নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অ-মানবের রসনা বিলাস ।। ১ম খন্ড ।।

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৯:১৬



কি ব্যাপার এমন করে মুখের দিকে চেয়ে হাসছেন কেন ? আমি কি মুখে স্নো পাউডার বেশী লাগিয়েছে নাকি আমার মুখে বাংলা সিনেমা কোন নায়িকা দেখা যাচ্ছে । খুব রাগ করে কথাটা বলল - আধ পাগল এক মানুষ কে ।। মাথায় লম্বা চুল হাতে একটা বাঁশী । নাকটা খারা মুখটা ফর্সা । পরনের জামা কাপড় দেখে মনে হয় নেশা খোর ।।
কিন্তু সে রাইসার দিকে চেয়েই আছে । আজকাল কোথাও গেলে শান্তি পাওয়া যায় না। পুরুষ মানুষের চোখ !! মেয়ে মানুষ দেখলেই ভিতরে আদি নেশা জেগে যায় । এবার রাইসা চিৎকার দিয়ে বলল
---- এই বেটা এই ভাবে চেয়ে আসিস কেন ? যা ফাজিল এখান থেকে ।
না গেলে কিন্তু খবর আছে । একটু পরে তোর বাপ আসলে খবর আছে !! নাক ফাটিয়ে দিবে ।।
লোকটা এবার মুখটা অন্ধকার করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিল ।। পার্কের একটা গাছের তলে বসে বাঁশীতে ফু দিল । রাইসা দেখছে চেয়ে চেয়ে । এবার রাইসা নিজেই হেসে দিল । পাগল তাহলে ভয় পাইছে কিন্তু বাঁশী তো বাজে না। কি বাজাচ্ছে তাহলে ফু দিয়ে ।।
রাইসা ভাবছে এমন করে কথা বলা কি ঠিক ? না লোকটার সাথে ভাল ব্যবহার করা উচিৎ ছিল ।
এমন সময় একটা ছেলে আপা বাদাম নেন । খুব মজার বাদাম । এক প্যাকেট ১০ টাকা । আপা নেন না। সকাল থেকে কিছুই খাই নাই । এই বাদাম গুলো বিক্রি হলে দুপুরে ভাত খাব ।
রাইসা এবার রাগ হয়ে বলছে যা বলছি !! পুলিশ ডাকব কিন্তু ? বাদাম ওয়ালা ছেলে দাত বের করে হাসি দিয়ে বলল
--- পুলিশ কি আপনার দুলাভাই লাগে যে ডাক দিলেই আসবে ।।
--- যা হারাম জাদা এখান থেকে ।।
---- যামু না পার্ক কি আপনার বাপের । আপনি যান ।।
---- তুই তো অনেক বিয়াদপ ছেলে ।।
---- আমি না ! আপনে বিয়াদব । শিশুদের সাথে বড়দের সাথে কি ভাবে কথা বলতে হয় সেটাই শিখেন নাই । আবার ভাব নিতে আসছেন । ১০ টাকার বাদাম কিনার মুরাদ নাই আবার পুলিশ ডাকার ভাব দেখায় ।
---- যা বলছি এখান থেকে ।।
এমন সময় ফুল হাতে একটা মেয়ে এসে ছেলেটা কে বলছে
---- মানিক চল এই খান থেকে মনে হয় বয় ফ্রেন্ড ছ্যাকা দিয়েছে ।
বাদাম বিক্রেতা মানিক হেসে বলে
----- ঠিক বলেছিস ববিতা ।
ফুল বিক্রি করা মেয়েটার নাম ববিতা । মানিক বলল
---- বাদাম নেয় না। তুই তাই ব্যবহার করে । আবার বলে পুলিশ ডাকবে ।
ববিতা বলে
----- থাক বাদ দে । মনে হয় টাকা পয়সা নেই । আগলা ফুটাংগী দেখায় ।রাইস ব্যাগ থেকে কত গুলো টাকা বের করে ছুরে মারলো মানিক আর ববিতার দিকে ।। দুইজন টাকা গুলো দেখেছে । ববিতা বলল তাহলে মনে হয় অনেক টাকা মালিক । টাকা গুলো গুনে নিয়ে আপাকে দিয়ে দে ।
মানিক বলল তুই যেয়ে দে । আমি তোর মতো সাবানা ববিতা না। যত সব পাগলের মেলা । মানিক বাদাম নিয়ে অন্য দেখে চলে যায় । ববিতা টাকা গুলো গুনে দেখে একশত বিয়াল্লিশ টাকা । টাকা গুলো রাইসার সামনে রেখে বলল
