নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য, সুন্দর ও শান্তির জন্য,,,,,,,,

সেতুর বন্ধন

সম্পাদক, মাসিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া ফিচার, সাংগঠনিক সম্পাদক কসবা প্রেসক্লাব, গীতিকার, কসবার গান

সেতুর বন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কসবা উপজেলা ঐতিহাসিক জনপথের নাম (২)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

কসবা উপজেলা ঐতিহাসিক
জনপথের নাম ( ২)

লোকমান হোসেন পলা

থানা স্থাপিত হয়। তিন ভাগে বিভক্ত। যেমন হিউং, বিউং ও কৈলাগড়। ১৯৫৮ সাল কসবা থানা স্থাপিন হয়। পুরাতন অফিসের মধ্যে একটি তহশিল অফিস ছিল পেয়ারী যাহার বাজারে (কসবা)। গরিব কৃষকদের সুদখোররা শোষণের জন্য ১৮৪৩ সালে তা স্থাপন করে। ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর ১৪ তারিখে কসবা থানাকে উপজেলায় উত্তীর্ণ করা হয়।
কসবার ঐতিহাসিক স্থানসমূহ ঃ
কোল্লপৈাথর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল ঃ এখানে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধার সমাধি আছে। অজ্ঞাত তিনটি সমাধি। কোনাবন সাব সেক্টরের কমান্ডার আব্দুল গাফফার হাওলাদার (খুলনা) নির্দেশে, কোল্লাপাথরের বিনুফকিরের আন্তরিক সহযোগিতায় তাঁর পারিবারিক কতক জায়গায় ৭১-এর জুন মাসে এ সমাধি স্থাপন করা হয়। ৭১-এর অক্টোবরে কসবা অঞ্চলে যুদ্ধ বেড়ে যায়। শহীদ যোদ্ধারা আসতে থাকে তখন তাদের এখানে কবর দেয়া হয়। কিন্তু সব সরকারের সময়ই এ সমাধিস্থল চরমভাবে অবহেলিত হয় এবং হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর মুক্তিযোদ্ধা সমাধিস্থল ঃ ১২ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধিস্থল এখানে আছে। স্থাপিত ৭১-এর অক্টোবর-৯, লক্ষ্মীপুর সীমান্ত অঞ্চল। অক্টোবর ৯-২২ অক্টোবর পর্যন্ত কসবা যুদ্ধের ৪টি লাশ ও ২১ নভেম্বর চকচন্দ্রপুর চানমোড়ার যুদ্ধে নিহত ৮টি লাশ নিয়ে এ সমাধিস্থল। ক্যাপ্টেন হুমায়ুন কবির, স্বাধীনতা বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম, সদস্য সচিব এম এইচ শাহআলম, কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি সোলেমান খান, সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহা, জহিরুল ইসলাম স্বপন এবং হুমায়ুন খাদেম (রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান), সাবেক এমপি শাহ আলম, তৎকালীন ইউএনও, শাহ মোকসেদ আলী ও সাবেক সচিব মিনাজুর রহমান এই সমাধিই তৈরিতে আরও অনেকেই আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী জন্মভিটা ও আশ্রম ঃ হিন্দু বা সনাতনী ধর্মের কেউ কেউ বলে সাধিকা, আবার গুণীজন ও সাধকরা বলেন অংশাবতার। সবার কাছে প্রিয়তমা ‘মা’। জন্ম এপ্রিল ৩০, ১৮৯৬, মৃত্যুঃ আগস্ট-২৭, ১৯৮২। জন্ম স্থান ঃ কেওড়া, কসবা। ১৯২৫ সালে ঢাকা সিদ্ধেশ্বরী শ্রীযুক্ত জ্যোতিষ চন্দ্র রায় (ভাইজী) কর্তৃক ‘শ্রী শ্রী আনন্দময়ী’ উপাধী পায়। ১৯২৭ সালে শাহবাগে ফকিরের কবরে নামাজ পড়েন। ১৯২৯ সালে রমনা আশ্রমের জমিতে পদার্পণ করেন। ১৯৩৭ সালে কেওড়া কসবা কালিমন্দিরে আসেন শ্রীমতি ইন্দিরা ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি জি এস পাঠকসহ ভারত বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব তার শিষত্ব বরণ করেন। শ্রী শ্রী আনন্দময়ী আশ্রম, কেওড়া ১৩৩৮ বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালে তার পাশেই দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপিত হয়। কেওড়া আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আনন্দময়ী স্কুল (নিতাই পাল) তাঁরই নামে প্রতিষ্ঠিত। তিনি হচ্ছেন “অঃ ঃযব ষড়ঃঁং ভববষ ড়ভ গধধ” আগস্ট-২৭, ১৯৮২ সালে কৃষ্ণপুর আশ্রম, দেরাদুনে ৭-টা ৪৫ মিঃ মৃত্যুবরণ করেন।
মহেশ ভট্টাচার্য্য ব্রিজ ঃ দানবীর মহেশ ভট্টাচার্য্য নামে কসবা বিজয় নদীর ওপর ব্রিজ তিনি স্থাপন করেন। জন্ম ১২৬৫ বাংলা মৃত্যু ১৩৫০ বাংলা। কসবা পুরাতন বাজারে প্রবেশ পথে নদীর উপর সুদৃশ্য ব্রীজ। কসবা সদরের কোন বদরাগী নৌকোমাঝি ভাংতি পয়সা দিতে পারেনি বলে, তাঁর ছাতা রেখে দেয়। তাই খেয়া পারের পর কুমিল্লায় গিয়ে একটি লোহা ব্রিজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোং স্থাপন, বিনা পয়সায় চিকিৎসা করিয়েছেন।
গোঁসাইস্থল মন্দির গুচ্ছ ঃ গোপীনাথপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নোয়ামোড়া গ্রামে মন্দিরগুলো অবস্থিত। আনুমানিক ৫শত বছর পূর্বে এলাহাবাদের জমিদার সনাতন গোঁসাই সন্ন্যাসী বেশে পূর্ব ভারতের পথ ধরে এ গ্রামে উপস্থিত হন। সাথে ছিল দুইজন ভাবশিষ্য। একজন গোঁপাল গোসাই ও অন্যজন জীবন গোসাই। স্থানীয় রাখাল ও জেলেদের সহযোগিতায় একটি উঁচু মোড়ার ওপর পুণ্যকুটির স্থাপন করেন। মোড়ার উত্তর প্রান্তে সনাতন ও গোপাল গোঁসাইর সমাধি। উত্তর-পশ্চিম কোণে শ্রী শ্রী বৈকুণ্ঠের সমাধি, দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে জীবন গোঁসাইর সমাধি। এ গোঁসাই হিন্দু না মুসলিম তার কোনো প্রমাণ নেই। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ১ তারিখে মেলা হয় ও ১৪ ভাদ্রতে বসে হিন্দুদের উৎসব।
কসবার ঐতিহাসিক সাগর ও দিঘিসমূহ ঃ
কল্যাণ সাগর ঃ মহারাজ মশোধর মানিক্য তাঁকে কৈলাগড় সেনাপতি নিযুক্ত করেন। মহারাজ কল্যাণ মানিক্যের (১৬২৬-৬০) খ্রিঃ সময়ে একটি উদয়পুরে অন্যটি কসবায় তাঁর নামে এ দিঘি খনন করেন। দিঘিকে প্রতীকী অর্থে সাগর বলে। রাজার হৃদয় সাগর ও বিশালত্ব নিয়ে এ যেন দিঘিই সাগর। এ সমস্ত দিঘিগুলো মূলতঃ সামরিক প্রয়োজনে খনন করা হয়েছিল। কসবায় এ সাগরের আয়তন ১২ একর।
কমলা সাগর ঃ রাজা ধন্যমানিক্য (১৪৯০-১৫২০) খ্রিঃ কসবায় এ দিঘি খনন করেন। রানী কমলাবতীর নামে কমলা সাগর। রাজার মৃত্যু হলে তিনিও সহমরণে যান। দক্ষিণ দেশের আমরাবাদ পরগণায় রাজা হরিশচন্দ্র। আমানতপুর গ্রামেও একটি কমলা দিঘি আছে।
রাম সাগর ঃ মহারাজ রামদের মানিক্যের (১৬৭৬-১৬৮৫) খ্রিঃ মাইজগ্রামে রামসাগর নামে দিঘি খনন করেন। আয়তন ৮ একর। তাছাড়া মূলগ্রাম (চলমান)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.