নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য, সুন্দর ও শান্তির জন্য,,,,,,,,

সেতুর বন্ধন

সম্পাদক, মাসিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া ফিচার, সাংগঠনিক সম্পাদক কসবা প্রেসক্লাব, গীতিকার, কসবার গান

সেতুর বন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল সংসার (অন্য প্রেমের গল্প) ৪

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৮

লোকমান হোসেন পলা

- বলছি তবে অল্প কথায়, সেই জটিল রমনীর নাম শম্পা আসলে সে আমার ভালবন্ধু ছিল, আমি তাকে কখনো প্রেয়সীর নজরে দেখতে চাইনি, কোন ভূতে ধরলো তাকে সে আমাকে বন্ধু থেকে প্রেমিকে নামীয় এনে অনেকগুলো জটিলতা তৈরি করে উল্টোর রথে চলে গেলো।
অথচ তার জমানো টাকা দিয়ে আমাকে জগৎ বিখ্যাত ভালোবাসায় নির্মিত তাজমহল দেখতে সহযোগিতা করছিল।
পরে তার দেয়া জটিল কষ্টগুলো ভুলতে আমাকে অনেক সময় নিজের বিরুদ্ধে নিজেকে দাঁড়াতে হয়েছে বারবার। তীব্র কষ্ট অথবা বেঈমানির ফল আমাকে বাধ্য করেছে মীর জাফরের কবরে যেতে।
- হা হা হা
- কেন হা হা হা
- মীর জাফরের কবরের কথা শুনে। কি চমৎকার প্রেমে তোর উপর তুর পড়লো রে বন্ধু, তোকে সেই প্রেমের জন্য মহাভারতও দৌরঝাঁপ করতে হলো।
হে বন্ধু প্রেমের জন্য আগ্রায় তাজমহল যাওয়া হুবই সংগত, কিন্তু বিরহের জন্য মুর্শিদাবাদের মীর জাফরের কবরে খুব মজার ব্যাপার তো, বলতো শুনি সেই কথা,
- শম্পার সেই আচরণে এমন ক্ষোভ মনে গেথে গেল যা থেকে বের হতে পারছিলাম না। কি করে বের হই বল সাত বছরের সম্পর্ককে ছিন্ন করতে তার সাত মিনিটও লাগেনি এবং অন্যজনার সাথে ঘর বাঁধতে সাত দিনও সময় নেয় নি, তাই ক্ষোভকে কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, শুধু সামাজিক ও আমার নিজের ব্যক্তিত্বের কারণে প্রকাশ্যে কোনো কিছু করাও আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই ৯৯ সালে মীরজাফরের কবরে গিয়ে অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থেকে আমার নিজ হৃদয়ের সেখানে তার জন্য আসন করে রেখেছিলাম ভালোবাসার সেই আসনে থু থু দিয়ে দিলাম মন ভরে, কারণ থু থু একবার ফেলে দিলে তাকে আর ফেরত নেয়া যায় না, তাই এই অভিনব কাজটি আমাকে করতে হয়। বিশ্বাস করো সেই ৯৯ সাল থেকে আজও তাকে আমার একবারও দেখতেও ভাবতেও মনে চায়নি।
- বাহ্
- এইবার ভাবো কেন তোমাকে খোঁজে বের করা চমৎকার তোমার প্রতিবাদ।
- আমি কি তার পরিচয় জানতে পারি,
- চেনবে না,
- তার স্বামীর সাথে তোমার দেখা হয়েছিল কখনো ও
- হে হয়েছিল তখনো তার স্বামী হয়নি,
- তুমি তাকে চিনতে?
- না সে আমাকে খোঁজে বের করেছে, তারনাম বুলবুল বুলবুলের বাড়ি আমাদের এলাকাতে নয়। সে চাকরি সূত্রে থাকতো,
- বুলবুল তোমাকে কেন খোঁজে বের করলো।
শম্পা বলেছিল আমার সাথে কথা বলতে, কারণ শম্পার মনে ভয়ছিল আমি হয়তো প্রতিশোধ নিতে পারি, আর আমি জামেলা করলে বুলবুল এলাকাতে থাকতে পারবে না।
- তাছাড়া আমার সাথে শম্পা জটিলতার কথা শম্পা বুলবুলকে বলেছিল।
বুলবুল আমার সাথে কথা বলার সময় শম্পাকে লেখা আমার বেশ কয়েকটি চিঠি নিয়ে এসেছিল। তার মানে হলো, শম্পা তাকে সব বলেছে। বুলবুল আমাকে বলল আপনি চাইলে তখনো তাকে গ্রহণ করতে পারেন, আর আপনি না চাইলে আমি তাকে গ্রহণ করবো। আমি তখন বুলবুলকে বললাম, আমি একটি গল্প শোনাবো, এই গল্পে আমার উত্তর আছে। গল্প বলার পরে আমি চলে যাবো আর কথা হবে না, শুভ কামনা রইল আপনাদের জন্য,
“এক লোক বিয়ে করেছে বার বছর হয়েছে, কিন্তু তার স্ত্রীর 'কোনো সন্তান হচ্ছে না, তাই সেই লোক তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। অনেক দিন পরে সেই লোক শুনতে পায় তার তালাক দেয়া স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে একটি ছেলে জন্ম দিয়েছে। সে কথা শুনে সেই লোকের সেই ছেলেকে দেখার খুব ইচ্ছা হলো এবং দেখার জন্য বেরিয়ে গেলো। অনেক দূরের পথ, যেতে যেতে পথেই সন্ধ্যা হয়ে গেলো। সেই লোক রাস্তার পাশে বসে চিন্তা করলো কোথায় রাত্রে থাকবে। এমন সময় অন্য এক লোকের সাথে তার দেখা। লোকটি জানতে চাইলো ভাই আপনি এই অবেলা এখানে বসে আছেন কে। তখন লোকটি বলল তার সেই কথাগুলো। লোকটিও পথে বেরিয়েছে, কথিত রাক্ষস খোঁজার জন্য। অন্য লোকটির ১২ বছর পরে একটি ছেলে হয়েছে। এক দরবেশ বলেছিল তোমার সন্তান হওয়া পরে তোমাকে একজন রাক্ষসকে খাওয়াতে হবে। অন্য লোকটি ভাবলো, এই লোকটি তো আসল রাক্ষস। কারণ সন্তান জন্ম দিতে পারেনি বলে স্ত্রীকে তালাক দিলে সেই মহিলার অন্য সংসারে সন্তান জন্ম দেয়ায় খবর শুনে তাকে দেখতে যাচ্ছে। এতো রাক্ষসকেও হার মানায়। তখন অন্য লোকটি তাকে বাড়িতে নিয়ে সেবাÑযতœ করে।” সেই গল্প বলে আমি চলে আসি আর কোনোদিন তার সাথে এবং শম্পার সাথে আমার দেখা ও কথা হয়নি।
বাহ্ বাহ্ কি চমৎকার তোমার প্রেম কাহিনী। আমি যদি তোমাকে একটা অন্য প্রেমের অফার করি সেটা তুমি করবে কি?
- আগে বলো,(চলমান)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটির বেতর আরেকটি গল্প পড়তে পেরেছি। তবে এখানকার গল্পটির সম্পর্কে আমার জানা ছিল যে। লেখক পরিচিত বলে এসব জানতাম। এখন শুরুর গল্পটির অপেক্ষায়।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫০

সেতুর বন্ধন বলেছেন: পাঠক ধন্যবাদ, আপনার ভালাবাসায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.