--- আপা নেন আপনার টাকা । আর একটা ফুল আপনার জন্য । মাত্র ১০ টাকা । আপনে বললে ফুলের দাম নিব । না বললে নিব না। আমারা কারো মনে কষ্ট দিয়ে টাকা নেই না। মানিকের মা একটু বেশী খেচ খেচ করে । টাকা না নিলে খাবার দেয় না। তাকে রোজ তিনশ টাকার বাদাম বেচতে হয় ।। ও আপা ফুল নিবেন ।।
রাইসা বলল - এই সব টাকার বাদাম আর ফুল এই খানে রেখে যা।
আর বিরক্ত করবি না।।
ববিতা মানিক কে ডেকে ফুল বাদাম রেখে চলে যায় ।।
রাইসা পাগলের দিকে চেয়ে দেখে বাঁশীতে ফু দিয়েই যাচ্ছে কিন্তু শব্দ নাই । এবার পাগল কে বলল এই যে মিঃ এই দিকে তাকান । না পাগল তাকাচ্ছে না। আবার রাইসা বলল এই যে পাগল ছাগল হাতেম তাই এই দিকে তাকান । না পাগল তাকাচ্ছে না। সে বাঁশীতে ফু দেয়েই যাচ্ছে ।।
রাইসা ফুল গুলো ব্যাগের মধ্যে রেখে বাদাম গুলো হাতে নিয়ে পাগলের সামনে গিয়ে বলল
---- এই বাদাম গুলো খান ।
পাগল তার দিকে না তাকিয়ে বাদাম গুলো হাতে নিন । নাকে নিয়ে গন্ধ নিল । তার পর ছুলে খেতে লাগলো ।।
রাইসা আবার তার আগের জায়গায় এসে বসলো । খুব অল্প সময়ে বাদাম গুলো খেয়ে শেষ করে আবার বাঁশীতে ফু দিতে লাগলো ।।
না কোন শব্দ নাই ।। পাগলের নাকের কাছে একটা মাছি বার বার বিরক্ত করছে । পাগল বাঁশী টা রেখে । চুপ করে বসে রইলো । এমন সময় মাছিটা আবার নাকের কাছে আসতে থাপা দিয়ে হাতের মধ্যে মুষ্ঠি বন্ধী করে নিল ।
হাতটা কানের কাছে নিয়ে ধরে রাখলো ।। এবার সে তার মুষ্ঠী করা হাতের কাছে মুখ নিয়ে বলল
---- ক্ষমা চাওয়ার আগে কাউকে বিরক্ত করা যে অপরাধ সেটা ভাবা উচিৎ । হাতটা আবার কানের কাছে নিয়ে আমার চোখের সামনে নিয়ে বলল
----- এইবার শেষ বারের মতো ক্ষমা করে দিলাম । এর পরে আসলে আজিম পুর পাঠিয়ে দিব ।।
হাতের মুষ্ঠি ছেরে দিয়ে আবার বাঁশী হাতে নিয়ে ফু দিচ্ছে । রাইসা এখন পাগলের কাজ দেখে একা একা হাসছে । কারন এত ক্ষণ ফু দিয়ে সে কোন শব্দ বাঁশী দিয়ে বের করতে পারে নাই ।
পাগল রাইসার দিকে চেয়ে বলল
----- আপনার ব্যাগ থেকে পানির বোতল টা বের করে দেন ।
----- আমার ব্যাগে পানির বোতল তোমাকে কে বলেছে ।
----- পাগল হেসে বলল আমি যে মাছি কে ধরেছিলাম ওইটা বলেছে ।
------ আর কিছু বলে নাই ??
------ বলেছে তো
----- কি বলেছে ?
----- আপনার বাবা নাকি আপনার বান্ধবী কেয়া কে বিয়ে করেই ছারবে । পাগলের কথা শুনে রাইসা তো অবাক । সেই বিজ্ঞাপনের মতো কথা । ঘরে কথা বাইরে আইলো কেমনে ।।
পানির বোতল পাগলের হাতে দিয়ে বলল আরে আপনি তো জিনিয়াস ।
আমি ভাবছিলাম আপনি পাগল । আপনি যা বলেছেন তা সত্য । আমি সেই দুঃখে এই পার্কে এসে বসে আছি ।। আচ্ছা একটা কথা মাছি আর কিছু বলে নাই ।। পাগল বলল
----- না আর কিছু বলে নাই । মাছিদের বেশী বিরক্ত করা যায় না। তাহলে শরীরে বসে খারাপ ভাইরাস ছেরে যায় ।।
---- ভাইরাস আপনি চিনেন ?
----- কেন চিনবো না। তারা তো দুনিয়ার সবচাইতে শক্তিশালী প্রাণী ।
