নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য, সুন্দর ও শান্তির জন্য,,,,,,,,

সেতুর বন্ধন

সম্পাদক, মাসিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া ফিচার, সাংগঠনিক সম্পাদক কসবা প্রেসক্লাব, গীতিকার, কসবার গান

সেতুর বন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশ ভ্রমন

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৬


এক হাজার টাকায় (এিপুরা, ভারত)

লোকমান হোসেন পলা।।

প্রথমেই যারা কোটিপতি। ঢাকায় এক বসাতে হিসাব ছাড়া টাকা ব্যয় করেন। কিংবা কোথাও ভ্রমণে গেলে আপনরা হাজারে হাজারে লাখে লাখে টাকা ব্যয় করেন। তাহাদের জন্য এই লেখা নয়। লেখাটি তাদের জন্য যারা মনের মাঝে ঘুরাঘুরি শখ বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু সময় ও টাকার সীমাবদ্ধতার জন্য বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারছেন না।

নিন্দুকেরা কি বলে তাতে মাথা না ঘামিয়ে আস্থা রাখুন, তাহলেই আপনার হাজার টাকায় বিদেশ ভ্রমণ মন্দ হবে না। কারণ আমি বহুবার ঘুরে এসেছি। লোকে বলে আগরতলা নাকি চৌকির তলা। অর্থাৎ বাড়ির কাছে এই বিদেশকে অনেকেই বিদেশ ভাবতে রাজি নয়। যাই হোক বাড়ির কাছে এই বিদেশ নিয়ে আমাদের এক হাজার টাকায় বিদেশ ভ্রমণের গল্প শুরু।

প্রথম কাজ একটা ভারতীয় ভিসা প্রবেশ ও বাহির দিতে হবে ত্রিপুরা আগরতলা। ভিসা পাওয়ার পর একদিন সোনালী ব্যাংকে ভ্রমণ কর ৫০০ টাকা দিয়ে দিন (যদিও আপনি চাইলেই সীমান্তে ভ্রমণ কর দিতে পারেন)। এই খরচগুলো অবশ্য এক হাজার টাকার বাইরে।

এবার দিন তারিখ ঠিক করুন কবে যাবেন ত্রিপুরা। যদি দিন তারিখ ঠিক হয় তবে পকেটে ১০০০ টাকা নিয়ে এক সকালে রওনা হন বিদেশ ভ্রমণে। ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকালে ট্রেনে যাবেন আখাউড়া রেল স্টেশন। তারপর ৫ জনের কিংবা ৪ জনের টিম হলে সিএনজি আটোরিকশা করে আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থল বন্দরে। কমলাপুর থেকে ট্রেনের ভাড়া ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার মধ্যে হবে। অটোরিকশা ভাড়া ১০০ টাকা ৪ জন।

আপনি এখন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে। তারপর দুই ইমিগ্রেশন পাড়ি দিয়ে যখন আপনি ত্রিপুরার মাটিতে পা রেখেছেন আপনার পকেটের টাকা তখনও ২৫০ শেষ হওয়ার কথা নয়।

ত্রিপুরাতে ঘুরতে পারেন অনেক জায়গাতে। খাবার খুবই সস্তা। যতটুকু খাবেন ততটুকুর টাকা দিতে হবে। বটতলা কিংবা বটতলীতে একটা খাবার দোকান আছে, আমরা সেখানে খেয়েছিলাম। সারাদিন ত্রিপুরাতে ঘুরে বিকেলেই চলে আসতে পারেন বাংলাদেশে। সন্ধ্যায় আখাউড়া থেকে অনেক রেলগাড়ি পাবেন ঢাকায় ফেরার। একদিনে আপনার বিদেশ ভ্রমণ শেষ। এক হাজার টাকায় ভ্রমণ শেষ।

তবে ত্রিপুরা একদিনে দেখার মতো স্থান নয়। খরচ আর সময় যদি একটু বাড়াতে পারেন। তবে ত্রিপুরায় ঘুরতে পারেন দিন দুয়েক। এ রাজ্যের সবুজের মায়াতে আপনি মুগ্ধ হবেন। ত্রিপুরার বিল, বন, নদী আর নিরবতা আপনার ভ্রমণে অন্যরকম স্বাদ জোগাবে। এখানে শহর ছেড়ে একটু হাঁটলেই পাবেন প্রশান্তির সবুজের আঁচল।

ত্রিপুরা রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় সকল স্থাপনাগুলোর হুবহু নকল করে রাজ্যের রাজধানী আগরতলার মালঞ্চনিবাস এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে হেরিটেজ পার্ক। আগরতলা শহর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ পাড়ি দিলেই দর্শনার্থীরা পৌঁছে যাবেন হেরিটেজ পার্কে। ১০ রুপি দিয়ে প্রবেশ করেই উপভোগ করতে পারবেন ছায়া-সুনিবিড় আর সবুজে ঘেরা হেরিটেজ পার্কের অপরূপ সৌন্দর্য। আর সহজ অংক কষে ফেলুন কোথায় কোথায় যাবেন।

প্রথমদিন সারাদিন ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থান ঘুরে বিকেলে রওনা হতে পারেন উদয়পুরের দিকে। ভাড়া ৫০ রুপির কম হবে। রাতে উদয়পুর হোটেলে থাকুন। সব হোটেলই সাধারণ মানের, ডাবল রুম ভাড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই। সকালে ঘুম থেকে উঠেই রওনা হয়ে যান উদয়পুর দেখবেন বলে। যদি চারজনের দল হয়ে থাকেন তবে অটোরিকশা ভাড়া নিন। ৬০০ থেকে ৫০০ রুপির মধ্যেই আপনি রুদ্রারবিলের রাজপ্রসাদ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, মেলাঘর (এখানে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে)। দুপুরে পর পর ফেরার পথে রোজ গার্ডেন, সিপাহিজলা চিড়িয়াখানা ঘুরে আসতে পারেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.