নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাগর সীমানা ভেঙে এঁকে গেল এক কোটি প্রবাহ যা পৃথিবীকে শোনাল বৈচিত্র্যময় আবহ, সেই পৃথিবী আর তার সাগরে যেতে নদী অপরিসীম, যে মানুষের জীবনে ঢেউ নেই, সে জীবনে নদীও নেই।

আমি পৃথিবীর বুকে চিহ্ন আঁকারচেষ্টা করছি, মগ্ন হচ্ছি দাগ রেখে যাওয়ায়।পায়ের ছাপে যেন কিছুটা কষ্টও ধোঁয়া হচ্ছে না, সব চেপে বসে আছে বুকে।ওরা থাকবে। বাস করবে এখানে। জানালায় একদিন ঠিকই দেখতে পেতে,আমি ঘরে ফেরার পথে হাটতে চাচ্ছি।

শাহরিয়ার খান শিহাব

আমি পৃথিবীর বুকে চিহ্ন আঁকার চেষ্টা করছি, মগ্ন হচ্ছি দাগ রেখে যাওয়ায়। পায়ের ছাপে যেন কিছুটা কষ্টও ধোঁয়া হচ্ছে না, সব চেপে বসে আছে বুকে। ওরা থাকবে। বাস করবে এখানে। জানালায় একদিন ঠিকই দেখতে পেতে, আমি ঘরে ফেরার পথে হাটতে চাচ্ছি।

শাহরিয়ার খান শিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের ব্রান্ডিং

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০০

অনেকক্ষণ ধরে ভাবতেছিলাম এই যে আমরা এমন একটা বেহায়া জাতিতে পরিণত হইতেছি তার লজিকটা কি! ঘটনাটা কি যেই কারণে দিনকে দিন আমরা জাতি হিসেবে অধপতনেই যাচ্ছি। খুঁজতে খুঁজতে প্রথম যেটা পেলাম আমরা আমাদের বাবার নাম জানি কিন্তু আমাদের মৃত দাদার নাম জানিনা।
খুব অল্পে বললাম তাই মাথায় পুরোপুরি ঢুকল না এইতো? আমরা আমাদের বাবা পর্যন্তই জানি। আমাদের বাবা যে কোথা থেকে এল তার খবর আমাদের কাছে নেই। আমরা জানিই এতটুকু। আমরা জাতি হিসেবে আর আগাবোই বা কতটুকু? অতীত জানিনা। ইতিহাস জানিনা। তাই দেশের প্রতি ভালবাসা আসেনা। শ্রদ্ধাতো দূরের কথা।
যখন পুরোপুরি জেনে যাব কে কখন কিভাবে দেশের জন্য কি কি করে গেছেন, তখন নিজের কি কি করা উচিত তা উপলব্ধি করবো। শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দুইজনই আমাদের সমগ্র অতীত নয়। আমাদের অনেক অনেক গুনী মানুষ ছিলেন যাদেরকে হয় হত্যা করা হয়েছে অথবা কদর করা হয় নাই। মরোনোত্তর সন্মান দেয়া হলেও বেঁচে থাকতে দেয়া হয়েছে কচু। অনেক বুদ্ধিজীবী ছিলেন, আজকালকার মত গৃহপালিত বুদ্ধিজীবী না। ছিলেন প্রকৃত বুদ্ধিজীবী।
আমাদের আসলে এখন যা অবস্থা তাতে আমাদের ইতিহাসের ব্রান্ডিং করা উচিৎ। তাছাড়া আর উপায় দেখতেছি না।
লাক্স সাবানের বিজ্ঞাপনের মত বারবার করে বলতে হবে, প্রতিমাসে বারবার ইহা লাক্স, লাল নীল সবুজ হলুদ খয়েরী কমলা এগুলো সবই কালার কিন্তু কি সাবান? লাক্স সাবান।
ঠিক এই কাজটাই করতে হবে। বারবার করে বলতে হবে ১৯৪৭ সালের পর থেকে, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ৭ই মার্চ, ২৫শে মার্চ, ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, ভাষা শহীদ, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, বীরশ্রেষ্ঠ, বীরপ্রতীক, বীরউত্তম ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কি? ইহাই হল বাংলাদেশ।
রং গন্ধ শুকতে শুকতে সাবান যেমন বাসায় চলে আসে। ইতিহাস জানতে জানতেও একদিন বাংলাদেশটা অন্তরে চলে আসবে। ইনশাল্লাহ।


শাহরিয়ার খান শিহাব

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

আহলান বলেছেন: সমস্যা তো আরো আছে ...কোন ইতিহাস ব্যান্ডিং করবেন? আলীগ লিখে এক রকম , বিএনপি লিখে আরেক রকম ....৯ বছর ধরে এরশাদ সাহেব লিখেছেন আরেক রকম .... হিহিহি

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১০

শাহরিয়ার খান শিহাব বলেছেন: কোন পক্ষ নিয়ে আগালে তো আর হবে না ভাই। আর কত?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.