----- বাহ চমৎকার ।। তা বাঁশীতে ফু দিচ্ছেন কোন শব্দ হয় না ।।
----- এই যে আপনি মনে মনে আপনার বাবাকে বকা দিচ্ছেন গালি দিছেন কোন শব্দ হচ্ছে ।।
---- না হচ্ছে না।
----- তেমনেই আমার বাঁশী বেজে যাচ্ছে যা শুধু আমি শুনতে পাই ।।
---- আচ্ছা আপনি খুব রহস্য মানুষ বুঝতে পারছি ।। আমার বাবার বিয়ে কি করে থামানো যায় সেটা কি বলবেন ।।
---- আমি বুদ্ধিহীন মানুষ কে বুদ্ধি দেই না। রাগী মানুষ কে বুদ্ধি দেই না। আএ বেশী আবেগী মানুষ কে বুদ্ধি দেই না।
---- আমাকে দেন । আমি তো রাগী না।
----- আপনি রাগী না হলে আমাকে এত জোরে ধমক দিলেন কেন ?
----- আচ্ছা আমার ভুল হয়েছে সরি ।।
----- আমাকে সরি না। মানিক আর ববিতা কে সরি বলুন । তারা শিশু মানুষ । আল্লাহর ফেরেশতা । এদের ধমক দিলে খুব কষ্ট লাগে । আপনার বাবার মতো টাকা পয়সা থাকলে কি পার্কে বাদাম আর ফুল বেচে ।।
---- এখন এদের কই পাবো ?
---- আসেন এদের খুঁজি । এই পারকেই আছে । খুজতে খুজতে আপনাকে বুদ্ধি দেই । তবে ...।
----তবে কি ?
---- আপনার কাছে ভাত খাওয়ার মতো টাকা আছে । আমাকে যদি সাহাবাগ পুলিশ ফাঁড়ীর কাছে যে হোটেল আছে সেই খান থেকে গরুর বট( ভুরি) ভুনা দিয়ে ভাত খাইতাম ।।
---- ছিঃ গরুর ভুঁড়ি কোন খাবার হল ।।
----- আগে বলেন আমার ইচ্ছা মতো খাবার দিবেন কিনা । তা হলে বুদ্ধি দিতে পারবো না। আপনার বাবা যদি আপনার বান্ধবী কে বিয়ে করে তাহলে ফেইস বুকে ভাইরাল হবে দ্বিতীয় হুমায়ুন আহমেদ পেয়ে জাতি ধন্য । নতুন গল্প নতুন নাটক । তাছারা আপনার আপনার বাবা সরকারী কর্মকর্তা । নাম ডাক ভালই আছে ।।
---- থামুন থামুন লেকচার দিয়েন না । খেতে চাচ্ছেন চলেন । আপনার বুদ্ধি কাজে না লাগলে আমি কিন্তু আপনাকে পুলিশে দিবই ।
------------------------------------------চলমান ।।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



পড়লাম, ঢাকা শহরের চলমান অবস্হার প্লট; তবে, লেখার ষ্টাইল সঠিক নেই।

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪২

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আমি তো কোন লেখক না

২| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৩৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্বে ভাল লাগা রেখে গেলাম। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

৩| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ১০:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



কথোপকথন আছে, এই ধরণের একটা গল্পের বই থেকে একটা গল্পের লেখার ষ্টাইলটা দেখেন; বইমেলার বই দেখিয়েন না।

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৫৮

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: ভাই আমি আমার মতো ।।

৪| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: মোটামোটি।
তবে চেস্টা অবহ্যত রাখলে দারুন হবে।
দেখি পরের পর্বে কি চমক থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.