নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

** কে আমি ?** কোথা হতে এসেছি ?** কেন এসেছি ?** কোথায় যাব ?** কি আমার পরিচয় ?

যায়বেলা অবেলায় (সিমান্তের ঈগল)

** কে আমি ? ** কোথা হতে এসেছি ? ** কেন এসেছি ? ** কোথায় যাব ? ** কি আমার পরিচয় ?

যায়বেলা অবেলায় (সিমান্তের ঈগল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

"নিজের ছবি না তুলে, শুধু একবার নিজের হৃদয়ের সেলফি তোলার চেষ্টা করে দ্যাখ। আমি শুধু এইটাই দেখবো...কয় মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা তোর বিবেককে কাভার করে ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ফোনের গ্যালারী ঘাটতে ঘাটতে ঝাপসা একটা ছবিতে চোখ আঁটকালো। ছবিটার ইতিহাস মনে করতে আমার ২ সেকেন্ডও লাগলোনা। আগেই ক্লিয়ার করছি। এটা কোন সেলফি কিংবা ফ্যাশনেবল ফটোশুট নাহ। এটা এক হতভাগি মা এর ছবি। চলুন ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘুরিয়ে ঘুরে আসা যাক ২ মাস পেছন থেকে। ধানমন্ডি থেকে বাসায় আসার জন্য বাসে উঠলাম। বাসের নাম রংধনু। সময় দুপুর ১ টা কি দেড়টা হবে। আমি বসলাম বাম সাইডের দ্বিতীয় সারিতে। হাতে কিছু কাগজ পত্র ছিলো। ঐগুলা দেখছিলাম। বাট একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম, কিছুক্ষণ পর পর কান্নার আওয়াজ আসে। ভেবে নিলাম, ডিজিটালাইজড ফকিররা মাঝে মাঝে কান্নার ভান করে। হয়তো সেটাই শুনতেছি। এর পর আরও একটা ব্যাপার লক্ষ করলাম যে, বাসটা যখনই ব্রেক চাপে তখনই আর্তনাদের আওয়াজটা বেশী শোনা যায়। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি যে, ড্রাইভারের পেছনের সিটের বুড়ো মহিলাটাই কান্না করে। তার চোখ দিয়ে অনর্গল অশ্রু ঝরছে। এত্তগুলা মানুষ! একটা মানুষেরও এইটা নিয়ে মাথা ব্যাথা নাই। ভিরের মধ্যে সিটে বসার মজা ত্যাগ করে আমি গেলাম তার কাছে। তাকে জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কানতেছেন ক্যানো? বাবা রে....আমার বাম হাতটা ভাঙ্গা। একটু লরা লাগলেই কইলজার পানি শুকাইয়া যায়। খেয়াল করলাম, উনার বাম হাত কাপড় দিয়ে বেধে রাখছে। আর সিটের পাশে X-Ray রিপোর্টের বড় খামটাও আছে। জিজ্ঞাস করলাম, হাত ভাঙ্গলো কিভাবে আপনার?? এ প্রশ্ন শুনে এবার এ মায়ের চোখের পানির কোনো বাধ মানলোনা। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছিলো। আমার প্রশ্নের উত্তরটা তার জানা। কিন্তু আমার বুঝতে বাকি রইলোনা যে, হাত ভাঙ্গার কষ্টের চাইতে আমার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কষ্টটাই তার বেশী হচ্ছিলো। উনি বললো..... বাজান রে, বুয়ার কাম কইরা কইরা আমার ফোলারে বারছিটিত উডাইছি। ট্যাকা দিইনাই দেইক্ষা ঐ ফোলাই আমার লগে জগরা করছে। লাথ্থি দিয়া আমার হাত ভাইঙ্গা হালাইছেরে বাজান... কাইন্দেন্না চাচী। পড়াশুনার জন্য টাকা চাইছিলো?? না। উইয়ে বোলে দামি ২ ক্যামরা মোবাইল কিনব...!


আর কিছু বলার থাকলোনা আমার। ঐ ছেলেটাকে কিছু কথা বলতে খুব ইচ্ছে হলো... তোর জন্মের আগে তোর এ মা'টা পেটের ভেতর তোর হাজারো লাথ্থি হজম করেছিলো কেন? তোকে জন্ম দিয়ে লাথি খাওয়ার জন্য? দামি মোবাইল দিয়ে কি করতিরে তুই? মিনিটে মিনিটে সেলফি তুলে আপলোড দিতি। এইতো? নিজের ছবি না তুলে, শুধু একবার নিজের হৃদয়ের সেলফি তোলার চেষ্টা করে দ্যাখ। আমি শুধু এইটাই দেখবো...কয় মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা তোর বিবেককে কাভার করে

সংগ্রহিত সংযোযিত

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

মহাপুরুষের ডায়েরী বলেছেন: এদের আসলে বেচে থাকার অধিকার নাই

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৪

যায়বেলা অবেলায় (সিমান্তের ঈগল) বলেছেন: জি জনাব সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.