নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের মানসিক ভাবে নিজদের বদলাতে হবে

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯



ভারতের তামিলনাড়ু ছিলাম। সেখানে ১০০/২০০ গ্রাম মাছ- মাংস কেনা যায়। প্রতিবেলা টাটকা কিনে এনে নিজের রুমে রান্না করে খাইতাম। খুব ভাল সুবিধা মনে হয়েছে।

বেঙ্গালুরুতে সন্ধ্যার পর বারগুলোর সামনে ৩০ রুপি দিয়ে ১০০ গ্রাম চিকেন পাকোড়া পাওয়া যায়, চোখের সামনে প্রস্তুত করে দেবে।

মেঘালয়ে পাহাড়ি এলাকায় পর্ক এবং চিকেন তরকারি চামচ হিসেবে বিক্রি হয়। ১ চামচ (বড় সাইজের) ২০ রুপি। টাকা থাকলে ৫ চামচ খান না থাকলে ১ চামচ।

কলকাতায় ফুটপাতে ফুচকা খেয়েছি। আপনাকে একসাথে ২০ টা দেবেনা। আপনি যত পিস বলবেন তত পিস। ২ টা চাইলেও খেতে পারবেন ৩০ টা পারবেন।

দার্জিলিং ভাত খাওয়ার সময় ১ টা কাচামরিচ দিল। চাইলাম আরও ৫ টা। উত্তর দিল, একটা করে নেন আপনি যতটা খাবেন ততটা দেব। কিন্তু নষ্ট করা যাবেনা। আপনাকে যা দেব তা আর ফেরত নেবনা ফেলে দিতে হবে তাই একসাথে দেওয়া যাবেনা।

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পাশে মাছের বারবিকিউ করে। আমার পেটে ক্ষিদা নাই বাট টেষ্ট করার ইচ্ছে আছে। মাছ পিস করে এক পিস বিক্রি করেছে। খেয়েছি।

শিলিগুড়িতে ১ পিস করে আপেল কেনা যায়।

কলকাতায় ফুটপাতে মনের মত নাস্তা করা যায়। যেমন ক্লিন, তেমন সতর্ক। আপনি হাত দিয়ে ফুটপাতের দোকান থেকে বিস্কুট নিতে পারবেন না। যে দেবে সে হাত ধুয়ে দেবে এবং যার দোকান সে। ছোট এককাপ চা ৫ টাকা। কিন্তু আপনি অর্ডার করলে চা বানিয়ে দেবে আগে থেকে বানিয়ে রাখেনা। একজন শ্রমিক ফুটপাতে দাড়িয়ে যে দোকানে খাবে একজন বড় কর্তা বা ছাত্ররা খাইতে পারে। সকালের অফিস টাইমে এটা বেশী দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে সতেজ খাবার এবং পরিষ্কার। এবং সামর্থ্য অনুযায়ী খাওয়া যায় একই খাবার।

আমাদের ছোট বেলায় গ্রামে ইলিশ কেটে বিক্রি করতে দেখেছি এবং কিনেছি। এখন যেভাবে খাসি বা গরু বিক্রি করা হয় তা যদি না হত মানে আস্ত কিনা লাগত কয়জন পারতেন?

ভারতের এই সিস্টেম আমার ভাল লাগে। এতে সমাজের সব স্তরের মানুষ খাইতে পারে।

এই যে বাংলাদেশে এ বছর এত ইলিশ কয়জন শ্রমিক সে ইলিশ খেয়েছে? আবার কারো কারো ফ্রিজে হয়তো জায়গাই হচ্ছেনা।

যদি কেটে ১০০ গ্রাম করে বিক্রি করা হত হয়তো একজন রিক্সা চালক বা দিনমজুর তার সন্তান বা বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য একপিস নিতে পারত।

টাকার অভাবে ঘুরতে গিয়ে বা এমনিতে কত মানুষ হোটেলে শুধু ডাল ভাত খায় তার হিসেব আছে? কিন্তু ৩ টুকরা চিকেন একসাথে না কিনে যদি ১ পিস কেনা যেত নিশ্চয়ই অনেকে এফোর্ট করতে পারত।

পিস করে বা ছোট ছোট ভাগে বিক্রি করাকে আমি পজেটিভ হিসেবেই দেখি।

----- নিজে বদলান দেশ বদলে যাবে-- ধ্যান সর্ব যুগের সাধনা ।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

