নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য, সুন্দর ও শান্তির জন্য,,,,,,,,

সেতুর বন্ধন

সম্পাদক, মাসিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া ফিচার, সাংগঠনিক সম্পাদক কসবা প্রেসক্লাব, গীতিকার, কসবার গান

সেতুর বন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেলুড়মঠ

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৮


ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক

লোকমান হোসেন পলা

রামকৃষ্ণ মঠের সদর দপ্তর, বেলুড় মঠ (ওরফে বেলুড় মট) হুগলি নদীর কাছাকাছি অবস্থিত এবং চল্লিশ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। হিন্দু, ইসলামী, বৌদ্ধ এবং খ্রীস্টান শৈলী স্থাপত্যের একত্রীকরণ, এই মঠ ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক হিসেবে দাবী রাখে। বেলুড় মঠের একটি দর্শন মানুষের মনকে তৃপ্তি ও শান্তিতে ভরিয়ে তোলে।
বেলুড় মঠ চত্বর
এই মঠ চত্বরকে এক কথায় শুধুমাত্র মন্দির বলা যেতে পারে। এটি একটি মিউজিয়ামের, একটি মন্দির ও মঠ নিয়ে গঠিত। নিম্নলিখিত বিবরণ :
শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির – শ্রীরামকৃষ্ণের মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, এই মন্দিরটি হল বেলুড় মঠের প্রধান মন্দির।
স্বামী ব্রহ্মানন্দ মন্দির – এই মন্দিরটি সেই স্থানে নির্মিত হয়েছিল যেখানে স্বামী ব্রহ্মানন্দকে (শ্রী রামকৃষ্ণের ষোল জন শিষ্যদের মধ্যে একজন) দাহ করা হয়।
স্বামী বিবেকানন্দ মন্দির – এটি সেই স্থান যেখানে স্বামী বিবেকানন্দের মৃতদেহ দাহ করা হয়
সমাধি ঘেরা – স্বামী বিবেকানন্দের ষোল জন শিষ্যদের মধ্যে সাতজনকে এখানে দাহ করা হয়।
পবিত্র মাতার মন্দির বা শ্রী সারদা দেবীর মন্দির।
পুরাতন মন্দির – এখানে দৈনিক প্রার্থনা করা হত যতদিন না নতুন মন্দির (রামকৃষ্ণ মন্দির) প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্বামী বিবেকানন্দের কক্ষ – স্বামী বিবেকানন্দ এই কক্ষে বসবাস করতেন এবং তার মহাসমাধি এখানে স্থাপিত হয়।
পুরাতন মঠ।
রামকৃষ্ণ মিউজিয়াম – এই মিউজিয়ামে শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ এবং পবিত্র মাতা শ্রী সারদা দেবী দ্বারা ব্যবহৃত নিবন্ধগুলি সংরক্ষণ ও প্রদর্শণ করা হয়।
এটি অন্যান্য উপাসনামূলক স্থানের চেয়ে ভিন্ন এখানে যে কেউ বসে ধ্যান করতে পারেন। এখানে কোন ধর্মীয় নৈবেদ্য, ফুল বা মিষ্টি প্রদান করা হয় না। এই স্থানের এই শান্ত পরিবেশ বেলুড় মঠের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
পরিদর্শনের সময় (বেলুড় মঠ) :
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর – সকাল ৬-টা. থেকে সকাল ১১.৩০-টা., বিকাল ৪-টা. থেকে সন্ধ্যে ৭-টা. পর্যন্ত।
অক্টোবর থেকে মার্চ – সকাল সাড়ে ৬-টা. থেকে সকাল ১১.৩০-টা., দুপুর ৩.৩০-টে থেকে বিকেল ৬-টা. পর্যন্ত।
প্রতি সন্ধ্যায় যখন আরতি শুরু হওয়ার সময় একটি বিশেষ ঘণ্টা বাজানো হয় এবং তারপর পরিদর্শকরা শ্রীরামকৃষ্ণের মূল মন্দিরের ভিতরে এসে বসে এবং তখন বাইরে কাউকে ঘোরাঘুরি করার অনুমতি দেওয়া হয় না।
ধর্মীয় খাদ্য প্রদান :
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর : সন্ধ্যে ৮.৩০-টা.।
অক্টোবর থেকে মার্চ : সন্ধ্যে ৮.০০-টা.।
পরিদর্শনের সময় (রামকৃষ্ণ মিউজিয়াম) :
সকাল : ৮.৩০-টা. থেকে ১১.৩০-টা.।
বিকাল : ৪-টা. থেকে ৬-টা. (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর), ৩.৩০-টে থেকে ৫.৩০-টা. থেকে ( অক্টোবর থেকে মার্চ)।
(সোমবার বন্ধ)
* কোনও প্রবেশমূল্য নেই।(ধন্যবাদ কবি শিশির দাশগুপ্তকে দেখতে ও লেখতে সহযোগিতার জন্য)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

সনেট কবি বলেছেন: বেশ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.