নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পৃথিবীর বুকে চিহ্ন আঁকার চেষ্টা করছি, মগ্ন হচ্ছি দাগ রেখে যাওয়ায়। পায়ের ছাপে যেন কিছুটা কষ্টও ধোঁয়া হচ্ছে না, সব চেপে বসে আছে বুকে। ওরা থাকবে। বাস করবে এখানে। জানালায় একদিন ঠিকই দেখতে পেতে, আমি ঘরে ফেরার পথে হাটতে চাচ্ছি।
মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
বিষয়ঃ সাধারণ কিছু কথা, অসাধারণ ফলাফল।
কিছু কথা আপণার বরাবর বলতে চাই। আমরা দিকে দিন হতাশ হচ্ছি। বিভিন্ন কারণে হচ্ছি। বিভিন্ন দিক দিয়ে হচ্ছি। আজকে যুক্তিপূর্ণ কয়েকটা কথা বলার মত সাহস হয়েছে তাই বলতে যাচ্ছি। যা আমাদের দেশের এবং জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অনুকূল কিছু বয়ে আনবে বলে আশা ব্যাক্ত করছি।
আমাদের এই বাংলাদেশে সরকারী উদ্যগে কি এমন কিছু কাজ করা যায় না যা একটি বিশাল পরিবর্তন বয়ে আনবে? যেমন একটি হতে পারে সরকারী উদ্যেগে ব্যাপক হারে বৃক্ষ রোপণ। অবশ্যই তা করতে হবে সৎ কিছু মানুষের দ্বারা। আমাদের দেশের নগরায়নের ধাক্কায় বিশেষ করে প্রধান প্রধান শহরগুলোতে প্রতিদিন সবুজের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। এখন মাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে একটি বা দুটি গাছ লাগানো যায়। আবার এমন একটি আইন কি করা যায় যাতে শহরের বাড়ীওয়ালারা বাধ্যতামূলক ভাবে তাদের বাড়ীর ছাদে বাগান করবে। আপণি যখন ওপর দিয়ে প্লেনে করে কোথাও যাবেন বা আসবেন একটি সবুজ ঢাকা শহর দেখতে পাবেন। সবচেয়ে বড় শান্তিটা কিন্তু আপণিই পাবেন। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।
সরকারী উদ্যেগে কি কিছু লাইব্রেরী করা যায়? আমাদের পাবলিক লাইব্রেরীর মত। আমাদের প্রতি বিজয় দিবস উপলক্ষে যদি একটি করেও পাবলিক লাইব্রেরীর মত লাইব্রেরী তৈরি হত ভেবে দেখেন আমাদের যুবসমাজ হাতের লাগালে কত বই পেত। ৪৩ টা পাবলিক লাইব্রেরী পেত সারা দেশ জুড়ে। ছেলেমেয়েরা নিজেরা পড়ে পড়ে কত কিছুই শিখে ফেলতে পারতো। জানার পরিমাণ কত বেড়ে যেত আমাদের। বইয়ের মত আপন জগত আর কেউ দিতে পারেনা। এক একটা প্রজন্ম থেকে কতগুলো করে প্রতিভা বের হয়ে আসতো। সবাই কিন্তু তখন আপণাকেই বাহবা দিত। বলতো এই দেশের প্রধানমন্ত্রী আপণি। বই মানুষের সবচেয়ে বড় সঙ্গী।
আর আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষকদের এবং আমাদের পুলিশ ভাইবোনদের মাসিক বেতন বাড়ানোর জন্য কি কোন সরকারী উদ্যেগ নেয়া যায় না? বাবা মা’র পরে যেখানে প্রধান পথ প্রদর্শক হওয়ার কথা শিক্ষকদের, তারা কি তা আছেন? যদি উদ্যেগটা নিতেন আর বাস্তবায়ন হত সঠিক ভাবে তবে তারা একটি শিক্ষিত যুবসমাজ তৈরিতেই মনযোগ দিতেন। আবার মানুষের প্রকৃত বন্ধু যেখানে হওয়ার কথা পুলিশের তারাও সেটা হতে পারতেন। অভাব মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। সংসারে অভাব থাকলে শিক্ষক ও পুলিশ কিভাবে তাদের দায়িত্ব নিয়ে পড়ে থাকবেন? নিজের যখন বিপদ থাকে তখন সেই মানুষ কিভাবে অন্য মানুষের বিপদের বন্ধু হবেন! একটু ভেবে দেখবেন কি সুন্দর একটা দেশ হবে তখন। সেই দেশটার প্রধানমন্ত্রী কে জানতে চাইলে সবাই কিন্তু আঙ্গুল উঠিয়েই আপণাকে দেখিয়ে দেবে।
