নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতিয়া , নিঝুম দ্বীপ ও নিউ সন্দ্বীপ বুকে আস্তে আস্তে জেগে উঠছে আরেক বাংলাদেশ | --------------------------------------------------------------------------

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪



সন্দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে ২৫,০০০ একর জমির একটি ভূখণ্ড এখন আবাদযোগ্য হয়েছে। স্থানীয় ভাবে এটাকে জাহাজ্জিয়া চর বলা হয়ে থাকে। এই চরটি ‘ নিউ সন্দ্বীপ ‘ নামে গুগল মেপে দেখা যায়। সন্দ্বীপের পশ্চিম প্রান্ত লাগোয়া যে নতুন চর জেগে উঠেছে তা থেকে জাহাজ্জিয়া চরে ভাঁটার সময় হেঁটেই যাওয়া যায়। হলুদ পিন দিয়ে স্থানটিকে চিহ্নহিত করা হয়েছে। আশা করা যায় সহসা এটি নোয়াখালী, উরিরচর ও সন্দ্বীপের সাথে লেগে যাবে। এটি মস্তবড় আশার খবর। তাছাড়া
মেঘনা বেষ্টিত হাতিয়া উপজেলার বর্তমান আয়তন একটি জেলার আয়তনের সমান। হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ ও পূর্বে বিশাল আয়তনের ভূমি জাগছে। উল্লেখ্য, হাতিয়া উপজেলার আয়তন দেশের ২১টি জেলার আয়তনের চাইতে বড়, বিশ্বের ১৪টি দেশের আয়তনের চেয়ে বড় এবং সিঙ্গাপুরের আয়তনের তিনগুণ বেশী। হাতিয়া মূল ভূখ- ছাড়াও এর চতুর্দিকে ছোটবড় মিলিয়ে বর্তমানে ৫০টি চর জেড়ে উঠেছে। এগুলোর ১০টিতে জনসাধারণের বসবাস ও চাষাবাদ চলছে। অপরদিকে হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ ও পূর্বদিকে যে পরিমাণ ভূমি জাগছে তাতে করে আগামী দেড় দশকে আরো একটি জেলার আয়তনের সমান জেগে উঠার সম্ভবনা রয়েছে। হাতিয়া জাহাজমারা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে মেঘনা বেষ্টিত নিঝুমদ্বীপ ভ্রমণ বিলাসীদের জন্য দর্শনীয় স্থান। দেশ-বিদেশে এর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এছাড়া নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব পার্শ্বে মেঘনা বেষ্টিত ত্রিশ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দমার চর নামক চরটিতে বর্তমানে কুড়ি হাজার অধিবাসীর বসবাস। নিঝুমদ্বীপ ও দমার চরের মধ্যবর্তী এলাকাসহ দক্ষিণ ও পূর্বদিকে মেঘনার বুকচিরে বিশাল আয়তনের চর জাগছে।জাহাজমারা ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিমে বিগত ষাটের দশকে মেঘনার বুক চিরে এক খ- ভূমি জেগে ওঠে। ১৯৬৫ সাল থেকে হাতিয়া মূলভূখ- থেকে কিছু অধিবাসী উক্ত চরে শস্য মৌসুমে চাষাবাদ শুরু করে। তখন উক্ত চরের নাম ছিল বালুয়ার চর। পরবর্তীতে কমলার চর থেকে বর্তমানে এটি নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭০ দশকের ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে চরটির দুই শতাধিক কৃষক নিহত হয়। এদের মধ্যে ভাগ্যক্রমে মাত্র একজন প্রাণে রক্ষা পান। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে জোয়ার কম থাকায় বিশাল এলাকায় ডুবোচর দেখা যায়। জানা গেছে, জাহাজমারা চ্যানেল অতিক্রম করে দক্ষিণে অন্তত একশ’ কিলোমিটার নৌপথ অতিক্রম করার সময় পানির গভীরতা কোথাও কোথাও ৫/৬ মিটার আবার কোথাও কোথাও ৮/১০ মিটারের মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে। একশ’ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার সময় পানির গভীরতা ১০/১২ মিটার দেখা গেছে। অর্থাৎ দক্ষিণ ও পূর্বদিকে সাগরে ক্রমান্বয়ে পলিমাটি ভরাট হচ্ছে। স্যাটেলাইট থেকে সংগৃহীত ছবিতে দেখা গেছে নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্বপাশে সাগর ক্রমান্বয়ে সাদা পলিমাটিতে ভরে যাচ্ছে। আগামী ৪/৫ বছরে এ বিশাল এলাকা ডুবোচর জেগে ওঠার পাশাপাশি এক দশকের মধ্যে জনবসতি গড়ে উঠবে।উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের সংঘঠিত ঝড় জলোচ্ছ্বাসের সময় সাগর থেকে জোয়ারের সাথে কোটি কোটি টন পলিমাটি এসে এখানকার নদনদী ভরাট করে। এতে বেশ কয়েকটি চরাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে হাতিয়ার হরনী ইউনিয়ন, চানন্দী ইউনিয়ন, টেঙ্গারচর, সূর্যমুখী খালের পূর্বাংশ, দমারচর উল্লেখযোগ্য। এছাড়া প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বঙ্গোপসাগর থেকে জোয়ারের সাথে কোটি কোটি টন পলিমাটি দক্ষিণাঞ্চলের নদনদীতে এসে থাকে। এতে করে ৪/৫ বছরের মধ্যে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠছে। জানা গেছে, মেঘনা বেষ্টিত হাতিয়া উপজেলার বর্তমান আয়তন দেশের ২১ জেলার আয়তনের চেয়েও বড়। অপরদিকে নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্বদিকে যেহারে চর জাগছে তাতে করে আগামী দেড় দশকে আরো একটি জেলার আয়তনের সমান আরো ভূমি জেগে উঠার উজ্জ্বল সম্ভাবনা।
হয়ত আমরা দেখে যাব সাগরে বুকে ধীরে ধীরে জেগে উঠবে আরও একটি সবুজ দেশ ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার তথ্য নির্ভর পোষ্ট-অনেক ধন্যবাদ আপনাকে জানার মতো সুন্দর পোষ্টের জন্য ...
শুভকামনা রইলো...

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর একটি তথ্য জানা হলো। ধন্যবাদ

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

গোধুলী রঙ বলেছেন: ভূমি বাড়ছে এটা আশার খবর, কিন্তু দিনে দিনে মানুষ কমতেছে এটাই নিরাশা।

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাল খবর।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ভালো একটি খবর। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম। নিউ সন্দ্বীপ নামে কিছু আছে এতদিন জানতামই না। ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.