নতুন বলেছেন: যদি কেটে ১০০ গ্রাম করে বিক্রি করা হত হয়তো একজন রিক্সা চালক বা দিনমজুর তার সন্তান বা বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য একপিস নিতে পারত।

প্রয়োজন এই রকমের ব্যবস্হার প্রচলন করে। ঐ সব দেশে কেটে বিক্রি করাতেও লাভ হয় তাই কেটে বিক্রি করে।

আমাদের দেশের মানুষ কিনতে পারে তাই কেটে বিক্রির প্রচলন এখনো শুরু হয় নি।

দোকানি দরিদ্রদের কথা ভেবে কোন ফেভার দেবার জন্য কেটা করছেনা। তারা করছে বিক্রি বাড়াতে। আমাদের দেশের মানুষের হাতে টাকা আছে তাই তারা পুরু মাছ কিনে নেয়। তাই এই রকমের পদ্বতী শুরুটা এখনো হয় নি।

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমাদের জয়পাড়া বাজারে এক সময় ইলিশ মাছ কেটে ছোট ছোট ভাগা দিয়ে বিক্রি করতো ।
আমার বেশ মনে আছে।

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:

খুবই সুন্দর একটি লেখা, আমাদের দেশের মানুষের কথা আর ভাব দেখলে মনে হয় এরা পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রের লোক।

আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘঠনা বলি- আমি মেসে থাকি, একা। নিজের রান্না নিজেই করি, প্রায়ই মাছ বাজারে গিয়ে সমস্যা পড়তে হয়, বাজারে যদি মাছের একটু টানাটানি থাকে তখন আর মাছ আধা কেজি বিক্রি হয় না, একদিন বললাম- আধা কেজি তেলাপিয়া দিন, দিবে না। আমি ও নাছোড় বান্দা, কেন দিবেন না? সত্তর টাকা কি টাকা না? অনেক তর্কের পরে তিনি দিলেন তবে বিড়বিড় করে একশো কথা শুনিয়ে।

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

আমি সাজিদ বলেছেন: দারুন কিছু কথা বলেছেন। ধ্যান আর সাধনা নিয়ে শেষে একটা লাইন লিখেছেন। সেটা একটু বলবেন?

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

পবন সরকার বলেছেন: সুন্দর কথা বেলছেন।

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাজারে মানসম্মত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাটা কঠিন কোন ব্যাপার নয়। কোলকাতা পারলে আমরা কেন পারবো না? সিটি কর্পোরেশনে এ বিষয়টি দেখার জন্য বেতনভুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী আছেন, কিন্তু তারা তাদের এ দায়িত্বটা কখনোই পালন করেন না। কাঁচা বাজারে গেলে নোংরা হয়ে ঘরে ফিরতে হয়।
মাছ কেটে বিক্রী করাটা এখন সময়ের দাবী। মুরগির ব্যাপারটাও তাই। দরিদ্রদের এতে একটু সুবিধে হয়। আপনি এ বিষয়ে লিখেছেন, এজন্য ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জুন বলেছেন: আমাদের দেশে পেয়ারা আপেল এসব ফল কিনতে গেলে প্রথমেই বলে কয় কেজি নিবেন ? এতে আমরাই থমকে যাই আর কোন দরিদ্র মানুষের খাবার ইচ্ছেটা অপুর্নই থেকে যায় এই প্রশ্নে ?

৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রসঙ্গটা সুন্দর। আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম, আপনার পোস্টে এক জায়গায় সেটা উল্লেখ করেছেন অলরেডি এবং ১ম ও ২য় কমেন্টে যথাক্রমে নতুন ও সাজ্জাদ ভাইও আমার মনের কথাটিই বলেছেন।

আমাদের জয়পাড়া-মেঘুলা বাজারে ছোটোবেলায় দেখেছি, শুধু ইলিশ না, রুই, বোয়াল, এবং অন্যান্য বড়ো মাছও কেটে ভাগা করে বিক্রি করা হতো। আমার এখনো সেই ৪০/৪৫ বছর আগের দৃশ্য চোখে স্পষ্ট ভাসছে- একেকটা ভাগে ৪/৫ টুকরো করে ইলিশ। ঐরকম ভাগা থাকার অনেক কারণের মধ্যে প্রধান কারণ হলো, এক পরিবারে, মনে করুন, লাগবে ৩ থেকে ৪ টুকরা, প্রতিদিন বাজার করে বলে এক ভাগা করেই কেনা হতো। যাদের বেশি কেনার সামর্থ্য ছিল, তারাও নরমালি ভাগই কিনতো, কারণ, পরের দিনের মাছ হয় লবণ দিয়ে রাখতে হবে, যাতে পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, অথবা 'জ্বাল' দিয়ে রাখতে হবে, যাতে ২/১ দিনের বেশি রাখা যায় না।

