নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য, সুন্দর ও শান্তির জন্য,,,,,,,,

সেতুর বন্ধন

সম্পাদক, মাসিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া ফিচার, সাংগঠনিক সম্পাদক কসবা প্রেসক্লাব, গীতিকার, কসবার গান

সেতুর বন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কসবা উপজেলা ঐতিহাসিক জনপথের নাম (১)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

কসবা উপজেলা ঐতিহাসিক
জনপথের নাম

লোকমান হোসেন পলা

প্রিয় কবিতা,
মুঠো ফোন দখল করে ফেলেছ পত্র যোগাযোগকে। তার পরেও চিঠির আবেদন অন্যরকম একটি আবেদন তোমার পত্র যথাসময়ে পেয়েছি। আমি দুঃখিত যে সময়ের অভাবে তোমার পত্রের উত্তর যথাসময়ে দিতে পারিনি। তোমাদের লিচু, রামসাগর, কান্তজির মন্দির, হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়, স্বপ্নপুরী এবং তুমি... তোমার... সত্যিই ভাল লেগেছে। না বন্ধু অঞ্চন দত্তের গাওয়া ‘কসবার ঐ নীল দেয়ালের ঘর’ গানটি আমার কসবাকে নিয়ে নয়। সেটা কলকাতার কসবা। কসবার ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে তোমাকে বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ রাখার চেষ্টা করছি।
প্রিয় কবিতা,
কসবা ছিল সুলতানি আমলের উপবিভাগীয় প্রশাসনিক কেন্দ্র। প্রশাসনিক উপ-বিভাগগুলোর মধ্যে ইকলিম, ইকতা, মুকতা, ইরতা, সোয়ার,ও কসবা নামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ৩৭টি কসবার বন্ধন পাওয়া গিয়েছে। কসবাগুলির অধিকাংশই বর্তমান জেলা শহরের মধ্যে বা অদুরে অবস্থিত ছিল। একটি কসবার অবস্থান থেকে অন্যটির দূরত্ব ও একট্ িবিষয়। এসব নামের সঙ্গে অনেক রাজকীয় আমলার পদবির সংযুক্তি লক্ষ করা যায়, যেমনÑ কাজূর কসবা, কতোয়ালের কসবা, শহর কসবা, নগর ইত্যাদি।
কসবাগুলোর অবস্থান, একটি সঙ্গে অপরটির দূরত্ব, রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রাদেশিক রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা এবং নামের সঙ্গে যুক্ত রাজকীয় পদবি ও অন্যান্য বিষয় বিচেনা করে কসবাকে সুলতানি আমলের একটি উপ-বিভাগীয় প্রশাসন কেন্দ্র বলা যেতে পারে।
সুলতানি আমলের ‘কসবা’ কে জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। কসবার দায়িত্বে ছিলেন একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একজন কাজি ও একজন কতোয়ালী। মূঘল আমলের অধিকাংশ কসবাই পূর্বের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে।
কয়েকটি কসবার নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো ঃ * মুন্সিগঞ্জ জেলার কাজীর কসবা ও নগর কসবা * টাঙ্গাইল জেলার কসবা আটিয়া * ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা, * লক্ষ্মীপুর জেলার শহর কসবা * বৃহত্তর রংপুরের কসবা নূরপুর * দিনাজপুরের কসবা * সাগরপুর কসবা * খুলনার পয়গ্রাম কসবা * বৃহত্তর রাজশাহী জেলার চোয়ারা কসবা * আমর’ল কসবা * কিসমত কসবা ও কসবা মান্দা * গৌরনদী উপজেলার বড় কসবা * লাখেরাজ কসবা * যশোর কসবা ইত্যাদি।
বন্ধু,
ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় যে, মহারাজ প্রতীত আনুমানিক একাদশ শতাব্দীতে কৈলাগড় (কসবা) অস্থায়ী রাজধানী স্থাপন করেন। এ পূর্বাঞ্চলে খলংমা, ধর্ম্মনগর, কৈলাসহর ও কৈলাগড়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়ে রাজধানী স্থাপিত হয়েছিল। কসবার আদিনাম কৈলাগড়। কিল্লাগড় থেকে বিবর্তিত হয়ে কৈলাগড়। বর্তমান বিজনা নদীর (বিজয়) পূর্ব পাড়ে টিলাময় অঞ্চলে ত্রিপুরী সৈন্যরা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে কিল্লা বানাতো। কিল্লাগড় মানে বিল্লাদুর্গ। পশ্চিম পাড়ে আজকের কেল্লাবাড়ি, নাপিতের বাজার, মইনপুর, শাহপুর এ অঞ্চলে কিল্লা তৈরি করেছিল মুঘল সৈন্যরা। ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামে (যাকে ইতিহাসে বলে সিপাহি বিদ্রোহ) চট্টগ্রাম থেকে সিপাহিদের একটি দল ত্রিপুরা পাহাড় শ্রেণি দিয়ে সিলেটে পালিয়েছিল। তখন ত্রিপুরার মহারাজ ইংরেজদের পক্ষে দালালি করে সিপাহিদের দমন করে। এর এক বছর পর ত্রিপুরা রাজ্যে ইংরেজদের পরামর্শে ১১টি ( চলমান)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.