নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোর গঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের একমাত্র কাঠের তৈরি ঐতিহ্যবাহী মমিন জামে-মসজি ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৯



পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার নিভৃত পল্লীর উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামে দেশের একমাত্র কাঠের তৈরি ঐতিহ্যবাহী মমিন জামে-মসজিদটি এখন জ্বীর্ণদশা। মসজিদটি বাংলাদেশের একমাত্র কাঠের মসজিদ হিসেবে স্বীকৃত। তবে মসজিদটি যথাযথ সুরক্ষা ও সংস্কারের অভাবে এটি এখন জ্বীর্ণদশা।

সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি শত বছরের পুরানো এই মসজিদটি ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা দিয়ে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিলেও মসজিদটির জন্য কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ফরায়জী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মঠবাড়িয়ার প্রয়াত মৌলভী মমিন উদ্দিন আকনের একান্ত প্রচেষ্টায় ১৯১৩ সালে মঠবাড়িয়ার উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামের আকনবাড়ির সামনে মসজিদটি নির্মিত হয়।

তৎকালীন দিল্লীর ২২ জন কাঠ মিস্ত্রি মিলে কোন লোহার পেরেক ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি নির্মাণের উদ্যেক্তা মৌলভী মমিন উদ্দিন আকনের নামের সাথে মিল রেখে পরে মমিন মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে।

বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির জন্য উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামের মূল সড়কটিও মমিন মসজিদ সড়ক নামে নামকরণ করা হয়েছে। কাঠের মসজিদটি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম মসজিদের ২৩ তম স্থান দখল করে আছে।

ইউনিসেফ প্রকাশিত বিশ্বের অন্যতম মসজিদ নিয়ে প্রকাশিত ৪০০ পৃষ্ঠার একটি বইয়ে কাঠের এই মসজিদটির সচিত্র বর্ণনা স্থান পেয়েছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কাঠের তৈরি শিল্পসমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মুসলিম স্থাপত্যকলার একটি নিদর্শন। সম্পূর্ণ কাঠের নির্মিত কারুকার্য ও ক্যালিগ্রাফি খচিত এই মসজিদটিতে কোনো ধরনের লোহা বা তারকাঁটা ব্যবহার করা হয়নি।

বাংলাদেশের সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত মসজিদের মধ্যে যেগুলো বেশি গুরুত্ববহন করে সেসব মসজিদের ছবি জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে। মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদের কয়েকটি আলোকচিত্র (বর্ণনাসহ) জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।

স্থানীয় মুসল্লিদের সূত্রে জানা গেছে, সামান্য বৃষ্টি হলেই মসজিদটির মেঝেতে পানি পড়ে। ফলে মেঝেতে লবনাক্ততা দেখা দিয়াছে। এ কারনে ফ্লোরম্যাট, কার্পেট, পাটি ও জায় নামাজ বিছানো যাচ্ছে না।

মসজিদের টিনের ছাউনিতে মরিচা ধরে নাজুক অবস্থা। টিনের কার্নিশ ছোট, যে কারনে মসজিদের মূলভবনে রোদ বৃষ্টিতে সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশগত কারণে ফ্লোরের উচ্চতা কমে গেছে। বর্তমানে মাটি থেকে মসজিদের ভিত্তি মাত্র দেড় ফুট উঁচু।

মুসল্লীরা আরও জানান, মসজিদটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। তারপরেও এলাকাবাসির সহযোগিতায় মসজিদের বারান্দা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন দুই পর্বে এলাকার শিশুদের কুরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। দুই পর্বে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিতভাবে কুরআন শিক্ষাগ্রহণ করে। তবে সম্প্রসারিত বারান্দা দেওয়ার কারণে মসজিদের নান্দনিক শোভা নষ্ট হয়ে গেছে।

উদয়তারা বুড়িরচরের সম্ভ্রান্ত আকন বংশের উত্তারাধিকার সূত্রে মসজিদটি নির্মাণের উদ্যেক্তা মৌলভী মমিন উদ্দিন আকনের নাতি আবুল কালাম আজাদ বর্তমানে মসজিদটি দেখভাল করে আসছেন।

তিনি জানান, সিডর পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদটি ৭ জন কাঠমিস্ত্রী সংস্কার করেন। এ সময় মসজিদে নিন্মমানের কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। যা পুরাতন মসজিদের কারুকার্যের সাথে কোন মিল নেই। সংস্কারের কাঠ ঘুণে ধরেছে।

মসজিদটি সম্পূর্ণ কাঠের তৈরী সেখানে সংস্কারের নামে লোহার পেরেক ব্যবহার করা হয়েছে।এমনকি চালার টিনের ওপর খোদাই করা ‘আল্লাহু’ লেখা কাঠের ফলকটিও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ধানিসাফা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হারুণ তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মমিন মসজিদটি আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটি সুরক্ষার জন্য সরকারের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেই সাথে এটি সুরক্ষায় দায়িত্বশীল লোকের প্রয়োজন।
---সুত্র- ইন্টার নেট ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৪

কাইকর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।পারলে মসজিদ টি দেখতে যাবো কোনদিন

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৭

কে এম আতাউর রহমান আকাশ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের বিক্রমপুরে একসময় অসংখ্য কাঠের দোতলা বাড়ি ছিল।
এখনও আছে তবে অনেক কম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.