ইলিশ টুকরো করে কেটে বেঁচা নিয়ে ইদানীং ফেইসবুকে এপার বাংলা-ওপার বাংলায় বেশ টাগ-অব-ওয়ার হচ্ছে। আলোচনা থেকে পজিটিভ কিছু উঠে আসলে দুই বাংলার জন্যই ভালো।

ঢাকার কচুক্ষেত বাজারে বড়ো বোয়াল, পাঙ্গাস বা রুই কেটে সের দরে বিক্রি করা হয়। এতে আমার মতো অনেকেই বড়ো মাছ খাওয়ার সাধ ও শখ মেটাতে পারছেন।

ইলিশের টুকরা নিয়ে আবার আসি। আমি নিজের বাজার করি ছোটোবেলা থেকেই, এটা আমার শখ। ইলিশ কেটে বিক্রি করা শহরের বাজারে এখন অনেক কারণেই ততটা ফল্প্রসূ হবে না। একটা পরিবারে কমপক্ষে ৪জন মানুষ থাকে। তাদের জন্য যতটুকু ইলিশের প্রয়োজন, সেই সাইজের আস্ত ইলিশই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, যার ওজন ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সাইজের একটা ইলিশের দাম বাজারে ৫০ থেকে ৮০টাকা হবে (২০০-৩০০ টাকা কেজি)। ভারতে কেন টুকরো করে? ভারতে যে-ইলিশগুলো রফতানি করা হয়, সেগুলোর ওজন ৭০০ গ্রামের নীচে হবে না। আমি একনাগাড়ে ৪ মাস ছিলাম কলকাতায়, এর চাইতে ছোটো ইলিশ পাই নি। এটা কেটে বিক্রি করা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমি যেখানে ছিলাম সেখানে কেটে বিক্রি করার কোনো প্রভিশন ছিল না।

আরো কিছু বলার ছিল, লম্বা হয়ে যাচ্ছে বলে এখানেই থামলাম। পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা রইল।

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: সহমত

১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের দেশে ফলমূল কিংবা মাছ মাংস আস্তে আস্তে গরিবদের স্বপ্নের জিনিসে পরিনত হচ্ছে।

১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: বিদেশে না পাঠালে সর্বস্তরের মানুষ আস্ত ইলিশ-ই কিনে খেতে পারতো,

এদেশে অতিরিক্ত মূল্যে যারা বেশি বেশি ১.৫-২/৩কেজি সাইজের কিনেন তাদেরকে আয়কর বিভাগের লোকজন বাজার মনিটরিং করে আয়ের উৎস জানতে পারেন। গতকাল সন্ধ্যায় ১.৮/২.৫কেজি সাইজের ইলিশ একেকজন যে হারে ব্যাগে নিচ্ছেন তাতে দোকানিদেরকে সাধারণ মানুষের সাথে ইয়ার্কি মেরে কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছেন নয় কি?? বাজারে এসব অহংকারী ক্রেতাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ কিনতে সাহস পায় না।

--পিছ করে বিক্রি/কেনাটা অনেকের কাছেই নাক সিঁটকানোর বিষয়- অথচ এই বড় মাছ ভাগে কিনলে সবারই চাহিদা মিটতো।

১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: বিদেশে না পাঠালে সর্বস্তরের মানুষ আস্ত ইলিশ-ই কিনে খেতে পারতো,

এদেশে অতিরিক্ত মূল্যে যারা বেশি বেশি ১.৫-২/৩কেজি সাইজের কিনেন তাদেরকে আয়কর বিভাগের লোকজন বাজার মনিটরিং করে আয়ের উৎস জানতে পারেন। গতকাল সন্ধ্যায় ১.৮/২.৫কেজি সাইজের ইলিশ একেকজন যে হারে ব্যাগে নিচ্ছেন তাতে দোকানিদেরকে সাধারণ মানুষের সাথে ইয়ার্কি মেরে কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছেন নয় কি?? বাজারে এসব অহংকারী ক্রেতাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ কিনতে সাহস পায় না।

--পিছ করে বিক্রি/কেনাটা অনেকের কাছেই নাক সিঁটকানোর বিষয়- অথচ এই বড় মাছ ভাগে কিনলে সবারই চাহিদা মিটতো।

