নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

চারু পারু আর রহস্য

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪২


-------------------------- গল্প

জানো আজ ফোন দিয়েছিল চারু । তোমার কথা বলতে ও খুব হেসে উঠল !! আমি জানতে চাইলাম । চারু এত হাসছ কেন? চারু বলল একটা মজার ব্যাপার তুমি কি জান ? আমি বললাম কি মজার ব্যাপার ? আমি জানি না তো!! চারু তো হাঁসতে হাসতে বলল তুই এত চালক কিন্তু কিন্তু তুই কি জানিস তো স্বামী একদিন কি করে ছিল । আমি বললাম কি করে ছিল ?
চারু আবার হাসতে লাগলো । বলল আর একদিন বলবে ।
এখন বলবে কি চারু কি জানে যে এমন করে বলল ? রাকিব আর না হেসে পারলো না। পারু কে বলল চারু তোমাকে কখন বলেছে ?
এই তো সকালে তুমি অফিসের যাওয়ার পরে ।
-- পারু তুমি জানতে চেও না । এটা আমি বলতে পারবো না । যে তোমাকে বলেছে
তুমি বরং তার কাছে ই জেনে নিও ।
-- আমি যদি তার কাছ থেকে ই জানবো তাহালে তোমার বলার কি দরকার ছিল
শুনি?
পারু একটু রাগ করে রাকিবের কাছ থেকে উঠে গেল । রাতেও কয়েক বার জিজ্ঞাসা করে কোন উত্তর পাই নি পারু । কি এমন কথা যা দু জনেই হেসে উঠল । তাহালে কি দু জনের কোন গোপন ব্যাপার । না আমাকে জানতে ই হবে। রাকিব অফিসে যাওয়া মাত্র পারুকে ফোন করল । পারু তো হাসতে হাসতে শেষ । তোমাকে রাকিব বলে নাই ?
-- না আমাকে বলে নাই ।
-- দেখ পারু রাকিব তোমাকে কি আসলেই ভালবাসে ।
-- হ্যা বাসে
-- তাহালে কি সে তোমাকে হাসির কথাটা বলতে পারে নাই ।
-- না বলতে পারে নাই ।
-- তাহালে দেখ সে তোমাকে কেমন ভাল বাসে !!
পারু আর বেশি কথা না বলে বলল এখন রাখি । বিকেল থেকে ভাবতে লাগলো কি এমন কথা যে দু জনেই হাসে কিন্তু আমাকে বলে না। পারুর প্রিয় মামাত ভাই মনোবিজ্ঞানীকে ফোন করে ব্যাপার টা বলল । মনোবিজ্ঞানী বলল পারু তুমি আমার কথা শুন তুমি দু জন কে আর ফোন কর না। বরং দুই জন কে নিয়ে খুব মজা কর । পারু মনোবিজ্ঞানী কথা খুব ভাল করে শুনে নিল । রাকিব বাসায় এসেই বলল কি পারু , তোমাকে চারু কিছু বলেছে পারু বলল
-- আসলে তোমাদের দু জনের সমস্যা আছে ডাক্তারের কাছে যাও । সামান্য হাসির বিষয় নিয়ে দু জনের ঘুম নাই । পারু এমন একটা ভাব নিল যে ঐ বিষয় বিষয় টা তার কাছে খুব স্বাভাবিক । রাকিব খুব অবাক হল পারু খুব হাসি খুশি। ঐ বিষয় নিয়ে রাতে আর কোন প্রশ্ন করে নাই । রাকিব সকালে অফিস যাওয়ার পরেই চারুর
ফোন ।
-- কি রে পারু বলেছে । পারু বলে উঠল
-- চারু তোমরা দু জন পাগলের ডাক্তারের কাছে যাও । মানুষের অনেক কিছুই
বন্ধুদের হয় । সব কিছু সংসারে বলতে হয় না। রাকিব হয়ত ভেবেছে যে এটা
পারু কে না বলা ই ভাল । তাই বলে নাই । আর যে হেতু বলে নাই । তাই আমার
জানার আগ্রহ নাই ।
বিকেল বেলায় চারু আর রাকিব দু জনেই এক সাথে বাসায় । হাতে কিছু ফুল আর
পারুর জন্য একটা সুন্দর উপহার নিয়ে হাজির ।
চারু বলতে লাগলো আমি বাজি ধরে ছিলাম যে পারু কোন রহস্য শুনলে রাকিবের সাথে এমন ঝগড়া করবে যে , সেই ঝগড়া থামানোর জন্য আমাকে লাগবে । আর পারু আমি ঝগড়া লাগাবার মাস্টার । কিন্তু তোমার কাছে হেরে গেলাম বাজিতে ও হেরে গেলাম । রাকিব বলেছিল সে তোমাকে কিছুই বলবে না । রাকিব কিছু বলে নাই কিন্তু তুমি এই বিষয় টাকে পাত্তাই দিলে না । তাই হেরে গেলাম ।
রাতে রাকিব বই পড়ছে এমন সময় একটা ফোন । ফোনটা পারু রিসিভ করে সে কি হাসি । হাসতে হাসতে যেন মরে যাচ্ছে । রাকিব বলল - এত হাসি কেন ? পারু বলল তোমার ব্যাপারে একটা জিনিস আমি জেনেছি ।
-- কি জেনেছ ,
--- রহস্য কিন্তু তুমি এত পাজি জানা ছিল না।
-- কি রহস্য
--- কেন বলব