আমি আমাদের দেশের অন্যতম মূর্খ একজন মানুষ। যা ভাল মনে হল তাই বলার চেষ্টা করলাম। জানি আদৌ কোন সম্ভাবনা নাই এই কথা গুলো আপণার কাছে পৌছানোর। কিন্তু বিশ্বাস এই একই কথা যেদিন দশজন বলবে, যেদিন একশজন বলবে, যেদিন এক হাজার মানুষ বলবে সেদিন আপণার কাছে গিয়ে পৌছাবে। আর যেদিন দশ হাজার মানুষ বলবে সেদিন এটি একটি দাবীতে পরিণত হবে। জানিনা হবে কিনা, কিন্তু আমি অনেক আশাবাদী মানুষ তাই আশা করছি যেদিন এই একই কথা এক লক্ষ মানুষ বলবে তখন এটা আমাদের মৌলিক চাহিদায় পরিণত হবে।
আমরা বরাবর আপণার কাছেই চাইবো। শুরুটা এখান থেকেই হোক।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৪
শাহরিয়ার খান শিহাব বলেছেন: এখন ব্যাপারগুলো আগে আমাদের সবার মাথায় নিতে হবে, তারপর মনে, তারপর অন্তরে, তারপর আকাঙ্ক্ষায়, তারপর দাবীতে, তারপর বাস্তবায়ন। তবেই আমরা পেতে পারি এখন কিছু।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: ভালো লেগেছে।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১২
শাহরিয়ার খান শিহাব বলেছেন: এখন ব্যাপারগুলো আগে আমাদের সবার মাথায় নিতে হবে, তারপর মনে, তারপর অন্তরে, তারপর আকাঙ্ক্ষায়, তারপর দাবীতে, তারপর বাস্তবায়ন। তবেই আমরা পেতে পারি এখন কিছু।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৩
শাহরিয়ার খান শিহাব বলেছেন: এখন ব্যাপারগুলো আগে আমাদের সবার মাথায় নিতে হবে, তারপর মনে, তারপর অন্তরে, তারপর আকাঙ্ক্ষায়, তারপর দাবীতে, তারপর বাস্তবায়ন। তবেই আমরা পেতে পারি এখন কিছু।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: অনেক ভালো কথা বলেছেন।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৩
শাহরিয়ার খান শিহাব বলেছেন: এখন ব্যাপারগুলো আগে আমাদের সবার মাথায় নিতে হবে, তারপর মনে, তারপর অন্তরে, তারপর আকাঙ্ক্ষায়, তারপর দাবীতে, তারপর বাস্তবায়ন। তবেই আমরা পেতে পারি এখন কিছু।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
ডি মুন বলেছেন: সরকারী উদ্যেগে ব্যাপক হারে বৃক্ষ রোপণ।
আমাদের প্রতি বিজয় দিবস উপলক্ষে যদি একটি করেও পাবলিক লাইব্রেরীর মত লাইব্রেরী তৈরি হত ভেবে দেখেন আমাদের যুবসমাজ হাতের লাগালে কত বই পেত।
আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষকদের এবং আমাদের পুলিশ ভাইবোনদের মাসিক বেতন বাড়ানোর জন্য কি কোন সরকারী উদ্যেগ নেয়া যায় না
চমৎকার কয়েকটি উদ্যোগের কথা বলেছেন।
ভালো লেগেছে।