১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: বিদেশে না পাঠালে সর্বস্তরের মানুষ আস্ত ইলিশ-ই কিনে খেতে পারতো,

এদেশে অতিরিক্ত মূল্যে যারা বেশি বেশি ১.৫-২/৩কেজি সাইজের কিনেন তাদেরকে আয়কর বিভাগের লোকজন বাজার মনিটরিং করে আয়ের উৎস জানতে পারেন। গতকাল সন্ধ্যায় ১.৮/২.৫কেজি সাইজের ইলিশ একেকজন যে হারে ব্যাগে নিচ্ছেন তাতে দোকানিদেরকে সাধারণ মানুষের সাথে ইয়ার্কি মেরে কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছেন নয় কি?? বাজারে এসব অহংকারী ক্রেতাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ কিনতে সাহস পায় না।

--পিছ করে বিক্রি/কেনাটা অনেকের কাছেই নাক সিঁটকানোর বিষয়- অথচ এই বড় মাছ ভাগে কিনলে সবারই চাহিদা মিটতো।

১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিনা জাহান প্রিয়া,




সকল শ্রেনীর ভোক্তাদের যাতে কেনা কাটায় আনা যায় বেশি বেশী সে কারনেই কিন্তু আপনার লেখার বক্তব্যটি ভেবে দেখার দাবী রাখে।
যেমন এক বোতল স্যাম্পু কেনার ক্ষমতা অনেকেরই নেই । কিন্তু সেই স্যাম্পুই এক টাকার মিনি প্যাকে বাজারে আছে । তেমনি আছে টুথ পেষ্ট, নারকেল তেল ইত্যাদি। সর্বনিম্ন আয়ের মানুষটিও কিন্তু এসব পণ্যের ক্রেতা। খাদ্য দ্রব্যের বেলাতেও এমনটা হলে ক্রেতার সংখ্যা এমনিতেই বাড়বে। এবং ভোক্তাদের সন্তুষ্টিও মেটানো সম্ভব হবে। পরিনামে "টোটাল সেল" বাড়বেই ।

সময়ের চাহিদার কথা লিখেছেন। সুন্দর।

১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সরি মোবাইল থেকে পোস্টের কারণে রিপিট হয়েছে-দয়া করে মুছে দিন।

১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সরি মোবাইল থেকে পোস্টের কারণে রিপিট হয়েছে-দয়া করে মুছে দিন।

১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: আগেও ডাকাতি করত এখন তো ঘোষণা দিয়ে করে। ৮০,৮১,৮২ তে বাড়ি ভাড়া করে থাকতাম ক'জন মিলে । বাজারে কাটা মাছ বিক্রি হত কিন্তু এক বা দু পিস দেবেনা । ডাল ডিম খেয়ে নিতাম । বাড়িতে গেলে মা আমার দুঃখের কথা শুনে মাছ মাংস টেবিল ভরে দিয়ে বলতেন খা বাবা । একবার ইলিশ শুকিয়ে দিলেন । রান্না করে তিনদিন খেয়েছি । দেশ মালেক দিয়া ভর্তি । পারলে আপনাকে কাত করে সব দিয়ে দেয় । আমরা গরীব না তবে মানসিক লুইচ্চা । ভারতের কাহিনী শুনলে হাঁসতে হাঁসতে জ্ঞান হারাবে । আমাদের ব্যাচেলর্স মার্কেট দরকার সীমিত আকারের কেনাকাটা করতে । রেস্টুরেন্টও সেইভাবে আয়োজন করতে হবে । চেষ্টা করলে সব হয় । ভাল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।

১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

সেনসেই বলেছেন: হক কথা কইছেন আপু।

২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমাদের দেশেও এক সময়ে এমন ছিলো, যে কোন মাছ কেটে ভাগা দিয়ে বেচত, এখন আর সেই অবস্থা নাই। কে খাইলো আর কে
না খাইলো, দেখার কেহ নাই! খালি টাকা আর টাকা চাই!