-- সব রহস্য বলতে হয় না।
-- কার ফোন
-- বলা যাবে না
রাকিব চিন্তায় পারে গেল পারু তো এভাবে হাসে না । তাহালে কি আমি যে অফিসের
নাজমা কে নিয়ে চাইনিজে গেছি সেটা কি জেনে গেল ?

চলমান --------২

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫১

কিরমানী লিটন বলেছেন: মুগ্ধ ভালোলাগার অনবদ্য লিখনি-চমৎকার ...
শুভকামনা রইলো,সতত ...

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: লেখাটায় অনেকগুলো শব্দ মিসিং ছিল মনে হল। কিছু মনে করবেন না, এতে আমি আকর্ষণ পাইনি গল্পটি পড়ার। একটু সম্পাদনা করে নিলে ভাল হত মনে হয়।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৭

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আপনি আমাকে সাহায্য করুন ।এ বিষয়ে

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

আমিনুর রহমান বলেছেন:


জানো আজ ফোন দিয়েছিল চারু। তোমার কথা বলতে ও খুব হেসে উঠল!! আমি জানতে চাইলাম। চারু এত হাসছ কেন? চারু বলল একটা মজার ব্যাপার তুমি কি জান? আমি বললাম কি মজার ব্যাপার? আমি জানি না তো!! চারু তো হাঁসতে হাঁসতে বলল, তুই এত চালক কিন্তু তুই কি জানিস তোর স্বামী একদিন কি করে ছিল। আমি জাততে চাইলাম- কি করে ছিল?
চারু আবার হাসতে লাগলো। বলল আর একদিন বলবে।

এখন তুমি কি বলবে চারু কি জানে যে এমন করে বলল? রাকিব আর না হেসে পারলো না। রাকিব পারুর কাছে জানতে চাইলো, চারু তোমাকে কখন বলেছে?
এই তো সকালে তুমি অফিসের যাওয়ার পরে।
-- পারু তুমি জানতে চেও না। এটা আমি বলতে পারবো না। যে তোমাকে বলেছে তুমি বরং তার কাছেই জেনে নিও ।
-- আমি যদি তার কাছ থেকেই জানবো তাহলে তোমার বলার কি দরকার ছিল, শুনি?
পারু একটু রাগ করেই রাকিবের কাছ থেকে উঠে গেল। রাতেও কয়েকবার জিজ্ঞাসা করে কোন উত্তর পাইনি পারু। কি এমন কথা থাকতে পারে যা মনে করে দুজনেই হেসে উঠছে! তাহলে কি দুজনের কোন গোপন ব্যাপার। না আমাকে জানতেই হবে।

