসলে মহাজন বলে তুমি চেয়ার ম্যানের কাছে যাও । আগে থানা পুলিশ করলে দেখা যাবে মেয়েটা কে মেরে ফেলেছে । হালিমা মা বাবা চেয়ার ম্যানের কাছে আসে । এত সকালে চেয়ার ম্যান ঘুম থেকে উঠে না । চেয়ার ম্যানের বারান্দায় বসে দু জনেই কাঁদতে থাকে ।
এদিকে হালিমার উপর চলতে থাকে নরপশু আঘাত । বেলা ১১ টায় চেয়ার ম্যান ডাকে হালিমার বাবা মা কে । চেয়ার ম্যানের কানে কানে মঙ্গল মেম্বার ব্যাপার টা বলে । চেয়ার ম্যান বলে তোমরা বস । আগে সবাই কে বিদায় করি । এক ঘণ্টার মধ্য চেয়ার ম্যান সবাইকে বিদায় করে ।
গফুর মিয়া ইতিমধ্য চলে এসেছে । চেয়ার ম্যান বলে কোন চিন্তা করিও না আমারা ব্যাপার টা দেখছি । দেখ হালিমার মা এখন থানা পুলিশ করলে করা যায় কিন্তু গড়িবের ইজ্জত কি টাকা দিয়ে কিনা যায় । আর তোমার মেয়ে কে তো এ কথা শুনলে কোন ফকিন্নির পুতেও বিয়া করব না। চেয়ার ম্যান তাঁর কাছের লোকদের বলে কোথায় আছে একটু খবর নে । আর রাইস মিলের মালিকে বল, এটা নিয়ে যেন কারো সাথে আলোচনা না করে ।
হালিমা চেনু মিয়ার কত হাতে পায়ে ধরে কিন্তু চেনু মিয়া হাসে আর বলে কান্না করে কোন লাভ নাই ।
হালিমার মা বাবা কে চেয়ার ম্যান বিকাল ৪ টায় বলে পাওয়া গেছে । চেষ্টা করছি তোমার মেয়ে কে আনতে ।
রাত ৯ টায় একটা কালো বোরকা পরিয়ে নিয়ে আসে চেয়ার ম্যানের বাড়িতে । সবাই চুপ । চেয়ার ম্যান বলে মেয়েটাকে নিয়ে ঘরে গোসল করাও । হালিমা পায়জামা দিয়ে তখন ও রক্ত পরছিল । চেয়ারম্যান নিজের বাসায় ডাক্তার এনে মেডিসিন দেয় । রাত ১২ টা হালিমা মা মেয়ের মাথার কাছে বসে কাঁদতে থাকে ।
চেয়ার ম্যান হালিয়ার বাবা কে বলে কাল কে তো মেয়ের বিয়ে তাই না । আই কে কোথায় যা হালিমার বাড়িতে বিয়ের সব আয়েজন কর । সকাল ১১ টায় হালিমার গায়ে হলুদ দিয়ে গোসল করানো হচ্ছে । ২ টায় বর এসেছে রিকসা নিয়ে । চেয়ার ম্যান নিজেই উকিল বাপ হয়ে বিয়ে দিয়ে দিল হালিমা কে ............... হালিমা শুধু কাঁদছিল আর কাঁদছিল । হালিমাদের কিছু বলার থাকে না জীবন সংসারে ।
বাকি জীবনে হালিমা কেমন ছিল লিখক হিসাবে আর আমি জানতে পারি নাই ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: এরকম ঘটনা এখন বাংলাদেশে অহরহ ঘটছে অথচ বিচার নাই।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: ঠিক দাদা

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

বর্ণিল হিমু বলেছেন: বাস্তব ঘটনা....... কিন্তু আপনার একটু বানানে সমস্যা আছে। আপু

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: বাস্তবতা নাকী লেখকের নিজের তৈরি গল্প ঠিক বুজে উঠতে পারলামনা।
যদি গল্প হয়ে থাকে তবে শেষের অংশটা একেবারেই বেমানান মনে হলো।
আর যদি বাস্তব হয়ে থাকে তবে ঠিক আছে।

আপু রাগ করবেন না একটা কথা বলি শুধু লেখাতে নয় পড়াতেও অনেক মনোযোগি হোন।
যে ভালো পড়তে যানে সেই ভালো লিখতে জানে।

আপনার লিখনির প্রশংসা করছি।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখায় গ্রামের সমসাময়িক বাস্তবতা ফুটে উঠেছে ।
আপনার বর্ণনা সরল , যেন গল্পটি আপনার মুখেই শুনছি ।
''সাঁতার শিখিতে হলে, আগে তব নাম জলে।''
আপনি জলে নেমেছেন , আপনাকে দিয়ে হবে , চালিয়ে যান ।
শুভ কামনা জানবেন ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫০

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আপনার মত যারা সাহস দেয় তাদের জন্য হয়ত কেউ কেউ হয়ে উঠে আগামীর জন্য এক সম্পদ । গিয়াস লিটন ভাও ধন্যবাদ

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আপনার মত যারা সাহস দেয় তাদের জন্য হয়ত কেউ কেউ হয়ে উঠে আগামীর জন্য এক সম্পদ । গিয়াস লিটন ভাও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.