২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটি কি আপনি লিখেছেন?
সারাদিন ধরে ফেসবুকে শুধু এই লেখাটি ঘুরছে।

২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি ভারতের বিভিন্ন স্থানের ভালো জিনিস গুলো দেখেছেন। খারাপ জিনিস গুলো যে আপু আপনার নজরে আসেনি এটা খুবই ভালো লেগেছে। তবে প্রদীপের নীচে যে অন্ধকার থাকে। দার্জিলিং এ আপনি ঠকবেন না।যদি ঠকেন তাহলে সে গোর্খা ব জনজাতি নয়,অবশ্যই বাঙালি/বিহারীদের দ্বারা ঠকবেন। কলকাতার যে ঠকেন নি ভাগ্যের।
ওড়িশাতে গিয়ে প্রতি পদে পদে ঠকার সম্ভাবনা আছে। পুরীতে হাজার হাজার হলিডে হোম আছে। গোটা পুরী শহর পাণ্ডাদের স্বর্গরাজ্য।আপনি যে ধর্মেই হোন না কেন যে এলাকাতে উঠবেন পান্ডারা এসে আপনাকে পুজো দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করবেন। কিছু করতে না চাইলে টাকা চাইবেন। সাইটসিনের জন্য জন্য প্রত্যেককে এলাকা ভাগ করা আছে। আপনি কি এলাকার গাড়ির নানান ওরা এসে ভালো মুখে শুনে আপনি যে যে এলাকায় দর্শন করেছেন সেই এলাকার আনুমানিক কস্ট আপনার কাছ থেকে আদায় করে নেবে। এখানে আরো নানা রকম ভাবে ঠকার প্রচুর সম্ভাবনা আছে।
আমার নিজ অভিজ্ঞতায় পশ্চিমবঙ্গ বিহার উড়িষ্যা ঠকার স্বর্গরাজ্য। এদের মধ্যে কোলকাতা শিলিগুড়ি ও পুরী সবার উপরে।
তবে দার্জিলিং থেকে হিমালয়ের পাদদেশে যত গোর্খা নেপালি ভুটানি হোম স্টেতে থাকবেন এত ভাল অতিথি সেবা পাবেন যে কল্পনা করা যায় না। কালিম্পং কার্শিয়াং শহর থেকে যেকোন রাস্তা ধরে এগোলে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে অসংখ্য হোমস্টে আছে। পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য ও জনজাতির অতিথি পরায়ণের জন্য মন বারে বারে চাইবে নিশ্চিন্ত কিছুদিন ওখানে কাটাতে। ‌

আর কাটা মাছ প্রসঙ্গে:-
বাজারে শুধুমাত্র কাতলা মাছ কেটে বিক্রি হয় তাও অন্ধেরি কাতলা। তবে শংকর মাছও কেটে বিক্রি হয়।আর ইলিশ কেটে বিক্রি ভাবা যায় না। আমি অবশ্য বাজারে যাই দাম শুনে চলে আসি। আজি এক কেজি ওজনের বাংলার দাম 2000 টাকা বললো। একটু দূরে দীঘা বা কোলাঘাটের দাম 1500 টাকা। বেঁচে থাক আমার ভেড়ির পার্শে। পনেরো পিস 700 গ্রাম ওজন।দাম 400 টাকা কেজি প্রতি।
সবশেষে আবার বলি, ভারত সম্পর্কে আপনার ধারণা ভালো থাকুক।
সময় পেলেই আসবেন ভারতে। এমন সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন, আশাকরি।
শুভেচ্ছা জানবেন।



২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আমার লেখা প্রসঙ্গ ভিন্ন ।।

২৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
দারুন লেখা। পুরো ব্যাপারটাই ভেবে দেখার অবকাশ রাখে। সমাজের সকল স্তরের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে বিভিন্ন পন্য অল্প আকারে বিক্রয় করলে সমাজের নিম্নস্তরের মানুষা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে বলে মনে করি। আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য।

২৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৩

কলাবাগান১ বলেছেন: ভারতীয়রা ইলিশ মাছ ভাগে ক্রয় করে এক পিস খেয়েও আজ নিজেরা চাদে/মংগল গ্রহে স্পেসশীপ পাঠাচ্ছে, অন্য দেশের হয়ে স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে স্পেসে। আর বাংলাদেশের বাংগালীরা পুরা মাছ একলা খেয়ে শুধু ওয়াসার পয়:প্রনালী কে ওভার লোডেড করছে...একটা 'সুচ' বানাতেও বিদেশীদের সাহায্য দরকার হয়।

২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এখনো মুরগী, বড় মাছ এগুলো কেটে ভাগা বা কেজি দরে বিক্রি হয়।
উত্তরাঞ্চলের প্রায় সব জেলায় বাজারে প্রায় সবকিছুই "পোয়া" হিসেবে বিক্রি হয়।
সবই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও পারিপার্শ্বিকতার উপর নির্ভর করে।।

ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য।

২৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কিছু জ্ঞান বাড়লো। ধন্যবাদ বোন সেলিনা জাহান প্রিয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.