নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য, সুন্দর ও শান্তির জন্য,,,,,,,,

সেতুর বন্ধন

সম্পাদক, মাসিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া ফিচার, সাংগঠনিক সম্পাদক কসবা প্রেসক্লাব, গীতিকার, কসবার গান

সেতুর বন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁপাই নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কাঁসাশিল্প বিলুপ্তিরর পথে

২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০২



মো, লোকমান হোসেন পলা

প্রকৌ, বাকের সরকারের ব্যাবসাই পার্টনার কাজী মিজানুর রহমার, মো, শহীদুল ইসলাম, মো, বাপন সরকার, আল মামুন সরকারের আন্তরীক সহযোগিতায় আমের রাজধানী কানসাট দেখা।আমার এবং লিটনের। আম নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল খুব কেন যেন চাপাই এর কাঁসা শিল্প নিয়ে লেখার ইচ্ছা চেপে বসলো মনে।
জেলার ঐতিহ্যবহনকারী একটি শিল্পের নাম কাঁসা। কিন্তু চাঁপাই নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কাঁসাশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। সরকারি সহয়তা পেলে আবারো ঘুরে দাঁড়াবে এ শিল্প দাবি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে আজাইপুর, আরামবাগ, শংকরবাটি ও রামকৃষ্টপুর গ্রামের মানুষের এক সময় ঘুম ভাঙ্গতো হাতুড়ের শব্দে। ভোর রাত থেকে শুরু করে সারা দিন কর্মব্যস্ত থাকতো ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। কোনো কারখানায় তৈরি হতো পিতলের কলস আবার কোথাও কাঁসার বাটি কোনোটিতে থালাসহ কাঁসা পিতলের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও ঘর সাজানোর অনেক জিনিস। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হতো চাঁপাইনবাবগঞ্জের তৈরি কাঁসা পিতলের জিনিসপত্র।
এগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া ও প্লাস্টিক, মেলামাইন, সিরামিক এবং স্টিলের তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এর চাহিদা কমে গেছে। এছাড়াও মজুরি কম হওয়ার কারণে নতুন করে তৈরি হচ্ছে না এর কারিগর। ফলে কাঁসাশিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শংকরবাটি মহল্লার কারিগর শহীদ আলী (৬৫) জানান, ১৩ বছর বয়স থেকে তিনি কাঁসার বাটি তৈরী করছেন। এখন কাঁসার তৈরী জিনিষের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে কাজ কমে গেছে। সে কারণে তাদের সন্তানরা এখন এসব কাজ শিখছে না। এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। আজাইপুর মহল্লার এন্তাজ আলী (৬৫) জানান, কাঁসা পিতলের কাজে শারিরিক পরিশ্রম খুব বেশি সে তুলনায় মজুরি কম। বাপ-দাদার পেশা হওয়ার কারণে এখনও ছাড়তে পারছেন না।
কারখানা মালিক রামকৃষ্টপুর মহল্লার আমিনুল ইসলাম জানান, কাঁসার বাসন তৈরিতে ব্যবহৃত রাং ও তামার দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় কাঁসা-পিতলের তৈরি জিনিসের দামও বেড়ে যাচ্ছে। সেকারণে এর ব্যবহার ও বিক্রি কমে যাচ্ছে। এ শিল্পকে বাঁচাতে হলে কাঁচামাল রাং ও তামা সহজ শর্তে আমদানিতে সরকারের সহযোগীতা প্রয়োজন।
অপর কারখানা মালিক নূর আমিন জানান, কাঁসা-পিতলের বাসন তৈরি করতে যে কাঁচামাল ব্যবহার হয় সেগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আনতে হয়। কিন্তু রাস্তায় আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর হয়রানির কারণে অনেক কারখানা মালিক সেগুলো আনছেন না। সেকারণে দিন দিন কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কারিগরের অভাব ও হাতে তৈরি করতে সময় বেশি লাগায় খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এসব জিনিসপত্র তৈরি করার জন্য এখন আধুনিক যন্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। সরকার যদি বিদেশ থেকে ওইসব মেশিন আমদানি করতে সহযোগিতা করেন তাহলে কাঁসা ও তামার জিনিসপত্র তৈরিতে খরচ কমে যাবে এবং ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে আসলে চাহিদাও বেড়ে যাবে।
আমাদের সফর সংগী আল মামুন সরকার জানান, চাঁপাই নবাবগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে আজাইপুর, আরামবাগ, শংকরবাটিসহ ওই এলাকার প্রা ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ এক সময় কাঁসা শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওই এলাকা তৈরি কাঁসা-পিতলের জিনিসপত্র বাংলাদেশসহ ভারত বর্ষের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হতো। স্বাধীনতার পরে বিভিন্ন সময়ে এ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল অবৈধ পথে ভারতে চলে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এখন যে কয়েকটা কারখানা চালু রয়েছে সেগুলো ধুঁকে ধুঁকে চলছে। তিনি বলেন, চাঁপাই নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কাঁসা-পিতল শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র সরবরাহ ও আর্থিক সহয

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.