নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য, সুন্দর ও শান্তির জন্য,,,,,,,,

সেতুর বন্ধন

সম্পাদক, মাসিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া ফিচার, সাংগঠনিক সম্পাদক কসবা প্রেসক্লাব, গীতিকার, কসবার গান

সেতুর বন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দার্জিলিং প্রকৃতির অন্যমত নৈসর্গিক ছোয়া। পর্ব ১

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৫



॥ মোঃ লোকমান হোসেন পলা ॥


পর্যটন শিল্পসমৃদ্ধ দেশ ভারত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পুরাকীর্তি, আধুনিক ও প্রাচীন স্থাপত্যশিল্প, সর্বোপরি বিশ্বের অন্যতম সপ্তাশ্চর্য আগ্রার তাজমহল ভারতকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছে স্বমহিমায়। ভারতজুড়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত স্থানগুলো এরই মধ্যে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দার্জিলিং তারই একটি। এটির অবস্থান ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের হিমালয়ের পাদদেশে । প্রতিবেশী দেশের কোনো জায়ায় ঘুরতে গেলে যে কয়টা নাম মনে আসে তার মধ্যে দার্জিলিং অন্যতম। প্রকৃতির নৈসর্গিক ছোঁয়া পেতে লাখ লাখ পর্যটক প্রতিবছর দার্জিলিংয়ে ছুটে আসেন। ভারতের অন্যান্য স্থান থেকে এ শহরের আবহাওয়া একটু ব্যতিক্রম। শহরটি হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময়ই বিরাজ করে শীত ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া। দার্জিলিং শহরটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ হাজার ফুট উপরে। বছরের ৯ মাসই থাকে ঠাণ্ডা। মনে হবে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে নিজ হাতে ছোঁয়া যাবে মেঘমালাকে। বাকি ৩ মাস পুরোপুরি নিজেকে মেলে ধরতে পারে সূর্য। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে উঠতে হয় মূল দার্জিলিং শহরে।
বস্তুত দার্জিলিং শহরটি ব্রিটিশ আমলেই বিশ্ব পর্যটকদের নজরে আসে। শহরে উঠেই দেখতে পাবেন সব জায়গায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের চিহ্ন। রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ এমনকি চিড়িয়াখানা পর্যন্ত সব স্থানেই ব্রিটিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। মূলত ব্রিটিশরা এ শহরকে তাদের নিজের মতো করে সাজিয়েছিল। কারণ ছিল একটাই এর নির্মলআবহাওয়া আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

কিভাবে যাবেন?
=====================
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিভোর নগরী পাহাড়ে ঘেরা অপূর্ব চিরহরিৎ ভূমির দার্জিলিংয়েস্থলপথে রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি দার্জিলিং যেতে চাইলে উত্তরবঙ্গের বুড়িমারি সীমান্ত অতিক্রম করে যাওয়াটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক। ঢাকার গাবতলী থেকে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে উত্তরবঙ্গের বুড়িমারী সীমান্তের উদ্দেশে। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস থেকে পাসপোর্টে নির্দিষ্ট সময়ের ভিসা নিয়ে রাত ১০টার সুপার সেলুন চেয়ার কোচে উঠে পড়–ন বুড়িমারী সীমান্তের উদ্দেশে। ভাড়া জনপ্রতি আর কত সামর্থের মধ্যেই। ভোর ৭টা নাগাদ আপনি অনায়াসে পৌঁছে যাবেন বুড়িমারী চেকপোস্টে। ইমিগ্রেশন অফিসের কাছেই সব বাস থামে। প্রাতঃরাশ সম্পন্ন করে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তির সঙ্গে সম্পন্ন করে নিন ভ্রমণ কর ও কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া। অবশ্য আপনি চাইলে ঢাকা থেকেই ভ্রমণ কর প্রদান করে যেতে পারেন সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায়। বুড়িমারী অতিক্রম করে ওপারে চ্যাংড়াবান্দা সীমান্তে পৌঁছে একইভাবে সম্পন্ন করে নিন আপনার ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া। ও ভালো কথা, আপনার বহনকৃত ইউএস ডলার চ্যাংড়াবান্দায় অবস্থিত
সরকার অনুমোদিত ডিলারদের কাছ থেকেই ভারতীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করে নেবেন। অন্যথায় পরবর্তী সময়ে টাকা ভাঙাতে আপনাকে বেশ বেগ পেতে হবে। চ্যাংড়াবান্দা থেকে সরাসরি ময়নাগুড়ির বাস ধরে দেড় ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন শীর্ষেন্দু-সমরেশের উপন্যাসখ্যাত শিলিগুড়ি জিপ স্টেশনে। ভাড়া জনপ্রতি ৭০ ভারতীয় রুপি।


চলবে...........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.