রাকিব অফিসে যাওয়া মাত্র পারুকে ফোন করল। পারুতো হাসতে হাসতে শেষ। তোমাকে রাকিব বলে নাই ?
-- না আমাকে বলে নাই ।
-- দেখ পারু রাকিব তোমাকে কি আসলেই ভালবাসে ।
-- হ্যা বাসে
-- তাহলে কেনো সে তোমাকে হাসির কথাটা বলতে পারে নাই।
-- না বলতে পারে নাই ।
-- তাহলে দেখ সে তোমাকে কেমন ভালবাসে!!
পারু আর কথা না বাড়িয়ে বলে বলল, এখন রাখি। বিকেল থেকে ভাবতে লাগলো কি এমন কথা যে দুজনেই হাসে কিন্তু আমাকে বলে না।

পারু তার মনোবিজ্ঞানী প্রিয় মামাতো ভাইকে ফোন করে ব্যাপারটা বলল। মনোবিজ্ঞানী ভাই বলল - পারু তুমি আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনো, তুমি দুজনকে আর এ বিষয়ে কিছু জানতে চেও না। বরং দুইজনকে নিয়ে তুমি বরং মজা কর। পারু মনোবিজ্ঞানী ভাইয়ের কথা খুব ভালো করে শুনে নিলো।

রাকিব বাসায় এসেই জিজ্ঞাসা করলো - পারু, তোমাকে চারু কি কিছু বলেছে ।
পারু বলল -- আসলে তোমাদের দুজনেরই সমস্যা আছে আমার মনে হয় তোমাদের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ। সামান্য হাসির বিষয় নিয়ে দুজনের ঘুম নাই। পারু এমন একটা ভাব নিল যে বিষয়টা তার কাছে খুব স্বাভাবিক। রাকিব খুব অবাক হল পারুকে হাসিখুশি দেখে। রাতে বিষয়টি নিয়ে পারু আর কোন প্রশ্ন করলো না রাকিবকে।

রাকিব সকালে অফিসে যাওয়ার পরেই চারুর ফোন ।
-- কি রে পারু রাকিব কি কিছু বলেছে?
পারু বলে উঠল
-- চারু তোমরা দুজন পাগলের ডাক্তারের কাছে যাও। বন্ধুদের মাঝে অনেক কিছুই হয়। সব কিছু সংসারে বলতে হয় না। রাকিব হয়ত ভেবেছে যে এটা আমাকে না বলাই ভালো তাই বলে নাই। আর যেহেতু সে বলে নাই তাই বিষয়টা গুরুত্ব নাই বলেই হয়ত আমাকে বলে নাই, আমার জানার আগ্রহ নাই।

বিকেল বেলায় চারু আর রাকিব দুজনেই একসাথে বাসায়। হাতে কিছু ফুল আর পারুর জন্য একটা সুন্দর উপহার নিয়ে হাজির । চারু বলতে লাগলো আমি বাজি ধরে ছিলাম। আমাদের মধ্যে রহস্যজনক কিছু আছে তুমি তা শুনলে রাকিবের সাথে এমন ঝগড়া করবে যে , সেই ঝগড়া থামানোর জন্য আমাকে লাগবে। আর পারু আমি ঝগড়া লাগাবার মাস্টার। কিন্তু তোমার কাছে হেরে গেলাম বাজিতেও হেরে গেলাম। রাকিব বলেছিল সে তোমাকে কিছুই বলবে না। রাকিব কিছু বলে নাই কিন্তু তুমি এই বিষয়টাকে পাত্তাই দিলে না। তাই হেরে গেলাম বাজিতে ।

রাতে রাকিব বই পড়ছে এমন সময় একটা ফোন। ফোনটা পারু রিসিভ করে সে কি হাসি। হাসতে হাসতে যেন মরে যাচ্ছে। রাকিব বলল - এত হাসি কেন? পারু বলল তোমার ব্যাপারে একটা জিনিস আমি জেনেছি ।
-- কি জেনেছ ,
-- রহস্যজনক কিন্তু তুমি এত পাজি আগে জানা ছিল না।
-- কি রহস্য?
-- কেন বলব?
-- সব রহস্য বলতে হয় না।
-- কার ফোন?
-- বলা যাবে না
রাকিব চিন্তায় পড়ে গেল পারু তো এভাবে হাসে না। তাহলে কি আমি যে অফিসের নাজমা কে নিয়ে চাইনিজে গেছি সেটা কি সে জেনে গেল?



চালিয়ে যান... গল্পে টুইস্ট দিয়েছেন ... বানান ভুল ছিলো কিছু কপি করে ঠিক করে দিলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.